বিতস্তার কবিতা

Reading Time: < 1 minute
ভালোবাসি
‘কবিতা পাঠাও’ বলে তুমি পাড়ি দিলে অন্য গ্রহে
সেই থেকে  সাদা পাতায় কেবল হিজিবিজি টানছি
যেন শত শত বিন্দুর জোরাতালি, নকসী কাথার মত বুনেই চলি, বুনতেই থাকি.. 
ক্রমশ অবয়ব গড়ে ওঠে, নাক, চোখ, ঠোঁট… 
থমকে যায় তুলি…
ঠাম্মার কথা মনে পরে, – চওড়া কপালে তিন চোখ থাকে.. সেই দূ্র্গা হতে পারে..
আমি তো দুর্গা নই, নই ঈশ্বরী.. 
আমি আজন্ম ভালবাসা খুঁজেছি
আমি প্রেম চেয়ে বারবার মরেছি
তবে কতটা চওড়া কপাল আঁকলে… 
সাদা কাগজে আকিবুকি চলুক
সময় থমকে যাওয়ার আগেই 
আমি কেবল একটিই শব্দ লিখি-
পুনরাবৃত্তি
প্রেমে পড়েছি বারবার 
জন্মমুহূর্তে মায়ের, 
আরো পরে বোনের
প্রেমে পরেছি চু কিত কিত 
লুকোচুরি, ঘুড়ির লাটাই
রবীন্দ্র নাথ,  নেতাজী
উত্তম কুমার, আমীর খান
ভোরের সূর্য -রাত্রি এসে
যেখায় মিশেছে, 
আকাশ জুড়ে পড়ন্ত আলো
তারমধ্যে তোমার মুখ
গোপনে নেওয়া ঘ্রাণ সিন্থল, 
পার্ক আভিনিউ
হলুদ পাঞ্জাবি , কোলাপুরি চপ্পল
চুরুট হাতে তোমার বেঁকানো ঠোঁট
সিগারেটের ধোঁয়া , ওল্ড স্পাইসের সঙ্গে 
ওডিকোলন-প্রথম সাদা এমবাসাডার
প্রেমে পরেছি তোমার
গলির ধারে পুচকা, লোকাল ট্রেনে হঠাৎ চোখাচুখি
ভীড়ের বাসে তোমার বুকে মুখ লুকিয়ে থাকি
গন্ধ নিই -বাড়তে থাকে হৃৎ স্পন্দন 
ইচ্ছে করে সরসে ক্ষেতে বাতাস হয়ে নাচি
প্রেমে পরেছি তোমার-
প্রেমে পরেছি শ্মশানের নিঃস্তব্দতার
হিমশীতল মৃত্যুর, বন্ধ চোখের ভিতর জ্বলে ওঠা 
অজস্র তারার
প্রেমে পরেছি আমার মধ্যে 
লুকিয়ে থাকা তোমার. . . 
অন্তরালে
বহুবছর পর সরোবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মনে পড়ল তোমার কথা। মনে পড়তেই দেখলাম মায়াবী এক সন্ধ্যা।পুকুরের জলে গাঢ় ভালবাসা উথলে পড়ছে। পাখিদের ভাষার মত আমাদের আদরের একটা ভাষা তৈরি করেছিলাম। নাম ছিল তার প্রতীক্ষা। কামনা আর ছোটো ছোটো আশা দিয়ে
শালুক আর পদ্মপাতা উপর বিন্দু বিন্দু স্বপ্ন জমা হচ্ছিল। একটু একটু করে গভীর থেকে গভীরের পথে হাঁটছিলাম।
হঠাৎ কচুরিপানার আলতো ছোঁয়া, ভেসে গেল যাবতীয় চাওয়া পাওয়া।
এখনো সন্ধ্যা মায়াবী, এখনো পাখিরা গান গায়, এখনো নিঃস্তব্ধ গাছের ছায়ায় তোমার ছায়া . . . 
আমি দেখি , দেখতেই থাকি. . . 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>