কবিতাগুচ্ছ
বরণ
শেষ পর্যন্ত তুমি ই আমার কাম্য
তবে এখনই কেন নয়!
মাঝের এই বিরতিহীন বিরতিতে
আমি তোমার দিকেই বয়ে যাই।
আলিঙ্গনে আসতে যতটা দীর্ঘ হবে
তোমার কাল
ততোটা পথে আমার বীজগন্ধে তুমি
চিনে নিও পথ!
তোমাকে না বুঝে এ ঘর ও ঘর ঘুরে
এক আকাশ শূন্য হাতে
এখন আমি মূলে মিশে যেতে যাই
এসো। এসো। এসো।
আমার তেইশ ফুরায় না
আমি আজও তেইশে ই
যে তেইশে কাব্যের বুকের পাজর হয়েছি
পদ্মার তলে শ্যাওলা— মাটির প্রেম দেখেছি।
তেইশের তাপে মন উথলে ওঠে এই সকালেও
তেইশে বাকদত্তা চুল খোলা
তেইশে বসন্ত ভাব জাগা
তেইশে ই কেবল ভুল করে ভুলের প্রেমে পড়া!
তেইশের ঘোরে উড়ছি আজো আরো তেইশ ধরে
তেইশের ঘরে জমা করেছি গোপন আত্মা আহারে!
আমার তেইশ দুলছে আজও
পদ্মার জলে— ধরলার চড়ে
চন্দ্র সভার—আলো আকাশে
মাঝিহীন নৌকার খোলা পাটাতনে
তোমার লুকোচুরি ছোঁয়া-ছুঁয়ি পরানে।
বেহায়া প্রেম
সময় খুব দ্রুত জিতে যাচ্ছে প্রিয়
ধরতে চাইলে ধরো এখন
কিছু কী বলার ছিলো আর বাকি?
বাবার হাতে অভিমান ভুলানো মাছের ডিম
মায়ের হাতে আলু ভাতে ঘি মাখা ধোঁয়া ঘ্রাণ
চলে যাচ্ছে সব, বেরিয়ে যাচ্ছে হাতের মুঠো গলে
মায়ের সাথে পথ না ফুরানো দূরত্ব
স্বপ্নে এসে রোজ মনে করায় বাস্তব
বাবার হাতে সেই বাজারের ব্যাগ
আমার জন্য ফুরিয়েছে বরাদ্দ
তোমার জন্য ঘর পালানো দীর্ঘ রাত
এখনো দেয়নি কোন ঘরের আভাস
ওপরে চাঁদের কলঙ্ক, নিচে কায়া
সময়ের গলায় ফাঁস পরাতে
কতো হব আর বেহায়া?
আমার অন্তর যা চায়
চোখ তুলে তাকাতে পারিনা তোমার দিকে
তবুও তোমার মনের সাড়ে সতেরো লেনের খবর
আমার জানা;
সহ্য করতে পারিনা তোমার তরঙ্গ স্পর্শ
তবুও ত্রীনয়নে যদি কিছু দেখতে চাই সে তোমার মুখের ভরাট ছবি;
ভয় শুধু একটাই তেমার শাওন যামিনী আহবাহ
যদি কিছু অগ্রাহ্য করতে না পেরে বারবার হেরে যাই আমি আমার কাছে; সে তোমার ডাক।
আমি মনে মনে শুধু তোমাকেই জয়ী দেখতে চাই

তার জীবনের স্মৃতিঘেরা শহর পাবনায় জন্ম ৩রা আশ্বিন। বাবার কর্মজীবনের সাথে সাথে ঘুরে বেড়িয়েছেন কখনো শহরতলীতে, কখনো গ্রামাঞ্চলে। বাংলাদেশের নানা স্থানে স্কুল ও কলেজের গন্ডি পেরিয়ে উচ্চ শিক্ষা নেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। লেখার শুরু কলেজ জীবন থেকে। সেসব সীমাবদ্ধ ছিলো বিভিন্ন ম্যাগাজিনে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে এসে তার ব্যপ্তি আরও ছড়িয়ে পড়ে। ছোট কাগজ এবং দৈনিক পত্রিকায় নিয়মিত লেখা প্রকাশ হলেও বই আকারে এবারই প্রথম। শ্রাবণী প্রামানিকের ছোট গল্প, মুক্ত গদ্য, কবিতা, ধারাবাহিক উপন্যাস নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে বিভিন্ন ছোট কাগজ এবং দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য পাতায়।