বাউন্সার আর সুইংয়ে দিশেহারা পাকিস্তান

Reading Time: 2 minutes

ক্রিস গেইল ব্যাট হাতে ঝড় তুলবেন আর রেকর্ড পায়ে লুটাবে না, সেটি কি হয়! শুক্রবার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে শুভসূচনা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর ঝড়ো ফিফটির পথে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড গড়েছেন ক্যারিবীয় ওপেনার।
অর্ধশতক পাওয়ার ম্যাচে ৩৪ বলে ৫০ রানের ইনিংস গেইলের। পথে হাসান আলির বলে দুর্দান্ত ছক্কা হাঁকিয়ে এবি ডি ভিলিয়ার্সকে টপকে চূড়ায় ওঠেন গেইল। সবমিলিয়ে বিশ্বকাপে ২৭ ম্যাচে ৪০ ছক্কা নিয়ে শীর্ষে এখন ইউনিভার্স বস।

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন সাবেক নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছে ম্যাককালাম যাদের জয়ী হবে বলেছেন তারা।

২০১৯ বিশ্বকাপে শীতল আলোচনায় ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্ত বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে অন্য দলগুলোকে জানিয়ে রাখলো উইন্ডিজ নিয়ে ভাবতে হবে এবার। শুক্রবার নটিংহ্যামের ট্রেন্টব্রিজে টসে হেরে আগে ব্যাট করে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২১.৪ ওভারে ১০৫ রান সংগ্রহ করে সরফরাজ বাহিনী।

নটিংহ্যামের ট্রেন্টব্রিজে রান তাড়ায় এসে ক্যারিবীয়রা তিন উইকেট হারালেও ক্রিস গেইলের ঝড়ো ফিফটির কল্যাণে ১৩.৪ ওভারেই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে।

ফর্মে থাকা শাই হোপ ১১, ব্রাভো শূন্য রানে ফিরলেও ঝড় জারি রাখেন গেইল। ৩৪ বলে ৫০ করে ফেরেন। ৬ চার ও ৩ ছক্কার ইনিংস। বাকি কাজটুকু সারেন ১৯ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকা নিকোলাস পুরান ও আরেক অপরাজিত হেটমায়ার (৭)।

উইন্ডিজের তিনটি উইকেটই নিয়েছেন মোহাম্মদ আমির। ৬ ওভারে ২৬ রানে ৩ উইকেট তার, ক্যারিয়ারে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপে নেমেছিলেন পাকিস্তানি পেসার।

আগে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ গড়ে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। ১৯৯২ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৪ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ইমরান খানের দল। সেবার ব্যাট করতে পেরেছিল ৪০.২ ওভার।

টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়েছিল পাকিস্তান। নেমেই পড়ে ক্যারিবীয় পেস তোপে। তৃতীয় ওভারেই ওপেনার ইমাম-উল হককে (২) উইকেটরক্ষক শাই হোপের ক্যাচ বানান শেলডন কটরেল।

দুই ওভার পর আবারও উইকেটের পতন। এবার আন্দ্রে রাসেলের বাউন্সার ফখর জামানের (২২) হেলমেটে লেগে ভেঙে দেয় উইকেট। চার ওভার পর রাসেলের বলেই হোপকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন হারিস সোহেল (৮)।

এরপর কেবলই আসা-যাওয়ার মিছিল। রাসেলের পরে মঞ্চে আসেন হোল্ডার ও ওশানে থমাস। বাউন্সার আর সুইংয়ে গুঁড়িয়ে দেন পাকিস্তানিদের মিডল-লোয়ার অর্ডার। শেষ পর্যন্ত ১১ জন মিলে কোনো মতো সেঞ্চুরির কোটাই পার করতে পেরেছে পাকিস্তান।

বাবর আজম ২২, মোহাম্মদ হাফিজ ১৬, শেষদিকে ওয়াহাব রিয়াজের ১৮ রানের ইনিংস বড় লজ্জার হাত থেকেই বাঁচিয়েছে পাকিস্তানকে।

থমাস ২৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সেরা। খরুচে হলেও ৪২ রানে ৩ উইকেট নিয়ে পরের সেরা অধিনায়ক হোল্ডার। ৩ ওভারে মাত্র ৪ চারে ২ উইকেট নিয়েছেন রাসেল। উইকেট কাড়াকাড়ির দিনে একটি গেছে কটরেলের ঝুলিতে। কেবল ব্র্যাথওয়েটই হাত ঘুরিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য।

 

 

 

.

 

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

You may use these HTML tags and attributes:

<a href="" title=""> <abbr title=""> <acronym title=""> <b> <blockquote cite=""> <cite> <code> <del datetime=""> <em> <i> <q cite=""> <s> <strike> <strong>