মজেছি শ্রীকৃষ্ণ তোর বাঁশীরই ব্র্যান্ডে

Reading Time: 2 minutes

 


৭ মে কবি অত্রি ভট্টাচার্যের জন্মতিথি। ইরাবতী পরিবার তাঁকে জানায় জন্মতিথির শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।


গুচ্ছ কবিতা 
আমি তোমাকে প্রস্থান করব না। চৌকাঠেবুলবুলিটি এলে
তাকে আখরে বসাবো। কবিতায়মুচড়ে দেব
গণোরিয়া। সোৎসাহে
উল্টে নেব বহুগামিতা।
আজ রোববার লেখার আকাশ বটপাতায় আছে


সুতীব্র চুল উড়ছে চুলের ছৌ-মিনারে উড়ছে নৌকো
লভ্য ইঁটের দাম উড়ছে ঊর্যাবাৎসল্যে
এখন তোমার মণি কৌশলে পড়াও। নামেরআড়াআড়ি
উষ্ণীষজনিত বজ্র থাকুক।


এর পরে ওর হাত আসে, প্রাতঃরঙকে নাচায় মূর্ধণ্য
দোতলায় এখনও হুসেন আঁকছেন– আমি তার
ফোন রিসিভ করছি মাত্র।


এক হয়েছে একের দু’-পাশে উঠি
দরুণ-এর স্থাপত্যে নগ্ন আমি চোখে পড়ে গেছি
শিল্পী ও দর্শক দুইভাবে রগ টানছেন


প্ল্যানচেটে চলুক সে ওয়্যাগনারের কাঁচে চলুক-
হেডল্যাম্পের শ্যামমুদ্রা হোক
মাপা হাঁড়িটি। মেয়ে,
তোমাকে মেরিনড্রাইভ পেলেও খাবে না, তার আছে।


এই চূড়মূহুর্তে,  প্রচুরমূহুর্তে কিছু ছাই ছেপে
ফেলা দরকার– উষ্ণতারবড় অবধি
হয়েছে, বড় বাজারহয়েছে
বাদুরবণিতানগরে।


ফেনাকে যেই হরিণফুল বললে তখনই
ক্র্যাফট এসে গেল চিত্তে

টোকা পড়ল মাথায়


মা’-র পেট একটুএকটু ক’রে ছাড়ছি সকলে
নাড়িটি বুঝেছে নারী আড়াআড়ি
চিরে দেওয়া ঘাসের ও ঘাসপ্রবণতার আদৌ নয়।


ঘটিসত্যি সতীটি বেদাগ রইল বলে, সুঁই-এর
প্রাণী কোন সুতো খুঁজে পেল না
আদরে।আপন মদবিভঙ্গলীলায়।

১০
মজেছি শ্রীকৃষ্ণ তোর বাঁশীরই ব্র্যান্ডে যেমজেছি
এঁকে অভিভূত ক’রেহার্ডডিস্ক
এঁকে শবারূঢ় ক’রে লোনা
বরাদ্দ চুমুটি বলে, আঁধারের পূর্বে ফিরো না।

১১
নক্ষত্রপ্রপাতের মতই অভিসন্ধি ঘা দিল পাথরে
তুমি বাঁকা হ’লে, ছুঁড়ে মারলে উচ্ছ্বাস
সৃষ্টির এতদৃশ কড়া গন্ধ কে আগে জেনেছে?

১২
প্যান্টি-স্প্যাগোটিটপ এসে জপতপ-টি ঘিরেছে
আলোর অলঙ্ঘ্য দায়ে ঘুণ ধ‘রে আলো
এ নিছক ক্রুদ্ধ নয়, এ নাহয় পিঞ্জরে গঞ্জালো।

১৩
কাশীকফ শুকিয়ে চরস
বোনেদের পাড়াদু’টিপাশাপাশি ছিপ ফেলে,
শুকতারা ধ’রে পোষাহ্রদে।
উবু বসে প্লেবয় প্রচ্ছদে।

১৪
নিয়মের ভ্রুকুটি বানাই
তেকাঠি ও মাথাভাঙা খোলসটি নাড়ি।
ক্রিয়া আসে, ক্রিয়াযায়
মুদ্রাদোষে নিরুপায় আদারব্যাপারী।

১৫
তুমি সেই ভেবেছিলে – আজ কিছু বলো
পিপাসা সরিয়ে ছাত মাথায় ঠেকাও
উদার করেছি – তার বর্ণচিত্তে– বৈপরীত্যে যা যা
বীরভোগ্য আছে অনুধ্যানে দাও।

১৬
একটি দেয়ালঘড়ি বেরোলো।
তার কাঁটা খেয়ে গেছে পিঁপড়েতে। শুধুনারকীয় দুর্গন্ধ বলে দেয়
ও আমার কবজির বাবা।

১৭
কক্ষনো প্রকৃত সড়ক ছোঁব না। আমার
তেমন পতঙ্গ নেই টানটান অনাক্রমে যায়।
এই হাঁটা সঞ্চয়ে হারায়।

১৮
নলদশাটি ভেজালাম অথচ
কার্ত্তিকে উপুড় হ’ল ঘাট।
নির্ভয় শামুক, আরথৈ থৈ করছে গণতল্লাট

 

 

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>