ইরাবতী
চিকন সোঁতের বুনন জলের আয়নায়
কার যেন ছায়া পড়ে আছে!
কার ছায়া?
তিরতিরে ঢেউয়ের দোলায় ভেসে সফেন
জলের শরীরে শাদারঙ জলছবি তোলে
এক ইরাবতী শুশুকের মতো
অবেলায় অন্ধকারে ভেসে যাও
তুমি!
কোথায় যে যাও?
নিশি-পাওয়া সন্ধ্যায় অসময়ে ডাক দেই,
অসময়ে ডাক দিলে
কেউ তো ফিরে না , জানি।
কেউ তো ফিরে না, তবু,
ঝুরি নামা অশ্বত্থের ছায়াতলে
জয়নুলের দুর্ভিক্ষের কাকের মতো
বসে থাকি অপেক্ষায়,
সামনেই ধু ধু বালুচর
আকাশ উবুড় করা আগুনের মতো
নীলের দহনে পোড়ে, খাগের কলমে
অমৃত অক্ষরে লিখি
“ভালোবাসা”
তোমারই শুদ্ধতম নাম।
আলোকলতা
ফাগুনে জমেছে মেঘ
বন-পলাশে অনল,
তারাদের মতো জুঁই
হিয়ার মাঝারে ফোটে রয়।
চৈতের পাতা- ঝরা ভোর,
দিঠি নিয়ে যায় দোরে, দূর,
যেখানেই রও, যেখানে হারাও
বারুণীর মেলা ধরে হেঁটে
পাতার বাঁশিতে সেধে সেধে
আগত বোশেখে আলোকলতায়
দুজনে দুজনে জড়াবোই।
.
কবি