তুমি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
আকাশ যখন দৃপ্ত তুমুল মেঘমালাতে সাজে
মেঘের গায়ে অযুত নিযুত ডমরু ধ্বনি বাজে
আমার বুকের ভেতর তখন তোমার গানের সুর
ঠাকুর তুমি আজকে কোথায়? আজকে কতো দূর?
কাশের বনে বাতাস যখন উড়ায় আঁচল তার
রঙ্গিন পালে পানসী যখন হয় এ নদী পার
আমার বুকের ভেতর তখন তোমার সুরধ্বনি
হাত পাতলেই দুহাত ভরে পদ্য গাঁথার খনি।
সূর্য যখন একটু নরম আলোয় ওঠে হেসে
আদুল গায়ের ছোট্ট শিশু দাঁড়ায় পথিক বেশে
আমার বুকের ভেতর ঠাকুর তোমার কাব্য ধারা
সকাল দুপুর রাত্রি আমি হই যে দিশেহারা।
সবুজ পাতার ফাঁকে যখন ফুলের তুমুল হাসি
বুকের ভেতর কে যে তখন বাঁজিয়ে যায় বাঁশি
আমার বুকের ভেতর ঠাকুর গেয়ে ওঠো তুমি
ধন্য হই আমি সাথে আমার জন্মভূমি।
দূর আকাশের কোনায় কোনায় যখন বজ্রপাত
বুকের ভেতর মিছিল নামে উর্ধ্বে লক্ষ হাত
প্রতিবাদে উথাল পাথাল ঠাকুর তোমার সাথে
দীপ্ত সূর্য দুহাত বাড়ায় উজ্জল এক প্রাতে।

কবি ও ছড়াকার
পেশায়:
উপ-পরিচালক(অর্থ)
শতভাগ ডিএনই (ডিএমসিএস) প্রকল্প
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড।