Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com

চাঁদমারি বনে জোসনার প্লাবনে

Reading Time: 2 minutes
বেলাজ জোসনা
যতই হাত ছানি দিয়ে ডাকো,ঢেউ তুলো সমুদ্রে ও শোণিতে
চাঁদ তোর কলঙ্ক জানে জণে জণে,শুধু তোর বিরহ যানে না
অনুভুতি,নুনুভুতি কিছুই নেই,কেন তোর কলঙ্ক রটায় লোকে
ক্ষুধার জ্বালা মেটাতে রুটি বানিয়ে খায় সুকান্ত
যমুনার জলে বজরায় লিলায় মেতেছিল গুরুদেব
কানু রাধার আশে বাঁশি বাজায় বৃন্দাবনে জোসনা রাতে
প্রিয়ার বিরহে সুরবাঁধে গঙ্গা ধারে জোসনা পহরেও চাঁদ তুই কি জানিস আমার কলঙ্ক কোথায়
চোখে চোখ রেখে মুখের সাথে ঠোঁটে ঠোঁট রেখে
সত্য ও ন্যায়ের তরে  তর্জনী উচিয়ে বলি তুই রাজাকার

নবী ও রাসুলে বিশ্বাসি সুফির জলসায় গীত গাই সর্বেশ্বরের
একাত্তরের প্রাণপণ যুদ্ধে ভাই লড়েছে হানাদারের বিরুদ্ধে
এমনি জোসনা পহর রাইতে চাঁদের আগুনে জ্বালিয়ে দেয় ঘর
মুজিবের নামে মুক্তিযুদ্ধ, লেনিন মার্কসের জ্ঞানে সমাজতন্ত্র
স্বপ্ন দেখা মানুষেরা জোসনার রুপ যৌবনে বিভক্ত বিভ্রান্ত

চন্দ্রাবতীর নীড়ে ছাতিম ফুলের ঘ্রাণে ও চাঁদ ডেকো না
ওখানে সাপ বেজি খেলা করে,রাজ গোকুরো বাৎসায়নে মজে
নারকেল জিঞ্জিরার দ্বীপজলে সর্পিল ঢেউয়ে ,কেয়াবনে,বালুতটে
   উচ্ছল উজ্জ্বল নগ্নরুপে একাকিনী শুয়ে থাকে সবিতা চাকমা
  জোসনা প্লাবনেশরাবনতহুরা সাথে লয়ে ডেকো তবে
কলঙ্কের দায় নিবো মোর গায়

“আমি কুলহারা কলঙ্কিনি” “কল্পঙ্ক আমার ভালো লাগে”সীতার পাশে পুড়ে রাবন

চেতনা প্রেরণার জামানায় মধুচুষা মজনুরা সৈকতের রকে বসে বসে ভিড় জমায়
হই হুল্লোড়ে তোর রুপাগুনে পুড়ে যাওয়া বালুতট ধরে প্রস্থান করি কলঙ্ক সহযোগে
বালুচিকা মায়ায় মরিচিকা জোসনার ঝড়ো হাওয়ায় জ্বলে উঠে একাত্তরের পোড়া ঘা
   দরিয়ার চেতন জোসনার জলে জ্বলে ফসফরাসের আগুন

“আমি সমুদ্রের বিদির্ণ প্রান্তরে ফতুর হওয়া ভালোবাসার ঢেউ গুনি একা, একদম এক

বেদন ফুল

কামিনীর কাছেই দেখেছি সুন্দরের বিভৎস রুপ
কামিনীর কাছেই সমর্পণ করেছি আমার সর্বস্বত্তা

রাতের দরোজা-জানালার সকল কপাট খোলে দি
যুদ্ধংদেহী গতিলয়ে আসে জোসনা প্লাবিত কামিনী

কামনা কাতর লীলা-লাস্যে অস্থির শয্যায় চন্দ্রাবতী
চন্দ্রাবতীর তির্যকযোনি রসের তীব্রতাই চন্দ্রজ্যোতি

চন্দ্রাবতীর মাতাল জোসনা ঝড়ে অবগাহনে অংকুরিত
রজনী ও কামিনীর যন্ত্রণা উৎসারিত সুভাষিত বেদনফুল

ক্যাকটাস

বেদনা উৎসারিত ক্যাক্টাস ফুলের মৌতাতে কবিতার বিজ বুনি হৃদয় বিষাদে চাঁদমারি বনে
কেয়াফলের রসে টলোমলো আঁখিতে আঁকি বেদন ফুলের বিষন্ন  স্কেচ

জোসনা প্লাবিত ঝাউবনের  আড়ালে
কেউ কেউ শুয়েই থাকে আরামে অবসাদে

বেদন ফুলের চিকচিক রুপে চন্দ্রাবতীর কিরণে বিকিরণে জ্বলে ওঠে বিষন্নতার পাঠ
কেয়াবনের আড়ালে গোঙানির শীৎকার ভাসে জোসনার নাচনে

হেমন্তের মৃদুলা বাতাসে তালের রসে মজে গেয়ে ওঠে মুসাফির
“আমায় ভাসাইলি রে আমায় ডুবাইলি রে”

 

 

 

বেদন ভ্রুণ

চাঁদমারি বনে চমৎকার পানসে জীবনও অপূর্ব হয় দুচোয়ানীর চুমুকে 
যামিনীর যবনিকা লগ্নে জীবন মরুর ঘোলাটে চোখে ধুধু বালুচর হোক পুষ্পিত উদ্যান
ভাটফুল হাতে মারমেইড আসে ক্ষতবেদনের জমিনে হৃতযৌবনে
জস উঠে থিরথির কাপে অপার আনন্দের স্বর্গসুখে
শত বছরের শ্রম সাধানায় সমুদ্র তারার বুকে শোভা পায় বেদন ভ্রুণের কলি।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>