১
জানালা গলে মেঝেতে পড়ে থাকা রোদ আমাকে পরম কৌতুকে বাজিয়ে নেয় । নদীর সোঁতায় পড়ে আছে প্রেম একলা । শিস দিয়ে জানিয়ে যায় গন্ধর্ব মেঘ । খাদের কিনারে এসে নীচু হয়ে মিশে যায় সবুজমহলে । ধোঁয়া ওঠে নিঃশ্বাসে । চায়ের পেয়ালা আমারই মত ঘুম জড়ানো চোখে টুং টাং আড়মোড়া ভাঙে । জানালার ফ্রেমে আটকে থাকা দলেদলে মহিষের মত দুরের পাহাড়ের দিকে চেয়ে আছে নাম না জানা অর্কিড । আমি তাদের নাম দিয়েছি খিলখিল আর কানাকানি । ব্যস্ত-ক্লান্ত শহর তুমি এসে কুড়িয়ে নিও পথের পাশে দুখানি বিশ্রামফুল ।
২
সেসব কবেকার লুকিয়ে লেখা উড়ন্ত চিঠি এখনও হাওয়ায় ভেসে আসে । মাঝে মাঝে চাতালে জমা শেওলায় ভ্রামরী গায় । রনি আর বনি দুভাই ক্ষরণের ভুলচুক লিখে রাখা সম্পর্কের গোপন ফসিল সহজেই জায়গা করে নেয় ছোট পরিবার সুখী পরিবারে। গৃহস্থ দেরাজের ত্রিভুজ–হ্যাংগারে ভূমির সমান্তরাল বাহুতে বেনারসি শাড়ি ফেলে রাখা । বাকি দুবাহু ন্যাপথালিনের গন্ধ মেখে ঝুলে থাকে রনি আর বনি হয়ে । এখানে আন্দোলনের নাম ভাদ্রমাস ।
৩
ভুল করে বেজে উঠলে ভুলে বিসরে গীত বসন্ত পরিব্রাজক হয় মনের উঠোনে । যেন স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছায়াছবি নির্মাণ হল অপরূপ একটি দৃশ্যে । কয়েকটি ছুঁয়ে থাকার মুহূর্ত পরপর তালি দিয়ে চলে ছায়াছবি নির্মাণ । ভাঁজে ভাঁজে খুলে যায় গান । ছায়াপথ ধরে জখম লুকিয়ে যায় । এরকম শেষ থেকে শুরু হওয়া ছবিতে কখনও ‘দি এন্ড’ লেখা হয় না ।