| 29 নভেম্বর 2024
Categories
খবরিয়া

একসঙ্গে ২৫ স্কুলে পড়াতেন তিনি মাসিক রোজগার ১ কোটি

আনুমানিক পঠনকাল: 2 মিনিট

শিক্ষকপদে একটা চাকরির জন্য যেখানে হাজার হাজার কর্মপ্রার্থী হাপিত্যেশ করে বসে, সেখানে একজন মহিলা একসঙ্গে ২৫ জনের চাকরি করেছেন। তা-ও আবার পূর্ণমেয়াদের শিক্ষিকা হিসেবে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। ছাপার ভুল নয়। ২৫ স্কুলেই তিনি বিজ্ঞানের শিক্ষিকা। এ ভাবে এক বছরেরও বেশি সময় অতিক্রান্ত করে, প্রতারণার অভিযোগে তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। বেতন বাবদ আয় করেছেন ১ কোটি! অনামিকা শুক্লা নামে কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষিকাকে যোগীপুলিশ উত্তরপ্রদেশের কাশগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ২৫টি স্কুলই কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের আওতায়।

কাশগঞ্জের প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিক অঞ্জলি আগরওয়াল জানান, এক বন্ধুর মারফত শনিবার শিক্ষা দফতরে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা। ওই বন্ধুকে বসিয়ে রেখে, তাঁকে তত্‍‌ক্ষণাত্‍‌ প্রাথমিক শিক্ষা দফতরে আসতে বলা হয়। পুলিশকে আগেই খবর দেওয়া হয়েছিল। গাড়ি থেকে নামামাত্র অনামিকা শুক্লা নামে ওই শিক্ষিকাকে প্রতারণার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে। এর পর লোকাল থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিশ তাঁকে জেরা শুরু করেছে।

সূত্রের খবর, অফিশিয়ালি বাগপত জেলার কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের পূর্ণ মেয়াদের শিক্ষিকা অনামিকা শুক্লা। সম্প্রতি রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা দফতর শিক্ষিকাদের ডিজিটাল ডেটাবেস তৈরি শুরু করে। তাতেই ধরা পড়ে যায় শিক্ষিকার প্রতারণা। দেখা যায়, একসঙ্গে ২৫টি স্কুলে তিনি চাকরি করছেন।

 

উত্তরপ্রদেশের প্রাথমিক শিক্ষামন্ত্রী ডক্টর সতীশ দ্বিবেদী ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। শুক্রবার বিষয়টি নজরে আসার পরেই ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করা হয়।

উত্তরপ্রদেশে সবমিলিয়ে ৭৪৬টি কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয় রয়েছে। অনামিকা শুক্লার মতো আর কোনও শিক্ষিকা এ ভাবে সেখানে কাজ করেছেন কি না, তা ভালো করে খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট দফতরকে তিনি নির্দেশ দেন। অনামিকার পক্ষে কী করে এটা সম্ভব হল, তা-ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এর পিছনে দফতরের কারও হাত রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, তদন্তে যদি দেখা যায়, দফতরের কারও মদতে অনামিকা শুক্লা ২৫টি স্কুলে চাকরি করেছেন, তবে, সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধেও কঠোর আইনি পদক্ষেপ করা হবে।

রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষামন্ত্রী জানান, শিক্ষকদের উপস্থিতি নিয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ডিজিটালি অ্যাটেন্ডেন্সের ব্যবস্থা চলছে। প্রতিটি স্কুলকে এ জন্য একটি করে ট্যাবলেট দেওয়া হবে। কিন্তু, করোনা লকডাউনের কারণে একটু সমস্যা হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

 

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত