আজ ২৪ এপ্রিল কবি শাকিলা তুবার শুভ জন্মতিথি। ইরাবতী পরিবার কবিকে জানায় শুভেচ্ছা ও নিরন্তর শুভকামনা।
এপ্রিলের ফুল
এপ্রিল এলেই মনে হয় জন্ম নেবার এখনই সময়
এক নারীর প্রসব সুখে লু্কনো অসুখ
লিকলিকে হাতে স্পষ্ট শিশুর উল্লাস
মনে পড়ে যায়, এপ্রিল আমার জন্মমাস।
কবে যেন মা বলেছিল, যুদ্ধের দিনে জন্ম বলেই
অমনিতর খাপছাড়া তলোয়ার আমি
চশমাটা হাতে নিলে কেবলি দু’টো গোল্লা দেখি, ফ্রেম আঁটা
অথচ নাকি দেহধারনকালে আমার চোখ ছিল বাদামী।
পিতা আর ফেরেননি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে
শোনা হয়নি, ‘আয় খুকু আয়’ বলে কোনো ডাক
তবু এপ্রিল এলেই তেজী এই পুরুষের শার্ট চেপে ধরি আর বলি,
যুদ্ধে যাবি না ছেলে, খবরদার।
এপ্রিল শেষতক দুর্বিনীত বর্ধাপণ দিনের অপর নাম
প্রতি মূহুর্তেই জন্ম নেবার, আঁতুরঘরের গন্ধ শোঁকার অদম্য সময়
এ মাসেই বাকিংহাম প্যালেস ঠিকরে আলো চমকায়
এপ্রিল বড় অদ্ভুত মাস, আমার জন্মমাস।
লুশিয়াস ভ্যানিলা আইসক্রিম
অনেকদিন কেটে গেল রঙহীন ঋতুর সম্ভারে—
যেন ফ্রেমের ছবিরা হাঁটছে অথবা শুনছি টুকরো কিছু কথা
‘তাড়াতাড়ি ফিরিস তুবা, আইসক্রিম জমছে ফ্রিজে’ বা
‘ভেজা চুলে ঘুমোতে নেই মা ঠান্ডা বসে যাবে’।
ধীর পায়ে হেঁটে যায় শীতার্ত রমনী চোখের করিডোরে
একটু হাসি, তীর্যক চাহনী আর বাঁকানো আঙ্গুলে
মুঠো মুঠো অক্ষর গড়িয়ে আসছে কি আমারই দিকে?
ঘরের উপর পোকার বাসা, বুক টান টান ঘাসেরা বাড়ছে
নীচ থেকে রমনী তবু মৃদুস্বরে বলে ওঠে, ‘কেঁদো না মা,
মানুষই এমন ক্রমাগত বিনাশের দিকে যায়’।
এমনি অনেকটা দিন চলে যাবে শোকের কড়া গুণে
শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা অথবা বসন্তে কিই বা যাবে আসবে
প্রতিটি নতুনই তবু ক্লান্তিকর, বিনাশের বার্তাবাহক।
তারপরও যাবে সময় আরো আরো রঙহীন ঋতুর বিরহ নিয়ে।
তহিঁ
রৌদ্রস্নাত রাত
মুদ্রার ঐ পিঠ
প্রেম চাইনি আমি অপ্রেমের দিনেও
কবি