অশ্রু
দুপুরের কাকটা প্রতিদিন আসে
গ্রিলের ব্যবধানে আমরা দেখা করি রোজ
দখিনের বাতাসে – ডানা ভাসে আমাদের ;
প্রতিদিন নেয় সে আমার খোঁজ –
ছায়ার হাওয়া – ভেজা চোখে দেখি তারে
ঠোঁটের ভঙ্গিমায় অমিশ্র কর্কশ টান,
দম খোলা হাসি – ভেজা জামার গায়ে
ভেজা চোখে তার পুকুরের মত চোখ-
আসুন কথা বলে যান আমাদের নির্বাক দুপুরে
গ্রিলের ব্যাবধানের জানলায় – বিলাপে
কাক আর নারীর গল্পে।
অপেক্ষা
পার্ক পর্যন্ত পথটা বোবা হয়ে গেছে। এক ফালি আঙুল
যতদূর ওড়ওড়ি করে পথ। চেয়ে থাকে ছায়াগাছ ভেদ করে-
পেছনে ফেরার সময় কই- সাঁতরে যাবার জল
বারুদের আড়ালে জমা রাখে অভিমান
বেলা পড়ে আসে টিকেট কাটা দমের দামে- হাতে পায়ে
মাছের কানকোয় – প্রশ্ন রেখে যায় ছুঁড়ির ফলা
কী অপেক্ষায় আছো ? –
ভাদ্রের গলা শুকিয়ে আসে , জড়ায় এক জোড়া আদিম নূপুর
ভেঙে পড়ে কদম কদম বর্ষা – জলীয়বাষ্প লালার জল
এমন নাচন কেঁদে যায় বৃষ্টির মাত্রা—তবুও অপেক্ষা করছো?
পার্কের শেষ গাছটা জানে ইতিহাস
ভিতরের থমথমে হাওয়া – মৌমাছির গান
একা একা দাঁড়িয়ে থাকার নাম।
নাম
নামের একটা কাঠগড়া আছে, তুমি জানতে?
আমি নিজেকে হারাই ওই কাঠগড়ায় –
ভয়ে পা ফেলি- থেমে যাবার ভয় – নাম হারানোর ভয়
ডেকে গেলে যদি ফিরে না চাই এমন হয়!
ছাঁচ ভেঙে এগিয়ে আসি যত
ততই দূরত্ব বাড়ে সভ্যতার – চলে যায় ভবিষ্যৎ
নিপাট দাঁড়িয়ে থাকি – যদি আবারও ডাকো
অবলীলায় বহু ভাষায় আমার নাম অথবা কিছু জবানবন্দী !
আমি এমনই নামবেশ্যা
একদণ্ড মেঘের রঙ, খাঁচার টোপ–পরিচয়ের সমাপ্তি
স্বরতন্ত্রি কাঁপিয়ে ছুটেছিলাম–বেগুনি আকাশ বরাবর
কেউ নাম ধরে ডাকুক আমায় ছিন্ন মুকুল।
এমন কেন এখানে তুমি- আমিই বা কেন লুটে পড়ি!
.
অধ্যাপক,কবি
ভালো লাগলো কবিতাগু।