| 27 এপ্রিল 2024
Categories
ধারাবাহিক সাহিত্য

সবজে রুমাল রহস্য (পর্ব-১১)

আনুমানিক পঠনকাল: 6 মিনিট

অপ্রত্যাশিত প্ল্যান থেকে জন্ম নেয়া একটি নভেলা। তৃষ্ণা বসাকের ভাবনা।
সেদিন কয়েকজন সৃষ্টিশীল মানুষ আড্ডা দিচ্ছিলেন ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে, আড্ডার শেষে একটি সবুজ রুমালের দেখা মিললো। একটি রুমাল কে বিড়াল করে দেবার জাদু তো প্রবাদের মত। এখানেও হলো তাই হঠাৎ পাওয়া সবুজ রুমাল টি পেয়েই সব ওলটপালট হয়ে গেল একদল সৃষ্টিশীল মানুষের ভাবনায়।জাদুর মতোই কোনো পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই ফেলে যাওয়া এক টুকরো রুমাল হয়ে গেলো ১২-ইয়ারি নভেলা ‘সবজে রুমাল রহস্য’।

পরপর লিখবেন ১২ জন। প্রথম পর্ব লিখলেন ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় এবং শেষ করবেন তৃষ্ণা বসাক। মধ্যে থাকবেন ১০ জন যথাক্রমেঃ

সোনালি, তপশ্রী পাল, ব্রততী সেন দাস, নিবেদিতা ঘোষ মার্জিত, নন্দিনী সেনগুপ্ত, শ্যামলী আচার্য, কৃষ্ণা রায়, ইন্দ্রনীল বক্সী, সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিতাভ দাস। আজ থাকছে অমিতাভ দাসের লেখা রহস্য নভেলার একাদশ পর্ব।


পর্ব-১১
তাপস ফোনটা ধরে। বলে কে বলছেন ? মিহি গলায় উত্তর আসে মধুমিতা।
–কে মধুমিতা বলে তাপস।
–দেখুন , আপনি আমাকে চিনবেন না। সুচন্দ্রা ম্যাডামকে দিন। আচ্ছা , এইটাই তো ওঁর নিজস্ব নম্বর!
–হুম । তাহলে আপনি?
–আমি সুচন্দ্রা ম্যাডামের হাসবেন্ড। বলে তাপস। 
মৌখিক ইঙ্গিত করে ফোনটা দেবে কিনা। সুচন্দ্রা উৎকণ্ঠায় ভোগে। তাও সে হাতের ইঙ্গিতে ফোনটা চায়। 
তাপস বলে, ধরুন। কথা বলুন।
  সুচন্দ্রা বলে, থমথমে গলায়, বলুন। ওপ্রান্ত থেকে মেয়েটি বলে উচ্ছাস জড়ানো গলায়, ম্যাডাম আমি মধুমিতা।
–কে মধুমিতা? বিস্মিত হয় সুচন্দ্রা।
–আপনি আমাকে চিনবেন না। গল্পভাবনার মিত্রাদি আপনার নম্বরটা দিলেন। বললে মধুমিতা।
–আচ্ছা আচ্ছা। মিত্রাদি। আগ্রহ ঝরে পড়ে সুচন্দ্রার কণ্ঠে। বলুন।
–আপনার একটি গল্প চাই আমাদের পত্রিকার জন্য। বইমেলাতে বেরোবে। 
–আচ্ছা। তা কবে দিতে হবে? হাতে তো একটাও লেখা নেই।
মধুমিতা আনন্দিত কণ্ঠে বলে, দিন না, ২০ দিন সময় পাবেন। তাছাড়া আনুষ্ঠানিক প্রকাশে আপনাকে থাকতে হবে অতিথি হিসেবে।
–সে কী, আবার অতিথি! ইদানীং গল্প লেখক হিসেবে সুচন্দ্রার বেশ নাম হয়েছে। অনেক পত্রিকা থেকেই ডাক আসছে অতিথি হয়ে যাওয়ার। এইটে সুচন্দ্রা বেশ এনজয় করে । তাপস আগে ওর লেখালিখি নিয়ে বেশ হাসি-মস্করা করলেও আজকাল সেও মনে মনে বেশ আনন্দ পায় , এইটে বোঝে সুচন্দ্রা। 
 ফোনের ওপ্রান্ত থেকে মেয়েটি বলতে থাকে হ্যাঁ, ম্যাডাম অতিথি হতেই হবে। মিত্রাদি আপনার কথাই বলেছেন। তিনি আমাদের সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা। বললেন, আমার কথা বলবে – সুচন্দ্রা আর না করতে পারবে না। 
  চুপ করে শুনছিল সুচন্দ্রা। সত্যিই তো মিত্রাদির কথা না করতে পারে না। মিত্রাটি খুব ভালোবাসে। মিত্রাদির হাত ধরেই তো সাহিত্যে আসা। সাহিত্যের শুরুর দিকে তাঁর বাড়িতে যাওয়া, আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া। তাছাড়া তিনি সাহিত্য  আকাদেমি পাওয়া লেখক। কত যশ, খ্যাতি। তাঁকে না বলা যায় নাকি! সুচন্দ্রা বলে, আচ্ছা আচ্ছা যাবো। তবে দিন দশেক আগে তারিখ ও সময় জানাতে হবে। 
— দিদি, গাড়ির ব্যবস্থা থাকবে। মধুমিতা উপযাচক হয়েই বলে। 
–তবে তো খুব ভালো। 
তাহলে ম্যাডাম, আজ রাখছি। দিন পনেরো পর আবার ফোন করছি। গল্পটা লেখা হলে আমি বা আমাদের পত্রিকার কোনো প্রতিনিধি লেখাটা নিয়ে আসবে। 
বেশ বেশ — বলে ফোনটা রাখে সুচন্দ্রা। একটু হালকা লাগে নিজেকে। যা চলছে কয়েকদিন ধরে। ফেসবুক গ্রুপেও ঢোকা হয়নি পাঁচ-সাতদিন হল। সেখানে গ্রুপে একটা রহস্য উপন্যাস চলছে ধারাবাহিক। পর পর দু-পর্ব পড়া হয়নি। মিস হয়ে গেছে। এখন মাথার যা অবস্থা, রহস্যের কিছুই মাথায় ঢুকবে না। নিজের বাড়িতেই ঢুকে পড়েছে কোত্থেকে এক রুমাল — তা নিয়ে রহস্য। যা আজো উদ্ঘাটন করা গেল না। এসব সমস্যা না মিটলে নো ফেসবুক , নো গ্রুপ। আবার একটা গল্প লিখতে হবে। খুব চাপের হয়ে গেল  কী লিখব, কে জানে?
রাতে খেতে ব্রাউন কাগজের খাম আর তাতে সাদা কাগজের এক কোনে দুটো মাছ আঁকা ছবিটা নিয়ে সুচন্দ্রা এবং তাপস নানা গবেষণা করতে থাকে। 
    মাছ খুটতে গিয়ে কাঁটা বসে সুচন্দ্রার আঙুলে। সে বিরক্ত হয়। তাপস বলে, এত চিন্তা করে লাভ নেই। মন দিয়ে খাবারটা খাও। সুচন্দ্রা রোজ ভাত খায় না। ইচ্ছে হলে খায়। আজ নানা কারণে বিলম্ব হয়েছে ফলে ভাত বসিয়েছিল। দুপুরের পাবদা মাছ ছিল কয়েক পিস, তা গরম করেছে। শাশুড়ির জন্যে বানানো ফুলকপির ঝোল আছে। তাও বেশ খানিকটা। রাতে শাশুড়ি মণিকুন্তলা আজ রুটি খেলেন না। মুড়ি- সন্দেশ খেয়েছেন। 
   তাপস দেখল, সুচন্দ্রা ভাত না খেয়ে থালার ভিতর আঁকিবুকি কাটছে। সে বললে, আরে কী এত ভাবছ? খাবার তো ঠান্ডা হয়ে গেল। ইতিমধ্যে কখন যেন মণিকুন্তলা এসে ওদের পাশে বসেছেন। 
  সুচন্দ্রা বললে, মা এখনো ঘুমোননি। শরীরটা তো আপনার ভালো নয়। এতটা ধকল গেল। 
–না বৌমা। ঘুম এলো না। চেষ্টা করেও ঘুম এলো না। শোনো বৌমা একটা কথা বলতে এলাম তোমাদের। 
–কোন কথা মা। কৌতূহলী হয়ে উঠল সুচন্দ্রা। তাপসের চোখ উৎসুক হয়ে আছে। ওই যে দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় যে ফ্লাওয়াস ভাসটা আমায় দিয়েছিলেন তার একটা গল্প আছে। 
–কই এতদিন বলোনি তো। বললে তাপস।
— আসলে বলার দরকার হয়নি। 
–তাহলে? সুচন্দ্রার প্রশ্ন।
   মণিকুন্তলা বলেন, তোদের বলা হয়নি দুর্গাদাসদা ওই ফুলদানির সঙ্গে একটা ডায়েরিও দিয়েছিলেন আমায়। সেইটের কথা আমি প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। সে ডায়েরিটা আমি খুঁজে পাচ্ছি না। তার সঙ্গে এই ঘটনার কোনো সংযোগ আছে কিনা আমি জানি না। 
–কী ছিল তাতে? তুমি পড়েছ মা, সে ডায়েরি? জানতে চায় তাপস।
— পড়েছিলাম। আসলে দুর্গাদা ভ্রমণপাগল মানুষ। তিনি তিন-চার বার মিশরে গিয়েছিলেন। মিশরের অনেক গ্রামে গিয়েও থেকেছেন। গ্রামীণ মানুষের লোকাচার , প্রথা ও বিশ্বাসের কথা ওই ডায়েরিতে লেখা ছিল । তিনি যে যে ঘটনা বা যে যে দিনগুলি গুরুত্বপূর্ণ ছিল তা লিখে রাখতেন ডায়েরিতে। অনেক কিছু জানতেন লোকটা। হয়তো অনেক কথা আমাকে বলতে চাইতেন তবে সে সুযোগ তেমন হত না। কারণ তোমার শ্বশুরমশাই বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ। মিশরীয় প্রথা বা সংস্কার ও লোকাচারকে বিশ্বাস তো করতেন-ই না , বরং অবজ্ঞাই করতেন। ফলে ওর সামনে এসব নিয়ে আলোচনা হত না। দুর্গাদা, ডায়েরিটা দিয়ে বলেছিলেন, বৌঠান ডায়েরিটা পড়ে দেখুন– মিশরীয় সভ্যতার অজানা অনেক কথা আছে এতে। ভালো লাগবে। পড়া হয়ে গেলে আপনার কাছেই রাখবেন।বলেছিলাম, আমার কাছে কেন? তিনি বললেন , আমার কাছে রাখাটা সমস্যার। ওই ডায়রিতে এমন কিছু আছে যে তিনি আক্রান্ত হতে পারেন। একবার নাকি মিশরের এক হোটেলে তিনি আক্রান্ত হন। বুদ্ধিবলে বেঁচে ফিরেছেন। 
   এতগুলি কথা এক নিশ্বাসে বলে একটু থামেন মণিকুন্তলা। ওর দিকে বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে তাপস আর সুচন্দ্রা।
চিন্তিত মুখে সুচন্দ্রা জিজ্ঞেস করে , তবে কি ওরা ডায়েরিটা নিতেই এসেছিল? সেটা কি তবে পেয়ে গেল? 
— বুঝতে পারছি না। আমার ঘর তো তেমন লন্ডভন্ড করা নেই।
–ডায়েরিটা তুমি কোথায় রেখেছিলে মা? জানতে চায় তাপস।
–আমার ভালো মনে নেই। একবার মনে হচ্ছে আলমারির লকারে, আবার মনে হচ্ছে আমার পুরনো পোশাকগুলোর নিচে আবার মনে হচ্ছে আমার বুকসেল্ফে। আগে মাঝে মাঝে পড়তাম। উল্টে -পাল্টে দেখতাম। সুন্দর হস্তাক্ষর দুর্গাদার। দেখলে মন খারাপ হয়ে যেত। মানুষটা আর নেই। ফলে কয়েক বছর দেখিনি আর। 
   –আচ্ছা মা, একটু মনে করে দেখ তো, ওই ডায়রিতে দুটো মাছ আঁকা কোনো ছবি ছিল কী! 
— ওসব আমার মনে নেই। মনে থাকলে কী আর বলতাম না। তবে অনেক রকম ছবি আঁকা ছিল। সেখানে মাছ থাকতে পারে, পাখিও থাকতে পারে। 
   এসব শুনে মাথাটা আরো গুলিয়ে যাচ্ছে সুচন্দ্রার। কিছু আগে সাহিত্য অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে যাওয়া ও গল্প লেখার কথাগুলি শুনে মনটা বেশ ফুরফুরে হয়ে উঠেছিল। 
  মণিকুন্তলা আবার বলতে শুরু করেন, দুর্গাদার নাতি হয়ত অনেক কিছুই জানে বা সবটা জানে না। শোনো , দুর্গাদা একজন ভালো এস্ট্রোলজার ছিলেন। নির্ভুল ছিল তাঁর গণনা । সেটা তিনি শখে যুবক বয়সে শিখেছিলেন। সেটা কখনোই তাঁর পেশা ছিল না। তবে দেশ-বিদেশের নানা রকম পাথর, মানে গ্রহরত্ন তাঁর সংগ্রহে ছিল। একবার তিনি আমাদের একটা হীরে পাথর উপহার দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু অত দামী পাথর আমরা নিইনি । না করে দিয়েছিলাম। একবার  মিশরীয় এক পরিবারে তিনি একমাস মতোন ছিলেন কাজের সুবাদে। ওই বাড়ির ছোট ছেলেটির হাত দেখে বলেছিলেন, অল্পদিনের মধ্যে তোমার একটা দুর্ঘটনা ঘটতে চলেছে। ওরা তো ভয় পেয়ে যায়। বিপদ থেকে উদ্ধারের পথ কী? দুর্গাদা তাঁর জ্যোতিষ- বিদ্যা মতে কীসব হোম-যজ্ঞ করে ছেলেটাকে একটি তাবিজ পরায়। এর কয়েকদিন পরেই ছেলেটির বাইক দুর্ঘটনা ঘটে। সঙ্গের বন্ধুটি মারা গেলেও ছেলেটি অদ্ভুত ভাবে বেঁচে যায়। দুর্গাদা তখনো সেই পরিবারে অতিথি হিসেবে ছিলেন। কৃতজ্ঞচিত্তে ওই পরিবারের প্রধান কর্তা ব্যক্তি দুর্গাদাকে এই মিশরীয় আঁকিবুকি করা ফ্লাওয়ার ভাসটি উপহার দেন। বলেন, এর মূল্য অসীম। আপনি কখনো এটি বাইরে বেঁচতে যাবেন না। দুর্গাদা বলেন, সে আমি বাইরে বেঁচব না। আপনাদের ভালোবাসার উপহার আমি মাথায় তুলে নিলাম। কিন্তু একথা বললেন কেন, যে এর মূল্য অসীম? তখন তিনি জানতে পারেন, এই ফুলদানিটি সুখ, সৌভাগ্য আর সমৃদ্ধির প্রতীক। এটি এন্টিক জিনিস। তুতেনখামেন অসুস্থতা থেকে আরোগ্য লাভ করে এটি তাদের পরিবারের এক ভেষজ চিকিৎসককে দেন। এমন আরো কিছু উপহার তাদের পরিবারে আছে। যার ঐতিহাসিক গুরুত্ব অসীম। সেই ব্যক্তি আরো বলেছিলেন, এই ফুলদানিটার রঙ পরিবর্তন হয়। সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য অথবা খারাপ সময়ে এর রঙ বদলে যাবে। 
   এসব কথা তুমি কীভাবে জানলে? বিস্মিত তাপস প্রশ্ন করে মণিকুন্তলাকে। এসব কি ডায়েরিতে লেখা ছিল?
  — না না। এসব ডায়েরিতে লেখা ছিল না। একদিন দুর্গাদা গল্প বলেছিলেন। সেদিন তোর বাবা একটু দেরি করেই অফিস থেকে ফিরেছিলেন। তিনি এসে বসে ছিলেন। কথায় কথায় চা খেতে খেতে এসব অনেক গল্প শুনিয়েছিলেন তিনি। যাইহোক, অনেক রাত হল। তোরা এবার গিয়ে শুয়ে পর। 
শুতে এসে সুচন্দ্রা মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখল পাঁচটা মিসড কল। সেই অচেনা নম্বর থেকে। যেহেতু ফোনটা ভাইব্রেশন মুডে ছিল শুনতে পায়নি। বিষয়টাকে কেন যেন পাত্তা দিতে ইচ্ছে করল না সুচন্দ্রার। আবার অসম্ভব বিরক্ত লাগছে। তাপস ঘুমিয়ে পড়েছে। ওর নাক ডাকার শব্দ পাচ্ছে সুচন্দ্রা। যদিও এ শব্দের সঙ্গে সখ্য আছে সুচন্দ্রার। এখন তেমন সমস্যা হয় না আর। সে ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়াল। ঘুম আসছে না। শাশুড়িমায়ের কথাগুলি ভাবছিল। কথাগুলি গল্পের মতোই লাগছে আবার যথেষ্ট ইন্টারেস্টিং। সে দৃঢ়ভাবে নিজেকে বোঝাতে চাইছে, এই রুমাল রহস্যের সঙ্গে ওই ফ্লাওয়ার ভাস ও শাশুড়ির বলা দুর্গাদাস বাবুর ডায়েরির একটা যোগসূত্র আছে। কারণ যারা আজ এসেছিল, সারা ফ্ল্যাট বিছানা-বালিস, আলমারি লন্ডভন্ড করেছে, তারা শাশুড়িমার ঘর থেকে নিশ্চয় ডায়েরিটা পেয়েছে। না হলে ডায়েরিটা কোথায় গেল? আবার সুচন্দ্রা ভাবতে বসল  ব্রাউন রঙের খামে কে সাদা কাগজে দুটো মাছ আঁকা চিঠি ফেলে গেল? এর পর কী হবে? আমরা তো টার্গেট হয়েছি। খুনটুন হয়ে যাবো  না তো? ভাবতেই বুকটা কেঁপে উঠল। 
    এখন বেশ গভীর রাত।  নিস্তব্ধ  চরাচর। কিছুই যেন ভালো লাগছে না সুচন্দ্রার। অস্থির লাগছে। সেই গন্ধটা আবার নাকে এলো ওর। গন্ধটা হঠাৎ কেন হাওয়ায় ভাসছে? কই , এতক্ষণ তো গন্ধটা পাওয়া যায়নি! তাহলে? তাহলে কোথা থেকে আসছে রুমালে লেগে থাকা সেই গন্ধটা?

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত