কান্না চেপে রেখে অসুখ ডাকছেন

Reading Time: < 1 minute

কত সময়েই তো কান্না আসে। কিন্তু সব সময় কি কাঁদা যায়? বরং অনেক সময় অনেকটা পরিশ্রম করেই অশ্রু চাপতে হয়। আর এ জন্য অনেকের চোখে হিরো হয়েও ওঠা যায়। কিন্তু গবেষকরা বলছেন, এ রকম করলে ভয়ানক বিপদ রয়েছে সামনে। সম্প্রতি এক সমীক্ষার রিপোর্টে এমনটিই জানা গেছে।

‘দ্য অকুলার সারফেস’ নামক একটি জার্নালে প্রকাশিত ওই সমীক্ষার রিপোর্টে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। তাতে বলা হচ্ছে, বর্তমান প্রজন্মে লাখ লাখ মানুষ আই ডিজিজের শিকার। গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে মহামারির আকার ধারণ করবে এই রোগ। এতে নারীদের তুলনায় পুরুষের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক বেশি। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, সময়মতো চিকিৎসা না এই হলে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস তো পাবেই, সম্পূর্ণ অন্ধত্বও ঘটতে পারে।



সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, অন্তত ২০ শতাংশ রোগীরই অশ্রু উৎপাদন স্বাভাবিকের থেকে অনেক কম। তবে কি শুধু না কাঁদার কারণে না কি এর পেছনে অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা দায়ী, তা নিয়েও গবেষণা চলছে। তবে বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান দূষণ যে এর পেছনে অনেকাংশে দায়ী তা বলছেন প্রায় সবাই-ই।

সমীক্ষায় তাই বলা হচ্ছে, চোখ বাঁচাতে সতর্ক হওয়া উচিত সবারই।

সেক্ষেত্রে যা যা করতে হবে-



কান্না চেপে রাখা যাবে না। বরং কান্না আসলে তা করাই উচিত, প্রকাশ্যে না হোক অপ্রকাশ্য কোথাও গিয়ে হলেও।
বাইরে থেকে এসে হাত মুখ ধোয়ার সময়ে খুব ভাল করে চোখে পানি দিতে হবে, যাতে চোখে পুরোপুরি পরিষ্কার হয়ে যায়।
ধুলোবালির জায়গায় চলাচল করতে হলে অবশ্যই সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে।
সিগারেটসহ অন্যান্য ধোঁয়া এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।
চোখকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম দেয়া জরুরি বলেও মন্তব্য করেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি খাবারে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড বাড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়।
বাড়িতে সম্ভব হলে এয়ার ফিল্টার ব্যবহার করা উচিত।
শেষ কথা, ছবিতে দেখুন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা কাঁদছেন। ছবিটা যখন তোলা হয়েছে, তখন কাঁদছিলেন তো প্রকাশ্যেই। তাহলে আমি আপনি কোন মহাজন? কান্না আসলে কেঁদে ফেলুন, বুকটা হালকা হবে। আর ওই যে বলছিলাম, চোখের চিকিৎসাটাও হয়ে যাবে।

সূত্র : জি নিউজ

 

 

 

 

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>