| 27 এপ্রিল 2024
Categories
প্রবন্ধ সাহিত্য

সুস্মিতার বইমেলা সুস্মিতার তিনি

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট
সময়ের কলিংবেলে জানুয়ারি বাজছে। জানুয়ারি মানেই ঘর ময় নতুন বইয়ের গন্ধ আর রোজ বইমেলায় বইয়ের সন্ধান জানুয়ারি শেষ তো চলো বাংলাদেশ একুশে বইমেলায়। এবার সেই পরিকল্পনা নেই। বড়দিন চলে গেলো টাকা পয়সা বইয়ের ক্যাটালগ নিয়ে সুস্মিতা বসেনি। অফিস ক্লান্ত বাসু কোনদিন লিখতে পারেনি যদি পারতো, তবে এক জীবন সুস্মিতা লিখতো। গুমট অনেকটা কেটে গেলেও ফাঁকা, নির্জনা একাকীত্ব এখনো কাটেনি। বাসু ফ্রেশ হয়ে দুই মগ কফি নিয়ে ছবির সামনে বসে সুস্মিতা তাকে বলেছিলো, কলকাতার বইমেলা ১৯৭৬ এর ৫-ই মার্চ শুরু হলেও বাংলাদেশের এখন যেটা অমর একুশে গ্রন্থ মেলা সেটা আরো বছর খানেক প্রাচীন। সেটা ১৯৭২ সনের ৮ই ফেব্রুয়ারী।
মাস খানেক ধরে বাসু সুস্মিতার ছবির সাথে কথা বলে, সুস্মিতা তার উত্তর দেয়, কতকথা বলে। বন্ধু ডাঃ শিঞ্চন এটাকে ইলিউশান বলছে কিছু ওষুধ ও দিয়েছে। বাসু এটা ইলিউশান মানতেই চায় না। তবু রুটিন চেক আপ এবং ওষুধ চলছে বাসুর। বুক সেলফ থেকে সুস্মিতার পরশ মাখা মৈত্রেয়ী দেবীর ‘ন হন্যতে’ বইটা বুকে জড়িয়ে বসতেই সুস্মিতা এলো।
-ন হন্যতে পড়বে বুঝি?
-হ্যাঁ।
-তোমার মির্চা ইলিয়াড পড়া হয়নি। ২০০৮-এ উনার জন্মশর্ত বর্ষে তোমাকে যে তার কথা বলেছিলাম তোমার মনে আছে বাসু?
বাসু মনে করতে চেষ্টা করে। চলমান সময় অতীত নদীর সভ্যতার মতো জেগে ওঠে।

-কি মনে করতে পারলে না তো?

আজ থেকে ছয় বছর আগের ধুলোময় বইমেলার ধুলো সরিয়ে কফি মগে চুমুক দেয়। মনে পড়ে যায় ২০০৮ ছিলো দিকপাল মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব বসু ও মির্চা ইলিয়াডের জন্মশত বর্ষ। কলকাতার পত্রপত্রিকা বাকী দুজনকে যতটা আলোকিত করেছিলো ঠিক ততটাই উপেক্ষার আঁধারে এড়িয়ে গেছে। সুস্মিতা হেসে ওঠে যেন। এতটা বাসু মনে রাখবে তা যেন ভাবতেই পারেনি সুস্মিতা।

ক্যালেন্ডারের পাতায় খসে পড়বে আরেকটি সময়কে লালন করে। বাসু কফি শেষ জানালা গলে ঢুকে পড়া নিয়ন আলো আবছায়ায় তাকে ভাবায়; ঐ সময়টায় কি অস্থির সুস্মিতা বার বার বলতো, দ্যাখো বাসু মির্চার জীবন ও কীর্তির কোনও মূল্যায়ন কোথাও নেই অথচ এই শহরের সঙ্গে তার বিশেষ ধরনের একটা সম্পর্ক ছিলো। সেই সম্পর্ক শুধু এই বিদগ্ধ মানুষটির ব্যক্তিত্ব ও বৌদ্ধিক বিকাশেই গুরুত্বপূর্ণ ছিল না, সাহিত্যের ইতিহাসেও একটা ছাপ রেখে দিয়েছে।

বিশ শতকের যে সমস্ত শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবী তাদের স্বকালের এবং পরবর্তী প্রজন্মের চিন্তা ও অনুভবের পথরেখা নির্মান করেছেন, ইলিয়াড তাঁদের অন্যতম একজন। ভারতীয় দর্শনে তার মতো আত্যন্তিক অনুপ্রাণিত পাশ্চত্য মনীষা সম্ভবত আর মাত্র একজনই ছিলেন। মেক্সিকান কবি ও নিবন্ধকার অক্টাভিও পাজ।
ঠান্ডা হয়ে আসা কফিমগে বন্ধু ডাক্তার শিঞ্চন ভাগ বসালো। সুস্মিতার মগটায় শিঞ্চন চুমুক দিক বাসু মনে মনে চাইছিলো না। শিঞ্চন হয়ত বুঝেছিলো, উঠে গিয়ে অন্য মগে কফিটা ঢেলে এসে বসলো।
-তা আজ কি কথা বলছিস তোরা?
