খামখেয়ালি পাশবালিশ
কবি অরুণাভ রাহারায় ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত। তার কবিতায় ধরা থাকে সেই প্যাথোজ যার জন্য দুহাত পেতে বসে থাকি আমরা গদ্য লেখকরা। অন্তরের অন্তস্থল থেকে উঠে আসা কবিতাগুলি বেশ মর্মস্পর্শী। অরুণাভর শব্দচয়ন বা বাক্য প্রয়োগে বেশ দক্ষতা ফুটে ওঠে। “নোনতা দিনের চিঠি”, “শরীরে জং ধরা বাঘের ছাল”, “রুমালে বেঁধেছি কি যে! কাচ নাকি হীরে?” কিম্বা “একটু একটু করে রাত্রি ঝরে পড়ে” অথবা “ঠোঁটের কোলাজটুকু রেখে দিয়ে যাও” এমন সব বাক্য বেশ ভালো লাগে পাড়তে। শুধুমাত্র কবিতার টানে এক কবিতা থেকে অন্য কবিতায় হেঁটে চলেন তিনি। তার এই অবাধ বিচরণ, কবিতায় যাপন আরো মায়াময় হোক এই প্রার্থনা । তার কথাতেই বলি
“নদীর ঠিকানা খুঁজি…ভাষা খুঁজি রোজ
কবিতা ঝুলিতে রেখে বেঘোরে সহজ
পরবে ভাসিয়ে দিই পাখির বিরহ
ও মন এমন তুমি- সমস্ত সন্দেহ”
ভাষালিপি
অরুণাভ রাহারায়
মূল্য ৬০টাকা

উত্তর কলকাতায় জন্ম। রসায়নে মাস্টার্স রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ থেকে। বিবাহ সূত্রে বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। আদ্যোপান্ত হোমমেকার। এক দশকের বেশী তাঁর লেখক জীবন। বিজ্ঞানের ছাত্রী হয়েও সাহিত্য চর্চায় নিমগ্ন। প্রথম গল্প দেশ পত্রিকায়। প্রথম উপন্যাস সানন্দা পুজোসংখ্যায়। এছাড়াও সব নামীদামী বাণিজ্যিক পত্রিকায় লিখে চলেছেন ভ্রমণকাহিনী, রম্যরচনা, ছোটোগল্প, প্রবন্ধ এবং ফিচার। প্রিন্ট এবং ডিজিটাল উভয়েই লেখেন। এ যাবত প্রকাশিত উপন্যাস ৫ টি। প্রকাশিত গদ্যের বই ৭ টি। উল্লেখযোগ্য হল উপন্যাস কলাবতী কথা ( আনন্দ পাবলিশার্স) উপন্যাস ত্রিধারা ( ধানসিড়ি) কিশোর গল্প সংকলন চিন্তামণির থটশপ ( ধানসিড়ি) রম্যরচনা – স্বর্গীয় রমণীয় ( একুশ শতক) ভ্রমণকাহিনী – চরৈবেতি ( সৃষ্টিসুখ) ২০২০ তে প্রকাশিত দুটি নভেলা- কসমিক পুরাণ – (রবিপ্রকাশ) এবং কিংবদন্তীর হেঁশেল- (ধানসিড়ি)।অবসর যাপনের আরও একটি ঠেক হল গান এবং রান্নাবাটি ।