| 27 জানুয়ারি 2025
Categories
উৎসব সংখ্যা ১৪৩১

উৎসব সংখ্যা: রিমি দে’র কবিতা

আনুমানিক পঠনকাল: < 1 মিনিট

 

চশমার আড়াল


এক


চশমা কিছুই দেখতে পাচ্ছে না

অন্ধকারের ভেতরে যা যা ঘটছে

কিংবা যা যা ঘটছে না

সেসব পাক খেতে খেতে হাওয়ার ঘূর্ণিতে


ঘুরপাকের মধ‍্যে রামধনুর সব রং দেখা যাচ্ছে না

কে যেন আড়াল করছে

কী যেন আড়াল করছে


বশ‍্যতার ভেতরে চশমার কাচ সেঁধিয়ে যাচ্ছে


দুই


ভেঙে পড়ছি না

বরং আবর্জনা মুক্ত হচ্ছি

চশমার কাচ যতই পুরু হচ্ছে

স্বচ্ছভাবে এগিয়ে আসছে জীবন

সমস্ত উত্তেজনা কাটিয়ে উঠতে শিখে যাচ্ছে রাস্তা


এও এক যন্ত্রণা

বুঝতেই পারিনি কখন যে অসুখে জড়িয়ে গেছে ঢেউ

একটু একটু করে বিষ জমিয়ে জমিয়ে

পাহাড় বানিয়ে ফেলেছে চশমার কাচ

আমি যা দেখছি চশমা তা দেখছে না….

বিন্দাস থাকতে পারাও একটি বাংলা কবিতা বলে মনে হয় মধ‍্যবয়সী মেঘ ও মেচেতা

ফুরফুরে বাতাস বয়ে যায় জগতের পরতে পরতে

চোখের সামনেই জগদ্দল বিষের পাহাড়

রাস্তা পার হতে পারছে না পথের অলিগলি

চশমার গায়ে ঘামের গল্প

দৃষ্টি আসলে মনের ছায়া যেখানে দূরত্ব

অর্থহীন থেকে যায়


চশমা সেসব দেখতে পায় না!


তিন


রাঙা হয়ে ওঠা জানালাটি আসলে এক টুকরো ঝড়

বিনা মেঘেও সে কখনও সখনও আসে


ঝড় এলে শান্ত হয়ে ওঠে পথ

ঝড়কে বরং শান্ত হতে বলি

সে পাশে বসে

এভাবেই বাঘ -সিংহ আসে

ওরাও স্থির হওয়া শিখে যায়


অরণ‍্য যতই গভীর কিংবা ঝড় যতই ঝোড়ো হোক না কেন,এক বিস্ময়কর যাদুকাঠিও নাড়িয়ে দিয়ে যায়

কবিতার পরিপার্শ্ব

চশমায় যা কখনও ফুটে ওঠে অদৃশ‍্যে


দুপুররোদে মুচকি হাসে কবিতা



অসময়ে সময়কে জড়িয়ে থাকি আষ্টেপৃষ্টে


চার


বাঘ হয়ে উঠছে জল

জলের নীচে ডোরাকাটা দাগ

জলের ওপরে গর্জন


নদী বাঘকে ছাড়িয়ে চলে গেছে বহুদূর


কুলুস্বর হালুমে পরিনত হচ্ছে দিনকেদিন



আমাদের..


পাঁচ


যেন বর্ষাকাল

যেন চোখ ফেটে চশমার গা গলে গলে পড়ছে

কনুই বেয়ে টুপটাপ আলো

চোখের ভেতরে লেগে থাকা আঠা

যেন ক্ষীরের পায়েসের মতো মোহময় দিব‍্য দৃষ্টি

অন্তর খুলে দিয়ে গেছে


দুধকাতর জগতের মাঝে চালের মিশেল


পায়েস একটি আন্দোলন

যেখানে কঠিন ও তরল মিলেমিশে একাকার


আন্দোলন একটি জাগরণের নাম

খালি চোখেই যা অনুভব করতে হয়

 

 

 

 

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত