ইরাবতী উৎসব সংখ্যা: আতিক ফারুকের তিনটি কবিতা
১.
যদি দেখি
যদি দেখি
দূরের কোনো অরণ্যে
এক রৌদ্রময় দিন লুকিয়ে যাচ্ছে
যদি দেখি এমন আবহ ঘিরে আছে তোমাকে—
যার অপর পিঠে শুধুই শীতের আগমনী বার্তা—
যদি দেখি তোমার চুলের ঘ্রাণে মাতাল প্রেমিকের ঘুম ভাঙে—
যদি দেখি খুব একা একা
ঘুমিয়ে আছো দুপুরের রোদে
আমি তখন—
গেয়েছি যখন দুঃখক্লিষ্ট সরোদের গান
তুমি ছেড়ে গেছো অনেকগুলো স্টেশন
২.
একফোঁটা অশ্রু নেই
একটা অদৃশ্য হয়ে আসা স্পর্শে
কেমন উতলা সুর বেজে ওঠে গভীর অরণ্যে
এ কেমন রাত্রি যাপন—
একফোঁটা অশ্রু নেই যদিও
রূপকথা গল্পের মতোন
বুকের ভেতর তিলেতিলে একটা প্রাচীর দীর্ঘ হচ্ছে
সে এক কুয়াশাজড়ানো স্বপ্নের স্মৃতি
অনাগত শীতের দিন
তুমি এসেছ দূরান্তের অনেক সবুজ সীমা পেরিয়ে
আমি শুধু ভবঘুরে চড়ুই হতে পেরেছি
যেটুকু রং হলে জীবন’কে রঙিন করা যায়
আমাকে সেটুকু রং দাও—
জীবনের পরতে পরতে রং মেখে ছেড়ে যাব যান্ত্রিক অতীত
অথবা সাম্প্রতিক ক্লান্তি
৩.
আবার কখনো
আবার কখনো
এই না আসা ভোরের পাখি
এই না আসা ভোরের হাওয়া
জীবনের পাল তুলে উড়ে যাওয়া সমূহ স্মৃতি—
যদি ফিরে আসে—
যদি কেউ গভীর আলিঙ্গনে পিষে ফেলে আমাকে—আমি কিচ্ছু বলব না।
তুমি হয়তো-বা জেনে রেখেছ
আকীর্ণ শিউলি ফুলের পথে
কত দিন ভিজিয়ে রেখেছি শরীর
কত দিন নির্মোহ শূন্যতা আমাকে তাড়িত করেছে—
তবুও কেমন মাতাল হাওয়ার দোলে
জেগে ওঠে পুরনো আবেগ
সব ক্ষয় হওয়া স্মৃতির দিন
যদি আবার কখনো ফিরে আসে
এমন রোদে পোড়া শহরের ফুটপাতে
