আরও একটি আত্মজীবনী ইন্দু বিন্দু’র সাক্ষী হতে যাচ্ছেন আপনি। আদরের নৌকা,শব্দের মিছিল-এ বিক্ষিপ্তভাবে নিজের জীবন নিয়ে লিখেছেন, ইরাবতীর পাঠকদের জন্য ধারাবাহিকভাবে নিজের জন্মতিথিতে নিজের আত্মজীবনী লেখা শুরু করলেন ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। আজ রইলো আত্মজীবনী ইন্দু বিন্দুর দ্বিতীয় পর্ব।
স্কুলে ভর্তির আগেই মোটামুটি দ্বিতীয়শ্রেণীর পাঠ কমপ্লিট । মুখে মুখে আর লিখে লিখে । প্রিয় বই ” রুশদেশের উপকথার” ক্যালেন্ডারের মলাটে নামতা হাতে লিখে মা শিখিয়েছিল । মা জানে আমি রোজ বইখানা হাতে নেবই অতএব সেই ফাঁকে নামতা শেখাও হয়ে যাবে। মা কলতলা থেকে সকালে চেঁচাতেন, ” পারলৌকিক এর পর কি”? আমি বলতাম কতবার বলব ” পারিতোষিক”
মা বলতেন শ্লেটে বানান টা লিখে রাখতে।
তারপর এসেই মা দেখত আমি যথারীতি স লিখেছি। তারপর চোখ বড় করে মা বলত, কতবার বলেছি র এর পরে ষ হয়। এভাবেই চলত। যোগীন্দ্রনাথের হাসিখুশি, সুখলতা রাও এর পর বর্ণপরিচয় আর তারপরে সহজপাঠ প্রথমভাগ মোটামুটি বাড়িতে শেষ করে মফস্বলের নাম করা মেয়েদের স্কুল বরানগর রাজকুমারী বালিকা বিদ্যালয়ে সেই ভর্তি হওয়া পাঁচবছরে ক্লাস টু’তে ।
ওদিকে আমি পড়ছি,
কোল্যা ভাস্যা দুভাই তারা,
পাঁচের ক্লাসে কোল্যার পড়া,
ভাস্যা যদিও তিনের ক্লাসে,
বছর পরে উঠবে যেন চারের ঘরে।
বইতে, কোল্যা ভাস্যা দুই ভায়ের ছবি দেখে কেবলই ভাবতাম, আচ্ছা ওরা আমার চেয়ে বড় না ছোট? আরেকটা প্রিয় বই প্রায় পড়তে পড়তে মুখস্থ হয়ে গেছিল। সেটাও রাশিয়ান রূপ কথা। হলদে ঝুঁটি মোরগটি। তবে আমার স্বাধীনতা সেই মোরগের মতোই হয়ে রইল সারাজীবন। জানলা দিয়ে মুখ বাড়াও, মটরশুঁটি নিয়ে যাও টাইপ অথবা বিপদে পড়লেই বিড়াল আর শালিখ আমায় দুষ্ট শিয়ালের হাত থেকে বাঁচাও।
পুরনো কোলকাতার মেয়েদের স্কুলগুলোর মধ্যে অন্যতম । প্রথম চালু হয়েছিল বিজ্ঞান শাখা। আর ছিল কেতাদুরস্ত ল্যাবরেটারি। লাইব্রেরীতেও ছিল বিশাল বইয়ের সম্ভার। ছিল খেলার মাঠ। একটা প্রকান্ড চেরী গাছ আর তার পাশে লিলিপুল । মাঠের একদিকে ছোটমোট গ্রিণ হাউস। অনামা সব ফুলেল ক্যাকটাস থাকত সেই গ্রিণহাউসে। স্কুলের দুটো গেট। একটা কেবল সকালে খুলত প্রাথমিক সেকশানের জন্য আর দুপুরে খুলত দুটোই। দুই গেটের মাথায় জুঁইফুলগাছের আর্চ আর দুই গেট পেরিয়ে স্কুল অফিসে ঢোকার মুখে দুপাশে গোলাপের কেয়ারি। কি সুন্দর পরিবেশ! রাজকুমারীদেবীরা ক্রিশ্চান ছিলেন। স্কুলের মধ্যে ছিল একটা সেমেটারি। সেমেটারীতে বসে টিফিন খেতাম আমরা। আমি রবীন্দ্র সঙ্গীতে কোনোদিন তালিম নিই নি। স্কুলের বাতাবরণ রবীন্দ্রগানে উদ্বুদ্ধ করেছিল। প্রতিবছর স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠান আর বর্ষাশেষে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে রবীন্দ্রচর্চা অব্যাহত ছিল বারোটা বছর। গ্রীষ্মের ছুটির পরেই বৃক্ষরোপণ উত্সবের তোড়জোড়। দস্তুর মত রিহার্সাল হত কমন রুমে। বনমহোৎসব একটা স্ক্রিপট বছর বছর হত। একটু রদ বদল করে কয়েকটা গান এদিক ওদিক করে নৃত্যনাট্য দাঁড় করাতেন দিদিরা। সবুজ গাছ লাগানো হত। খুব উত্সাহে মেয়েরা নাচ গান প্র্যাকটিস করত প্রতিবছর । আমরা, গানের মেয়েরা অনুষ্ঠান শুরু করতাম ‘আয় আমাদের অঙ্গনে, অতিথিবালক তরুদল ‘দিয়ে আর শেষ করতাম ‘মরুবিজয়ের কেতন ওড়াও, এ শূন্যে ওড়াও ওড়াও হে প্রবল প্রাণ’ দিয়ে ।
বাড়িতে হত ক্লাসিক্যাল গানের চর্চা। জ্যাঠামশাই ছিলেন বেতারশিল্পী, তারাপদ চক্রবর্তীর ছাত্র। মায়ের কাছে কীর্তনে নাড়া বেঁধে নেওয়া খুব ছোট বয়সে। মা ছিলেন যুবক রামকুমার চট্টোপাধ্যায়ের ছাত্রী। ছোটপিসিও খুব সুন্দর গান গাইতেন। মামার বাড়িতে দাদামশাইয়ের আদ্যন্ত বৈষ্ণব মানসিকতায় প্রতি রবিবারে নিয়ম করে মা-মাসীদের সঙ্গে কীর্তনের আসরে বসাটা বাধ্যতামূলক ছিল সব নাতি নাতনীদের। মামা অপূর্ব শ্রীখোল বাজাতেন। দাদু নিজে কর্তালে। নিয়মিত শুনে শুনে কীর্তনের ঘরানা আমার সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গেল। সে যুগে আমার আইবুড়ো অষ্টাদশী মা বাগবাজারে যুগান্তর আপিসের অনুষ্ঠানে একক কীর্তন পরিবেশন করেছিলেন।
আমি তখন ডবল ঝুঁটি, বছর সাতেক বয়েস। একবার দিব্যি গেলাম ভোরবেলার প্রাইমারী রাজকুমারীতে। কমলা মাসী স্কুলে ছেড়ে আসত। আর নিয়েও আসত বেলার দিকে। সেদিন দেখি বাবা আমাকে আনতে গেছেন। মনে মনে খুব খুশি হলাম ফাইভ স্টার কিম্বা পপিংসের বায়না করব সেই আশায়। কিন্তু কমলা মাসীর না আসার কারণটা বুঝতে পারলামনা। বাবা স্কুলের স্যুটকেস এক হাতে আর অন্য হাতে আমার হাত শক্ত করে ধরে বাড়ির দিকে রওনা দিলেন। আমি খুব বকবক করতাম। সারাটা রাস্তা বাবাকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করব ভাবছি ঠিক সেই সময়েই বাবা বললেন রাস্তায় কথা না বলতে। খুব গম্ভীর আর বেশ টেনসড বাবা। বুঝলামনা কেন।”কারফিউ” জারি হয়েছে গোটা এলাকায়। বুঝলামনা তার অর্থ। রাস্তার মোড়ে মোড়ে সিআরপি টহল দিচ্ছে। বুঝলামনা কেন। থমথমে পাড়া। রাস্তাঘাটে একটাও লোক নেই। বাড়ির কাছাকাছি যেতেই আমাদের পোষা এলশেসিয়ান জুডির আওয়াজটা স্পষ্ট কানে এল। আমাদের একতলা বাড়ির ছাদের আলসেতে মুখ বাড়িয়ে জুডি ডেকে চলেছে একভাবে। ও কারফিউ মানেনা। ওর প্রশ্ন, রাস্তায় মানুষজনের বদলে এত উর্দিপরা পুলিশ কেন?
বাড়ির মধ্যে ঢুকতেই একজন সিআরপি বলল, সেও আমাদের সঙ্গে বাড়ির মধ্যে ঢুকে সার্চ করতে চায়। কি সার্চ? কেন সার্চ? আমার বাবা তো সামান্য চাকুরে আর মা বাড়িতেই থাকে। কুকুরটা বাঁধা আছে কিনা জিগেস করে ঐ পুলিশটি সোজা আমাদের বাড়ির অন্দরমহলে প্রবেশ করল। তারপর একে একে ঠাকুমার লক্ষ্মীর ধানভর্তি মাটির হাঁডি থেকে কুনকে, ভাঁডারের আলমারী থেকে রান্নাঘরের আঁশ কুলুঙ্গী, কুয়োপাড় কিছুই বাদ গেলনা সেযাত্রায়। আমাদের ছাদে ক’টা শখের মুরগী থাকত। পুলিশ মুরগীর ঘরেও হানা দিল, লাঠি দিয়ে টর্চ ফেলে ঠুকঠাক করে সব দেখে এল। তারপর গেল বাড়ির লাগোয়া বাগানটার দিকে। তখনো আমাদের বাড়ি তৈরী শেষ হয়নি। বাগানের কোণে একটা ইঁট ভেজানোর চৌবাচ্চা ছিল। সেখান থেকে সে ক’টা সুতলী জড়ানো গোল্লা গোল্লা কি সব কুড়িয়ে নিয়ে বাগানের গাছে জল দেবার বালতিতে জল ভরে সেগুলোকে তার মধ্যে রাখল। আবার তার কিছু পরেই আমাদের জমিতে সুপুরীগাছের গোড়া থেকে একটা স্টেইনগান (পরে বাবার কাছ থেকে নামটা জেনেছিলাম) পেয়ে বাবাকে কি সব প্রশ্ন করে সেটিকে সযত্নে নিজেদের কাস্টডিতে রেখে দিল। আমি তখন মায়ের কোলে বসে ঠাকুরঘরের খড়খড়ির জানলাটা একটু ফাঁক করে দেখছি সেই দৃশ্য। তখন আমার সবচেয়ে বড় বন্ধু জুডি। আমার চিন্তা ওরা জুডির কোনো ক্ষতি করবেনা তো! জুডির কাছে যেতে চাইল ওরা। বাবা নিয়ে গেলে বকলেস বাঁধা জুডি ওদের সর্বাঙ্গ শুঁকে নিল। সিআরপি রায় দিল যে এই কুকুরটি বড্ড ফ্রেন্ডলি। জুডির চীতকার থেমে গেছে ইতিমধ্যে। সে অবাক হয়ে পুলিশের সর্বাঙ্গ পরখ করছে। জুডিও বুঝতে পেরেছে যে সেই পুলিশ আমাদের শত্রু নয়। জুডি বেকসুর খালাস পেয়েছে বলে সে যত না খুশি তার চেয়ে বেশি খুশি আমি।
পুলিশ চলে যাবার পর বাবা রহস্য উদঘাটন করলেন। আগের দিন ঐ অঞ্চলে মার্ডার হয়েছিলেন কয়েকজন। কিছু মানুষকে খুঁজতে পুলিশের এই টহলদারি। ও তার থেকে বোমা উদ্ধার ও তাকে নিষ্ক্রিয় করায় সফলতা। পুলিশ চলে যাবার পর মা একছুট্টে রান্নাঘরে গিয়ে উনুনের মধ্যে থেকে কি যেন একটা বের করে আনলেন। ভাগ্যিস মায়ের উনুনটা জ্বলছিলনা। ঝকঝকে পালিশের কাঠের খাপে ভরা চকচকে একটি গুপ্তি বের করে এনে মা বাবার হাতে দিয়ে বললেন, “এনাও, তোমার ঝালদার গুপ্তিটি এবার বরং বিক্রি করে দাও। বাড়িতে এসব জিনিস শখ করে কেউ আনে? পুলিশ তো আর জানবেনা, সে তোমাকেই আতঙ্কবাদী সন্দেহ করবে বাড়িতে এসব জিনিষ পেলে” বাবা বললেন, “লোকে কত বন্দুক, পিস্তল কিনে এনে রাখে, এ তো সামান্য একটা ছোরা!” বেশ দৃপ্ত নাটকীয় ভঙ্গীতে কাঠের খাপ থেকে শাণিত, ধাতব ছোরাটি বের করে বললেন “কোথায় খাপ খুলেছ শিবাজী? এ যে পলাশী!” তার কিছুদিন আগেই অফিসের নাটকে এই সংলাপটি ছিল বাবার কন্ঠে। বুদ্ধি করে এন্টিক এই গুপ্তিটিকে উনুনে গুঁজে রাখার জন্যে বাবা মায়ের দিকে চেয়ে বললেন “কি বুদ্ধি তোমার! গিন্নী হো তো এইসি! ”
পরদিন সকালেই কাগজ হাতে মায়ের চীত্কার। শ্যামবাজারের দেশবন্ধু পার্কে থাকতেন মায়ের পিসতুতো দাদা। পুজোর ফুল তুলে রাস্তার কলে পা ধুতে ধুতে গুলি লেগে প্রাণ দিয়েছেন তিনি। কাগজে ছবি দেখে মা চিনতে পেরেছে তাঁকে। তার আগেরদিন বরানগরে মারা গেছেন বারোজন। বুঝলাম আমরা কেউ ভালো নেই।
সেই ভালো না থাকাটাই মজ্জাগত হয়ে গেল সেদিন থেকে। তারপর একা একা স্কুল পেরিয়েছি টু থেকে টুয়েলভ। কলেজ গন্ডী পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়। বাড়ি ফিরতাম দুরুদুরু বুকে। ঠিক সেদিনের মত । বাবা কি আর অত বড় মেয়েটাকে নিয়ে আসতেন কলেজ থেকে? সেই রাস্তা, খোলা ড্রেনের গন্ধ, মশার দাপট, তেলেভাজার দোকানের টিমটিমে কুপীর আলো, বরানগরের বিখ্যাত অলিগলির মতই দাপুটে, সত্তরের টারময়েল আবহাওয়া ঢুকে পড়েছিল আমার জীবনে। ইভটিজিং, রেপ বুঝতামনা। কিন্তু সত্তরের সেই সময়টা আমার কিশোরীবেলার অনেকটুকু সময় কেড়ে নিয়েছিল। তাই বুঝি ঘরমুখী হয়ে বাড়িতে মা, ঠাকুমা-দিদিমার সান্নিধ্যটুকু চেটেপুটে উপভোগ করেছি। পুতুল বিয়েতে মেতে উঠেছি, কখনো উদয়াস্ত গান শিখেছি মায়ের কাছে । আর প্রাণভরে রান্নাবাটি আর পুতুল খেলেছি দিদা-ঠাম্মার সঙ্গে ।
ছোটবেলার কথা লিখতে বসলেই মনে পড়ে যায় মায়ের সিরিয়াস মুখখানি। মা করত যত্ত শাসন বাবা দিত তত আদর। সেই বিচারে ভবিষ্যতে সবচেয়ে বেশি বন্ধুত্ব হওয়া উচিত বাবার সঙ্গে। হয়ত ছিল তাই বা হতেও পারত কিন্তু নিজে মা হবার পর কেমন যেন মায়ের জন্য একটু বেশি ঝুঁকে গেছে নিক্তির পাল্লাটা। মায়ের চোখের চাহনিতে শুধু কাজ হয়ে যেত তাঁর পছন্দ-অপছন্দের ব্যাপারগুলো। মা এতটাই শাসন করত যে বাড়িতে আমার নিজস্ব মতামত গড়ে উঠেছিল মাধ্যমিক পরীক্ষায় লেটার নিয়ে ফার্স্ট ডিভিশন বগলদাবা করার পর । ১৯৮০ সালে মুড়িমুড়কির মত স্টার আর ফার্ষ্ট ডিভিশন পেতনা কেউ। তাই আমার বাড়িতে যেন আমি দুষ্টুমি করার পাসপোর্ট হাতে পেলাম সেই বছর থেকেই। দুষ্টুমি মানে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা খাওয়া, মায়ের সঙ্গে হলে গিয়ে সিনেমা দেখা এই সব আর কি।
শীত এলেই আজও কেমন জানি ভয় ভয় করে সকাল থেকেই। উত্তুরে হাওয়া গায়ে এসে আছড়ে পড়লেই। কমলালেবুর দুপুর আর চারিদিকে ছোটদের পরীক্ষার হিড়িক দেখে আমিও পৌঁছে যাই স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার দোরগোড়ায় । মনে হয় আমিও পরীক্ষা দিতে যাচ্ছি। আর মায়ের মুখটা মনে পড়ে কেবলি । সেই পড়া ধরছে অথবা খাতা নিয়ে কারেকশান করছে । আর পরীক্ষার খাতায় লিখতে বসেও মনে হত “এটাই তো আসবে, মা এমনটি বলেই দিয়েছিল ” অথবা আরো দু-একবার ঐ অংকটা কেন প্র্যাকটিস করলাম না? মা বলেছিল ওটা নাকি খুব ইমপর্ট্যান্ট । ভালো পরীক্ষা দিয়েই মনে হত কখন মায়ের সঙ্গে দেখা হবে? আর আমি বলব মা! তুমি কি করে জানতে ঐ প্রশ্নগুলোই আসবে আজ? সেই নার্ভাসনেসের জন্য আজো হাত পেতে বসে থাকি, মন মেলে দিয়ে চেয়ে থাকি আকাশের বুকে। লুটোপুটি খায় চিন্তাগুলো মেঘেদের রোঁয়ায়, চুমু খাই উত্তুরে হাওয়াকে, নাক ভরে গন্ধ নিতেই থাকি অমৃত কমলার ! ভয় হয় তবুও সেই নার্ভাসনেস ধরা দেয়না, যেমনটি ঠিক দিত পরীক্ষার সময় ।
[আগামী বৃহস্পতিবার]
উত্তর কলকাতায় জন্ম। রসায়নে মাস্টার্স রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ থেকে। বিবাহ সূত্রে বর্তমানে দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা। আদ্যোপান্ত হোমমেকার। এক দশকের বেশী তাঁর লেখক জীবন। বিজ্ঞানের ছাত্রী হয়েও সাহিত্য চর্চায় নিমগ্ন। প্রথম গল্প দেশ পত্রিকায়। প্রথম উপন্যাস সানন্দা পুজোসংখ্যায়। এছাড়াও সব নামীদামী বাণিজ্যিক পত্রিকায় লিখে চলেছেন ভ্রমণকাহিনী, রম্যরচনা, ছোটোগল্প, প্রবন্ধ এবং ফিচার। প্রিন্ট এবং ডিজিটাল উভয়েই লেখেন। এ যাবত প্রকাশিত উপন্যাস ৫ টি। প্রকাশিত গদ্যের বই ৭ টি। উল্লেখযোগ্য হল উপন্যাস কলাবতী কথা ( আনন্দ পাবলিশার্স) উপন্যাস ত্রিধারা ( ধানসিড়ি) কিশোর গল্প সংকলন চিন্তামণির থটশপ ( ধানসিড়ি) রম্যরচনা – স্বর্গীয় রমণীয় ( একুশ শতক) ভ্রমণকাহিনী – চরৈবেতি ( সৃষ্টিসুখ) ২০২০ তে প্রকাশিত দুটি নভেলা- কসমিক পুরাণ – (রবিপ্রকাশ) এবং কিংবদন্তীর হেঁশেল- (ধানসিড়ি)।অবসর যাপনের আরও একটি ঠেক হল গান এবং রান্নাবাটি ।