finest jokes collection

দম ফাটানো মজার দুই ডজন হাসির জোকস

Reading Time: 6 minutes

১.

তিন বন্ধু ঘুম থেকে উঠে একজন আরেকজনকে স্বপ্নের কথা বর্ণনা করছে।

প্রথম বন্ধুঃ “জানিস আমি স্বপ্নে দেখলাম, মরুভুমির সব বালি সোনা হয়ে গেছে আর আমি সেগুলোর মালিক হয়ে গেছি।”

দ্বিতীয় বন্ধুঃ “আমি স্বপ্নে দেখলাম আকাশের সব তারা স্বর্ণমুদ্রা হয়ে গেছে আর আমি তার মালিক হয়ে গেছি।”

তৃতীয় বন্ধুঃ “আমি স্বপ্নে দেখলাম এতো কিছু পেয়ে তোরা খুশিতে হার্টফেল করেছিস আর মরবার আগে আমাকে তোদের সব সম্পদ উইল করে দিয়ে গেছিস।”

২.

হাইওয়েতে জলিল সাহেবের গাড়ি আটক করল পুলিশ। কর্তব্যরত সার্জেন্ট ধমক দিয়ে বললেন, ‘ব্যাপার কী? আপনি এত আস্তে গাড়ি চালাচ্ছেন কেন?’
জলিল: রাস্তার শুরুতে দেখলাম, ওপরে বড় করে লেখা ২০। ভাবলাম, এই রাস্তার সর্বোচ্চ গতিসীমা নিশ্চয় ২০। তাই…
 
সার্জেন্ট: ওরে বোকা, এটা ২০ নম্বর রাস্তা। কিন্তু কথা হচ্ছে, আপনার গাড়ির পেছনের সিটে বসা দুজন এমন ভয়ার্ত চোখে চেয়ে আছে কেন? চুল খাড়া হয়ে আছে, দাঁতকপাটি লাগার দশা। ঘটনা কী?
জলিল: না মানে, একটু আগে ২১২ নম্বর রাস্তা দিয়ে এলাম তো!
৩.
অপু এবং নাছের দুই বন্ধু একই অফিসে চাকরি করে। অপু: দোস্ত, কত দিন ধরে ছুটি পাই না। কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছি। কিন্তু বস তো কিছুতেই ছুটি দেবেন না। নাছের: হুমম্। আমিও হাঁপিয়ে উঠেছি। কিন্তু আমি বসের কাছ থেকে ছুটি নিতে পারব, দেখবি? বলেই নাছের টেবিলের ওপর উঠে দাঁড়াল এবং ছাদ থেকে বেরিয়ে আসা একটা রড ধরে ঝুলতে শুরু করল। কিছুক্ষণ পর বস এলেন। বস: এ কী নাছের! তুমি ঝুলে আছ কেন? নাছের খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বলল, ‘স্যার আমি লাইট, তাই ঝুলে আছি।’ বস ভ্রূ কুঁচকে তাকালেন। কিছুক্ষণ ভেবে বললেন, ‘অতিরিক্ত কাজের চাপে তোমার মস্তিষ্ক বিকৃতি দেখা দিচ্ছে। তুমি বরং এক সপ্তাহের ছুটি নাও।’ নাছের অপুর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে রুম থেকে বিদায় নিল। অপু চেয়ে চেয়ে দেখল। নাছের বেরিয়ে যেতেই সেও নাছেরের পিছু নিল। বস: সে কী! ছুটি তো ওকে দিয়েছি! তুমি কোথায় যাচ্ছ? অপু: কী আশ্চর্য! লাইট ছাড়া কাজ করব কী করে?
৪.
বল্টু: দোস্ত আমাকে ২০০০ টাকা ধার দিবি?
৭ দিন পরেই দিয়ে দিবো।
আবুল:এই নে ২০০০ টাকা।
বল্টু: টাকা হাতে পেয়ে,
দোস্ত তুই,আমার অনেক বড় উপকার করলি..
তোর এই ঋণ কোনদিন শোধ করতে
পারবোনা।
২ মাস হয়ে যায় বল্টু আর টাকা দেয় না।
আবুল:কিরে আমার টাকাটা তো আর
দিলি না?
বল্টু:কিসের টাকা?
আবুল:এর মধ্যেই সব ভুলে গেলি?২ মাস
আগে ২০০০ টাকা নিয়েছিস।
বল্টু:তোকে না টাকা নেয়ার সময়েই
বলছি তোর
এই ঋণ আমি কোনদিন শোধ করতে
পারবোনা..
আবার কিসের টাকা
৫.
বিদেশি:তোমরা এই ১টা দেশি প্যান্ট
(পাজামা) কত দিন ধরে পরো?
বল্টু: ১ বছর।
বিদেশী:-ব্যাস ১বছর? তার পর
ফেলে দাও?
বল্টু:না, বৌ এরা ওটা কেটে ছোটো
করে ছেলের
সাইজে করে দেয় আর সেটা ১বছর ধরে
ছেলে পরে।
বিদেশী:তারপর নিশ্চই ফেলে দাও?
বল্টু:- পাগল নাকি! ভালো নতুন পাজামা
কেও ফেলে!
বৌ ওটা কেটে বালিশের কভার বানিয়ে
দেয়
আর সেটা আরো ৬ মাস চলে যায়।
তারপর ঔ বালিশের কভার টা ঘর
মোছার
কাজে লেগে যায় আরো ৬ মাসের
জন্য।
বিদেশী: আর তো দেখছি পাজামার
কিছুই বেঁচে নেই তাই তখন
নিশ্চই ফেলে দাও?
বল্টু:আরে ধুর বাপু, ফেললেই হলো!!
ঘর
মোছা খারাপ হলে সেটা আরো ৬ মাস
জুতো
সাফ করতে কাজে লেগে যায়। তারপর
আরো কিছু
দিন বাইকের সাইলেন্সার চমকাতে কাজে
লাগে
তারপর সেটা হাতে বানানো কাপরের
বল বানিয়ে
চিন্টু (বল্টুর ছেলে) কিছুদিন খেলে। তার পর
যখন
একদম খারাপ
হয়ে যায় তখন উনুন ধরাতে কাজে লাগে,
আর
তার পর সেই ছাই দিয়ে বৌ বাসন মাজে.
জানিনা সেই বিদেশী বাকি কথা গুলো
শুনেছে কিনা কারন বল্টু সব বলে যখন ফিরে দেখলো বিদেশীর দিকে ততক্ষণে সেই বিদেশী অজ্ঞান হয়ে পড়ে ছিল!
৬.
ডাক্তার রোগীকে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বললেন-
ডাক্তারঃ আপনার খাবার সবসময় ঢাকা রাখবেন।
রোগীঃ ঢাকা তো অনেক দূর। কুমিল্লায় রাখলে চলবে না?
৭.
গৃহশিক্ষকঃআমার সঙ্গে সঙ্গে বল, লেখাপড়া করে যে গাড়ি-ঘোড়া চড়ে সে।
ছাত্রঃ স্যার, এই কথাটা ঠিক না।
শিক্ষকঃ কেনো?
ছাত্রঃ কারন, আপনি তো অনেক লেখাপড়া করেছেন! তাহলে আপনি রোজ পায়ে হেঁটে আমাকে পড়াতে আসেন কেন?
৮.
স্যার ক্লাশে সবাইকে ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে রচনা লিখতে দিয়েছেন। সবাই মন দিয়ে লিখে চলছে। ৩-৪ মিনিট পরেই স্যার হঠাৎ দেখেন রন্টি জানালা দিয়ে উদাস নয়নে বাইরের মাঠের দিকে তাকিয়ে আছেন।
স্যার রন্টিকে ঝাড়ি দিয়ে জানতে চাইলেন, ‘এই তুমি লিখছো না কেন?’
রন্টি: স্যার আমার লেখা হয়ে গেছে!
স্যার: মানে? কই তোমার খাতা দেখি?
রন্টি স্যারকে খাতা এগিয়ে দিলেন, স্যার দেখলেন খাতায় লেখা রয়েছে ‘বৃষ্টির কারনে ম্যাচ পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হলো।’
৯.
প্রথম বন্ধুঃ জানিস, আমাদের বাসার সবাই বাথরুমে গান গায়!
দ্বিতীয় বন্ধুঃ স-বা-ই ?
প্রথম বন্ধুঃ সবাই, চাকর-বাকর পর্যন্ত।
দ্বিতীয় বন্ধুঃ তোরা তাহলে সবাই খুব গানের ভক্ত!
প্রথম বন্ধুঃ দূর, তা নয়, আসলে আমাদের বাথরুমের ছিটকিনিটা নষ্ট তো, তাই।
১০.
প্রথম বন্ধুঃ আমার জীবনে একটা ইচ্ছাও পূরণ হল না। তোর কোন ইচ্ছা পূরণ হয়েছে?
দ্বিতীয় বন্ধুঃ হ্যা হয়েছে, ছোটবেলায় স্যারের হাতে চুল টানা খেতে খেতে ভাবতাম চুলগুলো না থাকলেই বুঝি ভালো হত। এখন দেখ, মাথায় একটাও চুল নেই।
১১.

গ্রামের মাতব্বর চিন্তাগ্রস্ত মুখে চা স্টলে বসে আছেন। 

তার এক বন্ধু জিজ্ঞাস করেন – কি ব্যাপার? সব ভালো তো!

মাতব্বর – আর বলিস না! দুই টনের এসি কিনে বাড়ি আনার পর ওজন করে দেখি সেটা মাত্র বত্রিশ কেজি! এভাবে ঠকাবে, আমার ধারণার বাইরে!

 

১২.

১ম বন্ধু : বল তো, একদিন এক রাস্তা দিয়ে একজন দরিদ্র দিনমজুর, একজন গম্ভীর মহিলা, একজন সুপারম্যান এবং একজন বউয়ের ভয়ে ভীত নয় এমন ব্যক্তি হেঁটে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ দেখা গেল রাস্তায় একটা ৫০০ টাকার নোট পড়ে আছে। এখন প্রশ্ন হল টাকাটা কে কুড়িয়ে পাবে?

২য় বন্ধু : অবশ্যই দরিদ্র দিনমজুরটি! কারণ এখানে দিনমজুর ছাড়া বাকি সবকয়টি চরিত্রই কাল্পনিক!

 


আরো পড়ুন: হাসির রাজা-জ্ঞানের রাজা গোপাল ভাঁড়ের মজার গল্প

 

১৩.

ভিক্ষুক ও বাড়িওয়ালার মধ্যে কথোপকথন-

ভিক্ষুক : আম্মাগো, আমারে কিছু ভিক্ষা দেন।

বাড়িওয়ালা : আজকে মাফ করুন।

ভিক্ষুক : আম্মাগো, আইজকা মাপজোখ করতে পারুম না। আইজকা আমি ফিতা আনি নাই!

১৪.

মিতার বাবা মিতার রেজাল্ট কার্ড আনতে স্কুলে গেলেন। স্কুলে গিয়ে মিতার শ্রেণি শিক্ষককে বললেন, ‘মাফ করুন, মিতা মনে হয় এবারও পরীক্ষায় শূন্য পেয়েছে!’

শিক্ষক : না না, আপনি ভুল বলছেন, আপনার মেয়ে এবার স্কুলে বিশেষ এক রেকর্ড করেছে।

বাবা : তাই নাকি! তা কততম হয়েছে আমার মেয়ে?

শিক্ষক : মিতা এবারের পরীক্ষায় এমন এমন লেখা লিখেছে যে সব খাতায় সে ১০০ করে ১০টি বিষয়ে ১০০০ পেয়েছে!

বাবা : শিক্ষকরা কেন তাকে এত নম্বর দিয়েছেন একটু বলবেন?

শিক্ষক : শিক্ষকদের আর কী দোষ! মিতা প্রতিটি খাতায় লিখেছে, দয়া করে আমাকে শূন্যের বদলে যে কোনো নম্বর দিন। তাই আমাদের শিক্ষকরা দয়া করে ১০০ করে ১০০০ দিয়েছেন!

১৫.

একদিন তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী প্রথমদিন পরীক্ষা দেয়ার আগে সব পড়া ভালোভাবে পড়ে ও লিখে গেল। ছাত্রীটি পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফেরার পর মায়ের সঙ্গে কথোপকথন-

মা : তোমার পরীক্ষা কেমন হয়েছে? সব কমন পড়েছে তো।

ছাত্রী : না মা, ভালো পরীক্ষা দিতে পারিনি, কিন্তু খাতায় অনেক কিছু লিখেছি।

মা : যাই হোক, এবার জীবনে প্রথম খাতায় কিছু লিখেছিস, পাস নম্বর তো উঠবেই, তাই না।

ছাত্রী : না মা।

মা : কেন? তুই না বলেছিস অনেক কিছু লিখেছিস?

ছাত্রী : হ্যাঁ, লেখাগুলো ঠিক হয়েছে কিনা তা দেখার জন্য খাতাটি বাসায় নিয়ে এসেছি। আগামীকাল শিক্ষকের কাছে খাতা জমা দিয়ে দেব!

১৬.

আইনস্টাইনের আলোর গতির ওপর ক্লাস হচ্ছে-

শিক্ষক : এই উইন্ডোজ হোসেন বলত, আইনস্টাইন কীভাবে আলোর বেগ পরিমাপ করলেন?

উইন্ডোজ হোসেন : স্যার, আমার যা মনে হয় আলো যেহেতু অনেক বড় জিনিস, মানে বিশাল জিনিস, সেহেতু আইনস্টাইন প্রথমে একটা দুইশ’ গজ ফিতা নিয়েছিলেন, তারপর …

নান্টু : হয়নি স্যার। উইন্ডোজ কী ধরনের গাধা চিন্তা করেন! আরে আলো কি জামা-কাপড় যে ফিতা দিয়ে মাপব! আলো হইল আলুর মতো ভারী। তাছাড়া তখন গজফিতা আবিষ্কারই হয়নি। তাই তখন মাপামাপির কাজে দাঁড়িপাল্লা ছাড়া উপায় ছিল কোনো? বলেন স্যার, আপনিই বলেন?

শিক্ষক : আহা! তোদের কী প্রতিভা! তোরা তো একসময় আইনস্টাইনকেও ছাড়িয়ে যাবি। বাহ্!

১৭.

পার্টিতে এক লোক বসে আছে। একটু পর এক সুন্দরী তরুণী এসে তাকে বলল, ‘আপনি কি নাচতে ইচ্ছুক?’

লোকটি উৎফুল্ল হয়ে বলল, ‘অবশ্যই!’

মেয়েটি এবার বলল, ‘তাহলে চেয়ারটা ছাড়ুন। আমি একটু বসব!’

১৮.

সাকিব এবং রাকিবের মধ্যে কথা হচ্ছে-

সাকিব : রাকিব, তুই আমাকে ঠিক রাত ১০টায় ফোন দিস তো। তোর সঙ্গে কথা আছে।

রাকিব : ঠিক আছে। তুই তাহলে আমাকে ঠিক ৯টা ৫৯ মিনিটে ফোন দিয়ে মনে করিয়ে দিস।

 

১৯.

এক বন্ধু ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে কোনোমতে জীবন রক্ষা করে সুস্থ হয়ে উঠার পর এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা। বন্ধু বলল, ‘দোস্ত, চল রাস্তা থেকে ঘুরে আসি।’

‘না দোস্ত, আমি বাইরে যাব না, সমস্যা আছে।’

‘কেন? কী সমস্যা?’

‘ওই ট্রাকের পেছনে লেখা ছিল, ধন্যবাদ! আবার দেখা হবে!’

 

২০.

এক ছাত্র ক্লাসে বসে ঝিমুচ্ছিল। দেখে শিক্ষক বলল, ‘এই ছেলে, দাঁড়াও! এখন বলো আকবর কে ছিলেন?’

ছাত্র : জানি না স্যার।

শিক্ষক : জানবে কীভাবে? ক্লাসের দিকে একটু মনোযোগ দাও, জানতে পারবে।

ছাত্র : আচ্ছা স্যার, আপনি জানেন পলাশ কে?

শিক্ষক : না, কে উনি?

ছাত্র : স্যার, আপনার মেয়ের দিকে একটু মনোযোগ দিন- জানতে পারবেন।

২১.

আদম শুমারির গণনাকারী এক বাড়িতে লোক গণনা করতে গিয়ে দেখেন এক পরিবারে ৩০ জন ভাই! তাই দেখে গণনাকারী তাদের বাবাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আচ্ছা মুরব্বি, আপনার বাড়িতে ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের লোকজন কোনোদিন আসেনি?’

মুরব্বি উত্তর দিলেন, ‘অনেকেই তো আসেন, তবে সবাই আমার বাড়িটাকে স্কুল মনে করে চলে যান!’

২২.

হাসান : বাবলু, তোর গরম লাগলে তুই কী করিস?

বাবলু : কী আবার করব! এসির পাশে গিয়ে বসে পড়ি।

হাসান : তাতেও যদি তোর গরম না কমে?

বাবলু : তখন এসি অন করি।

২৩.

পাগলা গারদের এক ডাক্তার তিন পাগলের পরীক্ষা নিচ্ছেন। পরীক্ষায় পাস করলে তিনজনকে পাগলা গারদ থেকে মুক্তি দেয়া হবে, কিন্তু ফেল করলেই তিন বছরের জন্য আটকে দেয়া হবে। ডাক্তার তিন পাগলকে একটা জলবিহীন ফাঁকা সুইমিং পুলের সামনে নিয়ে ঝাঁপ দিতে বললেন। প্রথম পাগল তৎক্ষণাৎ তাতে ঝাঁপ দিয়ে পা ভেঙে ফেলল। দ্বিতীয় পাগলটিও ডাক্তারের নির্দেশমতো তাতে ঝাঁপ দিল এবং হাত ভেঙে ফেলল। তৃতীয় পাগলটি কোনোমতেই ঝাঁপ দিতে রাজি হল না।

ডাক্তার উচ্ছ্বসিত হয়ে বললেন, ‘আরে, তুমি তো সুস্থ হয়ে গেছ! যাও, তুমি মুক্ত। তবে একটা কথা বল তো, তুমি পুলে ঝাঁপ দিলে না কেন?’

পাগলটি নির্দ্বিধায় জবাব দিল, ‘দেখুন ডাক্তার বাবু, আমি সাঁতার একেবারেই জানি না!’

২৪.

এক স্কুলশিক্ষক স্কুলের বাইরে বসেছিলেন। এমন সময় তার সামনে কাঁচুমাচু হয়ে একটি ছেলে এসে জানাল, সে নদীতে কুলি ফেলেছে এবং এর জন্য সে ক্ষমা চায়। স্কুলশিক্ষক বললেন, ‘এ আর এমন কি, নদীর পানি সামান্য ময়লা হতে পারে হয়তো, কিন্তু এর জন্য ক্ষমা চাওয়া জরুরি নয়।’

কিন্তু ছেলেটি নাছোড়বান্দা। অবশেষে তাকে দুটো উপদেশ দিয়ে বিদায় করলেন শিক্ষক।

কিছুক্ষণ পর আরেকটি ছেলে এসে নদীতে কুলি ফেলার জন্য ক্ষমা চেয়ে গেল। তারপর আরেকজন। স্কুলশিক্ষক বেশ অবাক হলেন। এমন সময় চতুর্থ জন প্রবেশ করল। স্কুলশিক্ষক বললেন, ‘তুমিও কি নদীতে কুলি ফেলে এসেছ?’

চতুর্থজন রাগে চিৎকার করে উঠল, ‘রাখুন আপনার জ্ঞানের কথা, আমিই কুলি! পাশের রেল স্টেশনে কাজ করি। তিন বদমাশ ছেলে ধাক্কা দিয়ে আমাকে নদীতে ফেলে দিয়েছে। তাদের এদিকে আসতে দেখলাম মনে হয়।’

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>