| 27 এপ্রিল 2024
Categories
এই দিনে গদ্য সাহিত্য

শনিবারের চিঠি

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট

আজ ১৯ ডিসেম্বর কথাসাহিত্যিক,সম্পাদক ও সঙ্গীতশিল্পী ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়ের শুভ জন্মতিথি। ইরাবতী পরিবার তাঁকে জানায় শুভেচ্ছা ও নিরন্তর শুভকামনা।


প্রিয় গঙ্গাজল, 
প্রতি বছরের মত এবারেও তোকে আবার লিখছি পুজোর চিঠি। পুজোয় সব চাই আমাদের তবে চিঠি নয় কেন? পুজো এলেই মনে পড়ে সেই সেবার গঙ্গার ঘাটে দাঁড়িয়ে তুই আর আমি দুজনের বাঁ হাতের কড়ে আঙুলে আঙুলে জড়িয়ে আর ডান হাতের মুঠোয় গঙ্গা জল নিয়ে গঙ্গাজল পাতিয়েছিলাম। আর বলে উঠেছিলাম 
ওপরে জল, নীচে জল আমরা হলেম গঙ্গাজল। 
দুর্গা পুজোর ভাসান দেখতে গেছিলাম সেবার। আর সেই সঙ্গে মনে পড়ে যায় পুজোর কত স্মৃতি। স্মৃতির সরণী বেয়ে হেঁটে চলে আমার আঙুলের সংলাপ। মনে পড়ে না তোর? 
আমাদের সেই ছোট্টবেলার মফ:স্বলী গেঁয়ো শহর আলমবাজারের পুজোর কথা খুব মনে পড়ে জানিস? পুজো এসে গেলেই পুজোর বাজার। সেটা ছিল আমাদের সবচাইতে বড় এক্সাইটমেন্ট। সারাদিনের প্রোগ্রাম। বেলায় বেরুনো হত আর ফেরা হত সেই রাতে। ঝাঁ চকচকে সরকারি স্পেশাল বাস এস্-১৭ এর কি গ্ল্যামার তখন! সোজা লিন্ডসে স্ট্রীট। প্রথমেই ক্যাম্পাকোলার ঠাণ্ডা ছোঁয়া অথবা টাটকা আখের রসে মন ভরপুর। 
লাঞ্চ হত ইন্দ্রমহলের ছোলে-ভাটুরে আর স্পেশাল কুলফি মালাই দিয়ে। মুখে লেগে আছে জানিস? র‍্যালি সিংয়ের রঙ্গীন সিরাপ আর ফালুদার যুগলবন্দীতে এমন সুন্দর কুলফি মালাই বোধ হয় আর কোথাও তখন পাওয়া যেত না। এরপর আমাদের অভিযান হত সিম্ফনি দোকানটিতে । নতুন পুজোর গানের এল পি রেকর্ড। আর তখন এইচ এমভি থেকে শিল্পীদের গানের রেকর্ড কিনলে একটা গানের লিরিকসের ব‌ই দিত। মায়ের নজর থাকত তার দিকে। ততক্ষণে ফুটপাথের দোকান থেকে ভাই মায়ের আঁচলে গেরো দিয়ে ঠিক একটা ক্যাডবেরি বাগিয়ে বসে আছে। আমার একটা হেয়ারব্যান্ড, জামার সঙ্গে ম্যাচ করে দুটো ক্লিপ আর রিবন ও কেনা হয়ে গেছে। 
বিকেলে চা খেতে ঢোকা হত অনাদি কেবিনে। অনাদির স্পেশাল মোগলাই পরোটা ছাড়া পুজোর বাজার নৈব নৈব চ। আর সিম্ফনিতে তখন বেজে চলেছে অনুপ ঘোষালের নতুন পুজোর গান। “নাও খেয়ে নাও, এই বেলা খেয়ে নাও আর পাবে না, খেয়ে নাও, খেয়ে নাও…” আমাদের অবস্থাও ঠিক তেমনি। ওত দূর ঠেঙ্গিয়ে এসে এই মোগলাই পাব আর? তাই খেয়ে নিয়ে ছিলাম ভাগ্যিস! 
আর সন্ধ্যের ঝুলে বাড়ী ফেরার পথে চাইনিজ রেস্তোরাঁ কারকো তে। তখন চাইনিজ খেতে শিখিনি। আফশোস হয় এখন। 
পরেরদিন তুই সোজা আমার বাড়ী। লেটেষ্ট কি ফ্যাশন, কি জামা আমি কিনলাম সেই বুঝে তুই ও কিনতে যাবি। সেই যেবার প্রথম ম্যাক্সি ড্রেস উঠল? এবার আবার দেখছি এতদিন পরে সেটাই বাইরে পরে বেড়ানোর ফ্যাশন হয়েছে। 
স্কুল ছুটি পড়ে যেত পঞ্চমীর দিন। মনে পড়ে তোর? মায়ের শাড়ি পরে সেদিন আমরা স্কুলে গিয়ে নাজেহাল হতাম। স্কুল খুলত ভাইফোঁটার পর। পুজোর ক’দিন ব‌ইপত্র শিকেয় তোলা। পুজোর প্রতিদিন সকালে গ্রামাফোন চেঞ্জারে শারদ অর্ঘ্যের নতুন পুজোর গান। আজো সেই পুরোণো আধুনিক গান গুলো রেডিওতে শুনলে মনটা যেন কেমন করে কেঁদে ওঠে শিউলির গন্ধে, পুজোর ঢাকের আওয়াজে। সব চেনা চেনা গন্ধ। শিশির ভেজা শরতকাল ছুট্টে এসে মনের দোরে কড়া নাড়ে। যা প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে বাজত তা আবার আমাদের বাড়িতেও বাজত। 
ষষ্ঠীর দিনে ভোরবেলায় শাঁখের আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গেই মনে হত সেদিন স্কুল নেই। বাড়ীর প্রতিটি দরজায় হলুদ সিঁদুরের বসুধারা এঁকে দিতেন। পুজোর সূচনা হল বুঝি। ষষ্ঠীর দিনে আমাদের ঘটি বাড়ীর লুচির খোলা নিভত না। সকালের জলখাবারে লুচি বেগুণ ভাজা, দুপুরে লুচি, আলুরদম, ছোলার ডাল। রাতেও লুচি। উনুনের পিঠে লুচির ঝুড়ি। তখন স্বাস্থ্য সচেতন বাঙ্গালী সবে ঘি ছেড়ে পোস্টম্যানে উত্তীর্ণ। আমরা নিতাম আর খেতাম শুধু। তারপর দৌড়ে প্যন্ডেলে ছুটতাম। 
সপ্তমীর দিন সকালে সব প্যান্ডেল থেকে ভেসে আসত নবপত্রিকা বা”কলা বৌ” স্নান করানোর ধুম। আলমবাজার গঙ্গার ঘাট খুব কাছে বলে আমাদের বাড়ি থেকে শোনা যেত সকাল থেকে শুধু ঢাকের আওয়াজ। সেই আওয়াজেই মনে হত “আজ সপ্তমী”। আমাকেও স্নান করে নতুন জামা গলিয়েই ছুটতে হবে প্যান্ডেলে। কলাবউ বসবে গণেশের ঠিক পাশে… বাহ! রে দেখতে যাব না? গিয়েই দেখি তুই ও হাজির সেখানে। 
সপ্তমীর দিন বাড়ীতে মায়ের হাতে বিশেষ আমিষ পদ, মাছের মাথা দিয়ে ডাল, ফুলকপি দিয়ে ভেটকি মাছ, চিংড়ির মালাই কারী এই সব আমার মা কেমন রেঁধে বেড়ে রেখেছে টেস্ট করে দ্যাখ গঙ্গাজল একটিবার। তোদের বাড়ী গেলেও তুই নাছোড়। আমাকে খাইয়েই ছাড়বি। 
একগাল ভাত খেয়ে যা আমাদের বাড়ীতে। 
সেদিন বিকেলে আড়িয়াদহে আর দক্ষিণেশ্বরে ঠাকুর দেখতে যেতাম বিকেল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত সাইকেল রিকশা ভাড়া করে। বিরাট বিরাট পুজো হয় ঐ দুটি পুরোণো সাবেকী অঞ্চলে। মাঝে মাঝে হল্ট নেওয়া হত মামার বাড়িতে আর জ্যাঠামশায়ের বাড়িতে। জলযোগ এবং বিয়োগ করে সারা হত ঠাকুর দেখার পর্ব। 
পুজোর অষ্টমীর ভোর থেকে উঠে অঞ্জলির প্রস্তুতি। ভোরে বাগানের ফুল তোলা ছিল মজার ব্যাপার। সেদিন ভোর রাত থেকে বাবা জেগে পাহারা দিতেন, কেউ যেন ফুল না তুলতে পারে। বাড়ির ঠাকুর, পাড়ার ঠাকুরের মালা গাঁথবে মা। বাগানে যেন রঙের মেলা। অপরাজিতা, স্থলপদ্ম, শিউলি, কলকে, দোপাটি, জবা সব তুলে এনে সাজি আমার উপচে পড়ে। ছুঁচসূতো নিয়ে বসে পড়তাম আমার মা মালিনীর সাহচর্যে। শিউলির মধ্যে মধ্যে টগরের গোড়ে আর লকেটে স্থলপদ্ম। অভিনব মালা গাঁথা হলেই আমি একছুট্টে পাড়ার প্যান্ডেলে। ঠাকুরমশাইকে দিয়ে পরিয়েই ছাড়ব মায়ের গলায়। একে একে স্নান সেরে সবচেয়ে ভালো আর দামী জামাটি পরে অঞ্জলি দিতে যাওয়া হত। বিয়ের আগে পর্যন্ত এভাবেই কাটত ষষ্ঠী, সপ্তমী আর অষ্টমী। তারপর তুই বারুইপুর আমি জামশেদপুরে পাড়ি দিলাম। 
বিয়ের পর প্রথম বছর কেটেছিল দক্ষিণ কোলকাতার পুজো দেখে। ওয়েষ্টবেঙ্গল ট্যুরিজম এর বাসে চেপে দেখতে গেছিলাম কোলকাতার সাবেকী সব বাড়ীর বনেদি স্টাইল পুজো। আধুনিক “থিম” এর দুর্গাপুজোর চেয়ে অনেক মন কাড়ে এই পুজোগুলি। সেবার ধর্মতলা থেকে বাসে চড়ে বড়িশার সাবর্ণ চৌধুরীদের পুজো, জানবাজারে রাণি রাসমণির বাড়ির পুজো, শোভা বাজারের রাজবাড়ির পুজো, উত্তর কোলকাতার বিখ্যাত লাটুবাবু-ছাতুবাবুদের পুজো দেখেছিলাম সপ্তমীর দিনে। ডাকের সাজের প্রতিমা, চন্ডীমন্ডপে সুদৃশ্য চালচিত্রে বিশাল আয়োজন, বাড়ির মহিলাদের সাবেকী গয়না ও বেনারসী শাড়ি পরে মায়ের পুজো গোছানো, মাদুর্গার ও সব শাড়ি-গয়নায় প্রাচীন ঐতিহ্যের ছাপ সব কিছু দেখলে পুরোণো বাঙলার সেই সাবেকীয়ানা এখনো যে বেঁচে আছে এ শহরের কোথাও কোথাও তা বেশ ভাল লক্ষ্য করা যায়।
এবার যে জন্য তোকে চিঠি লিখতে বসা। 
আজ বিজয়া দশমী। শহুরে টানাপোড়েনে আমি ভুলেই গেছি চিঠির বয়ান। তোর-আমার মফস্বলের বাড়িতে বেড়ে ওঠার আটপৌরে আভিজাত্য এই শহরে বেমানান। 
মনে পড়ে তোর? দশমীর বিকেলে পাড়ার ঠাকুর কাছের গঙ্গাতে বিসজর্ন হয়ে গেলেই কলাপাতার পেছনে লালকালি দিয়ে “শ্রী শ্রী দুর্গা সহায়” লেখা। এখন কোথায় সেই লাল কালি আর কলমের নিব? কেন লিখতাম জানিনা তবে বাধ্য মেয়ের মত লিখে নিতাম দশবার। আজ আর কেউ লেখেনা তেমন করে। কোনও কোনও বার গঙ্গার ধারে গেছি বাবার হাত ধরে নতুন ফ্রক পরে ঠাকুর বিসর্জন দেখতে। একরাশ মন খারাপ নিয়ে ফিরে এসেছি ঘাট থেকে। বুকের মধ্যে কিসের তোলপাড় যেন, দুর্গা মণ্ডপে টিম টিম করে একটা প্রদীপ জ্বলছে দেখে মনটা ডুকরে উঠত। যেন সব খেলা ভেঙ্গে গেছে সেদিন। 
আমার মা হয়ত তোর মাকে প্রতিবারের মত বলছে সেই এক কথাগুলো….পুজো আসছে, আসছেই ভাল। ঠিক যেন মেয়ের বিয়ে। দেখো। কত তোড়জোড়, কত আয়োজন এক নিমেষেই শেষ। ভাঙ্গা হাটে শুধু একটাই কথা…”পুনরাগমনায় চ” 
মনে পড়ে গঙ্গাজল? 
রান্নাঘরে একটা উনুনে ঘুগনির সেই গন্ধ? আগের দিন রাতেই ঘুগনির মটর ভিজিয়ে দিত মনে করে। নারকোল কুচি ভেজে নিয়ে, ডুমো ডুমো করে আলু দেওয়া কি অপূর্ব মায়ের হাতের সেই ঘুগনি। আমি আর তুই জুলজুল করে তাকিয়ে থাকতাম, কখন মা বলবে একটু চাখতে? কেউ বিজয়া করতে এলে গরম ঘুগনির ওপরে জিরেভাজার গুঁড়ো ছড়িয়ে, ঝিরিঝিরি করে কাটা পেঁয়াজ, লঙ্কা আর লেবুর রস দিয়ে সেই ঘুগনি পরিবেশন করা হত নিমকি আর নাড়ুর সঙ্গে। আখের গুড় জাল দিয়ে কড়াপাকের নাড়ু হত। তার মধ্যে ছোট এলাচ আর এক ফোঁটা কর্পূরের গন্ধ যেন এখনো নাকে লেগে রয়েছে। 
কেউ আবার বানাত নারকোল দিয়ে চিনির পাকে নরম নরম রসকরা। সেও যেন অমৃত। 
সিঁদুর খেলতে যেত। আমি আর তুই থাকতুম সেই মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায়। চুপিচুপি, টিপটিপ পায়ে শেকল খুলে বয়ামে রাখা একমুঠো নিমকি আর চাড্ডি নারকেল নাড়ু কোঁচড়ে নিয়ে চিলেকোঠায় একছুট আমরা দুয়ে মিলে, মনে আছে তোর? 
দশমীর পর্ব সমাধা হলেই দেউড়িতে বাবাদের বিজয়ার মজলিশ বসত। বিশাল হাঁড়িতে সিদ্ধির শরবত তৈরী হত। এখন লোকে বলে ঠাণ্ডাই। আমরা সত্তরের দশক থেকেই এর স্বাদ পেয়েছি। আমাদের ভাগেও মিলত একটু করে, গোলাপফুলের সুগন্ধী পাপড়ি দিয়ে গার্ণিশ করা আর আমাদের জন্য সেই রেশন করা শরবত। ঠাকুরদার সাদা পাথারের গেলাসে, বড়দের বড় মাপের গেলাসে।
সন্ধ্যে হলেই বুলু, বাপ্পা, লাল্টু, চিনুদের বাড়ি পরিক্রমায় বেরোতাম আমরা। কার ভাগ্যে কি জোটে! 
ওপাড়ার দুর্গাদিদা, সেপাড়ার শঙ্করীদাদুদের বাড়িতে আমাদের হাত দিয়ে মিষ্টি পাঠাত মা। মনে পড়ে তোর সেই নতুন জুতোর ফোস্কা? তবুও তুই যেতে ছাড়বি না। ওরা নাকি বামুন, তাই ওদের বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে বিজয়া করতে যেতে হয়। কত্ত সংস্কার ছিল তখন! কেউ একমুঠো কুচো গজা, কেউ একটা পেরাকি, কেউ আবার দুচামচ মিহিদানা আবার কেউ খাওয়াত এলোঝেলো। সেই খেয়েই বিজয়ার রাতে পেট ভ্রেজেত আমাদের । সেটাই বোধহয় ভালো ছিল জানিস? সেই সংস্কার শিকেয় উঠল আর নতুন সংস্কৃতির ঝোড়ো হাওয়ায় বিজয়া হারিয়ে গেল। হারিয়ে গেল এই পোষ্টকার্ড, চিঠিলেখা আর বিজয়ার অনুষঙ্গেরা।
এখন বিজয়া কখন আসে আর কখন যায় কিছুই জানতে পারিনা। আর তো কেউ কাগজে কলমে সইদের চিঠি লেখেনা। গুরুজনদের পোষ্টকার্ডে বিজয়া সারেনা। বিজয়া কথাটার আগে সেই চন্দ্রবিন্দুটা না দিলে বাবা রেগে যেতেন। কেন রে গঙ্গাজল? জানিস তুই? 
বিয়ের পর একবারই তোকে বিজয়ার চিঠি লিখেছিলুম। উত্তর এসেছিল অনেকদিন বাদে। কি ভাল লেগেছিল তোর চিঠির উত্তর পেয়ে। আর একটা বিজয়ার আশীর্বাদ পেয়েছিলাম আমার দিদিশাশুড়ির কাছ থেকে। উনি সম্বোধন করেছিলেন “চিরায়ুষ্মতীসু” দিয়ে। নিজেকে কি কেউকেটা মনে হয়েছিল সেদিন! 
মা কে জিগেস করেছিলাম একবার। মা বিজয়া কেন বলে? বিসর্জন হয়ে গেলেই তো বিজয়া হয়। 
মা বলেছিল, বিজয়ায় বিসর্জন মাকে ত্যাগ নয়, বিশেষরূপে অর্জন। বিজয়া হলো আসুরিক শক্তির ওপর দৈব শক্তির বিশেষ প্রভাব বিস্তারে জয়লাভ। 
একবার ছোটবেলায় বাবাকে প্রশ্ন করেছিলাম, “দুর্গাঠাকুর বিসজর্ণের সঙ্গে সঙ্গে বিজয়া কি মারা যায়?” বাবা খুব রেগে গেছিলেন। বলেছিলেন, ছিঃ বিজয়ার আবার মৃত্যু? বলতে নেই অমন। 
বাবা যতই বলুন, আমি কিন্তু আজও ভাবি সেই কথাটা। 
শ্রাদ্ধবাড়ির আমন্ত্রণে তো পরলোকগত ব্যাক্তির নামের আগে অমন চন্দ্রবিন্দু থাকে, তাই ভেবেছিলাম। 
ঐ চন্দ্রবিন্দুটাই কি বিজয়ার চিঠিগুলোকেও প্রেতলোকে পাঠিয়ে দিল? 
বিজয়ার ভালবাসায় 
ইতি 
তোর গঙ্গাজল 
কৃতজ্ঞতা: শব্দের মিছিল

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত