১.
করতোয়ার পুরনো খাঁড়ির পূর্বদিকে একটি গ্রাম। গ্রামের অদূরে একটি রেলস্টেশন আর কয়েকটা প্রায় জন-মানবহীন রেল কোয়াটারের দৌলতে কিছুটা নাগরিক জীবনের ছোঁয়া লেগেছে। গ্রামের প্রবেশ পথেই পুরনো একটি বট গাছ দাঁড়িয়ে। গাছের তলায় এক হনুমান মন্দির, তার পাশেই চৌকিদারের বাড়ি। রাতে চৌকিদার গ্রাম পাহারা দেয়। প্রত্যেক প্রহরে চিৎকার করে — ”জ..য় শ্রী..রা..ম! জ..য় শ্রী.. রা…ম! ঠিক হে… ঠিক হে…”। গ্রামের মানুষেরা ভাবে সব ঠিক আছে। আবার তারা নিশ্চিন্তে ঘুমোয়।
গতকাল রাতে এই গ্রামেই একদল চোর এসেছিল। চৌকিদার কি করছিল কে জানে? চাঁদ-টি তখনও বড়ো হয়ে জ্বল-জ্বল করছিল পশ্চিম আকাশে। সমগ্র গ্রাম ঘুমে ডুবে আছে। গাছের পাতায় টিপ্-টিপ্ করে শিশির পড়ে গড়িয়ে পড়ছে মাটিতে। রাস্তার সাপ্লাইয়ের কলের ভাঙা মুখ থেকে তখনও এক-দু’ফোঁটা করে জল পড়ছে। এই শীতের রাতেই কলের ধারের ডুমুরগাছের ফুলগুলি ফুটে তৎক্ষণাৎ ফলে পরিণত হয়ে গেল কেউ দেখতে পেল না। কেবলমাত্র একটি কাঠঠোকড়া যাকে এই অঞ্চলে কাঠকুঠালি বলে সবাই জানে, সে পেটে দু-তিনটে ডিম নিয়ে বাসা বানানোর তাগিদে গ্রামের ত্রিসীমানার মাঝে অনাথের মতো বড়ো হওয়া ঘোড়া নিম গাছটার ওপর বসে একটা পচা ডালের গোড়ায় ঠক্-ঠক্ করে যাচ্ছে তার শক্ত ঠোঁট দিয়ে। সে সব দেখেছে কারা এল গ্রামে আর কারা গেল।
‘দিন আনা দিন খাই’ রামুর একমাত্র গাভীটিকে নিয়ে গেছে চোরের দল। চুরি যাওয়া পর থেকে গ্রাম জুড়েই হই-হুল্লোর-চিৎকার আর কিছু অনুশোচনা। কথায় আছে চোর গেলে বুদ্ধি বাড়ে। গ্রামের লোকের বুদ্ধিগুলো চোর যাওয়ার পর বাড়তে শুরু করেছে। সকালবেলা সালিশী সভার মতো কিছু একটা বসেছে। বুদ্ধি-বাড়া চক্রবর্তী-পাল-নন্দী-মন্ডল-রায়বাবু-রা সকলেই গোল হয়ে বসে আছেন। নন্দীবাবুর ভুড়িখানা দেহের তুলনায় একটু বেশিই বেড়েছে, চক্রবর্তী মশাই রোগা আর পালবাবু লম্বা। লোকে বলে পাল বাবু ‘অশ্বা পুরুষ’।
– চৌকিদার কোথায়? পাল বাবু দাঁড়িয়ে হাঁক দিলেন।
খাকি নোংরা জামা আর ধুতি পরা বয়স্ক চৌকিদার ভিড়ের মধ্যে থেকে এসে সকলের মাঝে ফাঁকা জায়গাটাতে দাঁড়াল। চৌকিদারের মাথার চুলগুলোতে যেন কত জন্ম ধরে এক ফোঁটা তেল পড়েনি। রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে প্রাণ হারিয়ে ফেলেছে। গলায় তুলসীর মালার কিছুটা অংশ দেখা যাচ্ছে। সামনের পাটির দাঁতগুলোও যেন নড়বড়ে, পড়বে পড়বে করছে। শীর্ণ শরীরটা দেখে বয়সের ভারে নূজ্য মনে হলেও ভেতরে যে একটা কই মাছের প্রাণ লুকিয়ে আছে তা আন্দাস করা যায় তার চোখের জ্বল-জ্বল করা দৃষ্টি থেকে। চৌকিদারী করতে করতেই সে দু’কুড়ি বছর কাটিয়ে দিয়েছে।
– কাল রাতে কী গাঁজা খেয়ে ছিলি? হারামজাদা…!
– সারাদিন হাড়ভাঙা খাটুনি যায় বাবু! রাতে হঠাৎ একটু চোখ লেগে গিয়েছিল। আর চৌকিদারী করে কি পেট চলে? ক্ষেত-খামারিও করতে হয়! চৌকিদার উত্তর দিল।
– যা আজ থেকে আর চৌকিদারী করতে হবে না। ভালো করে ঘুমা গিয়ে!
এটা ছিল পাল বাবুর আদেশ। নন্দীবাবু তো রেগেই খুন। চটে গিয়ে বললেন,
– এর একটা বিহীত করা চাই চক্রবর্তী মশাই? আর কতদিন? শুনি? এখন গোরু নিচ্ছে দু’দিন পরে মেয়েছেলে টেনে নিয়ে যাবে? এই বলে রাখলাম!
– ঠিক!… রাস্তা একটা বের করতেই হবে। চক্রবর্তী মাথা নেড়ে বললেন।
– রাস্তা একটাই আছে! হাতে হাতে রামদা নাও আর রাতে বেরিয়ে পড়ো পাহারায় । ধরতে পারলেই মুণ্ডুটা আলগা করে দাও!
নন্দীবাবুর এই কথায় সকলেই সায় দিল। সকলে এক সাথে বলে উঠল,
– ঠিক! ঠিক!
– রামু কোথায়? রামু…!
চক্রবর্তী মশাই রামুর খোঁজ করলেন।
– রামু আসে নি চক্রবর্তী মশাই!
ভিড়ের মাঝখান থেকে একজন জবাব দিল।
– আসে নি মানে? ‘যার বিয়ে তার হুস নাই আর পাড়াপড়শির ঘুম নাই।’ ডাক্ এখনি ..!
নন্দীবাবু হাক-ডাক শুরু করে দিলেন। নন্দী বাবুকে সকলে ভয় করেন। নন্দীবাবুর ভুঁড়ি যেমন বেশি তেমনি ধন-সম্পদও বেশি। বৌ মরেছে অনেককাল হল। এক বিধবাকে আশ্রয় দিয়েছেন বাড়িতে। বিধবাটিই তার দেখাশোনা করে। স্নানের জল গরম করে দেয়, গা-ও টিপে দেয়।
মিনিট দশেক পরে রামু এল। রামুকে দেখে নন্দীবাবু আরও চেতে উঠলেন।
– বলি গাভী কী আমার চুরি গেছে? — নাকি তোর?
– আমার!
– তবে?
– চুরি গেছে ভালো হয়েছে?
রামুর এ কথা শুনে সকলের চোখ কপালে।
– বলে কী রে হারামজাদা!
– চুরি গেছে আমি খুশি হয়েছি। অন্তত চোখের সামনে তো মরতে দেখবো না! সেদিন এক পাঞ্জা খড় আনতে গিয়েছিলুম পালবাবুর বাড়ি। মস্ত বড়ো বড়ো তিনটে খড়ের পুঁজি অথচ একমুঠো খড় দিলে না, উল্টে বলে কি-না খাওয়াতে পারিস তো রেখেছিস কেন? বেঁচে দে!
