| 27 এপ্রিল 2024
Categories
লোকসংস্কৃতি

গোত্র বিশ্বাসের আদি কথা ।। চিত্রদীপ সোম

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট

গোত্র বিষয়টা নিয়ে আমাদের সবারই মোটামুটি ধারণা আছে। নিজের নিজের গোত্রও সবারই জানা। কেউ কাশ্যপ, কেউ ভরদ্বাজ ইত্যাদি৷ আমার যেমন কাত্যায়ণী। ছোটবেলাতে বড়দের কাছে জিজ্ঞাসা করেছি বারবার গোত্র জিনিসটা কী৷ কেউই গুছিয়ে জবাব দিতে পারেনি। বড় হবার পর সমাজবিজ্ঞানের বইপত্রের মধ্যে খুঁজে পেয়েছি এর উত্তর৷ বুঝেছি গোত্র প্রথা আসলে মানুষের ইতিহাসের ও নৃতাত্ত্বিক বিবর্তনের এক অমূল্য দলিল। বহু মূল্যবান তথ্য লুকিয়ে আছে এইসব ছোটছোট শব্দগুলির মধ্যে।

গোত্র বিষয়টা নিয়ে হিন্দুদের মধ্যে মোটামুটিভাবে যে ধারণা প্রচলিত তা হলো এগুলো এক একজন প্রাচীন ঋষির নাম। গোত্রধারীরা নিজেদের সেই প্রাচীন ঋষির বংশধর বলে মনে করেন। যেমন কাশ্যপ গোত্রধারীরা মনে করেন বহু বছর পূর্বে কাশ্যপ নামের এক ঋষি ছিলেন তাদের পূর্বপুরুষ৷ তাঁর থেকেই কাশ্যপ গোত্রধারী আজকের সমস্ত মানুষের উদ্ভব৷ একই কথা মনে করেন অনান্য গোত্রধারীরাও। এবং গোত্রধারীদের মধ্যে কিছু বিধিনিষেধ বা ট্যাবু আছে৷ যেমন একই গোত্রধারীদের মধ্যে বিবাহ বারণ৷ অর্থাৎ ভরদ্বাজ গোত্রের কোনো ছেলের সাথে ভরদ্বাজ গোত্রের কোনো মহিলার বিবাহ নিষিদ্ধ৷ কারণ এরা ভাইবোন স্থানীয়৷ এবং বিবাহের পর মহিলারা গোত্রান্তরিত হয়৷ অর্থাৎ স্ত্রী স্বামীর গোত্র লাভ করে। এছাড়াও প্রতিটি গোত্রের মানুষের নির্দিষ্ট কিছু বিধিনিষেধ আছে নির্দিষ্ট কিছু পেশা বা খাওয়াদাওয়ার উপর৷ যেমন অমুক গোত্রের মানুষদের অমুক পেশা নেওয়া নিষেধ, তমুক গোত্রের মানুষদের তমুক প্রাণীর মাংস খাওয়া নিষেধ,  ইত্যাদি।

গোত্র প্রথাটির প্রথম নিদর্শন পাই ঋকবেদে। তবে সেখানে গোত্র কথাটি অন্য অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। গোত্র অর্থে সেখানে ‘গরুর পাল’। Clan অর্থে গোত্র শব্দের ব্যবহার শুরু হয় এর অনেক পরে, প্রথম শতাব্দী নাগাদ (Clan কাকে বলে পরে আসছি সে ব্যাপারে)। উদাহরণ হিসাবে ছান্দোগ্য উপনিষদের কথা বলা যায়৷ সেখানে গোত্র হিসাবে একটি মানবগোষ্ঠীকে বোঝানো হচ্ছে৷ এরকম আরো উদাহরণ আছে। গোত্রগুলির স্থপয়িতা যে এক একজন ঋষি এবং তাদের সন্তানসন্ততিরাই যে সেই গোত্রের উত্তরসূরী তা এইসময় থেকে মনে করা হতে থাকে৷ প্রসঙ্গত, গোত্র প্রথাটি প্রথমে শুধুমাত্র ব্রাহ্মণদের মধ্যেই প্রচলিত ছিলো৷ পরে তা ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। ব্রাহ্মণ্যবাদ অনুযায়ী সমস্ত ব্রাহ্মণ নাকি সাতজন (মতান্তরে আটজন) বৈদিক ঋষির বংশধর। এদের থেকেই আজকের সমস্ত ব্রাহ্মণদের উদ্ভব৷ এই সাত (বা আট) ঋষি হলেন গৌতম, ভরদ্বাজ, বিশ্বামিত্র, জমদগ্নি, বশিষ্ঠ, কাশ্যপ ও অত্রি। বৃহদারণ্য উপনিষদের কথা ধরলে অত্রির বদলে সেখানে শান্ডিল্য যোগ হবে। (আটজন ধরলে এর সাথে যোগ হবে অগস্ত্য)৷ এই আটজন ঋষিকে বলা হয় গোত্রকারীণ, অর্থাৎ যাদের থেকে প্রাথমিকভাবে আটটি ব্রাহ্মণ গোত্রের ও পরে তা থেকে আরো ৪৯ টি উপগোত্রের উদ্ভব। পরবর্তীকালে ব্রাহ্মণদের অনুসরণকরে ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যদের মধ্যেও গোত্র প্রথা চালু হয়।

