| 26 এপ্রিল 2024
Categories
মনের অন্দরে স্বাস্থ্য

করোনার গ্রাসে শেষ হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্যও

আনুমানিক পঠনকাল: < 1 মিনিট
করোনাভাইরাসের আতঙ্কে কাঁপছে গোটা দুনিয়া। নিত্যদিন বেড়েই চলেছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। তারই সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা লকডাউন স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে। ফলে অনেকেই মানসিক অবসাদ এবং চাপের সম্মুখীন হচ্ছেন। মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তাঁরা।
 
ইন্ডিয়ান সাইকিয়াট্রি সোসাইটির একটি সমীক্ষায় সম্প্রতি উঠে এসেছে, লকডাউনের জেরে ১৫-২০ শতাংশ ভারতীয় মানসিক অবসাদে ভুগছেন। মূলত সামাজিক দূরত্ব ও বাড়িতে থাকার জেরেই মানুষের অবসাদ ও উদ্বেগ বাড়ছে। এরই সঙ্গে কাজ হারানো এবং টাকাপয়সার চিন্তা বাড়িয়ে তুলছে মানসিক চাপ।
 
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ( WHO)-র তরফেও এ নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সমীক্ষায় তিনটি দিকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
 
১. দুশ্চিন্তার একঘেয়েমি: খারাপ খবর পেতে পেতে দুশ্চিন্তার ফাঁস গলায় চেপে বসে। বার বার মনে হয় খারাপই হবে, কিছুই আর ঠিক হবে না। এই ধরনের চিন্তা লাল সংকেতের মতোই মারাত্মক। প্রাক্তন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী অ্যান্ডি পুডিকোম্বের বলেছিলেন, ‘কালো মেঘ দেখে আমরা নীল আকাশের কথা ভুলে যাই, কিন্তু মনে রাখতে হবে সেটা কিন্তু সেখানে আছে।’ ব্যবহার করতে পারেন হেডস্পেস মেডিটেশন অ্যাপ।
 
২. অনিয়মিত অভ্যেস: যদি বুঝতে পারেন আপনি অনেক বেশি বা কম ঘুমোচ্ছেন, বেশি খাচ্ছেন বা একেবারেই খিদে পাচ্ছে না তাহলে বুঝতে হবে আপনি অবদাসগ্রস্ত। নিজেকে সুস্থ রাখতে একটা সময় বের করুন। গান শোনা ও বই পড়তে পারেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের তরফে এই ভিডিয়ো গাইড মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
 
৩. অমনোযোগী হয়ে পড়া: অবসাদের আরেকটি বড় লক্ষণ নিয়মিত রোজকার কাজ করতে না পারা। মন দিতে না পারা। মনোযোগ হারিয়ে ফেলতে বিপদ বাড়তে পারে বলেই মনে করেন চিকিৎসকেরা। এ ক্ষেত্রে রোজকার রুটিন সম্পন্ন করার মতো কাজ করতে হলে ব্যবহার করতে পারেন এই হেডস্পেস অ্যাপের।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত