| 10 অক্টোবর 2024
Categories
উৎসব সংখ্যা ১৪৩১

যৌনশিক্ষা– ব্যারিকেডে জমা মেঘ এবং খসে পড়া সব তারা

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট

আমরা যারা আটের দশকে বাংলা মিডিয়ম স্কুলে পা রেখেছি আর নয়ের দশকে কৈশোর থেকে ছাতিম ফুলের গন্ধের মাদকতা টের পেয়েছি তারা জানি, ১৯৯৪ সালে যখন হিন্দি সিনেমার জন্য আলিশা চিনয় ‘সেক্সি সেক্সি সেক্সি মুঝে লোগ বলে’ গানটি গাইলেন, তখন সংস্কৃতির অপোনোদনের ঢি ঢি পড়ে গেছিল বাংলায়।  আমরা যারা তখন এই নিষিদ্ধ শব্দের প্রকাশ্য ব্যবহারে বেশ মজা পাচ্ছি তারাও নিজেদের বন্ধুদের মধ্যে বলছি, শুনেছিস কী জঘন্য? এবং এই সমালোচনা এবং বিনোদন সংস্কৃতির কর্মশিয়ালাইজেশনের নিন্দার মধ্যে দিয়েই সেক্সি শব্দটা ধীরে ধীরে সহনীয় হয়ে উঠছে আমাদের কানে।

এইরকম ভাবেই আমাদের জীবনে সেক্স শব্দটা এসে পড়েছিল, আর আমরা খুব গর্হিত, গোপনীয় একটা আবহে এই শব্দের প্রতি কৌতূহলে বাতাস সরবরাহ করে চলছিলাম। অপরাধ তখনও বিস্তর হত, আর সেইসব ঐতিহাসিক অপরাধের ভঙ্গিমা যে কতটা নৃশংস ছিল তা মানুষ ভালোই জানে। কিন্তু সেসময় ওই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটা ছিলনা, ফলে এক অপরাধ থেকে অন্য অপরাধের মধ্যে যে ব্যবধান তৈরি হত তার মধ্যে আরও গোটা কতক অপরাধ লুকিয়ে পড়ত অনায়াসে। উপর থেকে বেশ একটা শান্ত বাতাবরণ থাকলেও, মেয়েরা তখন যে কী পরিমাণ অসুরক্ষিত ছিল সেকথা মেয়েদের চেয়ে ভাল কেউ জানে না। সাপের মতো হিসহিস করত পুরুষরা ভিড়ে এবং অন্ধকারে। আমরা যারা দূরের স্কুলে পড়তাম, তাদের কাছে নিরাপত্তা ব্যাপারটা ছিল পদ্মপাতায় জলের মতো। জলে কুমীর, ডাঙায় বাঘ। আদরের ছলে, স্নেহের ছলে পাড়া প্রতিবেশী আত্মীয়তার মধ্য থেকেও থাবা এগিয়ে আসত যাকে প্রকাশ্যে জাহির করলে পরিবারের অপমান হত।

অথচ তখনও মধ্যবিত্ত বাঙালি কিশোরী মানে জনৈক সুশীলা কন্যা যিনি প্রেম অর্থে শুধুমাত্র ‘জীবে প্রেম  করে যেই জন…’বোঝেন এবং স্ত্রী পুরুষের রসায়নক্রিয়া বিষয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহ রাখেন না। এবং সুশীলা মেয়েটির শারীরিক শ্লীলতা কোনভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হলে, তারই কোন না কোন দোষে আতস কাচ রাখা হয়। তখনও আত্মরক্ষার কৌশল মেয়েদের শেখান হত না। তখনও স্পর্শের ভাল মন্দ সম্পর্কে একদম ছোট বয়স থেকে মেয়েদের ওয়াকিবহাল করার চেতনা ছিল না।

বরং আমাদের মধ্যবিত্ত মেয়েদের তখনও চেপে রাখো আর ঢেকে রাখো ধরনের সাবধানতা আর নির্দেশিকা মেনে চলতে হত। মিনি স্কার্ট মানেই বিপ্লব। শ্লীলতাহানি মানে যথেষ্ট সাবধানতার অভাব। একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথাই বলি।একবার এক কুমারী মেয়ের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার ঘটনা জানাজানি হওয়ার ফলে, মেয়েটি গায়ে আগুন দিল। যদিও অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনাটি সম্পর্কে তথ্যটি মূলত কানাঘুষো ছিল। পরিবারের বাকি লোকজন সেই ছেলেটির খোঁজ করল না, যার এ বিষয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। প্রাথমিক শোকের পর তারা ভেবে নিল যে মেয়েটি বখাটে ছিল তাই যা হয়েছে ভালই হয়েছে। কাল্পনিক নয় এ ঘটনা শোনার অভিজ্ঞতা হয়েছিল রীতিমতো। যদিও ইতিমধ্যেই আমরা তসলিমার নাসরিনের নির্বাচিত কলাম পড়েছি। মৃণাল সেনের ‘একদিন প্রতিদিন’ সিনেমার প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছি, তপন সিংহের সিনেমা ‘আতঙ্ক’ দেখে বুঝেছি প্রশ্নটাকে ছুঁড়ে দিতে হবে। তবুও সোচ্চারে প্রতিবাদ তখন যে সব মেয়েরা করছে, তাদেরকে দেখে একটা বড় অংশ বলছে, ‘বড়লোকের মেয়ে তো, ওদের পক্ষেই সম্ভব’। আর আমাদের মতো মধ্যপন্থার কয়েকজন কনফিউশনে ভুগছে। কুল রাখি না মান? বেড়া টপকানোর আয়োজনে সূর্য ডুবে গেলে আর যৌনতা সম্পর্কে সুশিক্ষা হবে কোথা থেকে? ছেলেদের তো নয়ই মেয়েদেরও প্রশ্ন ওঠেনি ঠিকমতো।

সুতরাং এরপর যখন বলা শুরু হল সেক্স এডুকেশন আবশ্যক তখন আমরা সিলেবাসের কথা ভেবে চমকে গেলাম। এবং সেই চমক টমক কাটার পর ২০০৭ সালে যখন আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক এডুকেশনের সময়সীমা অতিক্রান্ত তখন বয়ঃসন্ধির কার্যক্রম নামে (AEP)একটি সরকারি শিক্ষাসূচি চালু হতে না হতেই দেশ জুড়ে মানুষ লজ্জায় মুখ ঢাকলেন। শিক্ষকরা নির্দিষ্ট অধ্যায়গুলি ডিঙিয়ে যেতে শুরু করলেন এবং পরিকল্পনাটি মুখ থুবড়ে পড়ল। শেষরক্ষা ২০২০ সালে যখন সেক্স এডুকেশন অধ্যায়ের অবলুপ্তি ঘটল। যদিও ইউনেস্কো ‘উড়ান’ নিয়ে আসল এবং কিছু প্ৰচেষ্টা শুরু হল তবুও যে দেশে শাসক পিছিয়ে থাকেন, সেখানে সামান্য ‘উড়ান’ কত দূর আর যায়! সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের এ-বিষয়ে কোন ধারণাই নেই।

সুতরাং ৪০০ মিলিয়ন কিশোরের জন্য এদেশে সেক্স এডুকেশন বলতে কিছু নেই। তারা সেক্সুয়ালি র‍্যানডম। পুরুষ হলে শরীর যেদিকে যায় সেদিকে এগিয়ে চলো পিতৃতন্ত্র তোমাকে সাপোর্ট দিয়েছে আর মেয়ে হলে সামলে থাকো, ক্যারাটে কুংফু শেখো, যোগাসন শেখ। পণ্য হয়ে ওঠো এবং পণ্য করে তোলো। জেন্ডার কনসাস নয়, জেন্ডার বায়াসড হও। হাই ভোল্টেজ মেল অ্যান্ড লোয়ার ফিমেল। এখনো হয়ত অনেক বাবা-মা ভাবেন সেক্স শব্দটা adult। এখনো অনেক বাবারা পিরিয়ডের ব্যাপারে মেয়ের সঙ্গে কথা বলেন না। মায়েরা ছেলেদেরকে বয়ঃসন্ধির বিষয়ে কথা বলেন না। গ্রামাঞ্চলের মেয়েদের মেন্সট্রুয়াল স্বাস্থ্যবিধি এখনো উন্নত নয়। এই প্রসঙ্গে যৌনতা সম্পর্কে মেয়েদের বলার, ভাবার এবং অধিকারকে স্পষ্ট করার জায়গায় তো পৌছনই সম্ভব নয়। যৌনতা সম্পর্কে মেয়েদের অধিকার যেদিন সাধারণ পরিবারগুলোতে সাবলীলভাবে গৃহীত হবে, সেদিন সংখ্যাগরিষ্ঠ মেয়েরা আরও বেশি স্বাধীনতা অনুভব করবে। তার আগে পর্যন্ত যৌনতার প্রসঙ্গে মেয়েরা দুর্বল এবং ভোগ্যবস্তু হয়ে থেকে যাবে পর্দার আড়ালে। শহরের মেয়েরা হয়ত অনেকাংশেই সচেতন এখন বর্তমানে কিন্তু কয়েকটি শহরাঞ্চলের কিছু মেয়েদের আধুনিক ভাবনা সামগ্রিক ফলাফলকে এখনও বহন করতে পারেনা। অত্যাচারগুলোকে যদি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলা যায় তবে কিছু শহুরে আধুনিকতাকেও আমরা এক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনাই বলতে পারি।

এক্ষেত্রে শুধুমাত্র দেশের শাসনব্যবস্থা, প্রশাসনিক নির্দেশনাকেই দোষ দেওয়া যায় না। ব্যক্তির সচেতনতা তার গণতান্ত্রিক অধিকার। আত্মচেতনা মানুষের নিজস্ব সংস্কারপ্রক্রিয়া।ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার দিকটি দেখতে হলে, ছোটবেলা থেকেই যৌনতা বিষয়ে শিশুর মানসিক সচেতনতার ভিত মজবুত করতে হয়। নিজের শরীরকে জানতে শিখলে তবেই অন্যের শরীর সম্পর্কে মানবিক ধারণা তৈরি হয়। কিন্তু যারা তৈরি করবেন তারা নিজেরাই তো ইতস্তত বিক্ষিপ্ত। ভাবতেই থেকে যান কীভাবে, কবে? পরম্পরা এগোতে থাকে অন্ধকারে। অপরাধ প্রবণতা বাড়ে গুনিতক হারে।

যৌনতা বিষয়টা ভীষণভাবে মানসিক। কিশোর বয়সে একটি ছেলে বা মেয়ের সঙ্গে যৌন নিগ্রহ তার সম্পূর্ণ মানসিক গঠনকে বদলে দিতে পারে। ভয় এবং সামাজিক অস্বস্তির ভিতরে লুকানো পিতৃতন্ত্র একটি মেয়ের জীবনের সামগ্রিক সম্ভাবনাকে পিষে ফেলতে পারে। কিন্তু তার পরেও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে প্রতিরোধ এবং প্রতিবাদ করার জন্য যে মানসিক সামর্থ্য প্রয়োজন তা নির্ভর করে তার যৌন সচেতনতার উপর। এই সচেতনতা তৈরি করা যেতে পারে ছোটবেলা থেকেই।

শরীর সম্পর্কে সচেতনতা এবং পরিচ্ছন্নতা বলতে যে শুধু দাঁত মাজা, সাবান দিয়ে স্নান করা আর স্যানিটাইজার ব্যবহার করা নয় সেটা বুঝতে হবে ছোটবেলা থেকেই। দেখতে হবে মা বাবার নিজের জীবনযাপনের ছন্দটাও যেন ধন্দে গিয়ে না ঠেকে ছেলেমেয়ের কৌতূহলী মনের কাছে সেটাও দেখা দরকার। আমার মনে পড়ে আমি যখন ক্লাস টু তে পড়ি আমার বয়সী অন্য একটি মেয়ে একদিন আমাকে বলেছিল, রাতে না আমার মা রোজ আমার পাশ থেকে উঠে যায়। তোর মাও উঠে যায় দেখবি। এত অবাক হয়েছিলাম কথাটা শুনে যে আজও মনে আছে। কিন্তু এই কথা তো ওই বয়সী একটি মেয়ের বলার কথা নয়। সে নাহয় আদিম যুগের কথা। এখন দিন পাল্টেছে। বাবা মায়েরা অধিকাংশই যথেষ্ট সচেতন। কিন্তু তবুও অনেকটাই বাকি আছে। নো কনফিডেন্স আর ওভার কনফিডেন্স দুটোই যেমন শূন্যকে নির্দেশ করে, এটাও অনেকটা সেরকম।’অমুকের ভাইকে দেখেছিস? কেমন মেয়েলি যেন? হোমো নাকি’

সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশনের দিকটা আজও অস্বচ্ছ। মানুষ তাদের নিয়েও নেন না। চুপ করে থাকেন। নিচ্ছি কিন্তু নিচ্ছি না। খাচ্ছি কিন্তু হজম হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ এই স্তরেই রয়েছেন এখনো।এই কিছুদিন আগে মেট্রো স্টেশনে ট্রান্স কমিউনিটির কয়েকজনকে শারীরিকভাবে শ্লীলতাহানি করা হয়। অনেকেই বলেছেন এই নিয়ে কিন্তু সকলেই বলেছেন তা কিন্তু নয়। তাও শহর এখন তিলোত্তমার আগুনে জ্বলছে বলে অতটুকু ধোঁয়া উঠেছিল। নাহলে খবরের কাগজের শেষদিকের পাতায় একটি ছোট খবর হয়েই ঘটনাটা বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত। অথচ এই সেকশনের উপর প্রচুর অত্যাচার হয় এবং তা সর্বজনবিদিত। ওদের নিয়ে আমরা চুপ থাকি।  ওদের একটা অদৃশ্য ব্যারিকেডের মধ্যে রাখা হয়। ওদের লড়াই ওরা একাই লড়ে মূলত। অন্যান্য কমিউনিটির সঙ্গে এখনো ওদের স্বাভাবিক মিশে থাকা নেই। এখনো পুরুষের মধ্যে কোমলতা দেখলে তাকে ‘শালা গে’ বলা হয় আর শক্তপোক্ত গড়নের মেয়ে দেখলে ‘লেসবো’। কোন সাহিত্য পত্রিকায় কোন কুইয়ার কমিউনিটির কাউকে তেমন লিখতে দেখিনি। ওরা যখন আমাদের বিষয়, তখন ওদের কমিউনিটির লড়াই, সাক্ষাৎকার ইত্যাদি আমরা প্রকাশ করছি কিন্তু নিত্যকার বিষয়গুলো নিয়ে রোজকার কলামে ওরা কোথায় তেমনভাবে আসছেন? স্পেশাল কেন? বিশেষ কেন? এটাই তো শ্রেণিবিভাজন। সাধারণের সঙ্গে মিশে না থাকতে পারাটাই তো অধিকারের সীমাবদ্ধতা।ওরা আছেন আমাদের মধ্যে, আমরা ওদের নিজের করে নিয়েছি, ওদের সম্মান দিয়েছি কিন্তু আসলে ততটাও দিইনি। আমরা দেখাতে চেয়েছি যে আমরা সমতা দিতে জানি। এখন প্রদর্শন ঘটনার থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম। প্রদর্শন করছি আমরা উন্নত, অতএব উন্নত। প্রদর্শন করছি আমরা সমতায় বিশ্বাস রাখছি। অতএব আমরা সমান। এই সাম্য ভাষায় নির্মিত, জীবনে প্রতিষ্ঠিত নয়।     

এই ‘অর্ধসচেতন-আমাদের’ জন্য স্কুলের ছেলেমেয়েদের মধ্যেও এই গে আর লেসবো নিয়ে একটা অদ্ভুত ভুলভাল চর্চা হয়। যেন একটা স্টাইল স্টেটমেন্ট এটাও। আমরা অবশ্য এসব শুনতে পেলে অভিভাবককে ডেকে পাঠাব। সাসপেন্ডও করতে পারি ছাত্রছাত্রীকে কয়েকদিনের জন্য। আমাদের বিধি ওইখানেই সমাপ্ত। একবার আমার মেয়েকে কেউ জিজ্ঞাসা করেছিল ও বাইসেক্সুয়াল কিনা। তখন ক্লাস নাইনে পড়ে। মেয়ে আমাকে বলল আমি কি উত্তর দেব? ওকে বললাম, নেক্সট টাইম কেউ এই প্রশ্ন করলে বলবি  অ্যাকচুয়ালি আই অ্যাম ট্রাইসেক্সুয়াল। আই কিপ ট্রাইয়িং… (বহুদিন আগে শাহ রুখ খান একটি সাক্ষাৎকারে ওই একই প্রশ্নের উত্তরে এই জবাব দিয়েছিলেন)।যাই হোক আমার সঙ্গে মেয়ের সম্পর্কটা এরকম সহজ হওয়াতে যৌনতা বিষয়টা ওর কাছে মারাত্মক গোপনীয় কিছু হয়ে ওঠেনি। কিন্তু সেটাও একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাই বলব।  

পাশাপাশি যারা রয়েছি অনেকের মধ্যেই এই সহজ বোধের যথেষ্ট অভাব দেখেছি। ছেলের মায়েরা অনেকেই মনে করেনা তাদের সন্তানকে এবিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা দেওয়া দরকার। অথচ ছেলের মায়েদেরও যথেষ্ট বেশি সচেতন হওয়া দরকার এ বিষয়ে। একদম ছোট থেকেই ছেলেকে যৌনতা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা দিতে থাকলে, হয়ত ভবিষ্যতে মেয়েদেরকে উপভোগের উপকরণ বলে মনে হবে না তার।

সবকিছুর পরেও একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। এসব ধারণার শুদ্ধিকরণ করে কি অপরাধ মুক্ত দেশ তৈরি করা যাবে? অবশ্যই যাবে না। অপরাধ হবেই। শ্লীলতাহানি বা আরও ঘৃণ্য ধরনের যা কিছু হচ্ছে সবই হবে। মানুষউন্নত মস্তিষ্কের পশু বই অন্য কিছু নয়। কিন্তু তবুও আমার ঘরের ছেলেটি ঠিকঠাক বড় হলে সেই সংখ্যা একটি হলেও কমার সম্ভাবনা থাকবে। নাহলে এই বধ্যভূমিতে একসময় সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য স্ত্রীলোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। 

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত