বল্লরী সেনের কবিতা

Reading Time: < 1 minute

এক

এই ঘাটের সিঁড়িতে ক্যালেন্ডার নেই, এক দৃষ্টে চেয়ে থাকলে জলের রং বদলায়।

বুঝি-আহ্নিক গতি পাল্টাচ্ছে; সূর্যের সপ্তাশ্ব পাক খেতে খেতে কোথাও একটু থামে।

কোথাও তারাদের কালোয়াতি গান ঝির ঝির উল্কার মধ্যে সাঁ করে নামে

খোলা মাঠ মেয়েটির উড়ন্ত কাপড়ে পাট ভেঙ্গে গা ধুয়ে সূর্যাস্ত আনে।

আমি ভাগীরথির আলতা পরা পায়ের গোড়ালি থেকে অইবার আস্তে আস্তে নেমে যাই মীন কন্যার রাজ্যে।

অতলে শেষবার অক্সিজেন নিতে গিয়ে একটি তোমাকে ডাকি

তখন আর মেসেজ পৌছায় না।

 

 

দুই

মেষশাবকের মৃত্যু ক্যালেন্ডারের লাল কালিতে এঁকে দিলে।

সময়কে করলে ক্রীতদাস,তার এক পায়ের চটিতে কাঠ বেড়ালীর ঘুঙুর, যা লেজ উঁচিয়ে সারা দুপুর গাছের গায়ে খেয়া দেয়।

চামড়া পোড়ানো হলো,ঝলসে উঠলো তোমার মুখের ডাঁনে দিগন্তের খরা,শুকিয়ে গেল ঘাম, জীবের চোখের মনিজল ও। এ পর্যন্ত ২১টা শহরে তীব্র সংকট, জল নেই,  কামীন গর্ভের মতো মাটি, ফেটে যাচ্ছে অবিরাম চুপ।

সকাল হলে তুমি,

জানতে চাইলাম, সেই লাল সূর্যাস্তে মোড়া সোনার অংক্ষের বইটি আছে নাকি?

পার্চমেন্ট নামে নতুন এক দশকে এখন রোজ ২টো থেকে ৭টা বইয়ের তেষ্টা মেটাবে।

 

 

তিন

বলিও 

অসম্পূর্ণ। অর্ধেক কাটা মাংসের কষ্ট

নুনছাল খসিয়ে তোমার চোখের ওপর ধরলাম, 

একটি জিহবা, একটিই তন্দ্রা যোগ

পরপর চেয়ে চেয়ে দিনান্ত হলো

শব্দ ভাঙে, নিঃস্ব গাজনের শেষ প্রহর জ্বলে যায় ধুনির শিখায়।

বিবাগী পাহাড়ে জোনাকীর মতো অন্ধ প্রগার।

অতিথি নেই, নুন আর লংকায় মেখে ভাত ফিরে যায়।

আর একটা হরফ আসতে পারে ভেবে আমিও বালির ভেতর ঢুকে যাই। 

 

 

  

  

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>