বেয়াদবি শিখিয়েছেন বড়রাই: নোবেল
ব্যর্থতা সত্ত্বেও চূড়ান্ত ঔদ্ধত্য। ব্যক্তির নাম মইনুল হাসান নোবেল। সম্প্রতি মৌলিক গান রিলিজ করেছেন ‘সারাগামাপা’ খ্যাত গায়ক। সে গান নিয়েও বিস্তর রঙ্গতামাশা! লাইকের থেকে ডিসলাইক বেশি সেই ‘তামাশা’ গানে! প্রচারের ভুল ত্রুটি হয়েছে বলে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন মইনুল হাসান নোবেল। কিন্তু ক্ষমা চাওয়ার পরক্ষণেই আবার পুরনো ফর্মে ফিরে শুরু করলেন বেয়াদবি! শালীনতার সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে বললেন, “এই বেয়াদবি বড়দের কাছে শিখেছি!”
দিন কে দিন নিজের ‘তামাশা’ নিজেই করছেন নোবেল। তার হাতেনাতে প্রমাণ দিচ্ছে ‘তামাশা’ গানের ইউটিউব রেকর্ড। সেখানে দেখা যাচ্ছে, নোবেলের এই নতুন গানে লাইক ৩৮ হাজারের কাছাকাছি। তবে তাজ্জব হওয়ার বিষয়টি হল সেই গানে ডিসলাইকের ছড়াছড়ি। যে গানে ৩৮ হাজার লাইক, সেই গানেই ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার ডিসলাইক। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনও গায়কের সঙ্গে এমন বেনজির কাণ্ড ঘটেছে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান বিশেষজ্ঞ মহল।
সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন নোবেল। সেখানেই তাঁর কাছে এই ‘বেয়াদবি’র প্রসঙ্গ উঠে আসে। সেই আচরণের কথা বলতে গিয়েই বাংলাদেশের বিখ্যাত ‘মাইলস’ ব্যান্ডের ভোকাল শাফিন আহমেদ ও ফুয়াদ আল মুক্তাদিরের নাম নিয়ে কটুকথা বলতে শুরু করেন নোবল। তাঁর বক্তব্য, “আমি আর কী এমন বেয়াদবি করলাম! শাফিন ভাই তার লেজেন্ড গান প্রকাশের আগে ফুয়াদ ভাই-কে যে কদর্য ভাষায় গালমন্দ করেছিলেন, সেই জায়গায় আমি কিছুই না। আমি তাঁদের থেকেও বেশি লাইমলাইটে রয়েছি, কিন্তু আমার চেয়ে বেশি বেয়াদবি করেছেন ওঁরাই। তাই আমাকে কিছু বলে লাভ নেই। বেয়াদবি আমার ওঁদের কাছ থেকেই শেখা।”
এ দিকে নোবেলের জীবনের প্রথম মৌলিক গানটি মুখ থুবড়ে পড়েছে। নিজের ভুল স্বীকার করে নোবেল ফেসবুকে সম্প্রতি ক্ষমা চেয়ে নেন। সেখানে তিনি লেখেন, “আমার গানের প্রচারের পন্থা ভুল ছিল, সেটা আমি মেনে নিচ্ছি। এত মানুষ যেখানে ক্ষুব্ধ হয়েছেন, তা কখনই সঠিক হতে পারে না। এই কারণেই আমার গানের উপর ইতিবাচক প্রভাবের জায়গায় পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। আমার ভক্তদের কাছে নানা কথা শুনতে হয়েছে। আশা করি এমনতর কাজ ভবিষ্যতে আর কখনও ঘটবে না। আমার সব তামাশার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। তামাশা গানটি আপনাদের মন জয় করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে, আমি ক্ষমাপ্রার্থী।”
নোবেল আরও যোগ করে লিখছেন, “আমি অকারণে ব্যক্তিগত ভাবে কারও কখনও ক্ষতি করিনি বা ক্ষতি করার চেষ্টাও করিনি। আমাকে গালমন্দ করে কারও দিন সুন্দর হলে, আপনারা গালমন্দ করতেই পারেন। তবে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করবেন না। দেশে আইন প্রশাসন আছে। আর ব্যক্তি নীতির কথা না-ই বা বললাম।”
এই ‘তামাশা’ গানটির প্রচারের জন্য নোবেল-কে ঘিরে যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। কিংবদন্তী শিল্পীদের নাকি ‘গান শেখাবেন’– এহেন মন্তব্যের জন্যই নিজ দেশেই চূড়ান্ত সমালোচিত হন গায়ক। তার পরই র্যাব অফিসে ডেকে পাঠানো হয় নোবেলকে। সেখানে গিয়ে স্বীকারও করে নেন যে, এ সবই তাঁর নতুন গান ‘তামাশা’-র কারসাজি। তার কিছু দিন আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে আলটপকা কথাবার্তা বলেন। তা নিয়ে ত্রিপুরায় নোবেলের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করা হয়েছে। এর পরই আসে বিয়ে নিয়ে বিতর্ক। অভিযোগ ওঠে, লুকিয়ে তৃতীয় বিয়েটি করেছেন। এমনকী আগের স্ত্রীদের মতোই তৃতীয় স্ত্রী সালসাবিল-কেও নোবেল বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগের আঙুল ওঠে।
‘তামাশা’ গানটির মিউজিক ভিডিয়ো-তে নোবেলের সঙ্গেই দেখা গিয়েছে তাঁর স্ত্রী সালসাবিল-কে। এখানেও আর এক প্রস্থ বিতর্ক। সেই মিউজিক ভিডিয়ো-তে নোবেল এবং তাঁর স্ত্রী সালসাবিলের একটি চুম্বন দৃশ্য রয়েছে। তা নিয়ে বিশিষ্ট সংগীতশিল্পীরা অভিযোগ করেন, সে দিনের বাচ্চা ছেলে জীবনের প্রথম মৌলিক গানেই চুম্বন!
বিশ্বের সর্বশেষ খবর, প্রতিবেদন, বিশ্লেষণ, সাক্ষাৎকার, ভিডিও, অডিও এবং ফিচারের জন্যে ইরাবতী নিউজ ডেস্ক। খেলাধুলা, বিনোদন, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্য সহ নানা বিষয়ে ফিচার ও বিশ্লেষণ।