বাসু তোরা শুনে খুশি হয়ে বললো,
-মির্চা ইলিয়াড।
-মির্চা মানে সেই মৈত্রেয়ী দেবীর প্রেমিক?
বাসু জানে আজ রুটিন চেক আপের ডেট, তাই শিঞ্চন এসেছে।
-মির্চা নিয়ে তুমি কি কি পড়েছো?
-তুই তো জানিস সুস্মিতা পড়তো, তারপর আমায় গল্পের ছলে বলতো।
-তারমানে মির্চা ইলিয়াড নিয়ে তোর পড়া নেই কোন কিছু?
-ঠিক তা না। ২০০৮-এ ওনার শতবর্ষে সুস্মিতা আমাকে মির্চার লেখা পড়িয়েছে, শুনিয়েছে।
-কলকাতায় মির্চা কেন এসেছিলেন?
বাসু মুচকি হাসে। তারপর একটু থেমে গম্ভীর স্বরে বলে, শিঞ্চন বিশ্বাস কর ইলিউশান নয়। সুস্মিতা আমার কাছে আসে এখনো তোর পাশেই বসে আছে সুস্মিতা। শিঞ্চন পাশে রাখা ছবিটা দেখে একপলক। তারপর এক গহীন নীরবতা। নীরবতা টুকরো টুকরো করে বাসু বলে ওঠে, কলকাতায় মির্চা ইলিয়াড তার দেশ রোমানিয়া থেকে ১৯২৮ সালে এই শহরে পা রাখলেন সংস্কৃত শিখবেন বলে। পুরোদস্তুর গুরুশিষ্যের পরম্পরা মেনে তিনি তালিম নিতে মনস্থ করলেন প্রখ্যাত পন্ডিত অধ্যাপক সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্তের কাছে।
শিঞ্চন ফিরে গেছে অনেকক্ষণ। খাবার গরম করে খেতে বসেছে বাসু। তখনি সুস্মিতার আর্বিভাব, কি বাসুবাবু তারপর আর বলতে পারলেন না। আরে বুদ্ধু তারপরের গল্পটা ভুলে গেলে? বাসু মাথাটা দুই তিন বার সামনের দিকে ঝুঁকালো। সুস্মিতা একঝাঁক পাখির উড়ে যাবার মতো হাসলো আর বলতে লাগলো সেই গুরু সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্তের বাড়িতেই মির্চা থাকতে লাগলেন পেয়িং গেস্ট হয়ে।অনেকটা ঠিক সেই হাম দিল দে চুকে সনম সিনেমার সলমনখান আর ঐশ্বর্যরাই। যাক তেইশ বছর বয়সি এই ছাত্রটি অচিরে অধ্যাপক দাশগুপ্তের ষোড়শী কন্যা ঐশ্বর্য মানে মৈত্রেয়ীর প্রেমে পড়লেন। গুরু যখন টের পেলেন তার এই ইউরোপীয় শিষ্যটির কীর্তি তাকে বাড়ী ছাড়ার আদেশ দিলেন।মির্চা চিরতরে কলকাতা ছেড়ে গেলেন। প্রথমে আশ্রয় নিলেন হিমালয়ে গিয়ে।গবেষণা শুরু করলেন তার যোগ বিষয়ক প্রথম বইটির জন্যে। পরে দেশে ফিরে মৈত্রেয়ীর সঙ্গে তার গভীর সংরাগের বর্ণনা দিয়ে ১৯৩৩ সালে একটা উপন্যাস প্রকাশ করলেন রোমানিয়ান ভাষায়। বইটার আদলে উপন্যাসের আবরণ কিন্তু পরিষ্কার তা প্রায় আত্মজীবনী। এমনকী তিনি মৈত্রেয়ী নামটাও পর্যন্ত রেখে দিলেন এবং বইটির শিরোনাম হল ওই নামে। তীক্ষ্ণধী এই বিদ্বান মানুষটির সাথে কলকাতার আক্ষরিক অর্থেই তিক্তমধুর সম্পর্ক।
মৈত্রেয়ী বইতে মির্চা দাবি করলেন, মৈত্রেয়ীর সঙ্গে তার শুধু রোমান্টিক সম্পর্ক ছিল না, দৈহিক সম্পর্কও ছিল। কোলকাতার অগোচরে রোমানিয়াতে বইটি বেস্ট সেলার হল এবং কথাসাহিত্যিক হিসেবে মির্চা ইলিয়াডের খ্যাতি প্রতিষ্ঠিত হল।
-সুস্মিতা তবে কি খ্যাতির জন্য মির্চা প্রেম কে খাটো করলো? এটা তো প্রতারণা প্রেমকে পন্য করে বড় হয়ে ওঠা সেটা তো প্রেম নয়?