কিন্তু গোত্রের উদ্ভব সম্পর্কে হিন্দুধর্মের এই মত কী গ্রহনযোগ্য?  সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন ‘না’। তারা এর বদলে তুলে আনছেন টোটেম থিওরি৷ কি সেই থিওরি?  চলুন দেখা যাক৷

মর্গানের নাম নৃতত্ত্ববিদ্যার ছাত্র মাত্রেই শুনেছেন। পুরো নাম হেনরী লুই মর্গান। নিবাস আমেরিকায়৷ পেশায় ছিলেন আইনজীবি, আর নেশায় নৃতত্ত্ববিদ। আইনজীবির পেশা বেশীদিন ভালো লাগেনি তাঁর। একদিন সব ছেড়েছুড়ে চললেন আমেরিকার আদিম অধিবাসীদের মধ্যে, তাদের জীবন স্টাডি করতে। আদিবাসীদের জীবন তাঁকে কৈশোর থেকেই টানতো৷ সেই টানে সেই যে চলে গেলেন, তারপর তাদের মধ্যেই কাটিয়ে দিলেন চল্লিশটা বছর। আমেরিকার আদিবাসীরা বাইরের লোককে বিশেষ পছন্দ করতো না। কিন্তু মর্গানকে তারা আপন করে নিয়েছিলো। নিজগুনে মর্গান হয়ে উঠেছিলেন তাদেরই একজন আত্মীয়। তাদের ভাষায় মর্গানের একটা নামও দিয়েছিলো তারা, ‘তা-ইয়া-দা-ও-উব-রুব’। তাদের ভাষায় তাদের মতো করে নাম।

কেন মর্গান চলে গেলেন আদিবাসীদের মধ্যে? কারণ মর্গান চেয়েছিলেন মানুষের বিকাশকে স্টাডি করতে৷ কিভাবে মানুষ প্রস্তর যুগ থেকে আজকের যুগে এলো তা বুঝতে৷ কিন্তু প্রস্তর যুগে বা তার পরবর্তীকালে মানুষ কিভাবে থাকতো, তার সমাজব্যবস্থা কেমন ছিলো তা কিভাবে বুঝবো আমরা? মর্গান বললেন এর খুব ভালো একটা উপায় হচ্ছে আদিবাসীদের জীবন স্টাডি করা৷ কারণ তাদের জীবনযাত্রা এখনও সেই প্রস্তর যুগ বা তাম্রযুগে পড়ে আছে। তারপর আর বিকশিত হয়নি। তাই তাদের স্টাডি করলেই বোঝা যাবে আমাদের পূর্বপুরুষরা কেমন  ছিলো।

আদিবাসীদের জীবন নিয়ে মর্গান বেশ কিছু বই লিখেছিলেন। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয় তাঁর লেখা বইগুলি নৃতত্ত্ববিদ্যায়। এরমধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বই হলো ১৮৪৭ সালে প্রকাশিত ‘Ancient Society, or Researches in the Lines of Human Progress from Savagery through Barbarism,  to Civilisation’। মস্ত বড়ো নাম। কিন্তু এই বইটি থেকেই প্রথম ইঙ্গিত পাওয়া যায় গোত্র প্রথার উদ্ভব সম্পর্কে।

মর্গান খেয়াল করেছিলেন আদিবাসীদের সমাজে একটি সুনির্দিষ্ট বিন্যাস আছে। প্রতিটি আদিবাসী সমাজ কয়েকটি ট্রাইবে বিভক্ত। এক একটি ট্রাইব আবার বিভক্ত কয়েকটি উপভাগে, যাদের মর্গান নাম দিয়েছিলেন গেনস (Gens), বহুবচনে গেনটিস। আর জ্ঞাতিভিত্তিক আদিবাসীদের এই সমাজকে মর্গান নাম দিয়েছিলেন গেনটাইল সোসাইটি৷ পরবর্তীকালে নৃতত্ত্ববিদরা গেন নামটির বদলে clan  নামটির ব্যবহার করা শুরু করেন৷

এই যে এক একটি গেন বা ক্ল্যান, এখানে প্রত্যেকে প্রত্যেকের জ্ঞাতি। অর্থাৎ একই পূর্বপুরুষ থেকে উদ্ভূত৷ এবং এই কারণে প্রতিটি ক্ল্যানেরই আছে কিছু বিধিনিষেধ৷ যেমন একই ক্ল্যানের মধ্যে বিবাহ নিষেধ, নির্দিষ্ট একটি পশুর মাংস বা কোনো একটি উদ্ভিদ খাওয়া নিষেধ ইত্যাদি (মিল পাচ্ছেন গোত্র ব্যবস্থার সাথে?)

কেন এই নিষেধ? মর্গান খেয়াল করলেন প্রতিটি উপজাতির মধ্যেই রয়েছে তাদের সৃ্ষ্টি নিয়ে এক একটি গল্প। যেমন কোনো একটি উপজাতি হয়তো বিশ্বাস করে তাদের সবার উদ্ভব হয়েছে একটি কচ্ছপ থেকে৷ তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলবে বহুকাল আগে এক জলাশয়ে দুই কচ্ছপ বাস করতো। একবার খুব গরম পড়লো৷ সব জলাশয় শুকিয়ে গেলো। বাধ্য হয়ে কচ্ছপদুটো উঠে আসলো ডাঙায়৷ তাদের খোলস খসে পড়লো৷ তারা হয়ে উঠলো দুজন মানুষ৷ এবং আজকের এই উপজাতিরা সবাই নাকি সেই আদিম দুই কচ্ছপের বংশধর৷ এবং এই কারণে সেই ক্ল্যানের সবার কচ্ছপ খাওয়া মানা। এবং যেহেতু একই ক্ল্যানের সবাই এক পূর্বপুরুষ থেকে উদ্ভুত, তাই তাদের মধ্যে বিয়েও বারণ। আবার অন্য কোনো এক উপজাতিকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলবে তাদের পূর্বপুরুষ ছিলো এক তিতির পাখি৷ তিতির পাখি থেকেই নাকি সেই ক্ল্যানের আদিপুরুষের উদ্ভব৷ তারা সবাই সেই আদি তিতিরপাখির বংশধর। তাই তাদের তিতির পাখি মারতে মানা, মাংস খাওয়া মানা ইত্যাদি ইত্যাদি৷ তারাও তাদের মতো করে একটা গল্প বলবে, কিভাবে তিতিরপাখি থেকে তারা তৈরী হলো

এই যে আদিবাসীদের এই বিশ্বাস, খেয়াল করে দেখুন এর মধ্যে কিন্তু কোনো ঈশ্বরের কথা নেই। অর্থাৎ ঈশ্বর সেই আদি কচ্ছপ বা আদি তিতিরপাখিকে তৈরী করলো এমনটা নয়। এই আদি কচ্ছপ বা তিতরপাখি স্বয়ম্ভু, এমনটাই মনে করে তারা। আসলে এটা একটা প্রিমিটিভ বিশ্বাসের পর্যায়৷ ঈশ্বরবিশ্বাস বা সংঠিত ধর্ম বিশ্বাস এসেছে এর অনেক পরে৷ এই আদিবাসীরা তাই ঈশ্বরপূজা করে না৷ করে পূর্বপুরুষ পুজো। তাদের পূর্বপুরুষরাই তাদের শুভ অশুভ করতে পারে, এমনটাই মনে করে তারা।  তাই তারা শিকারে যাবার আগে পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করে৷ তার উদ্দেশ্যে সাজিয়ে দেয় খাবার। তার মতো সাজ পোষাক পরে করে নাচগান৷ অর্থাৎ কচ্ছপ ক্লানের সদস্যরা কচ্ছপ সেজে আগুনের চারপাশে ঘুরে ঘুরে নাচগান করে৷  তিতির ক্ল্যানে সদস্যরা তিতির পাখি সেজে নাচগান করে (আদিম গুহাচিত্রে অদ্ভুত পোষাক পরিহিত মানুষের ছবিগুলো মনে পড়ছে?  এবার হয়তো ব্যাখ্যা পাবেন এমন পোষাক পরার)।

এই যে একটা একটা গোষ্ঠী তাদের উৎপত্তির সাথে একটা প্রাণী বা উদ্ভিদকে যুক্ত করছেন, এই বিশ্বাসকে নৃতত্ত্ববিদরা নাম দিয়েছেন টোটেম বিশ্বাস। কোনো উপজাতির টোটেম ঘোড়া, কোনো উপজাতির টোটেম বাঁদর, কারও বা মাছ ইত্যাদি।

গোত্রপ্রথার উদ্ভবের পিছনেও এই টোটেম বিশ্বাসই দায়ী। ঋষি টৃষি নয়।

হিন্দু ধর্মের উদ্ভব কবে নাগাদ?  মোটামুটিভাবে গুপ্ত যুগ নাগাদ। তার আগে ছিলো ব্রাহ্মণ্যধর্ম৷ তার আগে? তারও আগে?  পিছাতে পিছাতে একটা সময় চলে যাবো যখন আর্যরা বসবাস করতো এশিয়া মাইনরে। এবং সুনির্দিষ্ট ধর্মবিশ্বাস তাদের মধ্যে গড়ে ওঠেনি৷  এইসময় আর্যদের মধ্যেও প্রচলিত ছিলো টোটেম বিশ্বাস। তারাও এক একটি প্রাণী বা উদ্ভিদ থেকে তাদের উৎপত্তি বলে তারা মনে করতো। ঈশ্বরবিশ্বাস বা ধর্ম তখনও তাদের মধ্যে আসেনি (আপনি আর্যদের এদেশের অধিবাসী মনে করলেও সমস্যা নেই৷ টোটেম বিশ্বাস সমস্ত জনজাতির মধ্যেই একটা সময় ছিলো। তা এদেশ হোক বা বিদেশ)।  পরবর্তীকালে আর্যরা ছড়িয়ে পড়লো চারিদিকে। একটা অংশ আসলো ভারতের সপ্তসিন্ধু অববাহিকায়। স্থায়ীভাবে ঘাঁটি গাড়লো সেখানে। ততদিনে একটা সংগঠিত ধর্মবিশ্বাস গড়ে ইঠেছে তাদের মধ্যে। রচিত হতে লাগলো বেদ, উপনিষদ ইত্যাদি৷ কিন্তু মানুষ যতবড়োই হোক, তার যেমন নাভির কাছে জন্মচিহ্ন থেকেই যায়, তেমনি সংগঠিত ধর্মবিশ্বাস গড়ে উঠলেও টোটেম বিশ্বাসটাও থেকে গেলো তাদের মধ্যে সুপ্তভাবেই। কিন্তু তার প্যাটার্ন বদলালো। এক একটা টোটেম বদলে গেলো একজন ঋষিতে৷

ভরদ্বাজ গোত্রের কথা বলছিলাম না শুরুতে? ভরদ্বাজ কোনো ঋষির নাম নয়৷ ভরদ্বাজ শব্দের অর্থ আসলে বাজপাখি৷ একইভাবে কাশ্যপ শব্দের অর্থ কচ্ছপ। শাণ্ডিল্য শব্দের অর্থ ষাঁড়। গোত্র সংক্রান্ত এইরকম সবকটা শব্দেরই অর্থ কোনো না কোনো পশুপাখি বা গাছপালা৷ কোনো ঋষি টিশির ব্যাপার নেই এর মধ্যে। অর্থাৎ আজ যারা ভরদ্বাজ গোত্রের মানুষ বহু হাজার বছর আগে তাদের টোটেম ছিলো বাজপাখি৷ তারা বিশ্বাস করতো বাজপাখি থেকে তাদের উদ্ভব হয়েছে। কাশ্যপ গোত্রের লোকেদের টোটেম ছিলো কচ্ছপ, শাণ্ডিল্য গোত্রের টোটেম ছিলো ষাঁড় ইত্যাদি। এরা মনে করতো যথাক্রমে কচ্ছপ ও ষাঁড় থেকে তাদের উৎপত্তি। সাওঁতালদের পদবীগুলো দেখলেও তাদের টোটেম বিশ্বাসের পরিচয় পাওয়া যায়৷  যেমন হেমব্রম শব্দের অর্থ সুপারী। কোনো এক সময় এদের পূর্বপুরুষরা বিশ্বাস করতো সুপারী গাছ থেকেই নাকি তাদের সবার জন্ম। হিন্দুদের দশাবতারের যে থিওরি আছে, তারও উৎস এই আদিম টোটেম বিশ্বাস। আর্যরা যতই নতুন নতুন অঞ্চলে বসতি বিস্তার করতে লাগলো, নতুন নতুন জাতি উপজাতির মানুষকে আত্তীকরণ করতে লাগলো, ততই তাদের সাথে নিজেদের খাপ খাওয়াবার জন্য, বা বলা ভালো তাদের তুষ্ট রাখার জন্য তাদের টোটেম বিশ্বাসগুলোকেও নিজের ধর্মের মধ্যে জায়গা করে দিতে লাগলো৷ এভাবেই মৎস, কূর্ম ইত্যাদি বিভিন্ন অবতারের জন্ম হতে লাগলো, যারা ছিলো আসলে বিভিন্ন উপজাতির টোটেম। কালের স্রোতে আস্তে আস্তে টোটেম বিশ্বাস লুপ্ত হয়ে গেলো৷ পড়ে রইলো শুধু পশুপাখির নামগুলো। দেবতা বা ঋষি হিসাবে পূজো করা শুরু হলো তাদের…

এই হলো গোত্র বিশ্বাসের আদি কথা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত