তিনটি কবিতা
আদর
আরও শক্ত করে ধরো নগ্ন করতল,
চাঁদে একমুঠো উষ্ণতা রাখো
এক আজল আলো দিয়ে খুব সন্তর্পণে,
ধুয়ে দাও বেহিসেবী বুকের আদল
আরও শক্ত করে ধরো, চাঁদের স্খলিতরূপ।
মুঠো আলগা হলেই, চাঁদ গলে যাবে অতলে আমার…
তুমি সেই নিভৃত খাদ থেকে তুলে এনো জোছনাসম্ভার।
ঈশ্বর ও আমি
অগোছালো জীবন থেকে একটা একটা পাপড়ি খসে পড়তেই আমি ঈশ্বরের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম, ঈশ্বর আমার গোটা শরীরটাই ধার চাইলেন। ঈশ্বর তো অবয়বহীন, তাই আমার শরীরে ঢুকে পৃথিবীর অলিতেগলিতে তিনি শূন্যতা মাপবেন, আরও একবার।
বরং মূহুর্তে বাঁচি এসো
আমাকে মারবে তুমি!
অনাদর দাক্ষিণ্য দিয়ে
অবহেলা বিছিয়ে ছায়াপথে?
অথচ তুমিও জানো, এই প্রাণ অনেক আগেই বন্ধক রেখেছি তোমার কাছে সযতনে,
সে যেমন ফিরবে না আমার কথায়,
তুমি তা নিতে পারবেনা আরো একবার
বরং মূহুর্তে বাঁচি এসো,
তোমার প্রশ্বাসের প্রতিটি শব্দের চলাচল শুনে দ্যাখো
আমার শ্বাসের অবয়ব শুয়ে আছে নিথর সেখানে…
কবি, নৃত্যশিল্পী ও পর্যটক