| 26 এপ্রিল 2024
Categories
গল্প সাহিত্য

সোমেশ্বরীর ধূলি                

আনুমানিক পঠনকাল: 6 মিনিট

সবেমাত্র শিশির পড়তে শুরু করেছে। হেমন্তের কোন এক ভোরে দুই বন্ধুতে মিলে পরিকল্পনাটা শুরু করে। দীর্ঘদিন-ধরে-অর্ধসমাপ্ত এক বিল্ডিং-এর দেয়ালে বসে বসে প্ল্যান আঁটে তারা রানিকং পাহাড় দেখতে যাবে।‘একটা খাতা খোল্। সবকিছু লিখে রাখতে হবে।’ আসলে সবকিছু বলতে শামীম বুঝাতে চাইল ভ্রমণের প্রস্তুতি বিষয়ক খুঁটিনাটি।‘বিকালে করা যাবে।’ সুমু বলল।ঘাসের উপর শিশির, সূর্যের আলো পড়ে চমকায়। ঐদিনের মতো সকালের গল্পে ইতি টানল তারা। তারপর যে যার বাসায় চলে গেল। সামনে তাদের অষ্টম শ্রেণীর ফাইনাল।বিকালে একটা খাতা খুলল তারা। দুই-তিনটা  নিউজপ্রিন্ট কাগজের পাতা কয়েক ভাঁজে ছিঁড়ে খাতার মতো বানিয়ে স্টেপলড্ করে ফেলল। শামীমদের বাসায় যে ঘরটায় বসে তারা দুই বন্ধুতে মিলে আড্ডা দিত তা ছিল শামীমদের মূল ঘর থেকে আলাদা একটা টিনের ঘর। শামীমের পড়ার ঘর।‘রানিকং অভিযান’ খাতার উপর কথাটা লিখে সুমু শামীমকে দেখাল।‘তার নিচে একটা তারিখ লেখ্। যেদিন যাব সেই তারিখ।’ছোট্ট ঐ ঘরটার এক কোনায় রাখা একটা কাঠের তৈরি বুক-সেলফ্। বুক-সেলফে তিন গোয়েন্দা, মাসুদ রানা আর ড্রাকুলা সিরিজের বই। বইগুলি সব শামীমের, ময়মনসিংহ জংশনের প্ল্যাটফর্মের বইয়ের দোকান থেকে কেনা। তার বড়ভাই তাকে কিনে দিয়েছে। সুমু বুক-সেলফ্টার দিকে তাকিয়ে ভাবল খানিকক্ষন, তারপর বললঃ ‘জানুয়ারি ১০’।তাদের দুজনের জগৎ ছিল ক্ষুদ্র, গন্ডিবদ্ধ। সহপাঠীরা তাদেরকে ঘরকুনো বলত। অন্য সহপাঠীরা যেখানে হৈ-হুল্লোড় করত, ঘুরে বেড়াত, মাঠে খেলাধুলা করত আর মারামারিও করত, সেখানে তারা দুজন বেছে নিয়েছিল ঐ ছোট্ট ঘরটা। বই পড়ত, গান শুনত। আর, হ্যাঁ, সত্যের খাতিরে বলতে হয়, দুই কিশোরীর গল্পও করত।তাদের প্রেমে পড়ার বিষয়টা সহপাঠীদের কাছে কিভাবে জানি ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু রানিকং অভিযান বিষয়টা ছিল একেবারেই গোপন। কারণ তাদেরকে যেতে হবে বাসায় কাউকে কিছু না জানিয়ে। জানাতে গেলে যেতে দিবে না এ ব্যাপারে তারা ছিল একেবারে নিশ্চিত।বার্ষিক পরীক্ষা হয়ে গেল। ভালো ফলাফল করল তারা। আর ‘রানিকং অভিযান’ বিষয়ক খাতার তারিখ ধরেই শামীম আর সুমু বেরিয়ে পড়ল। খাতাতে লেখা বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী তারা আগেই সংগ্রহ করেছিল। টাকা-পয়সা সংগ্রহ করতে পারল যৎসামান্য। তার মধ্যে ক্যামেরার জন্য সাদা-কালো ফিল্মও কিনতে হল।জাঁকিয়ে শীত নেমেছিল। তারা জানত সকালবেলার ট্রেনটা ধরতে পারলে রানিকং পাহাড় দেখে সন্ধ্যার মধ্যে বাসায় ফিরে আসতে পারবে। দিনে দিনে ফিরতে তো তাদের হবেই। এছাড়া অন্যকিছু ভাবার আর কোন উপায় ছিল না। টিকেট কেটে ট্রেনে চেপে বসল তারা। শুরু হল তাদের স্বপ্নের রানিকং দেখার যাত্রা।পথে কুয়াশা কেটে রোদ উঠল। তারা আশপাশের দৃশ্যাবলী দেখতে দেখতে যেতে লাগল। সহযাত্রীেেদর কাছ থেকে জেনে নিচ্ছিল কিভাবে, কোন্ পথে সুসং দূর্গাপুর পৌঁছা যাবে।বেলা এগারোটার দিকে ট্রেন বেশ কয়টা স্টেশন পাড়ি দিয়ে এই লাইনে তার শেষ গন্তব্য জারিয়া-ঝাঞ্জাইল স্টেশনে এসে থামল। স্টেশনের পাশেই কংশ নদী। যে নদীর মাছ তাদের গৌরীপুরের বাজারে সকাল বেলা পৌঁছে যায়। তারা নৌকায় নদী পার হয়ে বিরিশিরি যাবার বাসে চেপে বসল।বিরিশিরি গিয়ে বাস থেকে নামার পরপরই তাদের সামনে পড়ল সোমেশ্বরী নদী। শীতে পাহাড়ী নদী পানিশূন্য। ধূধূ বালুর নদী। তবে এই নদীর পাড়ে এসেই তাদের প্রথমবারের মতো মনে হল তারা এক অজানা অচেনা মনোরম জগতের পাড়ে এসে দাঁড়িয়েছে। হেঁটে নদী পার হল তারা। বিশাল নদীর মাঝখানে পানির একটা শীর্ণধারা। সেটাও জুতা খুলে প্যান্ট গুটিয়ে হেঁটে পার হল। তারপর আবার বালু রাজ্য অতিক্রম করে দূর্গাপুর উপজেলায় পা রাখল।তারা এগিয়ে চলল রানিকং পাহাড়ের উদ্দেশ্যে। একজনের নির্দেশিত পথকে বেছে নিয়ে। কখনও নদীর পাড় ধরে, কখনওবা উপজেলা সদরের রাস্তা ধরে এগুতে লাগল। সাথে সাথে চলল ছবি তোলার পালা। এমনি করে এক সময় তারা এমন এক জায়গায় পৌঁছল যেখানে অনেক ছোট ছোট টিলা। সামনে বিশাল খোলা জমি। কচি সবুজ ধানের পাতার রঙ পুরো প্রান্তরটাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তারা সেদিকে রওয়ানা দিতে যাচ্ছিল, তখনই এক টিলার উপর থেকে বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি)-এর এক জওয়ান তাদেরকে থামতে বলল। তারা দেখল টিলার উপর সীমান্ত-চৌকি। সেখান থেকে জওয়ান নেমে আসল। তাদের সম্পর্কে জেনে নিয়ে বলল সামনে যে খোলা মাঠ দেখা যাচ্ছে তা ‘নো মেনস্ ল্যান্ড’। ওপাশে ভারত। তাদেরকে আর সামনে এগুতে নিষেধ করল। তারা রানিকং পাহাড়ের কথা জানতে চাইল। জওয়ান বলল, সেটা ওখান থেকে বেশ একটু দূরে, অন্য দিকে। শামীম আর সুমু আসলে ভুল পথে গিয়েছিল। কিন্তু তখন তাদের ফিরতে হবে। কারন বিরিশিরি থেকে যে বাসটায় চড়লে বিকালের ট্রেনটা পাওয়া যাবে তা ধরতে হলে তখনই ফিরতি রওয়ানা দিতে হবে।তারা ফিরতে শুরু করল। নদীর কিনার ধরে, কখনওবা উপজেলা সদরের মাঝখান দিয়ে। আবার সোমেশ্বরী নদী পার হল। কিন্তু এসে শুনল বাসটা এইমাত্র ছেড়ে গেছে। চিন্তায় পড়ে গেল তারা। কিন্তু কী আর করা! ক্ষুধা লেগেছিল বেজায়। সেখানে এক হাজং বুড়োর ছাপরা হোটেলে ভাত-মাছ দিয়ে দুপুরের খাবার খেল। তারপর বাসের রাস্তা ধরে এগুতে থাকল। যে করেই হোক বিকেলের ট্রেন ধরতে হবে। তারা যখন কংশ নদীর পাড়ে পৌঁছল দেখতে পেল ট্রেনটা ছেড়ে দিয়েছে। তাদের শুধুমাত্র নদী পার হওয়া বাকি ছিল। কতক্ষণ হেঁটেছিলো মনে নেই। তবে হাঁটার ক্লান্তি আর ট্রেন মিস করার দুঃখে তারা নদীর পাড়ে বসে পড়ল।কিছুক্ষণ পর নৌকায় নদী পার হয়ে স্টেশনে জানতে পারল পরের ট্রেন রাত দশটার দিকে। রাতের শেষ ট্রেন। কিছুক্ষণ স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বসে থাকল। ভাবছিল কী করা যায়। বিকল্প রাস্তা সম্পর্কে তাদের ধারণা ছিল না, আর সাথে ট্রেনের টিকেটের টাকাটা ছাড়া আর কোন অর্থকড়িও ছিল না। তারা ভীষণ ভাবনায় পড়ল।‘এতো রাত পর্যন্ত স্টেশনে বসে থাকতে হবে! আর এই লাইনের গাড়ি বেশিরভাগ সময় টাইম-টেবিল মেনে চলে না।’ শামীম বলল।‘অথচ দেখ্, আজ বিকেলের ট্রেনটা কিন্তু যথাসময়ে চলে গেছে!’ সুমু বলল।শামীম সুমুর আক্ষেপে মাথা নেড়ে সায় দিল। তারপর বলল: হিরনপুর স্টেশনের কাছেই আমার এক খালা থাকেন। চল্, আমরা রেললাইন ধরে রওয়ানা দেই। কোন কারনে রাতের ট্রেন দেরি হলে খালার বাড়িতে যাব। আর ট্রেন আসলে হিরনপুর থেকেও উঠা যাবে।তাদের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হলো না। কিন্তু বিকেল পাচঁটার দিকে জারিয়া-ঝাঞ্জাইল স্টেশন থেকে রওয়ানা দিয়ে রেললাইন ধরে হেঁটে হেঁটে মাঝে আরও কয়েকটা স্টেশন পাড় হয়ে হিরনপুর স্টেশনে যখন তারা পৌঁছল তখন রাত ১১টা বেজে গেছে। পথে অবশিষ্ট ক’টি টাকা দিয়ে তারা বিস্কুট আর মুড়ি কিনে খেয়েছিল । সন্ধ্যা নেমে আসার পর তাদের সামনে ছিল জোৎস্না আর কুয়াশা-মাখা রেললাইন। পথে কোন এক স্থানে রাতের শেষ ট্রেনটাকে জারিয়ার দিকে যেতে দেখল তারা। ট্রেনটা যখন সেখান থেকে ফিরে হিরনপুর আসবে, তখন তারা তাতে উঠে পড়বে। মনে তাদের আশা, রাত বেশি হলেও আজকের মধ্যে বাড়ি ফিরতে পারবে।বিদ্যুৎ ছিল না হিরনপুর স্টেশনে। ছোট্ট স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম একেবারে ফাঁকা। তারা প্ল্যাটফর্মের একপ্রান্তে দাঁড়ালো। জোৎস্না ছিল, কিন্তু স্টেশনের পেছনে জঙ্গল আর গুটগুটে অন্ধকার। সেই জঙ্গল থেকে একজন লোক বের হয়ে এল। মাফলারের কারণে তার চেহারাটা ঠিকঠাক দেখা যাচ্ছিল না। সে শামীমের কাঁধে ক্যামেরাটা ঝুলতে দেখল। রেললাইন ধরে হেঁটে আসার সময় শামীম ক্যামেরাটা তার পিঠে জ্যাকেটের আড়ালে লুকিয়ে রেখেছিল, কিন্তু স্টেশনে এসে সেটা আবার কাঁধে নিয়ে এসেছিল। শ্রান্ত-ক্লান্ত তাদের তখন ভালোভাবে কথা বলার শক্তি পর্যন্ত ছিল না। সেই অবস্থায় তারা দেখতে পেল জঙ্গল থেকে আরও দুই জন লোক বের হয়ে এসে তাদেরকে ঘিরে দাঁড়ালো। শামীম আর সুমুর মনে হল লোকগুলো নেশাসক্ত। জঙ্গল থেকে প্রথমে বের হয়ে আসা লোকটা বলল, কুনু কতা কইচ না, আমরার সাথে চল্!তখনই তারা কয়েকজন লোকের পায়ের শব্দ আর কথা শুনতে পেল। প্ল্যাটফর্মে তারা যে পাশে দাঁড়িয়ে ছিল তার বিপরীত পাশ থেকে। রেললাইনের পাশে হাঁটাপথ ধরে এগিয়ে আসছিল তারা। ঐ শব্দই জঙ্গল থেকে বের হয়ে আসা লোকগুলোকে দ্বিধায় ফেলে দিল। ফলে শামীম আর সুমু দাঁড়িয়ে থাকল আর লোকগুলো যেন দ্রুত প্ল্যাটফর্মে পৌঁছে যায় তার জন্য প্রার্থনা করতে থাকল।‘ক্যামেরাডা দে।’ জঙ্গল থেকে প্রথমে বের হয়ে আসা লোকটা কথাটা বলার সাথে সাথেই বাকি দুইজনের একজন শামীমের হাতে থাকা ক্যামেরার দিকে হাত বাড়ালো। কিন্তু ঠিক তখনই চার-পাঁচ জন লোক প্ল্যাটফর্মে উঠে আসল আর শামীম ও সুমু দৌঁড়ে প্ল্যাটফর্মের অন্য প্রান্তে চলে গেল। তারা পেছন ফিরে জঙ্গল-থেকে-বের-হয়ে-আসা লোকগুলোকে আর দেখতে পেল না।‘চল্, খালাম্মার বাড়িতেই চল।’ শামীম বলল।তারপর রেললাইন ধরে হেঁটে শামীমের খালা বাড়ি পৌঁছল তারা। রেললাইনের পাশেই বাড়ি। এতো রাতে শামীমের খালা তাদেরকে দেখে হতবাক। উনার কাছে আজকের পুরো ঘটনাটা ব্যাখ্যা করার মতো তাদের পরিস্থিতি ছিল না। তিনি অবশ্য বেশ দ্রুততার সাথেই রান্না করলেন। শামীম ও সুমু মুখ-হাত ধুয়ে খেয়ে-দেয়ে উনাদের বাড়ির বাহিরের ঘরে ঘুমুতে যাওয়ার আগে শামীম তার খালাকে বললঃ ‘খালাম্মা, আমরা বাসায় না জানিয়ে এসেছি।’‘বাবারা, তোমরা এটা ঠিক কাজ কর নাই। উনারা খুব দুঃচিন্তা করবে।’ খালু একটু রাগ করেই বললেন।লেপের নীচে শুয়ে তারা শুধু একবাবের জন্য ভাবতে পেরেছিল যে বাসায় না জানিয়ে আসা তাদের উচিৎ হয়নি। তারপরই তারা ঘুমিয়ে পড়ল। ঠিক সেই সময় তাদের ঘুমকে গাঢ়তর করে দিয়ে রাতের শেষ ট্রেন হিরনপুর স্টেশন অতিক্রম করে গৌরিপুর জংশনের দিকে চলে গেল।তারা ঘুম থেকে উঠল বেশ বেলা করে। তখনও তাদের সারা শরীর জুড়ে গতকালের ভ্রমণজনিত বেদনা লেগে ছিল। তবে রাতে গভীর আর প্রশান্তিময় ঘুমের পর তখন অনেক ভাল লাগছিল। আর সেই সাথে বাড়িতে ফেরার তাড়া মনে ফিরে এল।নাস্তা খেয়ে তারা শামীমের খালুর সাথে হিরনপুর স্টেশনের উদ্দেশ্যে বের হল। খালু বলল কিছুক্ষণের মধ্যে একটা ট্রেন আসবে গৌরীপুরে যাবার। রাতে তারা যে পথ ধরে এসেছিল সেই পথ ধরে এগিয়ে চলল স্টেশনের দিকে। দিনের আলোতে সবকিছু নতুন মনে হল। রাতের সেই ভূতুড়ে স্টেশন এখন বড্ড মায়াময় লাগল। তাদের সব ভয়, উদ্বেগ আশঙ্কা উবে গেছে। কিছুক্ষণের মধ্যে তারা বাড়ি পৌঁছে যাবে। ট্রেন আসল। শামীমের খালু টিকেট কেটে তাদেরকে ট্রেনে তুলে দিলেন। ঘন্টাখানেকের মধ্যে গৌরীপুর স্টেশনে পৌঁছে গেল তারা। তাদের জুতায় তখনও লেগে ছিল সোমেশ্বরীর ধূলি।পরিশিষ্ট: বিশ বছর পরে একদিন ঢাকা থেকে বাড়িতে গিয়ে সুমু দেখল শামীমদের বাসার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। তাদের মূল ঘরটা যেটা ছিল পাকা-ভিটার উপর টিনের ঘর সেখানে এখন টিনের ছাউনি দেয়া এল-সেইপড্ পাকা ঘর। পাশের টিনের ছোট্ট ঘরটা আর নাই। বড় ঘরটাকে খানিকটা জায়গা ছেড়ে দিতে গিয়ে সেটা হারিয়ে গেছে। বাকি জায়গাটুকুতে এখন সারিবদ্ধভাবে লাগানো হয়েছে হরেকরকম গাছ। সুমুর মনে হলো এইসব গাছেরই কোনটার নিচে মাটিতে মিশে আছে নিউজপ্রিন্টের সেই খাতা রানিকং অভিযান। তবে খাতা ধ্বংশ হলেও রানিকং পাহাড় এখনো আছে। কোন না কোন দুই কিশোর তা দেখার পরিকল্পনা নিশ্চয়ই করবে। তাদের মধ্যে অনেকেই পাহাড় দেখবে কিংবা জয় করবে। কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে এ রকমটা ঘটতে পারে যে তারা পাহাড় দেখতে পেল না কিংবা জয় করতে পারল না। তারা ভিন্ন এক ভ্রমণ উপাখ্যান  জন্ম দিবে। হয়ত পায়ে হেঁটে অথবা অন্য কোন উপায়ে। ঠিক কোন রূপে, আগেভাগে বলা মুশকিল।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত