Joy Goswami

“না, কবি ঠিক ঈশ্বরও নয়” 
জয় গোস্বামীর সাথে আড্ডা

গ্রন্থণা ও সম্পাদনা : মৃদুল মাহবুব ও আপন মাহমুদ।

[আড্ডাটি এইখানে লিখিত হয়েছে, কবি মৃদুল মাহবুব এর জবানীতে ]

গুলশান ২, হোটেল সেন্টার পয়েন্ট, দ্বিতীয় তলা , রুম নং ১০২। এখানেই ছিলেন কবি জয় গোস্বামী। ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ বই উৎসব উপলক্ষে গত ১ নভেম্বর তিনি বাংলাদেশে এসেছিলেন। অবশেষে তার সঙ্গে আমাদের কথা বলার সুযোগ হলো। যদিও রুমে প্রবেশের আগ পর্যন্ত তার সাথে দেখা হওয়া না-হওয়া নিয়ে আমোদের মধ্যে যথেষ্ঠ সংশয় ছিলো। আমরা আপন মাহমুদ, ফেরদৌস মাহমুদ, জাহানারা পারভীন, মাসুদ হাসান, মাদল হাসান, মাহমুদ শাওন, জিমি, ইফতি জানতে চেয়েছিলাম কবির আত্নজীবনীর অংশ। জয়’দা অন দ্য রেকর্ডে খুব বেশী কথা বলতে রাজি নন। তিনি চেয়েছিলেন সমস্ত আনুষ্ঠানিকতার উর্ধ্বে উঠে স্রেফ গল্প করতে আমাদের সাথে।এমনকি তিনি ছবি তুলতেও বারণ করছিলেন। ফলে এই লেখাটি লিখতে আমাদের স্মৃতির কুয়ো হাতড়াতে হলো। লেখাটি তৈরি করেছি আমি আর কবি আপন মাহমুদ । শূন্যের এই ক’জন কাব্যপ্রেমীর সাথে তিনি মেতেছিলেন এক দীর্ঘ ঘরোয়া আড্ডায়। তাকে ঘিরে যত না প্রশ্ন, যত না রহস্য তার চে’ আরও বেশী রহস্য আর প্রশ্ন রেখে তিনি হঠাৎই  চলে গেলেন….

‍‍”আমি একজন নিয়তি তাড়িত মানুষ। আমার কোন সম্পর্কই টেকে না। সব সম্পর্ক গড়ায় যেনো বিচ্ছেদে দিকে। এমনকি আমার স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক দু’বার ভেঙে যেতে যেতে টিকে গেছে।”

এভাবেই কথা বলে উঠেছিলেন জয়দা। নিয়তি তাড়িত? কোন সম্পর্কই টেকে না? এটা কি আপনি কবি বলেই?

“না , এটা Man to man vary করে। তবু কেন জানি মনে হয় নিয়তি দ্বারা আমি অনেক বেশী তাড়িত।
তাহলে প্রেম? প্রেম কী হয়নি আপনার? ” হয়েছে। মিলনে সুখও আছে।”

আপনি এক সাক্ষাত্কারে বলেছিলেন , “আমার জীবদ্দশার মধ্যে, আমার ব্যক্তিগত জীবনে এবং সমস্ত পৃথিবীতে, এমনকি পৃথিবীর বাইরে যা কিছু ঘটছে সবই আমার আত্মজীবনীর অংশ। আমরা বলতে চাইছি আপনার জীবদ্দশায় অনেক সহিংসু ঘটনা ঘটেছে, অনেক বর্বরতাই পৃথিবীর বুকে অযথাই পা তুলছে। এই সবও কী আপনার আত্মজীবনীর অংশ?

