“চার কবুতর চার রং, খোপমে ঢুকলে সে এক্কেরং”:ভূতনি-মহানন্দাটোলা, সেপ্টেম্বর ২০২০
তপোমন ঘোষ
“ডু ইউ থিংক ইউ আর অ্যান অ্যাকটিভিস্ট?ইয়েস অর নো? তোমাকে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছে এবছর মালদার গঙ্গা ভাঙনের উপর পোস্ট এডিট লেখার জন্য… সঙ্গে সাবজেক্ট এক্সপার্ট আর গভর্নমেন্ট অফিসিয়ালদের কমেন্টগুলো যোগ করা… অ্যালংউইথ ডিটেলড স্ট্যাটিস্টিক্যাল ডেটা অ্যান্ড সাইটেশনস… আর সেখানে তুমি ক্যারেক্টারের পর ক্যারেক্টার এনে স্টোরি লিখতে বসেছ! ডোন্ট ফরগেট-তুমি অধ্যাপক, সাংবাদিক, নদীভাঙন বিশেষজ্ঞ-যা খুশি হতে পারো, বাট শ্যুড নট অ্যান অ্যাক্টিভিস্ট, আন্ডারস্টুড?”পীরগঞ্জ পেরিয়ে রতুয়ার দিকে গাড়ি যত এগোচ্ছে, ঋষির কানে ঝনঝন করে বাজছে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের প্রবল ধাতানি,আর সে ভাবার চেষ্টা করছে “মানুষের জন্য রিপোর্ট”, না ” রিপোর্টের জন্য মানুষ”-কোন পথটা সে শেষ লেখাটার জন্য বেছে নেবে?
রতুয়া হয়ে তারা যাবে বালুপুর-তারপর সেখান থেকে নৌকায় মহানন্দাটোলা। ভূতনি-মহানন্দাটোলা আর কাটাহা দিয়ারা মালদা জেলার সেই অঞ্চলগুলোর মধ্যে পড়ে, সেখানে সামান্য বিরতি সহ বাৎসরিক নদীভাঙন নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের মতোই স্বাভাবিক। হয়তো সেজন্যই সংবাদমাধ্যম নিউজপ্রিন্ট বা ফুটেজ-কোনটাই তেমন খরচ করতে চায় না এই এলাকার জন্য। মাথা নেড়ে ঋষির ভুল সংশোধন করে দেন হিমাংশুদা-এবারের সঙ্গী তিনি আর তাঁর স্ত্রী রুমাশ্রী। তাঁর মতে, মিডিয়া চায় ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার ছবি, মানুষের হাহাকারের দৃশ্য-সে ছবি এখানে তারা পাবে কোথায়?এখানে গঙ্গা আর ফুলহার মিলে নিঃশব্দে খেয়ে ফেলতে থাকে উর্বর ফসলী জমি…প্রায় চল্লিশ বছর ধরে ছবিটা একইরকম আছে। কৃষিনির্ভর অর্থনীতিতে অভ্যস্ত স্থানীয় কিষান, বিন্ বা চাঁই মণ্ডলেরা অর্থনৈতিকভাবে সর্বস্বান্ত হয়ে কৃষিভিত্তিক সমাজজীবন থেকে সরে আসছেন, সরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন শ্রমভিত্তিক নগরজীবনে। তিনি যোগ করেন, অনেকে কৃষিনির্ভরতাকে আঁকড়ে ধরতে চেয়ে চলে গেছেন মালদার গাজোল অঞ্চল বা উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার অঞ্চলে, অর্থাৎ কৃষিনির্ভর গ্রামীন এলাকায়-অনেকে আবার একদিক হারিয়ে অন্যদিকে জেগে ওঠা চরে কোনমতে কুঁড়েঘর বেঁধে চাষবাস করে পেট চালানোর চেষ্টা করছেন। ১৯৮৬-৮৭ সাল থেকে অনিয়মিত বিরতিতে এই বাৎসরিক নদীভাঙন এখানকার ভূমিরূপকে এমনভাবে পরিবর্তিত করেছে যে গঙ্গা ও ফুলহারের সংযোগস্থল, পশ্চিম ও পূর্বদিকের গঙ্গারামটোলা ও শ্রীকান্তটোলার দূরত্ব ক্রমাগত কমে আসছে। কাটাহা দিয়ারার পশ্চিমে গঙ্গা আর পূর্বে ফুলহার… ফলে, এই ব্যবধান যত কমছে, বিপদ তত বাড়ছে। এ বছর আগস্টের শেষ থেকে শুরু করে সেপ্টেম্বরের দিকে দিনগুলো যত এগিয়েছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নদীর তল কাটা। সঙ্গে লাগাতার বৃষ্টি নদীর জলস্তর ফুলিয়ে বিপদের মাত্রাকে ক্রমাগত বাড়িয়ে তুলছে, আর এরই ফলশ্রুতি হিসাবে মানিকচকের ভূতনিতে ১১সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেল থেকে গঙ্গাগর্ভে তলিয়ে গেছে কয়েকশো মিটার বাঁধ সংলগ্ন এলাকা। লাগাতার ভাঙনের ফলে একেবারে বাঁধের গোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে নদী-স্বাভাবিকভাবেই গ্রামবাসীদের মধ্যে গ্রামে জল ঢোকার আশঙ্কা ক্রমাগত বেড়েছে। ভাঙনের এই আতঙ্কে মানিকচক ব্লকের হীরানন্দপুর ও উত্তর চণ্ডীপুর অঞ্চলের সংযোগস্থল কেশবপুরের কালটনটোলা এলাকায় কয়েক ঘন্টার মধ্যে কয়েকশো মিটার বাঁধ তলিয়ে যায় জলে। সেচ দপ্তরের তৎপরতা থাকলেও বাঁশ আর বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন রোধের তাৎক্ষণিক প্রয়াস যথারীতি ব্যর্থ হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা যাচ্ছে, মাসখানেক আগে ভাঙনের কথা আগাম মাথায় রেখে ভাঙনরোধের জন্য সেচ দপ্তর মারফৎ প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে ভাঙনরোধের কাজ হয়েছে রাজকুমারটোলা ও টেনুটোলা অঞ্চলে। যদিও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অভিমত, হঠাৎ করে নদীর জলস্তর বৃদ্ধির ফলেই ভাঙনের ঘটনা সামনে এসেছে।
হিমাংশুবাবুর মতো রুমাশ্রীও ভূমিকন্যা। ২০০২-০৩ সালের ভয়াবহ ভাঙনে বাড়ি ভেসে যাওয়ার পর তারা উঠে আসে মালদা শহরে। তারপর অনেক ঠাঁইবদলের পালা পেরিয়ে তারা এখন মালদা টাউনেরই স্থায়ী বাসিন্দা।হাইস্কুল শিক্ষিকা রুমাশ্রী উত্তর ভারতের একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ভূতনি দিয়ারা অঞ্চলের কিষান জনজাতির লোকসংস্কৃতি নিয়ে গবেষণারত। সে জোর দিয়ে বলে, এই বালির বস্তা বা বোল্ডার ফেলাটা লোক দেখানো-এতে কাজের কাজ কিছু হয় না। যেহেতু ভূতনি, মহানন্দাটোলা বা বিলাইমারি পুরোটাই বালিমাটির জায়গা, বোল্ডার বা ক্রেট নিজের ওজনে মাটিতে বসে গিয়ে মাটি বা বাঁধকে একেবারে গোড়া থেকে দুর্বল করে দেয়-ফলাফল সবারই জানা। রতুয়া থানার অধীনস্থ মহানন্দাটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শ্রীকান্তটোলা, মুলিরামটোলা, কান্তুটোলা, বীরুটোলা, আমিরচাঁদটোলা, পটলডাঙা, রাজকিশোরটোলা বা দ্বারিকটোলা;বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গঙ্গারামটোলা, রুহিমারি,নাকাট্টি বা পাশের রাজ্য বিহারের দিনারামটোলা, বাবলাবোনা, খাট্টি,ভোলামারি বা কাতলামারির মতো অঞ্চল অথবা মানিকচকের ভূতনি থানার অধীনে হীরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গৌরাঙ্গটোলা, ডোমনটোলা,বৈকুন্ঠটোলা, নন্দীটোলা, নবরারজায়গির,গোবর্ধনটোলা বাগডুকরা, নতুনটোলা;এমনকি ভূতনির চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু অঞ্চল হয় নিশ্চিহ্ন, নয় তীব্র ভাঙনপ্রবণ। এসব এলাকায় নদীর সঙ্গে লড়াইয়ে মানুষ নিজেদের মতো আত্মরক্ষার চেষ্টা করতে থাকে-আর নদী তাদেরকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে থাকে;এ খেলা চলছে নিরন্তর… রুমাশ্রী জোর দিয়ে বলে, বাগডুকরা বাদ দিয়ে প্রায় সব অঞ্চলে কিষান জনজাতির বাস-প্রতিবছরের বন্যায় সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এরাই, প্রত্যেকবারই প্রতিশ্রুতি ছাড়া আর কিছু তাদের ভাগ্যে জোটে না। শুধু ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে ব্যবহৃত হতে থাকে তারা। সে বলে, পাশ্ববর্তী রাজ্য বিহারে এই জনজাতি এস টি স্টেটাসের অধীনে সংরক্ষণের সুবিধা পায়- অথচ বিহার-বাংলার গা ঘেঁষা সীমান্তের এই মানুষেরা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাতাকলমে এস টি সংরক্ষণের আওতার বাইরে। এ নিয়ে লাগাতার দাবিদাওয়া-আন্দোলনেও কোন কাজ হয় নি।
সব শুনতে শুনতে আবারও অন্যমনস্ক হয়ে যেতে থাকে ঋষি। তার মনে হয়, মানিকচক ব্রিজ আর নাকাট্টি ব্রিজ দিয়ে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত এই ভাঙনপ্রবণ ভূখণ্ড আগামী পাঁচ বছর বাদে কোন অবস্থানে থাকবে? তখন কি আর এক খণ্ডহরের সামনে দাঁড়াতে হবে?হঠাৎ বিনয় মজুমদারের কবিতার লাইন মনে পড়ে যায় তার:”সেতু চুপে শুয়ে থাকে ছায়ার উপরে/ছায়া চুপে শুয়ে থাকে সেতুর উপরে”। রুমাশ্রী বলে চলে তার ব্যক্তিগত ভাঙন অভিজ্ঞতার কথা-২০০২-০৩এর ভাঙনে নন্দীটোলায় তাদের বাড়ি টেনে নেয় গঙ্গা, শুধু মার্কশিট-সার্টিফিকেটের ফাইল বুকে আঁকড়ে ধরে বাড়ির গোয়ালঘরে রাত কাটানোর স্মৃতি তার মনে এখনো টাটকা। ২০০৮এর ভাঙনে জঞ্জালীটোলা গ্রামও এমনভাবেই তলিয়ে গিয়েছিল রাতারাতি। মুঠোখোলা খইয়ের মতো ছিটকে গেছে সেই পাড়া প্রতিবেশী আত্মীয় বন্ধুরা… হয়তো বহুদিন বাদে চেনা শহরের অচেনা আলোর নিচে হঠাৎই মুখোমুখি হয়ে গেছে তারা… প্রাথমিক বিস্ময়টুকু পেরিয়ে প্রথমেই ফিরে এসেছে সেই ভাঙনদিনের প্রসঙ্গ। এই স্মৃতিযাত্রা থেকে কোনদিন বেরোতে পারেনি তারা। সে বলে, গ্রামের বাড়ি থেকে কোনমতে বাঁচিয়ে আনা ইঁট, কাঠ বা অন্য উপকরণ তারা ব্যবহার করেছিল শহরের উপকন্ঠে মাথাগোঁজার ঠাঁই বানানোর জন্য…এভাবেই ভাঙনের স্মৃতি, পুরনো অস্তিত্বের স্মৃতি মিলেমিশে গেছে নতুন বসতের সঙ্গে, নতুন অস্তিত্বের সঙ্গেও,হয়তো…
এর মধ্যে ঘনঘন বেজে উঠছে ঋষির মোবাইল। দুর্বল টাওয়ার লোকেশন পেরিয়ে যতোটুকু সে শুনতে পেরেছে, তা অনেকটা এই:খারাপ হলেও তার স্পেকুলেশন মিলে গেছে-বাঙ্গীটোলার জোতকস্তুরীতে মাঝরাতের পহলে ডিপট্রিজ খুলে গিয়ে নিঃশব্দে পাড় কাটা আরম্ভ হয়েছে;আর ২১ সেপ্টেম্বর তৃতীয় দফার ভয়ংকর ভাঙনে চিনাবাজার-দুর্গারামটোলা অঞ্চল মানচিত্র থেকে মুছে যাওয়ার পথে। অফিস চায়, আর একবার সে তার নিজের টিম নিয়ে স্পট রিভিজিট করে আরো কয়েকটা কিস্তি লিখুক…অনেক অভিনন্দন তাকে, এভাবে অন্য আঙ্গিকে সত্যিটাকে তুলে ধরার জন্য;নয়তো এরকম একটা মিক্সড জঁরের লেখার এত ভিউ বা কমেন্ট হয় না বা সে লেখা এডিটরস চয়েস টানা পাঁচদিন এক থেকে পাঁচের মধ্যে থাকে না,এটা তার একটা নতুন কামব্যাক… ইত্যাদি ইত্যাদি। অন্য ডেস্ক থেকে ফোন করে বলে, নিউজফিড দেখতে-২৩ সেপ্টেম্বরের পার্লামেন্টে উত্তর মালদার এম পি সরব হয়েছেন মালদার নদীভাঙন ও দুর্গতদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে… সবটুকু শোনে ঋষি, শুনে শান্তভাবে ‘না’ করে। ব্যক্তিগত শারীরিক কারণ দেখায়,তার টিম ছিটকে গেছে বলে জানায়…কোনমতে বুঝিয়ে দিয়ে দায় ঝেড়ে ফেলতে চায়।
আসলে, সে পালাতে চায়! সে পালাতে চায় জোতকস্তুরীর সেই জেলের থেকে, যে হাতজোড় করে বলেছিল, “স্যর, অনেক সময় ধরে আমাদের কথা শুনলেন,এবার একটু দেখবেন”… সে পালাতে চায় চিনাবাজার-দুর্গারামটোলায় আলাপ হওয়া সেই জেসিবি চালকের থেকে, গঙ্গার হাওয়াতেও একচান্সে বিড়ি ধরিয়ে সে বলেছিল, “যেমন চাইছেন, তেমন গল্প এখানে শয়ে শয়ে ঘুরে বেড়ায়… আমার বাবা তিনবার ঘর খুলেছে, ওর গল্প একটু বেশি-আর আমি একবার, আমার একটু কম-ফারাক এটুকুই”… সে পালাতে চায় সুখসেনা ঘাটের সেই মাঝির থেকে-সরাসরি আঙুল দেখিয়ে ঋষির স্নিকারের দাম জানতে চেয়েছিলো সে, খানিকবাদে নৌকা বাইতে বাইতে আপনমনে বলেছিল, “খুব শখ ছিল এমন জুতার,পয়সাও করেছিলাম-তা এবার তো আর…”ঋষি ভাবে, অভিজিৎ সেনের গল্পে ভূতনির চরের সেই দেয়াশিনীর কথা;তার বলা ধাঁধায় কি এমনভাবেই সব ভাঙনের গল্পগুলোকে মানবজীবনের সঙ্গে এক জায়গায় মিলিয়ে দিতে চেয়েছিল সে?” চার কবুতর চার রং, খোপমে ঢুকলে সে এক্কেরং-কা হোতে রে ছেউড়া? কা হোতে, বোল! “তার বুকের মধ্যে কে যেন বিশাল চিৎকার করে বলে ওঠে, ” তু হোতে, তু!”
নৌকায় করে ভাঙন দেখতে দেখতে মাঝি গল্প করে, মাছ মারতে গিয়ে হঠাৎ ঘূর্ণিতে দাদু আর নাতির একসঙ্গে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে এই সেদিন… এমন কতো ঘটনা রোজ রোজ ঘটতে থাকে এখানে,যা সাধারণ ‘ঘটনা’ পেরিয়ে ‘দুর্ঘটনা’ হয়ে ওঠে না-খুব ম্যাটার অফ ফ্যাক্ট ভঙ্গিতে আঙুল তুলে জায়গাটা দেখিয়ে দেয় সে।ক্যামেরার ফোকাস ঠিক করতে করতে হঠাৎই ঋষির চোখে পড়ে:চতুর্দিকে জল, তার মধ্যে একটি চরে গুটিকয়েক ভয়ার্ত,দরিদ্র মানুষ একজন মৃতকে অন্য জগতে রওনা করিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াটিকে যত দ্রুত সম্ভব এগিয়ে নিয়ে চলেছে। নৌকায় ওদেরকে দেখে তাদের কাজের দ্রুততা আরও বাড়ে-কোনমতে যেন পালাতে চায় মানুষগুলো! “ফ্যাক্ট অফ ক্যারেক্টার”,না “ক্যারেক্টার অফ ফ্যাক্ট”-কোনটা বেশি জরুরি, সেই ভাবনায় আর লেখা শেষ হওয়ার দমচাপা কষ্টে কন্ঠার কাছে একটা অস্বস্তি নিয়ে ঋষি লক্ষ করে :ডোম বাঁশ দিয়ে সযত্নে পাশ ফিরিয়ে দিচ্ছে দেহটিকে… যেদিকে তার সারাজীবন ধরে বড়ো ব্যথা ছিল!
বিশ্বের সর্বশেষ খবর, প্রতিবেদন, বিশ্লেষণ, সাক্ষাৎকার, ভিডিও, অডিও এবং ফিচারের জন্যে ইরাবতী নিউজ ডেস্ক। খেলাধুলা, বিনোদন, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্য সহ নানা বিষয়ে ফিচার ও বিশ্লেষণ।