আমার যেদিন বাড়ি হবে কৃষ্ণচূড়া গেইটের কাছে মধুমালতি আঁকা একটা ডাকবাক্স সেঁটে দেবো নিজ হাতে। মধুমালতি বড় ভালোবাস কিনা! এমনি কথা হয়েছে বাড়ির অন্য বাসিন্দাদের সাথে।
তুমি রোদের, বৃষ্টির কিংবা বিকেলের অক্ষরে চিঠি লিখো। চাইলে লিখতে পারো তোমার গোপন অক্ষরে আমি ঠিক বুঝে নেবো। ভোর ভোর ডাকবাক্সের তালা খুলে তোমার চিঠি পেয়ে ভেসে যাবো জিতসোমার নৃত্যের ভঙ্গিতে। সারাদিন বুকের পাঁজরে লুকিয়ে রাখা চিঠি খুলে বসবো ছাদের কোনে মেহেদী গাছের তলে। চোখে নদী লেপ্টে চেয়ে থাকবো, তোমার শব্দরা আকাশ হবে। অক্ষর থেকে তোমার গন্ধ জড়িয়ে নেবো অজান্তে। মেঘে মেঘে তুলোর মত উড়বে স্মৃতির চোখ। উড়িয়ে আনবে রঙচটা দূরবীনের হাহাকার। ঘড়ির কাটা ঘুরে আসবে কয়েকবার বিস্মরণের মধুমালতির বন।
দক্ষিণা বাতাসে মেহেদী ফুলের গন্ধ, হাতে তোমার চিঠি।
প্রিয় মণি, আমার এখানে চির বসন্ত। ইন্দ্রধনু খেলে যায় রোজ বিকেলে। মন্দাকিনীর জলে দাঁড়িয়ে রোজ ভাবি তুই কবে আসবি? কবে ছুটি?
ইতি …
