সলিল চৌধুরী আর হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কথাবার্তা বন্ধ

Reading Time: < 1 minute

সেই প্রথম সলিল চৌধুরী আর হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে বাক্যালাপ বন্ধ হয়ে যায়। যদিও এ বিষয়ে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় নিজেই পরবর্তীকালে জানিয়েছিলেন যে, দোষটা তাঁরই ছিল। কিন্তু, তা সত্ত্বেও ১৯৪০ দশকের শেষ দিক থেকে যে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন দু’জনে, সেখানে চিড় ধরে যায়।

বিষয়টি আর কিছুই নয়। হিজ মাস্টার্স ভয়েসের পক্ষ থেকে হেমন্তবাবুকে অনুরোধ করা হয়, একটা লং প্লেয়িং রেকর্ডে গাওয়ার জন্য। হেমন্তবাবুও রাজি হয়ে যান এবং তিনি ‘কোনও এক গাঁয়ের বধূ’, ‘পালকির গান’, ‘আমি ঝড়ের কাছে রেখে গেলাম আমার ঠিকানা’ ইত্যাদি গানগুলো রি-রেকর্ডিং করেন।

মিউজিক অ্যারেঞ্জার ছিল তাঁরই পছন্দের লোক- ওয়াই এস মুলকি। ততদিনে হেমন্তবাবুর গলার স্বর যথেষ্ট ভারী এবং শিথিল হয়ে গিয়েছে। প্রথমদিকের মতো গানে তেজ আর তাঁর নেই। খবরটা পেয়ে সলিল চৌধুরী  অনেকটাই বিস্মিত হয়েছিলেন। কেন না, হতে পারে গায়ক হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। কিন্তু, সুরকার তো তিনিই। তাঁকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে এইচএমভি হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে দিয়ে পুরো একটা আস্ত লং প্লেয়িং রেকর্ড বের করে ফেলল, এ ভয়ানক আশ্চর্য ব্যাপার।

এরপরই হিমশীতল হয়ে যায় দু’জনের সম্পর্ক। সম্ভবত দু’জনেরই প্রায় শেষ দিন অবধি কারও সঙ্গে কারও বাক্যালাপ হয়নি।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>