Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com

প্রায়শ্চিত্ত

Reading Time: 5 minutes

দেখ তো তপা। সবাই খালি নিজেদের পেশা নিয়ে কপচাচ্ছে। অফিস বন্ধ, বেতন কাটা যাবে। দোকান বন্ধ, খাব কি? আরও কত আদিখ্যেতা। কই কেউ তো একবারটির জন্যও বলছে না আমাদের কথা।

ঠিক বলেছো বুচুদা। আমরা খেলাম কি না খেলাম, তা নিয়ে কারো কোনও মাথাব্যথা নেই। এতদিন কাজে বেরোতে না পেরে আমাদের যে কী দুর্দশার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে তা নিয়ে কেউ টু শব্দটি পর্যন্ত করছে না।বুচুর সমর্থনে সরব হয়েছে তপা ওরফে তপন।

শুধু কি তাই? ওই যে ক্লাবের ছেলেগুলো ঘটা করে বস্তিতে এসে কত খাবার দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দিকে একবার ফিরেও তাকাচ্ছে না। আমরা যেন অস্পৃশ্য। অনেকক্ষণ চুপ থাকার পর ফোঁস করেছে পিন্টু। বুচু হচ্ছে ওদের গ্যাং লিডার। তপন, পিন্টু, তৈমুর, সিরাজরা সেই পঞ্চপান্ডব গ্যাংয়ের সদস্য।

ওরা কোনও ওয়াগন ব্রেকার নয়। নয় কোনও স্মাগলার, সুপারি কিলার বা ডাকাত-বাটপার। তাও বুচুর দলবল বলেই লোকে ওদের চেনে। চেনে বলতে রীতিমতো বাঁকা চোখে দেখে বস্তির লোকজন। ওরা হল গিয়ে ছাপোষা ছিঁচকে চোর। টুকটাক পকেটমারিও করে। তা বলে বুচুর ছেলেরা সাধারণ গরিব বা নিরীহ মানুষের ক্ষতি করে না। বেছেবেছে হাড়কিপ্টে, দুনম্বর ব্যবসায়ী, সুদখোর, চিটিংবাজ পাবলিকদের টার্গেট করে ওরা। বিভিন্ন নেটওয়ার্ক থেকেই খবর আসে অমুক দিনে তমুক লোককে বাগে পাওয়া যাবে। ব্যস। কালবিলম্ব না করে গ্যাং অফ বুচু অপারেশন শুরু করে। সেই সমস্ত অর্থপিশাচ, নরকের কিটদের থেকে টাকাপয়সা ঝেঁপে এনে ওরা মোটেই দেদার ফূর্তি বা আমোদআহ্লাদে মেতে ওঠে না। বস্তির হত-দরিদ্র মানুষের হিতার্থে তা কাজে লাগায়।

অসহায় অসুস্থ মানুষের চিকিৎসায় সাহায্য করা, দুস্থ ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনার খরচ বহন করা, অভাবী মেয়েকে সুপাত্রস্থ করা সব ব্যাপারেই অগ্রণী ভূমিকা নেয় বুচুরা। এরজন্য বিস্তর পুলিশি হ্যাপাও পোহাতে হয়। তাতেও কুছ পরোয়া করে না ওরা। সুদখোর পবন পাণ্ডের ওপর মাস কয়েক আগে ওরা এমনই একটা অপারেশন চালিয়েছে। পবন গরিব মানুষগুলোর দারিদ্র ও অশিক্ষার সুযোগ নিয়ে তার সুদের কারবার জমিয়ে তুলেছিল। হরেন পোদ্দারের মেয়ের বিয়ে দিতে হবে। সরকারি চাকরি করা জামাই। হাতছাড়া করা যাবে না কোনওমতেই। আর সেই মওকায় পাত্রের বাপ হেঁকেছে একটা বেশ বড়সড় পণের অঙ্ক। শুধু ক্যাশেই আটকে থাকেনি, পাত্রের জন্য স্কুটার, ফ্রিজ, কালার টিভি সহ আরও বেশ কিছু দাবি চড়িয়েছে। বাধ্য হয়েই দিনমজুর হরেন দ্বারস্থ হয়েছে পবন পাণ্ডের। পবন তো বরাবরই ঝোঁক বুঝে কোপ মারায় ওস্তাদ। এবারেও শিকার সামনে দেখে বেজায় খুশি হয়েছে। মুখে অবশ্য বিষণ্ণতার ভাব ফুটিয়েছে পাকা অভিনেতার মতো।

– হরেনবাবু আপনার এই অবস্থা দেখে হামি খুব দুঃখ বোধ করছি। কিন্তু কি করব বলুন কারবারটাও তো চালাতে হবে। তা আপনি কিছু চিন্তা করবেন না, দু লাখ টাকার অ্যারেঞ্জমেন্ট হামি করিয়ে দেবে। কিন্তু, কিন্তু, তার জন্য…

-তার জন্য কি পবনবাবু? হতাশা ঝরেছে হরেনের কণ্ঠে।

-কিছু না। এতগুলো টাকা দিব, আর তার জামিন কি থাকবে? ভগবান করে আপনি সহিসলামত থাকুন। কিন্তু, যা দিনকাল। তাতে আপনার কিছু হয়ে গেলে এই টাকা হমাকে কে ফেরাবে? পাক্কা শয়তানির সুর পবনের কথায়।

– কিন্তু। আমার কাছে এতগুলো টাকার জামিন কোথায়?” এতক্ষণে ভেঙে পড়েছে হরেন।

-আপনার জিনিস আপনি ভুলিয়ে গেলেন হরেনবাবু? আরে সোনাঝুরির কাছে যে জমিনটা নিলেন।

এবার সব পরিস্কার হয়েছে হরেনের কাছে। সোনাঝুরির আড়াই কাঠা জমিটা হরেনের সারা জীবনের তিল তিল করে জমানো সঞ্চয় থেকে কেনা। ছেলেটা যাতে বড় হয়ে একটা মাথা গোঁজার ঠাই পায় সেজন্য বছর দুয়েক আগে ওই জমিটা কিনেছে। ভেবেছিল মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলে আস্তে আস্তে পাঁচিল দিয়ে ঘিরবে জমিটা। সেদিকেই নজর পড়েছে পবন মহাজনের।

-চুপ হইয়া গেলেন যে হরেনবাবু? পবন ধৈর্য হারাচ্ছে।

-আসলে ওই জমিটা আমার একমাত্র সম্বল। আজ বস্তি বাড়িতে আছি। কাল তুলে দিলে কোথায় উঠব? ছেলেটা তো ভেসে যাবে।

– এতই যখন জমিনের চিন্তা তাহলে মেয়েটার বিয়ে অত ভাল ঘরে দিচ্ছেন কিঁউ? কিস্তিমাত করার দিকে এগোতে চাইছে পবন।

এরকম একটা অবস্থায় পবনের কাছে কটাদিন সময় চেয়ে নিয়েছিল হরেন পোদ্দার। হরেনের এই উভয়সঙ্কটের কথা কানে গিয়েছে বুচুরও। তারপর নিজস্ব স্টাইলে বুচুর দলবল পবনের দোকানে ছাপা মেরেছে। ব্যাটাচ্ছেলে পবন সেদিন কোন এক আত্মীয়ের বাড়ির বিয়েতে গিয়েছিল। ওর কয়েক লক্ষাধিক টাকা ওই দোকানে সিন্দুকবন্দি আছে, এমন খবর ছিল বুচুদের কাছে। ব্যস, সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে সময় নেয়নি। পবনের দোকান থেকে মোট লাখ তিনেক টাকা লুঠ করেছে ওরা। তার প্রায় সবটাই হরেনের তুলে দিয়ে বুচু বলেছে, ” মেয়ের বিয়ের আয়োজনে কোনও কার্পণ্য করো না কাকা।”

অন্যদিকে পবন যখন দেখল তার এতগুলো টাকার সত্যনাশ হয়ে গিয়েছে তখন কাকতালীয়ভাবেই ওই এলাকার এক দাগি দুষ্কৃতী পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছিল। সে নাকি আগের রাতে এলাকার অনেকে বাড়িতে লুঠপাট চালিয়েছিল। বুদ্ধু পবন ভেবেছে তার দোকানে লুঠপাট চালিয়েছে ওই হারামজাদা সেলিম। টাকার শোকে ওর তখন পাগল পাগল অবস্থা। পরে অবশ্য হরেনের মেয়ের ধুমধাম করে বিয়ে হতে দেখে পবন বেশ অবাক হয়েছে। বুঝতেও পারে নি এর পিছনের গল্পটা আসলে কি।

হরেন পোদ্দারকে কন্যাদায় থেকে উদ্ধার করাই শুধু নয়। গরিবের দুখে রবিনহুডের মতো বারবারই ঝাঁপিয়েছে টিম বুচু। এই তো সেদিন পাশের বস্তির রুস্তম শেখের হঠাৎ করে বুকে অসহ্য যন্ত্রণা। যাই যাই অবস্থা। রুস্তম দারুণ অভাবী মানুষ। একটা মাত্র ছেলে। বিয়ে করে কাছেই থাকে। কিন্তু ঘুণাক্ষরেও বাবার দিকে ফিরে তাকায় না। মায়ের বেলাও কোনও দায়িত্ব নেয়নি। রুস্তম এই বয়সেও ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করে। বেঁচে থাকার এটাই একমাত্র হাতিয়ার। আগে একটা কারখানায় কাজ করত। কিন্তু বয়স হয়ে যাওয়ার পর সেই কাজও চলে গিয়েছে। ভিক্ষা ছাড়া খাওয়ার জুটবে না। অশক্ত শরীর নিয়ে সবসময় বেরতেও পারে না। প্রচণ্ড রোদ, ঝড়বৃষ্টিতেও বেরতে পারে না। ফলে মাঝেমধ্যেই খাওয়ার জোটে না। যদিও বুচুদের কানে গেলে রুটি,তরকারি, ভাত-ডাল, মুড়ি-চানাচুর ইত্যাদি নানা জিনিস পাঠিয়ে দেয়। তাও রুস্তম যেচে কোনওদিনই নিজের অভাবের কথা কাউকে বলে না। কিন্তু সেদিন বিকেল থেকেই শরীরটা বড্ড আনচান করছিল। বুকে চিনচিন ব্যাথা। আর হাত ক্রমশ অবশ হয়ে আসছে। আটটার পর আর অবস্থা আরও খারাপ হয়ে উঠল। ঘেমে নেয়ে একসা হয়ে উঠছে। আর ঘন ঘন শ্বাস পড়ছে। তারপরেই বুকে অসহ্য যন্ত্রণা। রুস্তমের মনে হচ্ছিল আজই হয়তো তার শেষ দিন। এত কষ্টের মধ্যেও আল্লাকে স্মরণ করার চেষ্টা করছিল। রুস্তমের আর্ত স্বর শুনতে পেয়েছিল ফচা। ওর দুটো ঘর পাশেই থাকে। ক্লাস নাইনে পড়ে। এ পাড়ার সেরা সরকারি স্কুলে। পড়াশুনায় খুব ভাল। আসলে ফচার বাবার ক্ষমতা নেই ওকে ভাল মাস্টারের কাছে টিউশন পড়ায়। বুচুরাই ফচার টিউশন ফি’র ব্যবস্থা করেছে। ফটিক চাকলাদারকে সংক্ষেপে ফচাও বানিয়েছে ওরাই। মেধাবি ফচা সেদিন রুস্তম দাদুর কাতর কণ্ঠ শুনেই বুঝেছে গুরুতর কিছু ঘটেছে। সবে পল্টু মাস্টারের বাড়ি থেকে অঙ্ক আর সায়েন্স পড়ে ফিরছিল।

দাদুর ওই অবস্থা দেখে বইপত্র সেখানেই রেখে প্রথম ছুটে গিয়েছে দাদুর ছেলে আহমেদের কাছে। বাবার শরীর খারাপ শুনেও আহমেদের কোনও হেলদোল হল না। আর আহমেদের বউ মর্জিনা তো ফচা রীতিমতো দাবড়ানি দিয়ে বলল, ” দেখছিস না টিভিতে শাহরুখ খানের সিনেমা দেখছি। বুড়োর ওসব নাটক অনেক দেখেছি। যা ভাগ এখান থেকে।” এরপর ফচা সোজা বুচুদাদের আস্তানায় চলে গিয়েছে। ওর মুখে সব শুনে বুচুদা সঙ্গে সঙ্গে অ্যাকশনে নেমে পড়ল। পিন্টুকে অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে বলে সিরাজ, তপন, তৈমুরদের নিয়ে চলে গেল রুস্তমদাদুর কাছে। তারপর বৃদ্ধ মানুষটাকে পাঁজাকোলা করে তুলে সটান গলির মুখটায়। অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে পিন্টুও হাজির হয়েছে তৎক্ষণাৎ।

সেই রাতে রুস্তমকে কাছাকাছি সব থেকে ভাল নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়েছিল ওরা। প্রথমে করোনার বাহানায় কিছুতেই ভর্তি নিতে চাইছিল না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুচুদের রুদ্ররূপ দেখে অবশ্য খানিক পরেই মিনমিন করে ভর্তি নিয়ে নেয়। সেই নার্সিংহোমেই প্রায় সপ্তাহখানেক যমে-মানুষে টানাটানির পর রুস্তম পুরো সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। এই কদিনে রুস্তমের ছেলের চেয়েও আপন হয়ে উঠেছে বুচুরা। রুস্তম বারবার বলেছে, ” এই রমজান মাসে তোদের জন্য আল্লার কাছে দোয়া করছি। কোনওদিন কোনও সমস্যায় পড়তে হবে না তোদের।” বুচুরা অবশ্য মনের আনন্দেই তাদের সমাজসেবা চালিয়ে যায়। তাও খারাপ লাগে যখন লকডাউনের বাজারে ক্লাবের ছেলেরা বাড়ি বাড়ি খাবার বিলি করলেও ওদের কটা ঘরের দিকে ফিরেও চায় না।

ওদের ওপর চোরের স্ট্যাম্প লাগিয়ে ক্লাবঘরে মদ তাড়ি গিলে ফূর্তি করে। বুচুরা জানে ওদের পিছনে কোন নেতার মদত আছে। তাও ওরা চুপ থাকে। যাবতীয় অভিমান মনের মধ্যেই চেপে রাখে। কিন্তু যেদিন ফচার ওপর ক্লাবের বদমাইশ ছেলেগুলো ঝাঁপিয়ে পড়েছে, মদের বোতল ভেঙে ওর পেটে ঢোকাতে গেছে, সেদিন মুখে কুলুপ এঁটে থাকতে পারে নি বুচু। লকডাউনের জন্য গৃহবন্দি থাকতে হলেও পড়াশুনায় কোনওরকম খামতি দেয় না ফচা। স্যারদের টিউশনটাও বন্ধ করে নি। সেই ফচাদের বাড়ির সামনেই কয়েকটা ক্লাবের ছেলে নিয়ম করে মদের আসর বসাচ্ছিল। দুনিয়া জুড়ে মদের দোকান বন্ধ। অথচ কোন মন্ত্রবলে পেটি পেটি মদ জুটিয়েছে নরাধামগুলো। শুধু মদ গেলাই নয়, তারপর খিস্তিখেউড়, বস্তির মা-বোনেদের সঙ্গে চরম অকথা-কুকথার বন্যা বইয়ে দিয়েছে। চুপ থাকতে পারে নি ফচা। আর তারপরেই ওর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে ক্লাবের ওই মদখোর ছেলেপুলেগুলো। মদের ভাঙা বোতলটা সবে ফচার পেটে ঢোকাতে যাচ্ছিল সানি বলে বদমাইশটা। ঢাল হয়ে দাঁড়ায় বুচু। ভাঙা কাঁচের বোতল বুচুর পেটে ঢুকে রক্তে রক্তাকার অবস্থা। এতটাই রক্তক্ষরণ হয়েছিল যে ওই অবস্থা থেকে বুচু বেঁচে ফিরবে সে আশা ছেড়ে দিয়েছিল পিন্টু, তপন, সিরাজরাও।

ঠিক এই সময়ই ফরিস্তার মতো মাঠে নেমেছে চশমখোর ডাক্তার সুখেন্দু পাল। অর্থপিশাচ এই ডাক্তারবাবুর চেম্বার বছরখানেক আগেই তছনছ করে দিয়েছিল বুচু বাহিনি। বস্তির মা মরা মেয়ে রূপার অ্যাপেন্ডিক্সের পেন তখন সাংঘাতিক জায়গায়। ডাক্তার সুখেন্দুর অপারেশনের হাত দারুণ। কিন্তু টাকার খাইটাও ততোধিক। মেয়েটাকেও খেদিয়ে দিয়েছে ফিজ মিলবে না বলে। খবর পেয়ে বুচুরা যখন ওকে হাসপাতালে নিয়ে যায় তখন বড্ড দেরি হয়ে গিয়েছে। অ্যাপেন্ডিক্স বার্স্ট করে মারা যায় বেচারি। সেই রাতেই সুখেন্দুর চেম্বার ভাঙচুর করেছিল বুচুদের দল। ডাক্তারও সেখান থেকে পাততাড়ি গুটিয়েছিল। ওরা শুনেছে আশেপাশেই কোথাও ফের চেম্বার শুরু করেছে সুখেন্দু ডাক্তার। কিন্তু বদলে যাওয়া সেই সুখেন্দু ডাক্তারই মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনল বুচুকে। দ্রুত কয়েকটি সেলাই করে আপাতভাবে রক্তক্ষরণ বন্ধ করেছিল সে। তারপর নিজের গাড়িতে করে নার্সিংহোমে। সেই রাতে একটা বড়সড় অপারেশনও হয়েছিল বুচুর। অপারেশন টেবিলে নার্সিংহোমের ডাক্তারকে সমানে অ্যাসিস্ট করেছে সার্জন সুখেন্দু। শেষপর্যন্ত রুস্তম চাচার দোয়া অক্ষরে অক্ষরে মিলে গিয়েছে। রমজান মাসেই প্রাণ ফিরে পেল বুচু। আর হ্যাঁ, বুচুকে বাঁচাতে পেরে ডাক্তার সুখেন্দু পালের অনুশোচনার জ্বালায় খানিকটা মলম তো পড়েছে নিশ্চয়ই।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>