| 11 মার্চ 2025
Categories
উৎসব সংখ্যা ১৪৩১

উৎসব সংখ্যা: মীরা মুখোপাধ্যায়’র কবিতা

আনুমানিক পঠনকাল: 2 মিনিট
মাতা হারি
 
কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা বধ্যভূমির অলিতে গলিতে হলুদ ফুলের লতা কেন যে সাক্ষী হয়ে থাকে 
এমন মৃত্যুর !
তার শেষ ইচ্ছে ছিলো মৃত্যুর আগে
সে চোখ বাঁধবে না।
ফায়ারিং স্কোয়াডের একটি বাদে প্রত্যেকটি বুলেট 
তার বুকে,কাঁধে, তলপেটে…
এতো  রক্ত !
তখনও সে  ঠোঁট ভেঙে হাসছিল
তারপর ধুপ করে একটা শব্দ।
 
স্কোয়াডের সবচেয়ে তরুণ সৈন্যটি 
সামান্য লক্ষ্যভ্রষ্ট
 
হলুদ ফুলের লতা শব্দের অভিঘাতে
অল্প কেঁপে, পুনরায় স্থির।
তার খোলা চোখে সেসময় পালা করে
খেলা করছে মেঘ আর রোদ
 
 
*[আজ থেকে ১০৭ বছর আগে ১৫ অক্টোবর ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়েছিল মাতা হারির – যাকে আজও বলা হয় ইতিহাসের সবচেয়ে বিখ্যাত বা কুখ্যাত নারী গুপ্তচর। মাতাহারি। তার কোড নাম এইচ-২১। আসল নাম মার্গারেটা গিরট্রুইডা।মাতা হারি কী ছিলেন আর কী ছিলেন না, তা নিয়ে তাঁর মৃত্যুর একশো বছর পরও বিতর্ক আর গল্পের শেষ নেই।  ]
 
 
 
 
বৃষ্টির বিকেলবেলাগুলো
 
বিকেলগুলোর শরীর জুড়ে কাঁচের মতো বৃষ্টিফোঁটা
অথচ আজ লাল মোরামের রাস্তা ধরে
হাঁটতে  ভীষণ ইচ্ছে হচ্ছে।
ফাঁকা রাস্তা,একা রাস্তা 
অনিচ্ছাতেও বৃষ্টি মাখছে
আজকের এই অকালবৃষ্টি তারও হয়তো পছন্দ না
 
তবু এখন বৃষ্টি হচ্ছে 
গার্লস স্কুলের ছুটি হলো, অনেক ছাতা রাস্তা জুড়ে
বৃষ্টি আগলে পথ চলছে
একটি মেয়ে পা ঘসটাচ্ছে,জুতোর ফিতে সেফটিপিনে…..
 
রেনোয়া কি তাঁর ছবিটি এঁকেছিলেন এমন দিনেই !
 
 
 
 
 
শেষযাত্রা
 
নাহ , এতটা আবেগ নেই যে ভাববো
“Who knows but theworld may end tonight”
এখন থাকেও না, এ এক শূন্যতা আর
ডালপালা ঝরার সময়,
তেমন পাল্টাবে না কিছুই 
একজনই শুধু  থাকবে না
 
আমাদের একসাথে এই যাওয়াটাই শেষ যাওয়া 
ও জানে না,জ্ঞান নেই ,সেরিব্রাল।
ওর মাথা কোলে নিয়ে বসে আছি 
ক্ষীণ নিঃশ্বাস বইছে ,আকাশভর্তি তারা
এ্যামবুলেন্স ভেসে যাচ্ছে এক অলীক সমুদ্রের 
                                                                দিকে 
 
একসাথে আমাদের এই শেষ যাওয়া,
ঠান্ডা আঙুল ছুঁয়ে অনুভব করা
অসাড় মস্তিষ্ক থেকে রক্ত ঝরছে টুপটুপ,টুপটুপ…
এও কী Last ride together নয় !
 
 
 
 
 
error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত