পাঠকের মতামত: ইরাবতীর একাধিক কবিতায় টাইপো । সুকান্ত দে
কয়দিন আগেই মেইলে এসে জমা হয়েছে ইরাবতী নিয়ে একজন পাঠকের পাঠ প্রতিক্রিয়া। পাঠ প্রতিক্রিয়াটি ইরাবতী টিমকে তাঁর খামতিগুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন সুকান্ত বাবু। সুকান্ত দে’র প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। উনি যা লিখেছেন হুবুহু প্রকাশ করা হলো। অন্য কোন পাঠক চাইলে আমাদের লিখতে পারেন আপনার মতামত বা কোন ভাল লাগা মন্দ লাগার গল্প ইরাবতীকে ঘিরে।
“এই অসময়েও কার হাত… চালায়”– সুমন মল্লিকের কবিতা ভালো লাগলো।
খোকন বর্মণ এর স্টেটমেন্ট নির্ভর কবিতা স্পর্শ করলো না। পরপর স্টেটমেন্ট ব্যবহার যেমন সহজেই কবিতার মতো শোনায় তেমনই এর চলনকে যথার্থ্যভাবে বাঁধতে না পারলে কবিতার আকর্ষণ কমে যায়।
রাজ অধিকারী-র কবিতার আঙ্গিকটি বেশ ভালো। খুব ছোট ছোট বাক্য প্রয়োগ। পাঠককে থামিয়ে থামিয়ে চলে। নারীসঙ্গ দুষ্ট হল — র পর | পূর্ণচ্ছেদ পড়ে গেছে। ওটা সরাতে হবে। দৃশ্যকল্পগুলি ভালো।
সুমন চক্রবর্তী কোথাও পোঁদে আর কোথাও পোদে করলেও ভাবনা প্রকাশের এই অরুণেশ ঘরানাটি ভালো রপ্প করেছেন। কবিতাটি ভালো। পোদ/পোঁদের বদলে পেছন শব্দটা ব্যবহার করলেও বক্তব্যের ঝাঁঝ একই থাকতো।
নাদিরা আহমেদ, মনামি সরকার এর কবিতা লেখা চালু থাক। পৌলমী সরকার একটা দারুণ স্মার্ট শুরু দিয়ে পাঠকের আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছেন কিন্তু শেষ করতে গিয়ে কবিকে দিশাহীন মনে হয়েছে।
রতন দাসের প্রথম দুটি লাইন মনে করালো, বিনয় মজুমদারের — কাছে গেলে প্রকৃত সারস উড়ে যায়।
পুরো কবিতায় খুব সুন্দর রোমান্টিসিজম আছে। বাচন ও বিষয়ের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া আছে।
অনিমেষ এর জু ভালো লাগলো।
খুব ভালো লাগলো শুভঙ্কর পালের কবিতা। বক্তব্যের ছবিগুলো জোড়া হয়েছে দারুণ মুন্সীয়ানার। প্রথম দুটো বাক্য বলেই — আসলে পাহাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে এখনও– এই বলতে পারাটা এবং সেই বৃষ্টিভাসি পাহাড়ের গল্পের ভেতর এত মারাত্মকভাবে ঢুকে পড়েছেন এটা প্রশংসাযোগ্য।
“কোনো রুপকথা নেই” বলেই পরের বাক্যগুলো রূপ্কথার মতো প্রেজেন্ট করায় প্রায় যে কোনও পাঠকেরই ভালো লাগবে।
সমিত ভৌমিক, বিকাশ বিশ্বাস এর লেখা ভালো।
তপোব্রতর কবিতায় ধাপগুলো চমৎকার এবং সেই ধাপে ধাপেই তিনি উপলব্ধি বা সিদ্ধান্ত স্পর্শ করতে সক্ষম হয়েছেন।
নিশীথ কুমার সেন এর “ত্রয়ী ডাব্লিউ” দিয়ে বক্তব্যটি খুবই যৌক্তিক এবং অভিজ্ঞতা প্রসূত।
তন্ময় দেবের কবিতাও ভালো।
লাইন কপি করার সুযোগ ছিলনা তাই ভালো লাগার লাইনগুলো তুলে ধরতে পড়লাম না।
প্রশান্ত দত্ত মহাশয়ের সাবেকী কলকাতার ছাপাখানা ও মুদ্রণ — প্রবন্ধটি খুবই উপাদেয়। মূলত সেটির সুত্র ধরেই আরও কিছু লেখা পড়ার আগ্রহ হল। কিন্তু খলিল জিব্রাণের অনুবাদ এ কবিতার অংশগুলি পড়ে আশ মেটে না। অন্তত একটা পূর্ণ কবিতারও অনুবাদ থাকলে ভালো হতো। জিব্রানের কবিতার একটা বড় আকর্ষণ ওনার অনর্গল কথার মতো কবিতা। সেই স্বাদের লোভেই ওনার কবিতা পড়তে যাই।
ইরাবতীর সম্পাদনা ভালো লাগলো। কিছু টাইপো যদিও থেকে গেছে একাধিক কবিতায়। সেগুলি থেকে মুক্ত হলে আরও ভালো হয়। কবিতা এবং একটি প্রবন্ধ পড়ে আপনাদের ইলাস্ট্রেশন দেখে আপনাদের যত্নের বিষয়টা বোঝা যায়।
বিশ্বের সর্বশেষ খবর, প্রতিবেদন, বিশ্লেষণ, সাক্ষাৎকার, ভিডিও, অডিও এবং ফিচারের জন্যে ইরাবতী নিউজ ডেস্ক। খেলাধুলা, বিনোদন, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্য সহ নানা বিষয়ে ফিচার ও বিশ্লেষণ।