আজ ২৭ ডিসেম্বর কবি জয়শীলা গুহ বাগচীর শুভ জন্মতিথি। ইরাবতী পরিবার কবিকে জানায় শুভেচ্ছা ও নিরন্তর শুভকামনা।
সিঁড়ি
চলন্ত সিঁড়িটা কেমন মিথ্যে হয়ে নামছে
উঠতে উঠতে মিনারের নজরানা
নামতে নামতে ভবিষ্য আলুথালু
তবু কেমন পুরনো মেহগনি ছায়া
সিঁড়ি ভরা অকাল মায়া
এক মোহন বিন্দু
শুরু থেকে শেষ তল্লাট
একের এক
জানার করতালি থেকে
অজানার ভাবসন্মিলন
কী অবোধ রাস্তা
কী অবাক কড়ি…কর…
এর চেয়ে করঞ্চা ফুল তুলি চল
সত্যি
আ হাওয়া
আমার সম্ভাব্য দিনে যদি জ্বলে জ্বলে ওঠে হাতের তালু, কপালের ঘাম… সেই পাওয়া ছিঁড়ে দেবো মেরুন রঙে। ধুয়ে নেবো সব্জির সাদা। তারার বিস্ফার হবে বলে কোটি কোটি উড়ে যাব বৃষ্টির ফুঁয়ে। অন্ধ জাপটে নেবো, প্রতিশোধ বিষ দেবে… ফুলতে ফুলতে অশরীরী গন্ধ হয়ে পাল্টে নেবো। তবু ছোঁব না… আমি পৃথিবী জোড়া রেচন হয়ে যাব।
খেলা
নিভে আসছে রাতের গন্ধ
স্তব্ধ ঝিঁঝিঁর পায়ে পরম
হাতের আয়না
সুলুক সুলুক তাকিয়ে আছে
সুর্মা আছে
নিখিল জোড়া নর্মে সেসব
হাতের ওপর গভীর রাখবে
সু হারিয়ে সু ছড়িয়ে
আছে আছে
থাকার বোধে এলিয়ে পড়ছে
চু কিত্ কিত্
কুমীর ডাঙা
এত বেলায়
ভরা বেলায়
রাইম
শিসের গা বেয়ে
জল ডাক
হাত ধরাধরি হাসে
পাহাড়ি দিনের ভেজা
হালকা গাল
কফি হয়
সরাসরি পাখি জ্বলে ওঠে
রাতময় বিস্তার
ফুলেফেঁপে চুল
ডাকের মাঝখানে
রুমালী সাঁতার
লাল নীল হলুদ সবুজ
ছুঁয়ে দিলে
হংসধ্বনি দোলে
দোলনায় পাহাড় দোলে
ঘুম যায় কিন্ডারগার্টেন
আকস্মিক
এই এক পাক এঁটে থাকা
তর্জনি থেকে ছড়িয়ে পড়ছে পাঠ
মধ্যমা চেঁচিয়ে উঠছে – লোকাল লোকাল
অমনি হেথায় লোকাল বাস গো
চারটে চাকার কী গরজ
চলে আর হাসে
হাসে আর কাঁদে
চলতে চলতে আমাদের
হাঁটু ছড়ে যায়
চুল থেকে খসে পড়ে পালক
আমরা দাঁত হয়ে উঠি
মার্জনা চলে
গা থেকে ব্যাকরণ উঠবে কিনা
আলোচনা চলে
কিছু পরম উজ্জ্বল হাপিত্যেস নিয়ে
আঙুল ছুঁয়ে আমি ছুঁয়ে
বাদল হয় দৃষ্টি
একা
একা একা বোধেরা
ঝুল বারান্দায় থাকে
গা থেকে খুলে নেয় প্রতিবেশী
পিঁপড়ের গান ফেলে
নিভৃতের ভেতরে সে
ঢেলে দিতে পারে আকাশ
আর জেগে থাকা কে
জড়িয়ে দেয় মেঘ
নির্বোধ হেঁটে চলায় খুঁজে পায়
সারি সারি বৈদুর্য লেন
আমির ভেতর বেছে দেয় কাঁটা
অকারণে কথায় নামে কত অনির্বাণ
কথার ভেতর ঝুল বারান্দার
সিঁড়ি নেমে আসে
রেলিং এ চাঁদ বসে
গল্প করে লুকোনো সিসিফাস