জ্বালানি লিক, অন্তিম লগ্নে স্থগিত হয়ে গেল ‘চন্দ্রযান ২’-এর অভিযান

Reading Time: 2 minutes

কাউন্টডাউন স্থগিত শেষ মুহূর্তে! রবিবার শেষ রাতে, ২টো ৫১ মিনিটে মাটি কাঁপিয়ে উড়ে যাওয়ার কথা ছিল বাহুবলীর। না, সিনেমার চরিত্র নয়। বাহুবলী একটি রকেট, জিয়োসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল মার্ক থ্রি। ওড়ার নির্ধারিত সময়ের ৫৬ মিনিট ২৪ সেকেন্ড আগে ত্রুটি ধরা পড়ল তাতে। ইসরো-র বিজ্ঞানীরা জানালেন, রকেট থেকে জ্বালানি লিক করছে। কখন সেটি উড়তে পারবে, মাঝরাত পর্যন্ত জানাননি তাঁরা।

শ্রীহরিকোটা মহাকাশ স্টেশন থেকে চন্দ্রযানের ভারতের পূর্ব উপকূলের দিকে যাওয়ার কথা ছিল। শিগগিরই যাত্রার নতুন তারিখ জানানো হবে, বলছে ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা।

ভারতের আশা ছিল, চন্দ্রযান–২ প্রথমবারের মতো চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে। এ জন্য ভারত ১৫ কোটি ডলার ব্যয় করেছে। চন্দ্রযান–২–এর লক্ষ্য ছিল চাঁদে জল, খনিজ পদার্থের খোঁজ করা। যাত্রা সফল হলে ভারত হতো চতুর্থ দেশ, যাদের যান চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করত। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের যান চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেছে।

ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) প্রধান কে শিবন বলেন, মহাকাশ সংস্থা এর আগে এত জটিল অভিযান চালায়নি। যাত্রা সফল হলে এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে চন্দ্রযানের চাঁদের দক্ষিণে পৌঁছানোর কথা ছিল। ২০০৮ সালে ভারত প্রথম মহাকাশযান চন্দ্রযান–১ উৎক্ষেপণ করে। তবে এটি চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেনি। চন্দ্রযান–১ রাডার ব্যবহার করে চাঁদে জলের খোঁজ চালায়।

 

১৫ কোটি ডলার ব্যয় হয় চন্দ্রযান–২–এর জন্য। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

চন্দ্রযান–২ অভিযানে ভারত খুবই শক্তিশালী রকেট ব্যবহার করেছে। এই রকেটের ওজন ৬৪০ টন। উচ্চতা ১৪৪ ফুট। এটি ১৪ তলা ভবনের সমান উঁচু। মহাকাশযানটির ওজন ২ হাজার ৩৭৯ কেজি। অরবিটার, ল্যান্ডার ও রোভার নামে এর তিনটি আলাদা অংশ আছে। অরবিটারের কাজ ছিল চন্দ্রপৃষ্ঠের ছবি নেওয়া। বিক্রম নামে ল্যান্ডারের কাজ চাঁদে মাটির খোঁজ করা। আর প্রজ্ঞান নামে রোভারের কাজ পৃথিবীতে বিশ্লেষণের জন্য চাঁদের ছবি ও তথ্য পাঠানো।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>