– চুপ শালা! তা ঠিকই তো বলেছে। খেতে দিতে পারো না তো পোষো কেন।… চক্রবর্তী মশাই এ শালার তো মতলব ভালো ঠেকছে না! কি বলেন? দেব নাকি পুলিশে নালিশ করে?– নন্দী বাবু বললেন।
– হারামজাদা তো আচ্ছা বেয়াদপ! চক্রবর্তীও সায় দিলেন।
রামুও ছাড়ার পাত্র নয়। সেও মুখে মুখে তর্ক করতে লাগল।
– বলছি চুপ করবো কেন? তখন কারও চোখে দয়া দেখিনি! এখন দয়া উতলে উঠেছে। আর পুলিশের ভয় আমায় দেখাবেন না!
সন্ধ্যায় পুলিশ এসে কোমড়ে দড়ি পরিয়ে নিয়ে গেল রামু কে। কেউ কোনও টু শব্দটি করল না। আর সমস্ত ঘটনার সাক্ষী কাঠকুঠালিটিকেও কেউ কিছু জিজ্ঞেস করল না। এর আগে বিচার সালিশে কাঠকুঠালিটির মতামতও নেওয়া হত। এ যাত্রায় তাকে কেউ ডাকল না। রামুর কুকুরটা শুধু এসব দেখে শুনে ঘেউ-ঘেউ করতে লাগল। কাঠকুঠালিটি চুপ করে বসে দূরে করোতোয়ার দিকে তাকিয়ে শুধু ভাবছে। সন্ধ্যে হয়ে আসছে, জোনাকিরা আলো হাতে বের হতে শুরু করেছে। চিন্তিত কাঠকুঠালি সিন্ধান্ত নিল,
– এ গ্রামে আর থাকবো না!
পরদিন সকালবেলা কাঠকুঠালি এ গ্রাম ছেড়ে উড়ে গেল পশ্চিমের গ্রামে।
২.
কাঠকুঠালিটি এপারের গ্রামে এসে ছাতিম গাছে খোড়লে আশ্রয় নিয়েছে। গ্রামের একপাশে ছোট্ট বাজার, দুটো মুদির দোকান, একটা কামারশালা, একটা দুটো করে মাছ-মাংসের দোকান। গ্রামের পূর্ব দিকটায় একটা পুরনো মসজিদ, সংস্কারের অভাবে ধুঁকছে। আর সেখান থেকে আরও কিছুটা পূর্ব দিকে হাঁটলে করতোয়ার সেই পুরনো খাঁড়ি। কুড়াগুলোতে সারা বছর ধরে কিছুটা করে জল থাকে। তার ওপর দিয়েই বাঁশের সাঁকো। এই সাঁকো দু-গ্রামে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। এ সাঁকো বেয়েই এক গ্রামের লোক অারেক গ্রামে যায় কাজের খোঁজে। বর্ষায় খাঁড়িতে জল জমলে প্রচুর মাছ হয়। দু-গ্রামের লোকেরা মাছ ধরতে দু-পার থেকে বর্শি ফেলে। এপারের মাছ ওপারের বর্শির টোপ খেয়ে আসে, ওপারের মাছ এপারের বর্শির টোপ খেয়ে চলে যায়। আবার জল কমে গেলে শীতকালে দু-পারের চাষীরা বোরো ধান বোনে। বোরো ধান তুলতে তুলতেই আবার জল জমতে থাকে। মরা নদী আবার ভরে ওঠে। দু-পারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
একদিন খাঁড়ির ওপর বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে ফটোবিক্রেতা শঙ্কর গ্রামে আসে। বাজারের এক কোণে সে দোকান সাজিয়ে বসে। দড়িতে ঝুলিয়ে দেয় রবি ঠাকুর, হাওড়া ব্রীজ, তাজমহল, লালকেল্লা, হনুমান, রাম-লক্ষ্মণ-সীতা, গনেশ ঠাকুরের ছবি। আর মাটিতে কাগজের ওপর সাজিয়ে রাখে শ্রীদেবী, শিবলিঙ্গ, শক্তিমান, ধর্মেন্দ্র- জীতেন্দ্র- মিঠুন-অমিতাভের ছবি। ছোটো-ছোটো ছেলেরা ছবি দেখতে ভিড় জমিয়েছে। বেশ মজা করেই ছবিগুলো দেখছে। কিছুক্ষণের মধ্যে কয়েকজন লুঙ্গি টুপি পরিহিত লোক ছুটে এসে বলল,
– কই দেখি, আমরাও ছবি দেখব?
তারা বাচ্চা শিশুদের সরিয়ে দিয়ে ছবি দেখতে লাগল।
– বেশ! বেশ! – তারপর? তারপর?
আর দেবদেবীর ছবিতে চোখে পড়তেই একটি লোক তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠল।
– এসব কী? যত্তসব বিধর্মীদের দেবদবতা! এগুলো দেখে কী শিখবে এরা?
শঙ্কর নিজের সাফাই হিসেবে কিছু বলতে যাবে তখনই আর একটি লোক চিৎকার করে উঠে,
– চোপ!
একজন কিছু ছবি দু’হাতে টান মেরে ছিঁড়ে ফেলে।
– কোনো কথা শুনতে চাই না। ভালো চান তো বেরিয়ে যান গ্রাম থেকে। আর যেন কখনও না দেখি এ গ্রামে।
শঙ্কর ধীরে ধীরে বাকি ছবিগুলো গুটিয়ে নিয়ে বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে ওপারে চলে গেল।
বিকেলে সালিশীসভা বসল গ্রামে, লোক জমে উঠল। সিদ্ধান্ত হল গ্রামে এসব লোক প্রবেশ করতে যেন না পারে সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে সবাইকে। খাঁড়ির ওপর সাঁকোও ভেঙে দেওয়ার কথা উঠল। সকলেই মত দিল,
– তাই হোক! তাই হোক।
– ছোটো ছেলেরা ধর্ম-অধর্মের কি বোঝে হুজুর! ওরা তো শুধু ছবি দেখে আনন্দ নিয়েছে।
লালন নামের একটি তরুণ কথাটি তুলল।
– চুপ কর লালন! তুই ধর্ম-অর্ধমের বুঝিস কি? তোর মনে দরদ থাকলে ওই গ্রামে গিয়ে বাস কর!
হুজুর হুংকার ছাড়লেন। লালন চুপ করে গেল।
খাঁড়ির ওপর সাঁকোখানা ভেঙে গেল। ছাতিম গাছের খোড়লে বসে কাঠকুঠালিটি আবার সব কিছু দেখল। এবারেও তাকে কেউ ডাকল না। আগেরবার গ্রামে আগত নতুন অতিথি হিসেবে তাকে দু-একবার ডাকা হলেও এ যাত্রায় কেউ কাঠকুঠালির নামও নিল না। কাঠকুঠালিটি আবার চিন্তিত হয়ে পড়ল। কী করবে ভাবছে সে। শেষটায় তার সিদ্ধান্ত,
– যা! এ গ্রামেও থাকব না!
আবার সে উড়ে গেল।
৩.
পূবের গ্রামটি ত্যাগ করেছে এবার পশ্চিমের গ্রামটিও ত্যাগ করল। দু’গ্রামের সীমানার বাইরে কিছুটা উত্তরে এক বিশাল আকারের শিমুলগাছের ডালে কাঠকুঠালি আশ্রয় নিয়েছে। ডিম দিয়েছে, ডিম ফুটে বাচ্চাও হয়েছে। বাচ্চাগুলো বেশ বড়ো হয়ে উড়ে বেড়ায় এদিক-ওদিক। করতোয়ার চরে খুঁটে খুঁটে কীতপতঙ্গ খায়, গোরুর পিঠে বসে দোল খায়, নদীর জলে স্নান করে পাখা মেলে দেয়, আবার সন্ধ্যের আগেই তাদের আস্তানায় ফিরে আসে। রাতের বেলায় জোনাকিরা যখন আগুন হাতে করে ঘুরে বেড়ায়, বাচ্চাগুলো খোড়লের ভেতর থেকে তাই উঁকি দিয়ে দেখে। একে অপরকে বলে,
– ওই দেখ্, মামার বাড়ির আলো দেখা যায়!
কিছুদিন পর কোন অজানা কারণে দুই-পারের মানুষ পরস্পরের প্রতি কেন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল। দু’পারের গ্রামগুলিতে আগুন জ্বলল, কেউ লাঠি কেউ রামদা হাতে পরস্পরের দিকে পাগল কুকুরের মতো ছুঁটে আসতে লাগল। নদীর চরে লড়াই বাঁধল, মাথা ফাটল, রক্ত ঝরল, একের পর এক লাশও ভাসল খাঁড়ির জলে। কিছু লাশ টেনে নিয়ে গেল শেয়াল কুকুরে। কাঠকুঠালি আবার চিন্তিত হয়ে পড়ল। এবার কোথায় যাবে সে? ঘর জ্বালানো আগুনগুলোর দিকে তাকিয়ে বাচ্চাগুলো তাকে জিজ্ঞেস করে,
– মা, ওই গুলো কী?
কাঠকুঠালি অনেকক্ষণ চুপ করে থাকে, তারপর বলে,
– ও গুলোও মামাবাড়ির আলো!
কাঠকুঠালির আবার নতুন বাসা খোঁজার উদ্দেশে উড়াল দেয় আরও উত্তরদিকে। সারাদিন ধরে অনেক খোঁজার পর এক গভীর অচেনা জঙ্গলে বাসার খোঁজ পেয়ে বাচ্চাদের নিতে আসে। খোড়লের ভেতর উকি মেরে দেখে তার শাবকেরা সেখানে নেই। চারপাশে অনেক খোঁজে, কোথাও খুঁজে পায় না। আকাশের দিকে চেয়ে দেখে চিল- শকুনিরা উড়ছে দল বেঁধে। মাটির দিকে চেয়ে দেখে সাপের লম্বা খোলস পড়ে আছে। আর গাছের ডালে দেখে ডোলা পিঁপড়েগুলো দল বেঁধে ওপরে উঠে আসছে। কাঠকুঠালি শাবকহারা। উন্মাদের মতো উড়ে যায় পূবের গ্রামে সেখানে কেউ নেই। কাঠকুঠালি উড়ে আসে পশ্চিমের গ্রামে— সেখানেও কেউ নেই। কাঠকুঠালি উড়ে যায় করতোয়ার খাঁড়ি কাছে। দেখা পায় রামু আর লালনের। তারা আবার নতুন করে সাঁকো তৈরি করছে খাঁড়ির ওপর। কাঠকুঠালিটি তখন দুই গ্রামের প্রকৃত ঘটনাগুলি বলতে থাকে তাদের কাছে। রামু আর লালনের মনোযোগ নেই সে সব শোনার, তারা সাঁকো তৈরিতে ব্যস্ত। গল্প বলতে বলতে সাঁকো তৈরি হয়ে যায়। লালন সাঁকো পেরিয়ে এ গ্রামে আসে আবার, রামুও ওই গ্রামে যায়। সন্ধ্যে হলে জোনাকিরা আবার আলো হাতে বের হয়। কাঠকুঠালি গাছের খোড়লে বসে একা একা আবার মামা বাড়ির আলো দেখে।
জন্ম : ২৮-০৪-১৯৮৮,
পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা মহকুমার খড়িকাবাড়ী গ্রামে।
প্রকাশিত গ্রন্থ: পরিবর্তন (নাটক ২০১২),কাকতাড়ুয়ার গল্প (গল্পগ্রন্থ ২০১৮)।