“দেখো, আত্মজীবনীর অংশ বলতে-তো কেবল যাপিত জীবনের অংশ নয়, এখানে সৃষ্ট প্রতিটি ধ্বনি যা আমি শুনতে পাই , তার ভালো মন্দ আমাকে বইতে হয়। শরীরটা আমি বইতে পারি, মনটা পারি না। এখানকার প্রতিটা ঘটনা দুর্ঘটনার ফলাফল মনে নিয়ে, মেনে নিয়ে আমাকে বাঁচতে হয়। এ বড় কষ্টের। আমি অনেক উপর থেকে পড়ে যাওয়া বিচূর্ণ , খন্ড খন্ড …। বিজ্ঞানীরা বলছে ২০৪৬ সালে মহাকাশের একটা উল্কাপিন্ড পৃথিবীকে আঘাত করবে। বিজ্ঞানীরা যদি একে ধ্বংস করার চেষ্টাও করে, আর যদি তার কোন একটা অংশ পৃথিবীতে এসে পড়ে, তবে তার যে ফলাফল হবে তা অকল্পনীয়। তোমরা আমাকে ভুলে যাবে। আর হয়তো দেখা হবে না। আমার বয়স এখন ৫৩। আমি ১০ বছর পর এসেছি। আর আসতে পারবো কিনা জানি না। পৃথিবীর ধ্বংস হওয়াটা আমাকে দেখে যেতে হবে না। এটাই আনন্দের । আমার লেখা হয়তো তোমরা আর পাবে না। আমি আনন্দবাজার ছেড়েছি, ওখানে আমার বইয়ের বিজ্ঞাপনও আর ছাপা হবে না। তোমরা আমাকে খুঁজেই পাবে না। সব জেনেশুনেই আমি আনন্দবাজার ছেড়েছি।”

তাকে বেশ বিষাদগ্রস্থ দেখাচ্ছিলো কথাগুলো বলার সময়।

” একজন লেখক যদি তার মনের কথাই না লিখতে পারলো, তবে আর সে কিসের লেখক।”

লিটলম্যাগে লিখবেন…?

“ওখানকার লিটল ম্যাগের প্রতিষ্ঠান বিরোধীরা আমাকে বেশ্যার দালাল বলে।”

বেশ নির্লিপ্ত ভাবেই তিনি কথাগুলো বলে যাচ্ছিলেন। তার বিষাদগুলো কে তিনি লুকোতেই চেয়েছিলেন বলে মনে হয়।

আশির দশকের পর বাংলা কবিতার কেবলা বাংলাদেশমুখী। এক তরুণ এই বিষয়টি অবতারণা করলে তিনি বললেন,

“কেবলা?”

বোঝা গেলো শব্দটিতে তিনি অভ্যস্থ নন। আমরা তাকে বোঝাতে সক্ষম হই। জয়’দা খুবই আশাবাদী এপারের সাহিত্য নিয়ে।

“বাংলাদেশের সাহিত্য অসীম সম্ভাবনাময়। ‘ দারুচিনি দ্বীপ’ যে চলচ্চিত্রের নাম হতে পারে তা কলকাতায় ভাবাই যায় না। ওখানে অনেকেই তো কাজ করছেন। কই এমন নাম রাখার সাহস তো কারও দেখিনি। তোমাদের এখানে একটা মেয়ের নাম ‘ছোঁয়া’। ভাবা যায় বলো! ভাষার প্রতি ভালোবাসা আছে বলেই ‘ছোঁয়া’ নাম রাখা যায়। এখানে ভাষা দিয়ে অনেক অসম্ভব কে সম্ভব করা যায়। অনেক তরুণের কবিতা পড়লাম এই ক’দিনে। অসম্ভব ভালো লিখো তোমরা। কারণ ভাষার প্রতি তোমাদের তীব্র ভালোবাসা। বাঙলা ভাষাকে তোমরা অনেক বেশী ভালোবাসো। তাই হয়তো সম্ভব হচ্ছে এমন ভালো কবিতা লেখা। “

‘দারুচিনি দ্বীপ ‘ দেখেছেন?

“না।”

কিন্তু আপনাদের মনোভঙ্গি দেখেতো তা মনে হয় না। একটা অবজ্ঞার দৃষ্টিতে আপনারা বাংলাদেশের শিল্প-সাহিতকে দেখে থাকেন। গত বছরের “কৃত্তিবাস” এর এক সংখ্যায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ৫০ বছরের বাংলা কবিতা বিষয়ক গদ্যে, বাংলাদেশের কোন কবির নাম পাওয়া যায়নি। আমরা ঠিক মিলাতে পারি না।

“কোন একজন ব্যক্তি কী লিখলো আর কী লিখলো না তা বড়ো কথা নয়। আর এছাড়া কলকাতার লিটল ম্যাগাজিন আর সাহিত্য পত্রই বলো সবখানে বাংলাদেশের লেখকদের লেখা গুরুত্ব সহকারে ছাপা হয়। আখতারুজ্জামান ইলিয়াস এর বই কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়েছে। আর আমার স্ত্রী সকাল পাঁচটায় উঠে পড়তে বসে। আমি আট্টা সাড়ে আট্টায় উঠি। আমার সেলফে আখতারুজ্জাম ইলিয়াস, সেলিনা হোসেন, তসলিমা নাসরিন , নাসরিন জাহান এদের বই আছে। আমি লেখক বলেই এই বইগুলো আমার কাছে আছে তেমন বিন্তু নয় ব্যাপারটা। আমার স্ত্রী বইগুলো সেখানকার বুক স্টল থেকে কিনেছে। শুধু আমি নই আরও অনেকে বাংলাদেশের বই সংগ্রহ করে এবং পড়ে।”

খুব দৃঢ়তার সাথে এই কথাগুলো বলছিলেন। আমাদের এ বিষয়ে আরও কথা ছিলো। কিন্তু ভেতর ঘর থেকে ফোন বাজছিলো। তিনি উঠে যান। ফিরে এলে আলোচনা অন্য দিকে চলে যায়।

সন্দীপন চট্টোপধ্যায় তো বলেছেন বাংলাদেশে সেই অর্থে কোন লেখক নেই।

“সন্দীপন আনেক বড় লেখক। বিন্তু একজনের ব্যক্তিগত লেখা ধরে একথা বললে তা বড়ো অবিচার হবে। একজনের কথা কী সর্বদা যথার্থ হতে পারে! বাংলাদেশের লেখকদের কে পুরস্কৃত করা হয়েছে কলকাতা থেকে। তবে কি তাদের মূল্যায়িত করা হয়নি? “

এর সাথে তো রাজনীতি জড়িত…..

“দেখো কেনো পুরস্কার কমিটিতে আমি থাকি না। পুরস্কার রাজনীতির সাথে আমি জড়িত নই। ঐ জীবন আমি কাটাইনি। আর যে জীবনের অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে আমি যাইনি, তার মূল্যায়ন আমি কিভাবে করবো? এবিষয়ে আমি কথা বলতে চাই না।”

আবার ফোন। ফলে যা শুরু হয় তা আর শেষ হয় না।

কবি হিসাবে আপনি নিজেকে কিভাবে মূল্যায়ন করেন?

“আমি লিখেছি। নিজেকে মূল্যায়ন করার আমি কেউ নই। পাঠকই আমাকে মূল্যায়ন করবে। নিজের সম্ভন্ধে কী আর বলবো বলো।”

এই তরুণ বয়সে আমারা যেমন আপনাকে অনুভব করি তেমনি আমাদের মত তরুণ বয়সে আপনি কাদের অনুভব করেছেন?

“আমার তেমন কেউ পরিচিত ছিলো না। শঙ্খ ঘোষ কে ভালো লাগতো। শক্তিকেও। তবে সে ভাবে যোগাযোগ ছিলো না। কবিতা পড়ে কবিতা লিখার দিকে আমি আসিনি। জীবনে কোন ঘটনা ঘটলে তা থেকে কবিতা আসে। “

কোন পূর্ববতী কবির কোন প্রভাব কি আপনার উপর ছিলো ?

” দেখো আমি আনন্দবাজারে চাকরী করতাম। এখন যদি প্রশ্ন করো কতো বেতন পেতাম তবে তা কী আর সমিচীন প্রশ্ন হবে। কাউকে যেমন প্রশ্ন করা যায় না আপনার বেতন কত , তেমনি কোন কবিকে প্রশ্ন করা উচিত নয় তার উপর কার প্রভাব আছে। পাঠকই বলবে কাদের আমি অনুসরণ করেছি।”

আপনার প্রিয় কবি কারা?

“রবীন্দ্রনাথ, শঙ্খ ঘোষ।”

তার কবিতা সম্পর্কিত প্রায় প্রশ্ন তিনি এড়িয়ে যেতে চাচ্ছিলেন। তবে কেন, অজানা। এজাতীয় প্রশ্নের উত্তর অতি সংক্ষেপে দিচ্ছিলেন।

সন্দীপনের গদ্য আপনার পছন্দ। আপনার গদ্যে আর কোন প্রভাব….

“আপনারা আবার আমার বেতন জানতে চাওয়ার মত অসমিচীন প্রশ্ন করছেন। এমন প্রশ্ন লেখক কে করা উচিত নয়।”

ছন্দ বিষয়ে কিছু বলবেন?

“এ বিষয়ে মোটামোটা বই আছে। অনেকেই লিখছে, আজকালকার কবিতার ছন্দ কেমন হওয়া উচিত বা কবিতা কেমন লেখা উচিত। আমি দু’একটি পড়েছি। তবে এগুলো কবির কোন উপকারে আসে না। কে কী ভাবে লিখবে তা তার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। কেউ কাউকে বলে দিতে পারে না কবিতা কেমন হবে। তেমনি কবিতা ছন্দে লেখা উচিত কী অনুচিত আমি তা বলার কেউ নই। আমি যখন লিখি তখন আমি জানি না প্রথম লাইনের পর দ্বিতীয় লাইন কেমন হবে। ৫৫ লাইন লেখার পরও জানি না কবিতাটা হয়তো ২০০ লাইনের দীর্ঘ কবিতায় শেষ হবে। লাইন গুলো আসতে থাকে। আমি যখন লিখি তখন লেখা ছন্দ-বদ্ধ ভাবে আসে। লিখে ফেলি। কীভাবে লিখি তা আমার জানা নেই। “

গদ্য ছন্দে আপনার কাজ কম। আপনার প্রথম খন্ডের অসংকলিত কবিতাংশে ‘দেবী’, ‘পুরুষ’, ‘কুষ্ঠ’ কবিতাগুলো গদ্যের ঢঙে লেখা। এমন কাজ আপনার কম।

“একজন কবির কবিতা সম্ভন্ধে বলতে গেলে তার সমস্ত কবিতা পড়তে হবে। তারপর কথা বলতে হবে। আমি যখন কোন কবির কবিতা পড়ি তখন আমি প্রকাশ কাল ক্রমে বই ধরে ধরে পড়ি। আমার মোট ২৪ টি বই প্রকাশিত। সমস্ত হয়তো পড়োনি। পরে আরও ৬টি বই আছে যা সমগ্রের অর্ন্তভূক্ত নয়। আর তোমরা যে কবিতাগুলো কথা বলছো তা গদ্যাকারে সাজানো। কিন্তু খেয়াল করলে দেখবে ওগুলো অক্ষরবৃত্তে সাজানো। কেন বিশেষ ভাবে গদ্যে কাজ করিনি , তার উত্তর আমার অজানা। কাউকে খুঁজে পেতে হলে তাকে অনুসরণ করতে হয়। একটা লাইন লেখার পর পরের লাইনটা কী হবে তা আমার জানা থাকে না। দেখা যায় অপসৃয়তার খেলা চলে। কবি কিছু জানে না তার লেখা সম্ভন্ধে। লাইন আসে আর হারিয়ে যায়। একবার পড়েছিলাম, ‘ আমার মাথায় কবিতার প্লট এসে গেছে।’ পড়ে হেসেছিলাম । কিন্তু প্লট এলে সমস্যা কী। নানা জন নানা ভাবে ভাবে, নানা ভাবে লেখে। এতে দোষের কিছু নেই। এর মানে এই নয় যে ওভাবে কবিতা লেখা সম্ভব নয। আমি কোন প্লট চিন্তা করে লিখি না। ধরো দুজন লোকের একই রোগ। ডাক্তার একই ওষধ দিলো। একজনের সারে আর একজনের সারে না। কারণ দুজনের দেহের কাঠামো এক নয়। তেমনি একজন যা ভাবে আর একজন তা নাও ভাবতে পারে। আর একজনকে যে আরেক জনের মত ভাবতেই হবে, এমন ভাবলে সমস্যা আছে। যে যার মত। আমি জানি না আমি কী লিখবো। আমি পূর্বপরিকল্পনা ছাড়া লিখতে থাকি। বাসে বসে আছি, কেউ কথা বলছে, শব্দ হচ্ছে, টিকিট চেকার টিকিট চাইছে এরই মাঝে হয়তো চার লাইন কবিতা এসে গেলো। বাস থেকে নামলাম, কবিতাটা হারিয়ে গেলো। বাসায় ফিরলাম, বাথরুমের ট্যাপ ছাড়লাম, পানি পড়ার শব্দে আবার কবিতা চলে এলো। লিখতে বসলাম টেবিলে,দু’তিন লাইন লিখেছি, চার নম্বর লাইন লিখছি … দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ , দরজা খুললাম, কেউ হয়তো আমার স্ত্রীকে খুজছে, বললাম বাড়ি নেই, সন্ধ্যায় আসুন, টেবিলে ফিরে এলাম; কিন্তু সেই চতুর্থ লাইনটা হারিয়ে গেছে। ওখানে অন্য একটা লাইন এসে ভর করেছে। এভাবেই লেখা চলতে থাকে। “

ওহি নাজিল হওয়ার মত কি কবিতা আসে আপনার কাছে?

“ঠিক তেমনও নয়।”

নানা গল্পের মাঝে একসময় কথা ওঠে সাহিত্যের নানা তত্ত্ব নিয়ে-

“তত্ত্বের প্রয়োজনীয়তা আছে। মানুষ নিজের অস্তিত্ত্ব কে বাঁচানোর জন্য তত্ত্ব তৈরি করে। সে তত্ত্বে এক একটা পাথরের আড়ালে লুকায়, তারপর হয়তো অন্য একটা পাথরের আড়ালে। তত্ত্বের পাথর দিয়ে সেগুলি ঠেকায়। আর তা না হলেতো সে আর বেঁচে থাকতে পারতো না। কিন্তু কবিতার জন্য তত্ত্বের দরকার নেই। আমার এমনই মনে হয়।”

আপনার মায়ের কথা বলুন।

“মা আমায় আপন মনে থাকতে দিয়েছিলেন। তিনি তাত্ত্বিক ছিলেন না। তাত্ত্বিকরা পৃথিবীকে আপন মনে থাকতে দেয় না।”

“… কই কবি ? কবি সে কোথায় ?/ যে ধরে সহস্রধারা মন ? / যে ধরে সমস্ত ছন্দ ? ধরে / কনিষ্ঠায় গিরিগোবর্ধন ?’ কিন্তু একজন কবির পক্ষে কনিষ্ঠায় গিরিগোবর্ধনের মত একটা পবর্ত তুলে ধরা সম্ভব ? আপনি কি কবি কে অসম্ভব সম্ভব করার কথা বলছেন?”

“ছন্দ বলতে শুধু স্বরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত বা অক্ষরবৃত্ত নয়। জীবনের ছন্দ একজন কবিকে বুঝতে হয়। কৃষ্ণ গিরিগোবর্ধন কনিষ্ঠা আঙুলে শূন্যে তুলেছেন।”

তবে কি আপনি কবিকে ঈশ্বরের সাথে মিলিয়ে ফেলছেন?

“না, কবি ঠিক ঈশ্বরও নয়।”

কৃতজ্ঞতাঃ টিডিএন