Irabotee.com,irabotee,sounak dutta,ইরাবতী.কম,copy righted by irabotee.com

প্রবন্ধ: সভ্যতার সংকট : প্রাচ্যভাবনাতেই মুক্তি মাসুদুজ্জামান

Reading Time: 4 minutes

স্নেহভাজন প্রমথ চৌধুরীকে রবীন্দ্রনাথ একবার লিখেছিলেন, ‘ইংরাজগুলো যে রকম অসহ্য অহংকারী এবং উদ্ধত হয়ে উঠছে তাতে একটা কিছু হওয়া নিতান্ত উচিত- চুপচাপ করে পায়ের তলায় পড়ে পড়ে মার খাওয়াটা নিতান্তই অন্যায়।’ ভাবলে বিস্মিত হতে হয়, এই চিঠির শীর্ষে খচিত সময়টি হচ্ছে ১৬ জুন ১৮৯৪ সাল। রবীন্দ্রপাঠকদের একধরনের ভ্রান্তি আছে। তাদের অনেকেই মনে করেন রবীন্দ্রনাথ ছিলেন পাশ্চাত্য সভ্যতার অন্ধ সমর্থক। কিন্তু এই ধারণা যে কত বড় ভুল, এই পাঠকরা সেটা বিবেচনা করে দেখার অবকাশ পান না। শুধু ওই চিঠি নয়, যেটি তিনি লিখেছিলেন সেই ১৮৯৪ সালে, জীবনের অন্তিমপর্বে লেখা আরেকটি ছোট্ট রচনা- ‘সভ্যতার সংকট’ পড়লেও বোঝা যাবে বৈশ্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে তার বিবেচনাবোধ কতটা তীক্ষè আর গভীর ছিল। রবীন্দ্রনাথের জীবনভাবনার সবচেয়ে সংহত, নিরাসক্ত, গভীর, মর্মস্পর্শী রূপটি প্রকাশ পেয়েছে এ লেখায়।

প্রবন্ধের শুরুতেই রবীন্দ্রনাথ আমাদের জানাচ্ছেন, ‘আজ আমার বয়স আশি বৎসর পূর্ণ হল, আমার জীবনক্ষেত্রের বিস্তীর্ণতা আজ আমার সম্মুখে প্রসারিত। পূর্বতম দিগন্তে যে জীবন আরম্ভ হয়েছিল তার দৃশ্য অপর প্রান্ত থেকে নিঃসক্ত দৃষ্টিতে দেখতে পাচ্ছি এবং অনুভব করতে পারছি যে, আমার জীবনের এবং সমস্ত দেশের মনেবৃত্তির পরিণতি দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে।’ এইখানে রবীন্দ্রনাথ যে দ্বিখণ্ডের কথা বললেন, জাক দেরিদার মতো মনীষী পরবর্তীকালে একেই ‘দ্বিবৈপরীত্য’ বলে চিহ্নিত করেছিলেন। একদিকে অনুরাগ, অন্যদিকে বিবেচক অভিজ্ঞান- এই দুইয়ের সংঘাত ও সংশ্লেষের ভেতর দিয়েই দ্বিধাপন্ন মানুষের চলা। রবীন্দ্রনাথও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না।

তাঁর জীবন দুইভাগে বিভক্ত, আÍবিশ্লেষণের সূত্রে এরপর সন্তের মতো এই কথাটি উল্লেখ করেছেন রবীন্দ্রনাথ। জীবনের ওই পর্বে, অর্থাৎ প্রথম দিকে ‘সভ্যজগতের মহিমাধ্যানে একান্ত মনে নিবিষ্ট’ ছিলেন তিনি। এই মহিমার বোধ রবীন্দ্রনাথের মধ্যে জাগিয়ে তুলেছিল ইংরেজি সাহিত্য ও ভাবুকদের নানান ভাবাদর্শ। এমনকি তিনি এও মনে করেছিলেন যে ‘বিজিত জাতির স্বাধীনতার পথ বিজয়ী জাতির দাক্ষিণ্যের দ্বারাই প্রশস্ত হবে।’ পাশ্চাত্যের ভাবুকরা প্রাচ্যবাদের প্রভাবে এরকমটাই ভেবেছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন এডওয়ার্ড সাঈদ। এই ভ্রান্তি রবীন্দ্রনাথকেও পেয়ে বসেছিল। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ যেখানে পাশ্চাত্য সভ্যতার মধ্যে, বিশেষ করে ইংরেজদের মধ্যে ঔদার্য সন্ধান করছিলেন, মেকলের মতো ইংরেজ সেখানে সভ্যতাগর্বে স্ফীত হয়ে ভারতীয় সভ্যতাকে চরম অবজ্ঞা করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই ইংরেজি রসসম্ভোগের জগৎ থেকে রবীন্দ্রনাথ বেরিয়ে এসেছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি নিজেই জানাচ্ছেন, ‘সেদিন ভারতবর্ষের জনসাধারণের যে নিদারুণ দারিদ্র্য আমার সম্মুখে উদ্ঘাটিত হল তা হৃদয়বিদারক। অন্ন, বস্ত্র, পানীয়, শিক্ষা, আরোগ্য প্রভৃতি মানুষের শরীরমনের পক্ষে যা কিছু অত্যাবশ্যক তার এমন নিরতিশয় অভাব বোধ হয় পৃথিবীর আধুনিক শাসনচালিত কোনো দেশেই ঘটেনি।’ সভ্যতাকে এভাবেই এই শাসকরা ‘রিপুর প্রবর্তনায়’ অনায়াসে লঙ্ঘন করে গেছেন। রবীন্দ্রনাথ লক্ষ্য করেছেন, ‘বহুকোটি জনসাধারণের প্রতি সভ্যজাতির’ কী ‘অপরিসীম অবজ্ঞাপূর্ণ ঔদাসীন্য।’ স্বাভাবিকভাবেই তার মনে হয়েছে, ‘ভারতবর্ষ ইংরেজের সভ্যশাসনের জগদ্দল পাথর বুকে নিয়ে তলিয়ে পড়ে রইল নিরূপায় নিশ্চলতার মধ্যে।’ সভ্যনামধারী মানব আদর্শের এতবড় নিষ্ঠুর বিকৃত রূপ কল্পনা করতেই পারেননি রবীন্দ্রনাথ। অথচ এরই পাশাপাশি দেখলেন জাপান, রাশিয়া, ইরান, এমনকি আফগানিস্তানে ‘সর্বজনীন উৎকর্ষে’র সম্ভাবনা। রবীন্দ্রনাথের সমীক্ষণ হল, ‘সভ্যতাগর্বিত কোনো ইউরোপীয় জাতি’ তাদের ‘অভির্ভূত করতে পারেনি’ বলেই ওই দেশগুলোর পক্ষে সম্ভব হয়েছে এই উৎকর্ষের পথে এগিয়ে আসা।

এভাবেই ‘ইউরোপীয় জাতির স্বভাবগত সভ্যতার প্রতি’ তিনি হারিয়েছেন তার বিশ্বাস। জীবনান্তিকে দাঁড়িয়ে পাশ্চাত্য সভ্যতাকে সভ্যতা বলা যায় কি-না, জেগেছে সেই সংশয়। রবীন্দ্রনাথের মতে, ‘ল অ্যান্ড অর্ডার’, অর্থাৎ আইন-শৃংখলার নামে পাশ্চাত্য সভ্যতার ধারকেরা ভারতীয়দের ওপর শুধু শাসনদণ্ডই ঘুরিয়েছে। ‘পাশ্চাত্য জাতির সভ্যতা-অভিমানের প্রতি শ্রদ্ধা রাখা’ তাই অসাধ্য হয়েছে তার। কেননা এই শক্তি শুধু ভারতীয়দের দেখিয়েছে তার ‘শক্তিরূপ’, ‘মুক্তিরূপ’ দেখাতে পারেনি। শুধু ভারতে নয়, এই শক্তি ‘সাম্রাজ্যমদমত্ততায়’ পৃথিবীর অনেক দেশেই তাদের এই শক্তি প্রদর্শন করে জাতিগত ‘নিষ্পেষণী যন্ত্রের শাসন’ চালিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ মনে করেন, জাতিগত এই নিষ্পেষণের বিপরীতে মানবসভ্যতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ‘মানুষে মানুষে সম্বন্ধ’ স্থাপন করা, আর এই সম্বন্ধই হচ্ছে ‘যথার্থ সভ্যতা’। লক্ষণীয়, রবীন্দ্রনাথ মানবসম্বন্ধ স্থাপনের যোগ্য ইংরেজদের যে খুঁজে পাননি তা নয়। এরকমি এক ইংরেজ হচ্ছেন সিএফ এন্ড্রুজ। তার মধ্যে তিনি দেখেছিলেন, ‘যথার্থ ইংরেজকে, যথার্থ খ্রিস্টানকে, যথার্থ মানবকে।’ শেষ বয়সে এই এন্ড্রুজই রবীন্দ্রনাথকে ইংরেজ জাতি ও সভ্যতার জীর্ণতা ও কলংক মোচনে সহায়তা করেছিলেন বলে তার মনে হয়েছে। কিন্তু শাসকদের স্তরে এমন কেউ ছিলেন না যারা ‘মহাদশয় ইংরেজে’র ভূমিকা পালন করতে পারে। বরং ইউরোপীয় বর্বরতার নখদন্ত মানবপীড়ন ঘটিয়েছে, ‘মানবপীড়নের মহামারী পাশ্চাত্য সভ্যতার মজ্জার ভেতর থেকে জাগ্রত হয়ে উঠে আজ মানবাÍার অপমানে দিগন্ত থেকে দিগন্ত পর্যন্ত বাতাস কলুষিত করে দিয়েছে।’

একদা রবীন্দ্রনাথ ইংরেজকে মানবহিতৈষীরূপে দেখেছিলেন। কিন্তু যতই এই ঔপনিবেশিক শক্তির পরিচয় তার কাছে স্পষ্ট হতে থাকে, ততই পাশ্চাত্য সভ্যতা সম্পর্কে তার মোহমুক্তি ঘটতে থাকে। ইউরোপীয় জাতির স্বভাবগত সভ্যতার প্রতি বিশ্বাস কীভাবে হারিয়ে গেল, এ হল সেই রবীন্দ্রকথিত ভাষ্য, যার কথা তিনি ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে পূর্বাপর ব্যাখ্যা করেছেন। কিন্তু কোনো উল্লাস নয়, ক্রোধ নয়, অনেকটা অন্তর্গত ক্ষুব্ধ কণ্ঠে, বিষণœ চিত্তে, দুঃখ ভারাক্রান্ত হƒদয়ে তিনি তার মোহভঙ্গের বিবৃতি দিয়েছেন, ‘জীবনের প্রথম আরম্ভে সমস্ত মন থেকে বিশ্বাস করে ছিলাম ইউরোপের অন্তরের সম্পদ এই সভ্যতার দানকে। আর আজ আমার বিদায়ের দিনে সে বিশ্বাস একেবারে দেউলিয়া হয়ে গেল।’

মনে হতে পারে, এ যেন সেই কনফেশন, মৃত্যুর পূর্বে যা ঈশ্বরের উদ্দেশে ব্যক্ত করা হয়। রবীন্দ্রনাথ কী এই রচনার মাধ্যমে সেই রকম কোনো কৈফিয়ত হাজির করেছিলেন তার অগণিত পাঠককে লক্ষ্য করে? অস্বাভাবিক নয় রবীন্দ্রনাথের এই অভিপ্রায়, বিশেষ করে তার মতো তীক্ষè সংবেদনশীল সচেতন কবির পক্ষে। একথা সর্বজনবিদিত যে, ইংরেজপ্রীতি তার ছিল। পাশ্চাত্য সভ্যতা সম্পর্কেও উঁচু ধারণা পোষণ করতেন তিনি। কিন্তু তার এই সভ্যতা সম্পর্কিত ধারণা কখনই সংশয়হীন ছিল না। একটি মহাযুদ্ধের সমাপ্তি এবং অন্য একটি মহাযুদ্ধের সূচনায় সভ্যতার সংকট সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ যে কতটা বিচলিত হয়েছিলেন, এই লেখাটি পড়লেই তা বোঝা যাবে। এই রচনার বিশেষ তাৎপর্য হচ্ছে, সারাজীবন ধরে পর্বে-পর্বে রবীন্দ্রনাথ যা ভেবেছেন তা এই একটি লেখাতেই পেয়েছে সংহত গভীর নির্মোহ বাণীরূপ। জীবনের প্রথম দিকে পশ্চিমা সভ্যতার প্রতি আকৃষ্ট হলেও পরবর্তীকালে সেই অবস্থান থেকে সরে আসেন তিনি। প্রথিতযশা ভাবুক-রাজনীতিবিদ হুমায়ুন কবির রবীন্দ্রভাবনার এই বিবর্তন প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘প্রথম দিকে যে পশ্চিমের প্রশ্নবিহীন প্রশংসা দেখতে পাই, বলা বাহুল্য, তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। পাশ্চাত্য মূল্যবোধের প্রতি প্রবল আগ্রহ পাশ্চাত্যের সসাহিত্য, দর্শন ও ধর্ম বিষয়ে গভীর অধ্যয়নে উদ্বুদ্ধ করেছিল। জ্ঞানের প্রসারতার ফলে বিবেচনাশক্তি গভীরতর হওয়ায় সব কিছুরই শক্তি ও ত্র“টি বোঝা সম্ভব হয়েছিল। সেই সঙ্গে প্রাচ্য মূল্যবোধের প্রতি ক্রমবর্ধিত জ্ঞান ও শ্রদ্ধাও দেখা দিয়েছিল।’

পাশ্চাত্য সভ্যতার প্রতি এই ঝোঁক, বলতে দ্বিধা নেই, সেকালের প্রায় সব লেখকের মধ্যেই লক্ষ্য করেছি আমরা। পশ্চাতপদ ভারতীয়রা ঔপনিবেশিক শাসকদের সংস্কৃতিকে শ্রদ্ধার চোখে দেখবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যতই তারা শিক্ষিত হতে থাকেন, ততই বুদ্ধিবৃত্তিক মোহাচ্ছন্নতা কাটিয়ে ওঠা তাদের পক্ষে সহজ হয়ে ওঠে। রবীন্দ্রনাথ ঠিক এরকম একটা সময়েই জš§গ্রহণ করেছিলেন। হুমায়ুন কবির সেই পরিস্থিতির ব্যাখ্যা দিয়েছেন এইভাবে, ‘রবীন্দ্রনাথ যখন জšে§ছেন তখন হচ্ছে সেই সময়, যখন পশ্চিমের সম্মোহনের প্রথম দশা কেটে গিয়ে সমানুপাতিক মূল্যায়ন প্রতিষ্ঠার পথে। যেসব আদর্শ এদেশে আনীত হয়েছিল সেগুলো তখনও সক্রিয় ও প্রবল ছিল; কিন্তু সে সঙ্গে ভারতবর্ষের নিজস্ব উত্তরাধিকারের মূল্যবোধগুলোর স্বীকৃতিও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছিল।’ রবীন্দ্রভাবনারও বিবর্তনও ঘটেছিল এ পথে। ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধটিকে রবীন্দ্রভাবুকতার চমৎকার ধারাভাষ্য বলে উল্লেখ করা বলা যায়।

ইতালীয় মার্কসবাদী ভাবুক আন্তোনিও গ্রামসি তার ‘জেলখানার নোটবুকে’র একজায়গায় ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের তিনটি স্তর ছিল বলে উল্লেখ করেছেন : সূচনা পর্ব, কৌশলী পর্ব এবং অর্জনের পর্ব। ভাবলে বিস্মিত হতে হয়, ভারতে ব্রিটিশ বিরোধিতা করতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠিক এভাবেই অগ্রসর হয়েছিলেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এরই চমকপ্রদ ব্যাখ্যা দিয়েছেন তার ‘ন্যাশনালিস্ট থট অ্যান্ড দ্য কলোনিয়াল ওয়ার্ল্ড : আ ডেরিভেটিভ ডিসকোর্স’ গ্রন্থে। জীবনের প্রথম পর্বে ইংরেজের প্রতি তার অনুরাগ প্রকাশ পেলেও জীবনের মধ্য ও শেষ পর্বে তিনি সেই অবস্থান থেকে সরে আসেন। এই সময়ে পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী সভ্যতার তিনি যেমন তীব্র বিরোধিতা করেছেন তেমনি দেখেছেন প্রাচ্যের উত্থান। বিক্ষিপ্ত ভাবনার সংশ্লেষ ঘটিয়ে ‘জীবনের ঐক্যচেতনায়’ স্থির হতে পেরেছিলেন তিনি, যে প্রবণতাটি তার স্বভাবের মৌলিক বৈশিষ্ট্য বলে আমরা চিহ্নিত করতে পারি। একারণেই এই প্রবন্ধের শেষে তিনি বলতে পেরেছেন পশ্চিমা সভ্যতা নয়, পুব বা প্রাচ্যই হয়ে উঠেবে সভ্যতার প্রকৃত অভ্যুদয় ও বিকাশের কেন্দ্রস্থল, ‘মানুষের প্রতি বিশ্বাস হারানো পাপ, সে বিশ্বাস শেষ পর্যন্ত রক্ষা করব। আশা করব, মহাপ্রলয়ের পরে বৈরাগ্যের মেঘমুক্ত আকাশে ইতিহাসের একটি নির্মল আকাশ হয়তো আরম্ভ হবে এই পূর্বাচলের সূর্যোদয়ের দিগন্ত থেকে।’ ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রভাবনা এভাবেই প্রাচ্যকে ঘিরেই পেয়ে গেছে পূর্ণতা। 

 

 

 

কৃতজ্ঞতা: যুগান্তর ১৪ জুন ২০১৩

 

 

 

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>