নরেশ মেহতা’র হিন্দি কবিতা মা । অনুবাদক: স্বপন নাগ
নরেশ মেহতা
মধ্যপ্রদেশের মালওয়ার শাজাপুর কসবায় কবি নরেশ মেহতার জন্ম ১৯২২ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের এম.এ. কবি দীর্ঘদিন অল ইন্ডিয়া রেডিয়ো, এলাহাবাদে অধিকারী রূপে নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর কবিতা হিন্দি সাহিত্য জগতে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হয় আজও। তাঁর কবিতার চলন, শব্দপ্রয়োগের নৈপুণ্য, বিষয় থেকে বিষয়ান্তরে অবাধ যাতায়াত পাঠককে আকৃষ্ট করে অনায়াস এক আত্মীয়তায়। হিন্দি সাহিত্য পত্রিকা ‘কৃতি’-র সম্পাদনার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন দীর্ঘদিন। ‘অরণ্যা’ কাব্যগ্রন্থের জন্য তাঁকে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। তাঁর সমগ্র কাব্যকৃতির জন্য তাঁকে সাহিত্যের সর্বোচ্চ জ্ঞানপীঠ পুরস্কারেও সম্মানিত করা হয় ১৯৯২ সালে। ‘অরণ্যা’, ‘উত্তরকথা’, ‘এক সমর্পিত মহিলা’, ‘কিতনা অকেলা আকাশ’, ‘চৈত্যা’, ‘দো একান্ত’, ‘ধূমকেতু : এক শ্রুতি’ প্রভৃতি তাঁর উল্লেখযোগ্য বহু রচনার কয়েকটি মাত্র।
২০০০ সালের ২২শে নভেম্বর কবি নরেশ মেহতার জীবনাবসান হয়।
মা
জানি না,
কেননা কখনোই দেখিনি সেভাবে —
তবে যতটুকু
যেখানেই গোবরলেপা ঘর-উঠোন,
যেটুকু
যেখানেই চালগুঁড়োর আলপনায়
প্রতিদিন সেজে-ওঠা চৌকাঠ,
অথবা যতখানি
যখনই ফোড়ন দেবার সময়
মেথি ভাজার সুগন্ধ,
যা-কিছু
যেখানেই দেখি দূর পথের দিকে
আশঙ্কা-ভরা তাকিয়ে থাকা —
সেখানেই,
হ্যাঁ, সেখানেই দেখি মা !!
मां
नरेश मेहता
मैं नहीं जानता
क्योंकि नहीं देखा है कभी-
पर, जो भी
जहाँ भी लीपता होता है
गोबर के घर-आँगन,
जो भी
जहाँ भी प्रतिदिन दुआरे बनाता होता है
आटे-कुंकुम से अल्पना,
जो भी
जहाँ भी लोहे की कड़ाही में छौंकता होता है
मैथी की भाजी,
जो भी
जहाँ भी चिंता भरी आँखें लिये निहारता होता है
दूर तक का पथ –
वहीं,
हां, वहीं है मां!!
অনুবাদক