আজ ১৪ নভেম্বর কবি,সম্পাদক ও নাট্যকর্মী সুমন সাধুর শুভ জন্মতিথি। ইরাবতী পরিবার কবিকে জানায় শুভেচ্ছা ও নিরন্তর শুভকামনা।
একটি তরমুজের হত্যা
সংসার
কতটা কাটাকুটি আঁকলে নিরাপদে যাওয়া যায়! কতটা কাঁসাই ভরা অভিমান নিয়ে শৈশবে যাওয়া যায়! অথচ এইভাবে স্বভাবে স্বভাবে চিনে নেব একে অপরকে। দুজনে দুপুরবেলায় রোদ্দুর আঁকব আর এক থালায় যাপন করব স্মৃতি-সত্তা-ভবিষ্যৎ। অথচ এইভাবে আমরা পালিয়ে যাব চুপি চুপি। কাশ দেখব, রেলপথ দেখব, ভোর দেখব, অভিনয় করব আর চরিত্র খুঁজব। এক চন্দ্রগ্রহণ পালা শেষ হলে কি গান ধরব “কত জন্মের চেনা”?
২
আমি এভাবেই চেয়ে থাকি তোমার মতো। মফস্বলে সন্ধে নামলে আস্ত একটা শাঁখা-নোয়া-আলতা ভরা সংসার কাঁটাতার ভেদ করে ছুটে আসে। আলো জন্ম দেয়। আমরা লালন করি সেই আলো, পালন করি রেলপথ। ভোর হবে একটু পর। আর এই ভোরে তুমি দেখে নেবে একফালি জানলার শিক ভেদ করে কীভাবে ওপার এসে পড়েছে জলচৌকিতে। একটা ছবি আঁকব। পুরনো জলচৌকির উপর আমরা সবাই গল্প আর কবিতা হয়ে বসে আছি।
৩
অনেকগুলো কথাবার্তা আর একটুকরো উত্তরপাড়া নিয়ে বসে থাকা যাক আজ গোটা রাত্তির। মাঝখানে নদী নিজের নিয়মে বয়ে চলুক না। আমাদের ইচ্ছেগুলো বরং এপার-ওপার জুড়ে প্রতিমা গড়ুক। প্রতিমা গড়া শেষ হলে হাতের উপর হাত রেখে মাস্তুল ছোটাই। ছুটতে ছুটতে…এক আকাশ কালো দিঘি আর কচুরিপানা… ছুটতে ছুটতে… কত কত লেখা, কত কত না লেখা আর ‘কিচ্ছু হচ্ছে না’ নিয়ে ভেবে যাচ্ছি। এখন বিশ্রাম নেওয়ার পালা..এক এক করে। এক এক করে একটু পর একফালি উত্তরপাড়া ঘেঁষে লেখা হয়ে কাটিয়ে দেব। সন্ধে হয়ে এল…
৪
পাড়ায় পাড়ায় চরিত্র ভিড় করে দাঁড়িয়ে আছে। আমরা চরিত্রের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাই। তুলে আনি রং, আলো। সেই রং গায়ে মেখে আলো হয়ে সিঁড়ি পেরোয়। সিগারেট ধরাই আর হেঁটে যাই। আলো ক্রমশ বাড়ছে। জানিনা শেষ কাউন্টারে কতটা সংলাপ ছিল, কতটা নিস্তব্ধতা ছিল; হয়ত আমরা কোন চিত্রনাট্য অথবা সংলাপ ছাড়াই হেঁটে যাচ্ছি। হয়তো আমরাই রং আর আলো হয়ে চরিত্র সেজে ভিড় হয় দাঁড়িয়ে রয়েছি পাড়ায় পাড়ায়।
(উৎসর্গ: সুপ্রিয় মিত্র, তন্ময় ভট্টাচার্য, আকাশ গঙ্গোপাধ্যায়, মৌলিকা সাজোয়াল)