-তা হয়ত নয় কিংবা এই প্রেম লিখেছিলেন বলেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্যারিসে তিনি প্রকাশ করলেন বিশ্বের বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে তার ‘পবিত্রতার তত্ত্ব’। মহতী এই সার্বজনীন তত্ত্ব তাঁকে এক দিব্যদর্শী মনীষায় বিভাসিত করল। অনেকটা ধরো রাধা ছেড়ে আসা কৃষ্ণের বিরহ। কিংবা চৈতন্যের রাধা ভাব। তাই প্রেম কে খাটো করেছেন বলা ঠিক হবে না হয়ত। তারপরের ঘটনা তো আরো রোমহর্ষক। ইলিয়াড যখন ১৯৫৭ সনে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দিলেন তার ও বছর দুই তিন পর তার উপন্যাসের নায়িকা মৈত্রেয়ী দেবী জানতে পারলেন যে মির্চা তাদের প্রনয়সখ্য নিয়ে উপন্যাস লিখেছেন। ইটালিয়ান, জার্মান, ফরাসি এবং স্প্যানিস ভাষায় সে বইয়ের তর্জমা বেরিয়েছে, কিন্তু ইংরেজী অনুবাদ তখনও হয়নি।
গিন কামানি তার ‘অন্তর্ভেদী চোট: মৈত্রেয়ী দেবীর বইয়ের অকথিত নেপথ্যকথা'(A Terrible Hurt:The Untold Story behind the publishing of Maitreyi Devi)নিবন্ধে যা লিখেছিলেন তা আরো বেশি অবাক করা রহস্য’…১৯৭২সাল পর্যন্ত কিছু হয়নি। এই সময় ইলিয়াডের একজন ঘনিষ্ঠ রোমানিয়ান বন্ধু সেরগুই আল জর্ঘ কলকাতায় এলেন। তার কাছে উক্ত দেবী অবশেষে জানতে পারলেন যে ইলিয়াড তার বইতে তাদের যৌন সম্পর্কের বর্ণনা দিয়েছেন। পরে তার এক বন্ধু উপন্যাসটা ফরাসি থেকে অনুবাদ করে দিলেন এবং তা পড়ে তিনি আঁতকে উঠলেন।”
জীবনানন্দের বনলতা সেন কবিতার শেষ কয়েক পংক্তির মতো ১৯৭৩এ মৈত্রেয়ী দেবী রবীন্দ্রনাথের উপর বক্তৃতা দেয়ার জন্য আমন্ত্রিত হলেন শিকাগোতে। মৈত্রেয়ী দেবী গেলেন নদীর সব লেনদেন শেষ করে মির্চার মুখোমুখি বসতে। কলকাতা ছাড়ার চল্লিশ বছর পর দুটি বিচ্ছিন্ন প্রেমিক শিকাগোর নদী পাশে দেখা করলেন। তখন কি কোথাও বাজছিলো ‘আবার দেখা যদি হলো সখা প্রাণের মাঝে আয়’ তা আমাদের জানা হয়না তবে মির্চা কথা দিলেন মৈত্রেয়ী দেবীর জীবদ্দশায় বইটির কোনও ইংরেজী অনুবাদ প্রকাশিত হবে না।
-বাসু, এটা কি প্রেম নয়? এটা কি প্রেম ও প্রেমিকার প্রতি শ্রদ্ধা নয়। এটা কি বৃন্দাবনের ধুলো আঁকড়ে বাঁচা নয়?
ভাব যেখানে গভীর ভাষা সেখানে মূক। শিকাগো থেকে ফিরেই মৈত্রেয়ী দেবী ‘মৈত্রেয়ী’উপন্যাসের জবাবে নিজে ১৯৭৪সনে লিখে ফেললেন তার নিজের দিকের গল্পটা, যে বইটি ‘ন হন্যতে’। এই উপন্যাসে তিনি তার গল্পটা বললেন ভারতীয় পাঠকের কাছে মৈত্রেয়ী পড়ার সুযোগ আসার আগেই।
মৈত্রেয়ী নিয়ে ফরাসী তরুন চিত্রপরিচালক নিকোলাস ক্লোত্‍স বাংলার রাত (Bengal Night) চলচ্চিত্র তৈরী করেন অনেক বির্তক মামলা মোকদ্দমার মাঝে গিনু কামানির লেখা থেকে জানা যায় ভারতবর্ষে একবারই এই চলচ্চিত্রটি দেখানো হয়েছিলো ১৯৮৯সনে ভারতীয় চলচ্চিত্র উত্‍সবে। ১৯৯০সালে মৈত্রেয়ী দেবী মারা যাওয়ার চার বছর পরে একটি আমেরিকান সংস্করণে শেষ পর্যন্ত মৈত্রেয়ীর ইংরেজী অনুবাদ প্রকাশিত হয়। সঙ্গে সহযোগী খন্ড হিসেবে থাকল মৈত্রেয়ী দেবীর জবাবী উপন্যাসটিও। মৈত্রেয়ীর কোন ভারতীয় সংস্করণ কখনো হয়নি।
যতদূর শোনা যায় মির্চা আর কখনো ভারতের মাটিতে পা রাখেননি। যদিও তার আত্মজীবনীতে তিনি ভারতবর্ষ এবং ভারতীয় দর্শন সম্পর্কে গভীর অনুরাগ ব্যক্ত করেছেন, স্পষ্ট বোঝা যায় মানসিকভাবে পরে আর তিনি তার যৌবন অভিযাত্রার দিনগুলোর মুখোমুখি হতে পারেননি। কলকাতার সঙ্গে এইটুকুই তার সম্পর্ক। এইটুকুই সম্ভবত দেবীর মতোই তার মনেও গভীরভাবে রেখাপাত করেছিল। অবশ্য স্রেফ কলকাতা দেখতে আসা, তার মতো উচ্ছল তরুন একজন ইউরোপীয়ের চেয়ে ভারতীয় নারী হিসেবে মৈত্রেয়ী দেবীর ব্যাপারটা অনেক বেশি মর্মস্পর্শী।
-এত কিছুর পর মির্চা কে মনে রাখা কেন?
জানালা গলে ঢুকে আসা মৃদ্যু ঠান্ডা বাতাসে যেন বাসুর চুলে সুস্মিতা বিলি কেটে দিলো।
-দেখো বাসু প্রেম কার বেশি? অবশ্যই মির্চার!
-কেন?
-মৈত্রেয়ী দেবী মরমে জ্বলেননি। মির্চার মরমে মরমে দহন অনেকটাই আমাদের প্রচলিত রাধা বিরহী কৃষ্ণ নয় -ধারনার মতো অথচ রাধার চেয়ে শতগুণ বিরহী কৃষ্ণ, সে কথা তোমায় পরে একদিন শোনাবো।
মির্চা কে যেসব সৃষ্টির জন্য কলকাতা কিংবা ভারতবর্ষ শতবর্ষে উপেক্ষিত না রেখে আলোকিত করতে পারতো তার মাঝে ‘মহাবিশ্ব এবং ইতিহাসঃ শাশ্বত প্রত্যাবর্তনের কথকতা'(Cosmos and History:The Myth of Etemal Return,1954)’পবিত্র ও পার্থিবঃ ধর্মের প্রকৃতি'(The Sacred and the profane:The Nature of Religion,1959)এবং কল্পকথা ও বাস্তবতা,(১৯৬৩)। মির্চা ইলিয়াডের আর ও ডজনখানেক অন্যান্য উপন্যাস ও গল্প সংগ্রহ আছে। শ্রীরামপুরের রাত, বুড়োটা এবং আমলাটি ছাড়াও তিনি তার ভারতের দিনলিপিও প্রকাশ করেছেন। উদাহরণ হিসেবে বলে রাখা যায় যে, তাতে তিনি শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তার সাক্ষাত্‍কারের বর্ণনা দিয়েছেন।
এ ছাড়া তার আরও অনেক দিনলিপি ও স্মৃতিকথা আছে। ভারতবর্ষ তার কাছে অনেকখানি। একই সঙ্গে এখানে ফিরতেও আবার ভয় পেয়েছেন তিনি। তার জন্মশতবর্ষে স্পষ্টবক্তা আবেগপ্রবণ এই মানুষটিকে ভারতের স্মরণ করা উচিত ছিলো।
এল্যার্মের শব্দে বাসুর ঘুমটা ভেঙে যায়। কোথাও সুস্মিতা নেই, পর্দা গলা আলোয় সুস্মিতার ছবির পাশে মির্চা ইলিয়াডের লা নুই বেঙ্গলী আর তার বুকের উপর মৈত্রেয়ীদেবীর ন হন্যতে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত