| 23 অক্টোবর 2024
Categories
গল্প সাহিত্য

অপেক্ষা  

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট

বাঁশদ্রোণী বাজার থেকে পাঁচ-মিনিট হাঁটা পথের দূরত্বে সাড়ে ছ-শো স্কোয়ার ফিটের ফ্ল্যাটটা কেনার পর মীনাক্ষীর মনে হয়েছিল, এতদিনে সে যেন সত্যিই রানী হয়ে গেল। তার বাপের বাড়ি মেদিনীপুরে, সেখানে তাদের মাটির দোতলা বাড়ি। তপনের সঙ্গে বিয়ের পর কোলকাতায় এসে এই পাড়াতেই এক ঘরের বাসায় ভাড়া থাকতো তারা। সেসময় চারপাশের বাড়িগুলো সে চেয়ে চেয়ে দেখতো শুধু,কোনদিন কল্পনাও করেনি যে একদিন এখানেই তাদের নিজস্ব ফ্ল্যাট হবে, যার প্রবেশ দরজায় লেখা থাকবে তার আর তপনের নাম।

তাদের একমাত্র সন্তান মিস্টুর জন্মের আগে আড়াই বছর তবু একরকম কেটে গিয়েছিল, কিন্তু মিস্টু আসার পর তপনের সামান্য বেসরকারি চাকরির আয়ে সংসার চলতেই চাইতো না। পরিস্থিতির সুরাহা হয় যখন পাড়ার মন্টেসারি স্কুলে মীনাক্ষীর একটা চাকরি হয়ে গেল। কাজে ঢুকেই সে ঘোষণা করে দিয়েছিল,“আমার মাইনে হল সংসারে বাড়তি রোজগার, পুরোটাই জমাবো।“  

তপন ঠাট্টা করেছিল,“ইলিশের সময় একদিন ইলিশ আর ন’মাসে-ছ’মাসে একবার পাঁঠার মাংসের টাকাটা অন্তত দিও।“

সেই একটু একটু করে টাকা জমানো শুরু, অবশেষে এই ফ্ল্যাট। ফ্ল্যাটটা আয়তনে খুব বড় না হলেও ছিমছাম লেআউট। দুটো শোয়ার-ঘর, দুটো বাথরুম, কিচেন,ড্রয়িং অ্যান্ড ডাইনিং, আর সরু হলেও লম্বা একটা ঝুলবারান্দা আছে। বারান্দার সামনেই আবার একটা ঝাঁকড়া নিমগাছ। গাছটা দেখে মীনাক্ষীর মা বলেছিলেন,“নিমগাছ তো ভালো, বাতাস শুদ্ধ হয়।“ 

মীনাক্ষীর বাবা বলেছিলেন,“বাতাস না হয় শুদ্ধ হল, কিন্তু প্রতিবেশী কেমন? ফ্ল্যাটবাড়িতে গায়ে গা লাগিয়ে থাকা, তাই ওটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।“   

মীনাক্ষীর কপাল ভালো, এই চারতলা ফ্ল্যাটবাড়ির আট-ঘরের মধ্যে তাদের প্রতিবেশীই ছিল সবচাইতে নির্ঝঞ্ঝাট পরিবার,একা মানুষ, এক বয়স্কা মহিলা, মাসিমা।

এই ফ্ল্যাটবাড়ির সামনে দিয়ে যে রাস্তাটা সোজা চলে গেছে, তার সমান্তরাল দুটো রাস্তা পরেই মাসিমার মেয়ের বাড়ি, আর ছেলে বিদেশে সেটেলড। স্বামীর মৃত্যুর পর মহিলা একাই থাকতেন, একটা ম্যাসিভ হার্ট-অ্যাটাকের পর মা-কে আর দূরে রাখতে ভরসা পায়নি ছেলেমেয়েরা। তাই এই ব্যবস্থা। মেয়ের বাড়ির কাছাকাছি ফ্ল্যাট কিনে মাসিমা শিফট করে এসেছেন।     

তপন বলেছিল,“মালদার ফ্যামিলি, বুঝলে। পনেরো বছর ধরে আমরা এই ফ্ল্যাটের ইএমআই দেব, আর মাসিমার ছেলে এককথায় ক্যাশ ডাউন করে পঁচাত্তর বছর বয়সী মা-র জন্য ফ্ল্যাট কিনে দিল? আর ক-দিনই বা বাঁচবেন মাসিমা, তার জন্য নতুন ফ্ল্যাট?”

তপনের মুখে তাড়াতাড়ি হাত চাপা দিয়েছিল মীনাক্ষী,“যাহ্‌, এভাবে বলো না।“      

তপন আবার বলেছিল,“মাসিমার ছেলের মত করে মিস্টুকে বড় করো তো। মিস্টুও যেন বিদেশে যায়। তাহলে আমাদের বুড়ো বয়সে আর পয়সার কষ্ট থাকবে না।“

মাসিমার সঙ্গে মীনাক্ষীর ভাব হয়েছিল মিস্টুর সূত্রেই। পাঁচ বছরের মিস্টু খেলাচ্ছলে যখন তখন এসে সামনের ফ্ল্যাটের ঘণ্টি বাজিয়ে দিত। মাসিমা রাগ করতেন না, বরং হাসিমুখে দরজা খুলে দাঁড়াতেন। দস্যি মিস্টু মাসিমার পাশ দিয়ে টুক করে ঢুকে পড়তো ফ্ল্যাটের ভিতরে। পিছন থেকে মীনাক্ষী ছেলেকে টেনে ধরতে গেলে তিনি বাধা দিতেন, বলতেন, “থাক না, ও কোন দুষ্টুমি তো করে না, সারা বাড়িতে একবার টহল দিয়ে যায় শুধু।“       

মীনাক্ষী জিজ্ঞাসা করতো,“আপনার বিশ্রামে ব্যঘাত হবে না?”

উনি হাসতেন,“আর কত বিশ্রাম নেব বলো তো? বিশ্রাম নিতে নিতে বুকে হাঁফ ধরে যায় জানো। দুটো কথা বলার জন্য মনটা ছটফট করে।“       

সেই থেকে মাঝেমাঝে মীনাক্ষী গিয়ে বসতো মাসিমার ঘরে, কত গল্প হত ওনার সঙ্গে। শুধু বাইরের আলাপ নয়, ধীরে ধীরে সে চিনেছিল ভিতরের মানুষটাকেও। ছেলেমেয়েরা কৃতী, স্বচ্ছল অবস্থা, তবু মনের দিক থেকে মানুষটা ছিলেন খুব একা। সারাদিন বই পড়তেন, টিভি দেখতেন, সঙ্গে প্রতীক্ষায় রইতেন ছেলের ফোনের আর অফিস থেকে ফিরে কখন মেয়ে আসবে দেখা করতে।  

বেশিদিন ছিলেন না মাসিমা, তপনের কথাকে সত্যি করে আবার একটা হার্ট-অ্যাটাকে চলে গেলেন। যেতে তো সবাইকেই হয়, তবে মাসিমার যাওয়াটা ছিল প্যাথেটিক, বন্ধ ফ্ল্যাটে একা একা চলে গেলেন। সকাল ন-টাতেও দরজার বাইরে খবরের কাগজ আর দুধের প্যাকেট পড়ে আছে দেখে কেয়ারটেকারের কেমন সন্দেহ হয়েছিল। কেয়ারটেকারের কাছে মাসিমার মেয়ের ফোন নাম্বার ছিল, সে-ই ফোন করে ডেকে আনে মেয়েকে।       

মৃত মাসিমাকে দেখে খুব কেঁদেছিল মিস্টু, সঙ্গে মীনাক্ষীও। তার সবচাইতে বুকে বেজেছিল, মানুষটার এই একা একা চলে যাওয়া। তিন-বছর ধরে সে সাক্ষী,ছেলের একটা ফোনকলের জন্য কীভাবে কাঙালের মত প্রতীক্ষা করতেন মাসিমা। মৃত্যুর পরেও মাসিমার সেই প্রতীক্ষা শেষ হল না। বিদেশ থেকে ছেলে এসে মা-র মুখাগ্নি করবে, তাই মাসিমার মৃতদেহ মর্গে রাখা ছিল চার-দিন।    

পাশের ফ্ল্যাটের কান্ড দেখে মীনাক্ষী বলেছিল,“না বাবা, আমাদের মিস্টুর বিদেশ যাওয়ার দরকার নেই, ঘরের ছেলে ঘরেই থাক। সারাজীবন হাভাতেপনা করে কেটে যাচ্ছে, বুড়ো বয়সে আর বড়লোক হয়ে কাজ নেই। বরং শেষ সময়ে ছেলেটা যেন পাশে থাকে।“  

বারান্দার সামনের নিমগাছটার কোটরে দুটো পাখী বাসা বেঁধেছে। এতদিনে ডিমও পেড়েছে বোধহয়। স্ত্রী-পাখিটার গায়ের রং ছাই-ছাই।  পুরুষ পাখিটার পেটের দিকটা কালো, পিঠ উজ্জ্বল হলুদ রঙের পালকে  ঢাকা। পাখির বাসাটার দিকে তাকিয়ে মীনাক্ষীর বুক চিরে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে আসে, চোখ ফেটে জল।

সাত বছর আগে মাসিমার অ্যামেরিকাবাসী ছেলের মুণ্ডিত মস্তক আর গলায় কাছা দেখে নিজের কৃত বক্রোক্তি এই মুহূর্তে মীনাক্ষীর মনে পড়ে। কখন যে মুখের কথা কোথায় লেগে যায়! বিধাতা বুঝি এইভাবেই অলক্ষ্য থেকে হাসেন। 

সবই চলছিল বেশ। কোথা থেকে যে এই নতুন ভাইরাসের উদয় হল! সর্বনাশ হয়ে গেল মীনাক্ষীদের।  

তপনের মা-বাবা নেই, মা-কে সে হারিয়েছে কৈশোরেই,মিস্টুর জন্মের বছরই বাবাও চলে গেছেন। ফলে দাদু-দিদা বলতে মীনাক্ষীর মা-বাবাকেই মিস্টু চিনতো।

আর মীনাক্ষীর মা-বাবাও নাতিকে চোখে হারাতেন,মিস্টুর সবরকম দৌরাত্ম্য সহ্য করতেন হাসিমুখে। মিস্টুকে মা-বাবার এত আহ্লাদ দেওয়া নিয়ে মীনাক্ষী কত রাগ করেছে,তপন কিন্তু মজা পেত, বলতো, “ বেচারা মিস্টু, বাবার দিকের দাদু-ঠাকুমা নেই, অন্তত মা-র দিকের দাদু-দিদার আদরে বড় হোক। তোমার দাদা আসামে আছেন, মেদিনীপুরের বাড়িতে তালা দিয়ে মা-বাবাকে এখানে নিয়ে এলেই হয়।“      

মা-বাবা অবশ্য পাকাপাকিভাবে মেয়ের বাড়িতে আসেননি, তবে বছরে গড়ে ছ-মাস তাঁরা মীনাক্ষীর কাছেই থাকতেন। অসুবিধাও ছিল না, মেদিনীপুরে তাদের বাড়ির পাশের জমিতেই ছোটকাকার বাড়ি। মা-র ঠাকুরকে জল দেওয়া, তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বালানো, এইসব ছোটখাটো কাজগুলো কাকিমা করে দিতেন।   

এইবার একটু গণ্ডগোল হয়ে গেল। টানা দু-মাস মেয়ের বাড়িতে থাকার পরে মা-বাবা দেশে ফিরেছিলেন। আর তার পরপরই শুরু হল লকডাউন।   

কোভিডের শুরু থেকেই মীনাক্ষীর খুব চিন্তা ছিল মা-বাবাকে নিয়ে। দুজনেরই বয়স হয়েছে, তার সঙ্গে মা দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস রুগী, আর বাবার ছোট থেকেই হাফানির সমস্যা।     

কোভিড-১৯ ভাইরাসের খবর শোনার পর মা-বাবাকে বাড়ি থেকে বেরোতে দিত না মীনাক্ষী। তার বাবার মর্নিংওয়াকের অভ্যাস, তবু মেয়ের বকুনির চোটে সকালে হাঁটতে যাওয়া বন্ধ করেছিলেন। বাবা-মা দেশে ফিরে যাওয়ার পরও প্রতিদিন ফোন করতো মীনাক্ষী, পইপই করে বারণ করতো বাইরে বেরোতে। ছোট ছোট সাবধানতার কথা যা শুনত পাঁচজনের মুখে,সেগুলো মনে করে মা-কে জানাতো। তবু শেষ রক্ষা হল না।             

প্রথমে বাবার হল, জ্বর আর দম বন্ধ করা কাশি। বাবার সিম্পটমের কথা বলতে বলতে ফোনে মা কেঁদে ফেলেছিলেন,“যেভাবেই হোক, তুই একবার আয় মিনু।“     

তপন ঠাণ্ডা চোখে দেখেছিল মীনাক্ষীকে,“সম্ভব নয়, একেবারেই সম্ভব নয়। তাছাড়া পাশেই তোমার ছোটকাকা আছেন। না হলে পাড়ার ইয়াং ছেলেদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলো।“

তপনের অসহযোগিতায় অসহায় বোধ করেছিল মীনাক্ষী। তবে তপনের শেখানো কথাগুলোই মা-কে বলেছিল ফোনে। উত্তরে মা কিছু বলেনি, শুধু বিড়বিড় করেছিল,“তোর কাকা-কাকীর শরীরও ভালো নেই। তাহলে পাড়ার ক্লাবেই একটা খবর দিই।“            

বাবার জ্বর শুরু হওয়ার দু-দিনের মধ্যেই মা-র শরীরেও উপসর্গ দেখা দিল। তারপর যেন একটা ঝড়, দ্রুতগতিতে এসে আছড়ে পড়লো মীনাক্ষীদের পরিবারে, যার ধ্বংসের ক্ষমতা আমফানের চাইতেও তীব্র। এদিকে তপনের সেই এক বুলি,“না, একেবারেই না। এই রোগ মারাত্মক ছোঁয়াচে। মিস্টু আছে, তুমি আছ, আমিও আছি, নিজেদের ভালোমন্দও তো ভাবতে হয়। তাছাড়া ওখানে গিয়ে হবে কী? যা করনীয়, তা ডাক্তাররাই করছেন। বি প্র্যাক্টিক্যাল, এটা আবেগের সময় নয়। দেখি, ওঁরা সুস্থ হয়ে উঠুন, যেভাবেই হোক এখানে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করবো।“  

তবে মা-বাবা আর সুস্থ হয়ে ওঠেনি, স্বজন হীন অবস্থায় চলে গেলেন দুজনেই। শেষ নিঃশ্বাস ফেলার আগে তাঁদের পাশে কোন প্রিয়জন ছিল না। মা-বাবার সৎকার করার সুযোগটুকুও ছেলে আর মেয়ে পায়নি। দাদা মুখাগ্নি করতে পারলো না। পুরোটাই তারা কানে শুনলো, শেষ দেখা হল না।    

মিস্টুকে জড়িয়ে ধরে ডুকরে কেঁদে উঠেছিল মীনাক্ষী, দু-হাত দূরে তপন বসে ছিল পাথরের মত, আর মিস্টু চেয়ে ছিল ফ্যালফ্যাল করে।

মা-বাবা মারা যাওয়ার পর মেয়েরা শেষ-কৃত্য করে চারদিনের মাথায়। আজ সেই চতুর্থ দিন। সব কাজ শেষ হওয়ার পরে মীনাক্ষী একা বসে ছিল সরু লম্বা ঝুলবারান্দাটায়।

মাসিমার ফ্ল্যাটটা এখনও বিক্রি হয়নি, তালা বন্ধ অবস্থাতেই পড়ে আছে। বহুদিন পরে সামনের ধুলো পড়া বারান্দাটার দিকে তাকিয়ে মীনাক্ষীর মনে পড়ছিল মাসিমাকে।   

পশ্চিমমুখী এই এক ফালি বারান্দাটা মাসিমার খুব পছন্দ ছিল, বারান্দায় বসে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতেন পথচারীদের, সামনের মাঠে ছেলেদের ফুটবল খেলা, আর সূর্যাস্ত। মাসিমা মুখে না বললেও তাঁর নিঃসঙ্গতার কষ্ট মীনাক্ষী টের পেত, আহত বোধ হত মনে মনে।  

আবার মাসিমার সন্তান সৌভাগ্য দেখে তার হিংসাও হত। একজন বৃদ্ধার জন্য এত আয়োজন! তবে মাসিমার ছেলে দেশে এলে মজা হত মিস্টুরই। ছেলের আনা বিদেশী চকোলেট-কুকিস দু-চারটে নিজের জন্য রেখে বাকি সব মাসিমা দিয়ে দিতেন মিস্টুকে। এমনকি ছেলে মিষ্টির প্যাকেট বা নিউমার্কেট থেকে ফলের ঝুড়ি নিয়ে এলেও মিস্টুকে না দিয়ে মাসিমা খেতেন না।     

মাসিমার মৃত্যুর পর সেই প্রবাসী ছেলের প্রতি খুব করুণা হয়েছিল মীনাক্ষীর। সে মনে মনে ভেবেছিল,“বেচারা ছেলেটা! মা-কে ভালোবাসে না এমন নয়, তবে পয়সার লোভে বিদেশে চলে গেছে, তাই মা-র সঙ্গে শেষ দেখা হল না।“ সে আর তপন কত সমালোচনা করেছিল এই বিষয়ে।     

আর আজ? মীনাক্ষী তো বিদেশে যায়নি, তার দাদাও দেশে আছে। তবু মা-বাবার সঙ্গে তাদের শেষ দেখা হল না।

মাসিমা মর্গে অপেক্ষা করে শেষ যাত্রার আগে ছেলের হাতের আগুন পেয়েছিলেন। তার মা-বাবা সেই সুযোগটুকুও পেলেন না।       

বিকেলের মরে আসা আলোর দিকে তাকিয়ে মীনাক্ষী আবার দীর্ঘশ্বাস ফেলে। ওই যে, নিমগাছের কোটরের সামনে হলুদ পাখিটা, স্ত্রী-পাখিটা বোধহয় বাসার ভিতরে বসে ডিমে তা দিচ্ছে। না কি এতদিনে ডিম ফুটে বাচ্চা বেরিয়ে এলো?

চোখের জল মুছে মীনাক্ষী ফিরে তাকায়, জানলা দিয়ে দেখা যায় ফ্ল্যাটের অভ্যন্তর। মিস্টু পড়ার টেবিলে মুখ গুঁজে বসে, তপনের পিঠটুকু দেখা যাচ্ছে শুধু, হিসেবের খাতা লিখছে নিশ্চয়ই।   

মীনাক্ষীরও মনে পড়ে,এখনও রাতের রান্না বাকি। পিঠের ওপর ছড়িয়ে থাকা এলোচুল একটা শক্ত হাত খোঁপায় বেঁধে সে বারান্দা থেকে ভিতরে ঢুকে আসে, কোনদিকে না তাকিয়ে সোজা চলে যায় রান্নাঘরে।        

 

 

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত