| 13 ডিসেম্বর 2024
Categories
অনুবাদ অনুবাদিত কবিতা

কাহলিল জিবরানের সাতটি অনুবাদ কবিতা । সব্যসাচী ভট্টাচার্য

আনুমানিক পঠনকাল: < 1 মিনিট

কাহলিল জিবরান (০৬.০১.১৮৮৩ –১০.০৪.১৯৩১) একজন বিশ্বখ্যাত দ্বিভাষিক কবি। আরবী এবং ইংরিজি – এই দুই ভাষাতেই তাঁর কাব্যপ্রতিভা উচ্চ প্রশংসিত। আধুনিক আরবী কাব্যজগত তাঁকে বিংশ শতকের সাহিত্যিক নবজাগরণের প্রাণপুরুষ হিসেবে গণ্য করে। ধ্রুপদী আরবী কাব্য সাহিত্যের প্রভাবকে অস্বীকার করে রচিত তাঁর গদ্য কবিতাগুলি আজও আরবী কাব্যজগত সম্পদ হিসাবেই বিবেচিত হয়। 

লেবাননে জন্মগ্রহণ করলেও জিব্রান তরুণ বয়সে তাঁর পরিবারের সঙ্গে আমেরিকা চলে আসেন। তাঁর শিক্ষাদীক্ষা সেখানেই। তাঁর মরমিয়া মিস্টিক অধ্যাত্মচেতনা, বিশ্বপ্রেম, সর্বধর্ম সমন্বয়ের ভাবনা তাঁকে পাশ্চাত্য কাব্য জগতেও এক বিশিষ্ট স্থানের অধিকারী করে। ১৯২৩ সালে ইংরিজি ভাষায় রচিত ২৬টি কাব্যিক প্রবন্ধের সংকলন The Prophet জিব্রানকে জগতজোড়া খ্যাতি এনে দেয়। সে খ্যাতি আজও অম্লান। 

জিব্রান রচনাসমগ্র থেকে নির্বাচিত ৭টি রত্নখণ্ডের বঙ্গানুবাদ করেছেন শ্রী সব্যসাচী ভট্টাচার্য।


১) 
আমি অনন্তকাল এই বালি আর ফেনার মধ্য দিয়ে হেঁটে চলেছি।
ভরা জোয়ার আমার পদচিহ্ন মুছে দেবে,
দুরন্ত হাওয়া উড়িয়ে নিয়ে যাবে ফেনা,
কিন্তু সমুদ্র আর বালুকাবেলা রয়ে যাবে চিরদিনের জন্য।
২) 
একবারই মাত্র আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম
যখন একজন আমাকে প্রশ্ন করেছিল, 
“কে তুমি?” 
৩) 
মনে পড়া একধরণের দেখা হওয়া।
৪) 
বিস্মৃতিপরায়ণতা একরকমের মুক্তি। 
৫) 
ছায়াপথের জানালাগুলি দিয়ে যে 
নীচের দিকে তাকায়
তার কাছে সূর্য আর পৃথিবীর মাঝের শূন্যতা কোনও
শূন্যতাই নয়। 
৬) 
পাশের ঘরের ঐ দরজাটার পিছনেই আছে নন্দনকানন —
কিন্তু আমি চাবিটি হারিয়ে ফেলেছি,
বা হতেও পারে, আমি ওটি ভুল জায়গায় রেখেছি। 
৭) 
তুমি চোখে দেখতে পাও না
আর আমি শুনতে পাই না, কথা বলতে পারি না —
এসো, আমরা হাতে হাত রাখি
নিজেদের বোঝার চেষ্টা করি। 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত