| 26 এপ্রিল 2024
Categories
গীতরঙ্গ

সাপ্তাহিক গীতরঙ্গ: রসগোল্লার গল্প । লুৎফর রহমান রিটন

আনুমানিক পঠনকাল: 6 মিনিট
গেলো ডিসেম্বরে আমার সর্বশেষ এপয়েনমেন্টের সময় ফ্রেঞ্চকাট শাদা দাঁড়িতে চশমা পরা সুদর্শন রওয়ান রবার্ট বাংলাদেশে আমার প্রিয় খাবারগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলো। এই প্রশ্নটা তার আগের বছরও করেছিলো। বিষদ ফিরিস্তি সহ আমি তালিকা পেশ করলাম–কাচ্চি বিরিয়ানির। শুনে ব্যাটার চক্ষু চড়কগাছ–তুমি কি প্রতিদিন খাও ওই ভয়াবহ ফেটি আইটেম ‘কেচ্চি’?
আমি বলি নারে ব্যাটা রোজ রোজ ‘কেচ্চি’ আমাকে কে খাওয়াবে! মাঝে মধ্যে খাই। বিয়ের দাওয়াত পেলে খাই আবার না পেলেও খাই। রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাই।
হোয়াট এবাউট কেবব?
আমি এরপর কাবাবের ফিরিস্তি দিই। এমন ভাবে বলি যে ব্যাটা হাসিমুখে বলে–আই ক্যান স্মেল ইট!
এরপর জিজ্ঞেস করে সে মিষ্টির কথা–ইতিপূর্বে পঁইপঁই করিয়া বলিয়াছি। তাহার পরেও রিপিট করি–মিষ্টি তুমি কমাইয়াছো তো?
আমি বললাম–আলবাৎ কমাইছি মিয়া। (চ্যানেল আইতে প্রতিদিন সাগর ভাই আমার জন্যে মিষ্টির যোগান রাখেন। সেখানে নাটোরের কাচাগোল্লা থাকে। সাবিত্রি নাম খোদাই করা সন্দেশ থাকে। আর থাকে সুদর্শন রসগোল্লা।)
তা প্রতিদিন তুমি কতো পিস ভক্ষণ করো?
আমি বললাম–কম করে হলেও পাঁচটা ছয়টা।
স্মার্ট বুড়ো ডাক্তার চেয়ার থেকে উলটে পড়ার ভঙ্গি করে–ও মোর সৃষ্টিকর্তা ও মোর প্রভু এই লোক বলে কী! পাগল নাকি! তুমি কি আত্মহত্যা করিতে চাহো? বাঁচিতে চাহো না এই সুন্দর ভুবনে?
আমি বললাম–বাঁচিতে চাহি বলইয়াই তো মিষ্টি খাই মিয়া। মিষ্টি বিহীন বাঁচিয়া থাকা অপেক্ষা মৃত্যু উত্তম।
শেষমেশ রওয়ান রবার্ট আমার সঙ্গে একটা খাদ্যচুক্তি করে। আমি তাঁর কথামতো হাত তুলে তাঁর নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করি–এইবার বাংলাদেশে গিয়া আমি আমার জিহবাকে সংযত রাখিবো। প্রতিদিন একটির বেশি দুইটি মিষ্টি আমি খাইবো না।
শপথ গ্রহণ শেষে বিদায়কালে রওয়ান আমাকে দরোজা পর্যন্ত এগিয়ে দেয়–আশা করছি তুমি তোমার শপথ ভঙ্গ করিবে না।
নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে আমিও মাথা ঝাঁকাই–নিশ্চয়ই। একটার বেশি দুইটা খাইবো না।
আমার ডাক্তার হাসে। তার হাসি মিলিয়ে যাবার আগেই আমি বাক্যের শেষাংশ উচ্চারণ করি–একটার বেশি দুইটা খাইবো না কিন্তু পাঁচটা খাইবো না এমন শপথ কিন্তু তুমি করাও নাই মিয়া। হাহ হাহ হাহ
পেছনে শুনতে পাই রওয়ান বলছে–তুমি হও একটা ক্রেইজি…।
০২
মিষ্টি আমার ভীষণ প্রিয়। গুলশান/বনানীতে রেস্টুরেন্ট ও পানশালা ‘ব্লু মুন’-এর সিঁড়ির গোড়ায় ফুটপাথ ঘেঁষে ‘ভিলেজ’ নামে একটা মিষ্টির দোকান আছে। এই দোকানটায় দুর্দান্ত সব শুকনো মিষ্টির সমাবেশ থাকে। রস নেই এমনসব আইটেম। রসহীন এই মিষ্টিগুলোকে সন্দেশ কিংবা বরফি নামেও ডাকা যায়। নানান রঙের নানান স্বাদের অপূর্ব একেকটা আইটেম।
এক সন্ধ্যায় ব্লু মুনে ঢোকার আগে কিছু মিষ্টি কেনার ইচ্ছায় ভিলেজে ঢুকে পড়লাম। বাকি সঙ্গীরা রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে সিঁড়ি টপকালেও আমার সঙ্গে রইলো রুমা। অনন্যা রুমা। চ্যানেল আইয়ের বিখ্যাত প্রযোজক ও অনুষ্ঠান নির্মাতা। কাঁচ ঘেরা ছোট্ট দোকানটা। সারি সারি থরে থরে সাজানো শুকনো মিষ্টির আইটেমগুলো। আমি একটা আইটেম পছন্দ করে দোকানিকে বললাম একটা প্যাকেট দিতে। দোকানি আমাকে একটা আইটেম না নিয়ে বরং এসোর্টেড আইটেম নিতে পরামর্শ দিলো। ওর পরামর্শ মানলে আমাকে দিতে হবে নির্দিষ্ট দামের চাইতেও বেশি কিছু টাকা। আমি সেটা মানতে না চাইলে দোকানি লোকটা আমাকে অবাক করে দিয়ে বললো–সেটাই ভালো হবে স্যার। তাহলে সব কটার স্বাদ আপনার পরখ করা হবে আর আপনি লিখতে পারবেন নতুন নতুন ছড়া।
দোকানির কথা শুনে আমি তো অবাক–আমি ছড়া লিখি আপনি সেটা জানেন?
জানি স্যার বলেই লোকটা আমার ঢাকা আমার ঢাকা ছড়ার কয়েকটা লাইন স্মৃতি থেকে পাঠ করে শোনালো। দোকানির কণ্ঠে আমার ছড়ার আবৃত্তি শুনে আনন্দে রুমা চিৎকার করে উঠলো–ওয়াও।
জানলাম লোকটার নাম নজরুল। বললেন–অনেক আগে পড়েছিলাম স্যার।
আমি তাঁকে স্যার থেকে ভাই সম্বোধনে উৎসাহী করে তুললাম।
নজরুলের সঙ্গে উষ্ণ করমর্দন শেষে ‘ভিলেজ’ থেকে বেরিয়ে এলাম। দোকানি নজরুলের আনন্দিত হাস্যোজ্জ্বল মুখটা এবং রুমার বিস্মিত মুখটা স্মৃতিতে গেঁথে রইলো।
০৩
মিষ্টি আমার ভীষণ প্রিয়।
কতো স্মৃতি এই মিষ্টিকে ঘিরে! বিশেষ করে রসগোল্লা আমার সবচে প্রিয় একটা মিষ্টি। ছোটদের জন্যে আমার একটা গল্পের বই আছে। নাম ‘রসগোল্লাটা কথা বলে’। চান্স পেলেই রসগোল্লা খাই আমি। ঢাকায় অসাধারণ রসগোল্লা খেয়ে এসেছি মীনাবাজার নামের দোকানটাতে। আমি রসগোল্লা চিনি। রসগোল্লার মধ্যে ঢাকার মীনাবাজারেরটা হলো দি বেস্ট। এক কেজিতে সতেরোটা ওঠে। সতেরোটা দুর্ধর্ষ রসগোল্লার সঙ্গে পর্যাপ্ত রস মিলিয়ে এক কেজি ওজন বানানো হয়। মীনাবাজারে প্রতিবারই কাউন্টারে থাকা লোকটাকে অবাক করে দিয়ে এক কেজির প্যাকেটটাকে বেঁধে ফেলার আগে আগে একটা ফর্ক চেয়ে নিয়ে টপাটপ দুটোকে সাবড়ে ফেলি নগদে। অসাধারণ টেস্টি ওদের রসগোল্লা।
রসগোল্লা নিয়ে কতো গল্প আমার এক জীবনে। একটা বলি।
ঢাকা থেকে নদী পার হয়ে বাসে চেপে একদিন দুপুরে বন্ধু মতিনকে সঙ্গে নিয়ে চলে গিয়েছিলাম দোহার নবাবগঞ্জে। ওখানকার কলাকোপা বান্ধুরা এলাকায় গিয়ে পৌঁছেছি বিকেলে। মতিন আমার স্কুল ফ্রেন্ড। এখন জার্মানিতে থাকে। যখনকার কথা বলছি তখন আমি স্কুল গোয়িং। আমার বোনের শশুরবাড়িতে একটা নিমন্ত্রণ পৌঁছুতে আমার সেই দোহার যাত্রা। বাবার নির্দেশ–নিমন্ত্রণপত্রটা হাতে হাতে পৌঁছে দিয়ে আসতে হবে এবং সেটা আমাকেই। এক দুপুরে বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে সেই দায়িত্ব পালন করতে গেলাম।
বাস থেকে নেমে হাঁটতে হবে দুতিনটে গ্রাম। তারপর বোনের শশুর বাড়ি। তো কলাকোপা বান্ধুরা এলাকা অতিক্রম করার সময় দেখি একটা মিষ্টির দোকানে রসগোল্লা ভাজা হচ্ছে। গরমা গরম রসগোল্লা। রসে টইটম্বুর রসগোল্লা। ধবধবে ফর্সা নয় আবার অফ হোয়াইটও নয়। কেমন একটা মন উতলা করা শাদা শাদা রসগোল্লা।
মতিনকে নিয়ে বসে পড়লাম সেই নড়বড়ে মিষ্টির দোকানটার একটা নড়বড়ে টেবিলে। গ্রামের দোকানে যেমনটা থাকে। বয়েসের তুলনায় খানিক বয়েসী দেখতে এক কিশোর এগিয়ে এলো। ওকে বললাম আমাদের দুজনকে রসগোল্লা দিতে। ছেলেটা এলুমিনিয়ামের দুটো পিরিচে দুটো রসগোল্লা এনে আমাদের সামনে দিলো। বাঁকা ত্যাড়া পিরিচ দুটোর চেহারাখানিকটা এবড়ো খেবড়ো। দুটো ছোট্ট চামচও দিয়েছে সঙ্গে, এলুমিনিয়ামের। আর যথাসম্ভব ধুয়ে পরিস্কার করে দুটো গ্লাসে দুগ্লাস পানি। চামচ দিয়ে রসগোল্লাটার পেটে মৃদু একটা চাপ দিতেই খুব মসৃণ ভাবে রসগোল্লাটা দ্বিখন্ডিত হয়ে গেলো এবং খন্ডিত টুকরোটা মুখে পুরেই মুহূর্তেই বুঝে গেলাম এটা হচ্ছে পৃথিবীর সেরা রসগোল্লা। ছেলেটাকে বললাম আরো দিতে। ছেলেটা ফের একটা রসগোল্লা তুললো একটা পিরিচে। আমি ইশারায় আরো বেশি তুলতে বললাম। সাহস করে এইবার ছেলেটা একটা পিরিচে চারটা করে রসগোল্লা সার্ভ করলো। এবার আমি ছোট্ট চামচে রসগোল্লাকে না কেটে পুরো রসগোল্লাটাকেই চালান করে দিলাম মুখের ভেতরে। আহা কী নরোম তুলতুলে একটা রসগোল্লা রে! মুখের ভেতরটায় মিষ্টি রসের নহর বয়ে গেলো যেনো। আমার বন্ধু মতিন ওর দ্বিতীয় মিষ্টি সাবাড় করার আগেই আমার চারটা শেষ। এরপর সেই কিশোর আমার দিকে কৌতুহলী দৃষ্টিতে তাকাতেই ওকে কাছে ডেকে বললাম–এই ছেলে তুমি এতো কিপ্টার মতো আনো ক্যান? বেশি কইরা আনো।
এইবার ছেলেটে পিরিচ ভর্তি করে রসগোল্লা নিয়ে এলো। ছোট্ট পিরিচ। কয়টা আর আটে। আমি খাচ্ছি আর প্রশংসা করছি রসগোল্লার। যিনি রসগোল্লা বানাচ্ছিলেন তিনি ব্যাপারটা লক্ষ্য করছিলেন হাসিমুখে। তাঁকে উদ্দেশ্য করে বললাম–ভাই আপনি তো পৃথিবীর সেরা কারিগর, মিষ্টির। আমার কাছ থেকে কারিগর শব্দটা শুনে ভীষণ খুশি হলেন। আমি জানতাম মিষ্টির নির্মাতাকে কারিগর বলা হয়। তিনি এতোক্ষণ মিষ্টির সিরার ভেতর থেকে সদ্য নির্মিত রসগোল্লাগুলোকে অবমুক্ত করছিলেন। সেটা শেষ করে তিনি এগিয়ে এলেন আমাদের কাছে।
বললেন–ঢাকা থেকে আসছেন?
বললাম–হ্যাঁ।
যাবেন কোথায়?
দোহার নবাবগঞ্জ কলাকোপা বান্ধুরা। এখান থেকে আর কতো দূর?
ভদ্রলোক–হাত উঁচিয়ে দেখালেন, ওই গ্রামের পরেই। তারপর বললেন–আপনি এতো সুন্দর করে মিষ্টির প্রশংসা করলেন শুনে খুব শান্তি পেলাম। তৃপ্তি পেলাম। মিষ্টি অনেকেই খায় কিন্তু মিষ্টির কারিগরকে কেউ প্রশংসা করে না এইভাবে। যেইভাবে আপনি করলেন। আপনাকে আমি নিজের হাতে দুটো মিষ্টি খাওয়াতে চাই। এটার জন্যে পয়সা দিতে হবে না।
আমি বললাম, পয়সা না নিলে তো আমি খাবো না।
না, খাবেন। এইটা আমি নিজের আত্মার শান্তির জন্যে খাওয়াতে চাই। দোকানটা আমার নিজের। আপনি না করবেন না দয়া করে। সব মিষ্টির দাম দিয়েন কিন্তু এই দুইটার না।
বলে ভদ্রলোক সদ্য তৈরি হওয়া দুটো আশ্চর্য গোলক ভদ্রলোক আমাকে উপহার হিশেবে পরিবেশন করলেন। আমার বন্ধুটি ইতোমধ্যে ইস্তফা দিয়েছে।
উপহার পাওয়া মিষ্টি দুটো খেয়ে আমি রীতিমতো উল্লাস প্রকাশ করলাম–ভাই আপাকে তো এইরকম অসাধারণ মিষ্টি বানানোর কারিগর হিশেবে পুরস্কৃত করা উচিৎ। ঢাকায় আপনার একটা দোকান থাকলে ভালো হতো।
ভদ্রলোক তাঁর কাঁধের গামছায় মনে হয় চোখ মুছলেন।
কিশোর ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করলাম–কতো হইছে আমাদের?
ছেলেটা বললো–আপনে খাইছেন স্যার ২৬টা আর আপ্নের বন্ধু খাইছে ছয়টা মোট ৩২টা। ৩২ টাকা হইছে স্যার।
একটা মিষ্টি এক টাকা হিশেবে ৩২টা ৩২ টাকা। আমি উল্লাস প্রকাশ করতে করতে দোকানির হাতে ৩২ টাকা। আর কিশোর ছেলেটাকে দিলাম দুই টাকা। সে কিছুতেই নেবে না। জোর করে দিতে হলো।
অর্থাৎ সেদিন এক বসায় ২৬ টা প্লাস দুইটা ফ্রি মোট ২৮টা রসগোল্লা সাবাড় করেছিলাম!
আমার চিকিৎসক রওয়ান রবার্টকে এই কাহিনিটা বলা হয়নি। বলবো? কী জানি আমাকে ক্রেইজি আখ্যা দিতে দিতে মানসিক রোগীদের হাসপাতালে না রেফার করে বেচারা! তারচে বরং থাক। জগতের সব কথাই চিকিৎসককে বলার কোনো মানে হয় না। ওদের নির্দেশ মাঝে মধ্যে অমান্য করতে পারাটাও জরুরি। নইলে রসগোল্লাকে খাওয়া যাবে না। আর রসগোল্লা বিহীন জীবন সে তো ধুসর মরুভূমি। ধুসর মরুভূমির বাসিন্দা হয়ে দীর্ঘদিন আমি বেঁচে থাকতে চাই না। তারচে রসগোল্লাময় স্বল্পকালীন মধুমাখা একটা জীবন অধিক উত্তম।
রসগোল্লা শুধু আমারই প্রিয় নয়। রসগোল্লা প্রিয় ছিলো সৈয়দ মুজতবা আলিরও। একটি রচনায় তিনি লিখেছেন, তার বেহেশতে যাওয়ার খায়েশ নেই, কারণ ওখানকার মেনুতে রসগোল্লার কোনো উল্লেখ নেই!
০৪
রসগোল্লার জন্মবিত্তান্ত নিয়ে চমৎকার একটা বাংলা সিনেমা নির্মাণ করেছেন পাভেল। কোলকাতার ছবি। ভারতীয় সিনেমার আইন অনুযায়ী প্রতিটা মুভির শুরুতে বাংলা-ইংরেজি কিংবা হিন্দিতে ধূম্রপান বিরোধী একটা নো স্মোকিং ডিসক্লেইমার দেয়া থাকে। মুদ্রিত টেলপ তো থাকেই সেই সঙ্গে থাকে সেই ছবির কোনো একজন শিল্পীর কণ্ঠে সেটার পাঠ। যেমন–‘ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে হানীকারক। ইহা ক্যান্সারের কারণ।’
রসগোল্লা সিনেমাতেও সেটা আছে। সাধারণত এই অংশটা আমি টেনে বাদ দিয়ে দেখি। কিন্তু রসগোল্লারটা টেনে দেখিনি। কারণ এই সিনেমার ধুমপান বিরোধী ঘোষণাটাও দুর্দান্ত রকমের ইনোভেটিভ এবং রসগোল্লা কেন্দ্রিক!
পর্দায় প্রদর্শিত টেলপের ওপর একজন শিল্পী বাংলা এবং ইংরেজিতে বলছেন–
‘সিগারেট বিড়ি ওসব তামাক জাত জিনিস কেনো খাবেন? ওসব খেলে ক্যান্সার হয়। খেলে ভালো জিনিস খান, রসগোল্লা খান।
টোবাকো কজেস ক্যান্সার। রসগোল্লা কজেস হ্যাপিনেস। ইট্‌স্‌ ইয়োর চয়েস।’
হাহ হাহ হাহ। মজাই মজা।
জয় বাবা রসগোল্লা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত