নাটকীয়তায় মোড়া ফাইনাল জিতে চ্যাম্পিয়ন নতুন ইংল্যান্ড

Reading Time: 2 minutes

লর্ডসে রোমাঞ্চের শেষে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। সুপার ওভারে টাই হওয়ার পর ম্যাচে বাউন্ডারির সংখ্যা হিসাবে এগিয়ে চ্যাম্পিয়ন মরগানের দল।

নাটকীয় ফাইনাল লর্ডসে। শেষ ওভারে জেতার জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ১৫ রান। ট্রেন্ট বোল্টের শেষ ওভারের প্রথম দুটো বলে রান নিতে পারেননি বেন স্টোকস। পরের বলেই ছক্কা মারেন তিনি। তার পরের বলে দু’ রান নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে দৌড়ন স্টোকস। গাপ্তিলের ছোড়া বল স্টোকসের ব্যাটে লেগে চার হয়ে যায়। শেষ দু’ বলে জেতার জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল তিন রান। পরের বলে রান আউট হয়ে যান রশিদ। ফলে শেষ বলে জেতার জন্য ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ২ রান। বোল্টের বল মেরেই দু’ রান নেওয়ার জন্য দৌড়ন স্টোকস। কিন্তু মার্ক উড রান আউট হয়ে যাওয়ায় ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারে ইংল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করে তোলে ১৫ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমেও নাটক। শেষ বলে জেতার জন্য কিউয়িদের দরকার ছিল ২ রান। দু’ রান নিতে গিয়ে রান আউট হন গাপ্তিল। ফলে সুপার ওভারেও ম্যাচ টাই।

লর্ডসের ফাইনালে শুরু থেকেই দাপট দেখালেন ইংল্যান্ড বোলাররা। জোফ্রা আর্চার, প্ল্যাঙ্কেট, ওকসরা শুরু থেকেই চাপ তৈরি করেন নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের উপরে। সেই চাপ আর সামলে উঠতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। ৫০ ওভারে নিউজিল্যান্ড করল আট উইকেটে ২৪১ রান। রান তাড়া করতে নেমে চারটি উইকেট হারিয়ে একসময়ে চাপ অনুভব করতে শুরু করে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। জেসন রয় (১৭) ও জো রুট (৭), বেয়ারস্টো (৩৬) ও মর্গ্যান (৯) রানে ফিরে গিয়েছেন। তার পরে ইংল্যান্ডকে স্বপ্ন দেখায় স্টোকস ও বাটলারের ব্যাট। সেই ম্যাচই যে সুপার ওভারে পৌঁছবে তখন কি আর কেউ জানতেন!

এ বার লর্ডসের মাঠে ইতিহাসের চাকা ঘুরবেই। যে দেশই চ্যাম্পিয়ন হোক, ক্রিকেটবিশ্ব পাবে নতুন চ্যাম্পিয়ন। ফাইনালের বল গড়ানোর আগে নিউজিল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটার রস টেলর জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা ‘আন্ডারডগ’ থাকতেই পছন্দ করেন। ফাইনালে ফেভারিট ইংল্যান্ড। আয়োজক ইংল্যান্ডের উপরে প্রত্যাশার চাপ বেশি। চাপ রয়েছে কিউয়িদের উপরেও। সেটা দেখা গেল লর্ডসের বাইশ গজে। মার্টিন গাপ্তিলের উইকেট দ্রুত হারিয়ে ‘ব্ল্যাক ক্যাপস’রা চাপ অনুভব করতে শুরু করে দিয়েছে। রান তোলার গতি মন্থর। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও নিকোলস ইনিংস গোছানোর কাজ করছিলেন। কিন্তু, প্ল্যাঙ্কেটের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাপ্টেন কেনকে (৩০) ধরেন বাটলার। ৫৫ রান করার পরে নিকোলসের উইকেট ভেঙে দেন প্ল্যাঙ্কেট। রস টেলরকে (১৫) ফেরান উড। বিপর্যয়ের মধ্যে ল্যাথাম রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, বাকিরা এলেন আর গেলেন। নিজেদের উইকেট ছুড়ে দিয়ে এলেন কিউয়ি ব্যাটসম্যাযানরা।

এ দিন টস জিতে কিউয়ি অধিনায়ক উইলিয়ামসন প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। ক্রিস ওকসের বলে বিদায় নেন গাপ্তিল। অফ স্টাম্পের বাইরের বল কাট করে ভিতরে ঢুকে এসে গাপ্তিলের পায়ে লাগে। রিভিউ নেন গাপ্তিল। তাতে লাভ হয়নি। ১৯ রানে ফিরতে হয় গাপ্তিলকে। চলতি বিশ্বকাপে একদমই ফর্মে ছিলেন না তিনি।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>