| 27 এপ্রিল 2024
Categories
এই দিনে প্রবন্ধ সাহিত্য

বোর্হেস সাহেব

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট

আজ ০৬ মে কবি, অনুবাদক, প্রাবন্ধিক ও স্প্যানিশ ভাষা বিশেষজ্ঞ রাজু আলাউদ্দিনের শুভ জন্মতিথি। ইরাবতী পরিবার তাঁকে জানায় শুভেচ্ছা ও নিরন্তর শুভকামনা।


 

বোর্হেস ও এপিফানিয়া

আর্হেন্তিনীয় লেখক হোর্হে লুইস বোর্হেসের জীবনে খ্যাতি এসেছিলো অনেক দেরিতে। তবে দেরিতে হলেও তা ছিলো নিশ্চিত এবং স্থায়ী। ক্রমশ তা শাখা-প্রশাখাময় রূপে বিস্তৃত হচ্ছে, দেশে-বিদেশে। তাঁকে নিয়ে বা তাঁর সাহিত্যকর্ম নিয়ে এত আলোচনা-সমালোচনা, নিবন্ধগ্রন্থ, গবেষণা কেন্দ্র এবং ওয়েব তৈরি হয়েছে বিভিন্ন ভাষায় যে তার সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করাটাই এক গবেষণার বিষয় হতে পারে। তবে নিশ্চিতভাবে যেটা বলা যায় তা হলো এই বিপুল সংখ্যার প্রায় সবটাই নিবেদিত তাঁর রচনাকর্মের গুরুত্ব নির্ধারণে। এসবের মধ্যে ব্যক্তি বোর্হেস, অলেখক আটপৌরে বোর্হেসের জায়গা তেমন নেই। কোনো কোনো জীবনীগ্রন্থে তাঁর ঘরোয়া, আটপৌরে জীবনের আলেখ্য প্রাসঙ্গিকভাবে এলেও একটা গোটা বই এই বিষয়কে অবলম্বন করে রচিত হয়েছে এমন নজীর খুবই বিরল। বছর চারেক আগে ২০০৪ সালে আর্হেন্তিনার বুয়েনোস আইরেসের এদাসা (Edhasa) প্রকাশনী থেকে বেরিয়েছে বোর্হেসের ঘরোয়া জীবনের অভ্যাস-রুচি পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে এক বই। লিখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অধ্যাপক বা পেশাদার কোনো সাহিত্য সমালোচক কিংবা সমকালীন বা পরবর্তী প্রজন্মের কোনো সৃষ্টিশীল লেখক নন। বরং বোর্হেস-পরিবারের কাজের মেয়ে এপিফানিয়া উবেদা দে রোবলেদো। যদিও এপিফানিয়া খুব যে স্বতোপ্রণোদিত হয়ে এই গ্রন্থ লিখেছেন তা নয়। বোর্হেস গবেষক এবং জীবনীকারদের অন্যতম আলেহান্দ্রো বাক্কারোর উস্কানিতে এপিফানিয়া এই গ্রন্থ লেখায় বা বলা যাক এই গ্রন্থের মাল-মসলা সরবরাহে উৎসাহিত হয়েছেন। আলেহান্দ্রো দিয়েছেন এর লিখিত রূপ। গ্রন্থের সারাৎসার তুলে ধরার আগে এপিফানিয়া সম্পর্কে একটু ভূমিকা দিলে এই গ্রন্থের প্রতি সুবিচার করা হবে বলে মনে হয়।

এপিফানিয়ার জন্ম হয়েছিলো ১৯২২ সালের ৭ এপ্রিল, কররিয়েন্তেস প্রদেশের হেনেরাল পাস শহরের নিকটবর্তী ছোট্ট এক গ্রাম রোমেরোতে।জন্মেছিলেন দরিদ্র এক পরিবারে। জন্মের কিছুদিন পরই বাবা-মা তাঁকে দত্তক হিসেবে দান করেন সতো পরিবারে। ফলে রক্তের সম্পর্কের বাবা-মা, ভাই-বোন এঁদের কাউকেই চেনার সুযোগ পাননি। অতএব হুয়ানা ইসাবেল সতো-ই হয়ে ওঠেন তাঁর মা আর ইসাবেলের সন্তান এবারিস্তো এবং এরিবের্তো তাঁর ভাই। এপিফানিয়া সংক্ষেপে হয়ে ওঠেন ‘ফানি’। ফানি নামেই ধীরে ধীরে পরিচিত হতে থাকেন। ফানির স্কুলজীবন ছিলো মাত্র দশ বছরের। নানান ধরনের কায়িক শ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ৪০-এর দশকে তিনি চলে আসেন রাজধানী শহর বুয়েনোস আইরেস-এ। এর বছর কয়েক পরে তিনি বোর্হেস পরিবারে কাজের জন্য মনোনীত হন। কাজ বলতে রান্নাবান্না থেকে শুরু করে ঘরের সব কাজ। বোর্হেসের মৃত্যু পর্যন্ত তিনি এই কাজই করে গেছেন। বোর্হেসের মা লেওনর-এর মৃত্যুর (নিরানব্বই বছর বয়সে তাঁর মৃত্যু হয়) পর এক অর্থে তিনিই বোর্হেসকে নিজের সন্তানের মতো দেখাশুনা করে গেছেন। বোর্হেস এই সেবা-যত্নের কথা সব সময়ই কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করতেন। বোর্হেস একবার ফানিকে বলেছিলেন কথা প্রসঙ্গে: “যদি বিবাহিত হতাম, তাহলে আপনার মতো একটি কন্যা সন্তান পেলে খুশি হতাম।”

রেডিও আমার জন্য নয়
বোর্হেস-এর বাবা গিয়ের্মো মারা গিয়েছিলেন অনেক আগেই। বোর্হেস তাঁর মা লেওনর এবং বোন নোরা — এই তিনজনের এক ছোট্ট পরিবার। বোন নোরার যখন ১৯২৮ সালে স্পেনের লেখক ও সাহিত্য-সমালোচক গিয়ের্মো দে তররের সাথে বিয়ে হয় তখন বোর্হেস-পরিবার আরও ছোট হয়ে মাত্র দুই জনের একটি সংসার হয়ে দাঁড়ায়; মা এবং ছেলে। সারাদিন নিরবতায় আচ্ছন্ন থাকে বাড়ি। ফানির ভাষার: সারা বাড়িতে কোনো রেডিও কিংবা টেলিভিশন নেই। কেবল আমার ঘরে একটি রেডিও, যেটি লেওনর আমার জন্য কিনেছিলেন। একবার বোর্হেস সাহেব জন্মদিনে একটি রেডিও উপহার পেয়েছিলেন। ছোট্ট একটি রেডিও, উপহার পাওয়ার পরপরই ওটি রান্নাঘরে নিয়ে এসে তিনি বললেন, ‘ফানি এটা আপনার জন্য, আমার জন্য নয়।’ আমি খুব অল্প আওয়াজে ওটা শুনতাম যাতে তাঁর ব্যাঘাত না ঘটে।

নাস্তিকের ঈশ্বর
একবার তিনি মারিয়ার সাথে বিদেশ ভ্রমণে যাচ্ছিলেন, মনে হয় প্যারিস। আমিই সব সময় পাসপোর্ট এবং টাকা-পয়সা বুঝিয়ে দিতাম। মারিয়াকে আমি সবকিছু বুঝিয়ে দিলে বোর্হেস সাহেব হ্যাতব্যাগের মধ্যে সেসব ঢুকিয়ে রাখতে বললেন। বিমানবন্দরে যখন এলেন তখন দেখা গেল ভুল করে তাঁর মায়ের পাসপোর্ট আমি তাঁকে দিয়েছিলাম। তাঁর এবং তাঁর মায়ের পাসপোর্ট এক সঙ্গেই রাখা থাকতো। সে যাত্রায় ভ্রমণ না-করতে পেরে আমার উপর তিনি ভীষণ রেগে গিয়েছিলেন। টেলিফোনে তিনি আমাকে বললেন, “একটি ট্যাক্সি ধরে আমার পাসপোর্টটি নিয়ে আসুন।” আমি প্রবলভাবে আপত্তি জানিয়েছিলাম। রাতে বাসায় ফিরে একই ভাবে রেগে আমাকে বললেন: “ঈশ্বর আপনাকে ক্ষমা করবে না।” উত্তরে আমি বললাম, আপনি একথা কী করে বলতে পারেন, আপনি তো ঈশ্বরেই বিশ্বাস করেন না।

বইপত্র
বোর্হেসের পাঠকদের মধ্যে এই ভাবনা থাকতে পারে যে তাঁর ব্যক্তিগত পাঠাগারটি বুঝি বিশাল। আসলে কিন্তু তা নয়। এর কারণ অপছন্দের বইগুলো তিনি গ্রন্থাগার থেকে ফেলে দিতেন। সুতরাং সেখানে তাঁর অপছন্দের কোনো বইয়ের ঠাঁই ছিলো না।

কখনো কখনো বোর্হেস সাহেব আমাকে কিছু বইয়ের একটা প্যাকেট করতে বলতেন এবং পরে শহর বইবিতান-এ (La lebrevia La Ciudad) নিয়ে যেতেন। বই বিতানের তাক বানানোর কাজ চলছিল তখন। সেখানে যে কোনো এক খালি জায়গায় বইগুলো রেখে চলে আসতেন। অপছন্দের বইগুলো তিনি এভাবে বহিষ্কার করতেন। আরেকবার বইয়ের এক বিরাট প্যাকেট নিয়ে যাচ্ছিলেন জাতীয় গ্রন্থাগারে (La liblioteca Nacional)। কফি খাওয়ার জন্য এক জায়গায় থামলেন তিনি। সেখানে চেয়ারের নিচে প্যাকেটটি ফেলে বাসায় চলে এলেন। ভাবটা এই যেন ভুল করে ফেলে এসেছেন। তো, সেখানকার ছেলে-পেলেরা তাঁকে চিনত বলে বইয়ের প্যাকেটটি বিকেলবেলা ফেরত দিতে এলো তাঁর বাসায়। ওরা ভেবেছিলো বোর্হেস সাহেব বুঝি ভুল করে ফেলে এসেছেন। আসলে অপছন্দের বইপত্র তিনি এভাবেই ছেটে ফেলতেন তাঁর ব্যক্তিগত গ্রন্থাগার থেকে।

পত্রিকা
পত্রিকার বেলায়ও ঘটতো সে রকমই। বলতেন যে ঘরে পত্রিকার গন্ধ পাচ্ছেন। দু’ হাতে পাজা করে পত্রিকাগুলো ব্যালকনি দিয়ে ফেলে দিতেন। পত্রিকা একেবারেই পছন্দ ছিলো না। ওগুলো যখন ফেলতেন, তখন রাস্তার লোকজন দেখে বলতো “বোর্হেসের পাগলামি”।

অন্যদিকে তাঁর মা লেওনর ছিলেন দৈনিক পত্রিকার পোকা। সব বিষয়ে সর্বশেষ তথ্যটুকু জানা থাকা চাই। তাঁর নিজের ঘরে কাচের আলমারীর নিচে জমা থাকতো পত্রিকাগুলো। একবার তাঁর মা যখন মোটামুটি ঘুমে আচ্ছন্ন তখন বোর্হেস পা টিপে টিপে মায়ের ঘরে ঢুকে পত্রিকাগুলো বের করতে গিয়ে আলমারীর কিছু একটা ভেঙে যায়। তাঁর মা ঘুম থেকে উঠে শুরু করলেন চেচামেচি, “দাড়া, কোথায় যাচ্ছিস, (পত্রিকার) চোর কোথাকার?” এরপর কখনোই এগুলোতে হাত দেওয়ার ভাবনা তাঁর মাথায় আসেনি।

প্রতারণা

পত্রপত্রিকার লোকজন নিয়মিতই আসতেন। একবার সাক্ষাৎকারদানের জন্য তাঁকে সম্মানী দেয়া হলো। সম্মানী ছিলো বোনাফিল্ড বাক্সের ভেতরে এক তারা নোট। পরদিন আমাকে বাক্সটা খোলার জন্য বললেন। খুলে দেখি পুরোনো টাকার নোট, প্রায় অচল এবং ছেঁড়া। তো আমি সেগুলো নিয়ে গেলাম গালিসিয়া ব্যাংকে। ব্যাংকের লোকজন বললো, এগুলো অচল। বোর্হেস সাহেব রেগে রীতিমত আগুন। প্রতারিত হওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে তাঁর মুখ রাগে লাল হয়ে যেতো এবং হাতদুটো কাঁপতে থাকতো।

নাস্তিকের প্রার্থনা
তিনি সবসময়ই গৌরবের সাথে বলতেন যে তিনি নাস্তিক। ইশ্বর বা ঐ ধরনের কোনো কিছুতে বিশ্বাস করতেন না। কিন্তু যখন রেকোলেতায় (কবরস্থান) তাঁর মায়ের কবর জিয়ারত করতে যেতেন, তখন হাঁটু গেড়ে প্রার্থনা করতেন। প্রকাশ্যে এ কথা তিনি কখনোই স্বীকার করতেন না। রাতের বেলা ঘুমানোর আগেও প্রার্থনা করতেন। এটা তিনি করতেন কারণ তাঁর মা নাকি করতে বলেছিলেন।

ফুটবল নির্বোধদের খেলা!
যেসার লুইস মেনোত্তি তখন আর্হেন্তিনার ফুটবল জগতের সবচেয়ে পরিচিত ব্যক্তিত্ব। গোটা আর্হেন্তিনাতেই তখন তিনি সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। মেনোত্তি একবার বোর্হেসের সাক্ষাৎকার নেয়ার জন্য তাঁর বাসায় আসেন। ফানির ভাষায়: বোর্হেসের একটা উদ্ধৃতি দিয়ে মেনোত্তি তাঁর প্রশ্ন শুরু করেন। উদ্ধৃতিটি ছিলো এই যে বোর্হেস নাকি বলেছিলেন ফুটবল নির্বোধদের খেলা। বোর্হেস ঘাবড়ে না গিয়ে উত্তরে বললেন যে আসলে ঠিক সেভাবে বলেন নি কথাটা। তিনি যা বলতে চেয়েছিলেন তাহলো “ভীষণ তুচ্ছ খেলা। আমরা হল্যান্ডকে পরাজিত করেছি” — যদি কেউ এ রকম বলে তাহলে সেটা আমার কাছে ভীষণ বিসদৃশ মনে হয়। রটারডেম বা আমস্টার্ডেম কিংবা তাদের দেশাত্ববোধের বিষয়গুলো বিবেচনায় নেই না। কেবল এগারজন খেলোয়াড় বিপরীত দলের এগারজনের বিরুদ্ধে বিজয়ী হয়েছে। এই বিজয়ের কী গুরুত্ব থাকতে পারে?

ফুটবল বিষয়ক বোর্হেস সাহেবের ধারণার সাথে সবাই পরিচিত ছিলেন। সবসময়ই বলতেন “ফুটবল খেলোয়াড়দেরকে আমার নির্বোধ মনে হয়। সবাই একটা বলের পেছনে দৌড়াছে। ভালো হতো বরং প্রত্যেককে একটা করে বল দিলে।” সাক্ষাৎকার শেষ হলে মেনোত্তি চলে গেলেন। পরে আমার কাছে তিনি জানতে চাইলেন ভদ্রলোকের পরিচয়। বললাম, উনি হচ্ছেন আর্হেন্তিনার সবচেয়ে বিখ্যাত ব্যক্তি, ফুটবল দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর। শুনে তিনি বেশ রেগে গেলেন: ফানি, আমাকে আপনি আগে বলেন নি কেন। কিন্তু পরপরই হাসতে শুরু করলেন সাক্ষাৎকারে দেয়া তাঁর উত্তেজক বক্তব্যের কথা স্মরণ করে।

নোবেল পুরস্কার
সকাল নয়টার দিকে গোছল সেরে ফেলতেন। তারপর যেতেন নাস্তা করতে। নোবেল পুরস্কার ঘোষণার মাসে সাংবাদিকরা তাঁর বাসার সামনে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতেন। রবের্তো মাইদানার কথা আমার সব সময়ই মনে পড়ে। আমাকে বলতেন: ‘ফানি আমি কিন্তু প্রথমে।’ লম্বা এক লাইন, সবাই অপেক্ষা করছেন। তাঁর জীবনের শেষ বছরটিতে, যদিও নোবেল পুরস্কার তাঁকে দেয়া হয়নি শেষ পর্যন্ত, প্রচুর সাংবাদিক জড়ো হয়েছিলেন এই ভেবে যে এই বছর হয়তো তাঁকে পুরস্কারটি দেয়া হবে। দিনভর নিরাপত্তা বাহিনীর কড়া প্রহরা বজায় ছিলো। সবশেষে সংবাদ এলো, না, এ বছরও তাঁকে দেয়া হলো না, খবরটা শুনে তিনি বিষণ্ন হয়ে গেলেন। ভেবেছিলেন এই বছর তাঁকে দেয়া হবে কারণ তিনি মনে করতেন পুরস্কারটি তাঁর প্রাপ্য ছিলো। এ বিষয়ে তাঁর মন্তব্য: “আমি যতদিন বেঁচে আছি, ততদিন বোর্হেস নোবেল পুরস্কার পাবে না,” এরপর তিনি বিষণ্ণতার মধ্যে তলিয়ে যেতেন।

এপিফানিয়া এবং আলেহান্দ্রোর লেখা ‘বোর্হেস সাহেব’ (El senor Borges) -এ এরকম আরো বেশ কিছু অজানা ঘটনা পাঠক খুঁজে পাবেন।……
আলেহান্দ্রো বাক্কারো ও এপিফানিয়া উবেদা দে রোবলেদো
……..
আমি সামান্য কিছু তুলে ধরেছি মাত্র। বইটি সম্পর্কে উৎসাহী পাঠকদেরকে জানাবার মতো তথ্য এই যে আর্হেন্তিনার এদাসা প্রকাশনী থেকে ২০০৪ সালে প্রকাশিত হয়েছে। ১৬৬ পৃষ্টার এই বইটিতে বেশ কিছু ছবি রয়েছে। কিনতে আগ্রহী পাঠকরা আমাজন.কম ওয়েবসাইট-এ গেলেই পাবেন। মূল্যটাও সেখানে দেখে নিতে পারেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত