| 6 অক্টোবর 2024
Categories
কবিতা সাহিত্য

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল’র একগুচ্ছ কবিতা

আনুমানিক পঠনকাল: 5 মিনিট

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল

আজ ৩০ মে কবি ও সাংবাদিক সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালের জন্মতিথি। ইরাবতী পরিবার কবিকে জানায় শুভেচ্ছা ও নিরন্তর শুভকামনা। কবির জন্মতিথিতে কবির আগষ্ট,২০২২-এ লেখা একগুচ্ছ কবিতা থাকলো।


 

সেন্সর বোর্ডে
পাইলটের সাথে বিমান বালা সম্পর্ক প্রফেশনাল,
তা নিয়ে ইলাস্ট্রিক; এতোটা মাতামাতি!
ডাক্তার আর নার্সের দূরত্ব; কাজের ধরণ ভিন্ন,
সন্দেহবাতিক ডাক্তারের স্ত্রী তপ্ত ইস্ত্রি হয়ে থাকে
‘রাতের বেলায় খাটে উল্টানো পিঠ’!
সচিব স্যারের সাথে পিএ পারভিন পারভেজের
পদমর্যাদা প্রাইমারি এবং অনার্সের মতো
শূন্যে-শীর্ষে তবু সহকর্মীদের চশমার আড়ালে ঈর্ষার দৃষ্টি !
পরিচালক আর উঠতি নায়িকা নিয়ে
এতো গসিপ, কাগজে এতো গুজব!
অথচ অনুদানপ্রাপ্ত ছবিটি এখনো পড়ে আছে সেন্সর বোর্ডে!
.
.
সাদৃশ্য
‘উপমা’ মূলত মধু মিশ্রিত মিথ্যাচার,
‘তুলনা’ও একটি ফাঁকিবাজি শব্দ।
‘মতো’
‘যেনো’
এ সবই সত্যকে আড়াল করে তুলে ধরে গৌরব,
ঘৃণা, সমান্তরাল বা সদৃশ
এবং ‘প্রতীক’ অনেকটা তাই।
.
এই সব বিশেষণ
এই সব বিশেষ্য এবং অব্যয়
আয়নাকে অস্বীকার করে
‘কল্পনা’ আমাদেরকে প্রতি নিয়ত বিভ্রান্ত করছে।
যেমন তুমি চাঁদের মতো নও, অসত্য
যেমন ফুলও তোমার মতো নয়, অসত্য
ফুল হুবহু ফুলের মতোই।
.
ক্রিয়া পদ, তুমিও তুলসিপাতা নও!
ঘুনপোকা, উইপোকার মতো
ভাষার পাঁজরে বসে খেয়ে যাচ্ছো বর্ণমালার হাড়হাড্ডি।
.
.
টোব্যাকো মুক্ত দিবসের কবিতা 
সেনা বাহিনীর চৌকষ দল তাঁকে জানাচ্ছে
গার্ড অফ অনার
জাতি সংঘের বিশেষ দূত শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে এসেছে
লাল মখমলে মোড়ানো সুদৃশ্য ব্যানারে!
এবং গাজা উপত্যকায়
তাঁর নামানুসারে স্থাপিত হচ্ছে সড়ক-
মোতালেব স্ট্রিট!
.
মোতালেব মিঞা গৌরীপুরের একজন সামান্য কৃষক
কোনো দিন চাষ করেন নি তামাক।
তিনি তাঁর সম্মানিত স্ত্রীকে
সব সময় ‘আপনি’ সম্বোধন করতেন,
ডাকতেন ‘বিবি’ বলে।
.
.
শেষাংশ 
নজরুল-মধুসুধনের কথা থাক। শওকত ওসমান মোমেন বাগের নিজস্ব বিশাল বাড়ির সামনে তিনি থাকতেন ড্রাইভারদের প্রতিবেশ, টিনশেডে। শওকত আলীও হাটখোলার পৈত্রিক বিল্ডিং-এর গ্যারেজ ঘরে ছটফট করতেন একটি প্যারাসিটামলের জন্য।
সৈয়দ আলী আহসান তাঁর বশিরউদ্দিন লেনের বাসভবন ছেডে মনোকষ্টে বৃদ্ধজীবন বেছে নিয়েছিলেন হোটেল পূর্বাণীতে। মুহম্মদ শহীদুল্লাহর বেগম বাজারের দুষ্প্রাপ্য লাইব্রেরিটি পরিণত হয়েছিলো কেরোসিন তেলের গুদামঘর আর প্লাস্টিকের দোকান এবং জড়িয়ে ছিলো মামলায়।
ফররুখ আহমদের কবরের জায়গা ছিলো না। বে-নজীর আহমদ তার শাহজানপুরের বাড়িতে নিয়ে গেছেন লাশ। তা নিয়ে আল মাহমুদ লিখলেন- ‘ফররুখের কবরে কালো শেয়াল’।
.
.
ভ্রমণ কাহিনী
গোদারা ঘাটের সৌন্দর্য মেখে পেছনে ব্রহ্মপুপত্র রেখে
প্রায় বৃটিশামলের একটা থুত্থুরে ভাঙা বাসে
জোড়াতালি মারা সিটে বসে
নাড়ির টানে শেরপুর যাচ্ছি, শেরপুর।
বিমানের জানালার চেয়ে
ভাঙা বাসের খিরকি খোলামেলা, ভালো।
জৈষ্ঠ্যের কড়া রোদ ঘামছে,
বাসের পিঠে ঘাম শুকিয়ে নুন হচ্ছে
খা খা করছে মরা মাঠ, ঘরবাড়ি, উঠোন।
গত বন্যায় বৃষ্টির পানিতে ভাঙা
এবরো-থেবরো ডিস্ট্রিক বোর্ডের পাকা রাস্তায়
ঢেউ খেলে হেলে দুলে
ঝাকি দিতে দিতে যাচ্ছে ঐতিহাসিক বাস।
হঠাৎ খাদে আটকে গেলো বাস। ফুরিয়ে গেছে পেটের ডিজেল
হেলপার বালতি নিয়ে খালের জল দিলো,
জয়নুলের ঠেলা গরুগাড়ি মতো কেউ কেউ ধাক্কা দিচ্ছে
কাজ হচ্ছে না।
হাঁটু ভাঙা দ-এর মতো একটি লোহার রট
রাস্টন মেশিন,
সেই মেশিন দিয়ে বাসের নাক দিয়ে ডুকিয়ে
কন্ট্রাকটার ঘুরাতে লাগলো
ঘুরাতে ঘুরাতে ঘুরাতে ঘুরাতে বাস ঘড়র ঘড়র করে
জীবন্ত হয়ে দৌঁড় দিলো ।
আর আমি ঠেলার ভূমিকায় ফাঁকা রাস্তায়
বোকার মতো দাঁডিয়ে রইলাম!

আরো পড়ুন: একগুচ্ছ কবিতা । সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল


টুঙ্গিপাড়ায় মৃত ফেরেশতা 
সেদিন আর্মিদের খাকি হেলিকপ্টার চলে যাবার পরও
টহল দিচ্ছিলো কয়েকটি কালো সেপাই এবং শেয়াল।
ছায়ার গন্ধে, নির্জনতায়
শ্রাবণের বৃষ্টির জল পাতা চুয়ে চুয়ে
কাঁদছিলো ভেজা ফুল।
শোকাভিভূত ঝিঁঝিঁ পোকা
শোকাভিভূত জোনাকীরা জিয়ারতে এসে দেখে
ফেরেশতা
ফেরেশতা
ফেরেশতা
তবে তারা নাকীর-মুনকার নন;
শাদা শাদা শাদা শাদা বিশেষ স্বর্গীয় দূত
পরিদর্শন করছে,
শুক্রবার দিবাগত থমথমে নিশুথি প্রহরে
কালো চাঁদ; কালো কালো জোছনা ক্ষয়ে ক্ষয়ে পড়ছে!
.
যে রক্ত মাখানো হেলিকপ্টারটি ফিরে গেছে
সেই হেলিকপ্টার থেকে ঝরে পড়ছে
ফোটা ফোটা কষ্ট
ফোটা ফোটা রক্ত
রক্তের রঙ ঝরে পড়ছে শাদা ফেরেশতাদের পালকে!
.
আবার কি কোথাও গোলাগুলি হলো?
আবারো কি নিহত হলেন- পবিত্র ফেরেশতা!
.
.
আঙুল খেলা
তুমি নাড়াচ্ছিলে, দ্রুত ঘুরাচ্ছিলে তর্জনী-মধ্যমা
আমারও ধরার প্রবল চেষ্টা তোমার তুমুল তর্জনী।
.
ফিঙ্গার প্লে। পূর্ণ হয়নি আমার টার্গেট! তোমারও।
দুই আঙুলের ধাঁধানো খেলায় তুমি কখনো তৃতীয় আঙুল
যুক্ত করেনি,
ফলে মুষ্টিবদ্ধ করতে পারিনি বৃদ্ধাঙুলও।
তুমি বার বার বার বার কৌশলে তালগাছের মতো
তুলে ধরেছো তোমার মধ্যাঙুল!
তখন বুঝিনি মিডিল ফিঙ্গার লেঙ্গুয়েজ
আঠারো+প্লাস হয়ে বুঝলাম মধ্যমার আরেক অর্থ।
মিডিল ফিঙ্গার মানে অদ্ভূত Sex এবং গালিও বটে!
.
কেউ কেউ ভাবে ফিঙ্গারপ্রিন্টএর কথা,
কেউ কেউ খুঁজে আঙুলের বহুমাত্রিকতা:
❝দু’টো আঙুলের একটি ধরতে বলেছিল/ধরার পর বুঝলাম, ভুলটা ধরেছিলাম/ জীবন যেনো ক্যাসিনো খেলা!❞
.
এসব বাদ দিয়ে
অনুজপ্রতিম কনিষ্ঠা প্রশ্ন করে অগ্রজা অনামিকাকে:
আপু, লিঙ্গসূত্রে আমরা কি নারী জাতি?
.
.
এককালীন সম্পর্ক
সে (ছেলেটি) তার (মেয়েটির) সাথে হিপোক্রেসি করে নি,
সততা তাকে (মেয়েটিকে) মুগ্ধ করেছিলো।
ওয়ান টাইম রিলেশনশিপ
তাতে ভনিতা ছিল না; শর্ত, স্বপ্ন কিংবা প্রতিশ্রুতি
অথবা অলিখিত চুক্তি-চিন্তা কিছুই ছিলো না।
>
চমৎকার আনন্দ বিনিময় বা ভাগাভাগি।
সে (হিন্দু) ভারতীয়…
জাত, জাতি, জাতীয়তাবাদ কি?
পৃথিবীতে দুই জাতীঃ নারী আর পুরুষ জাতী
তাই (মুসলিম মেয়েটির) মাথা ব্যাথা ছিলো না।
বরং ভিন্ন অভিজ্ঞতা,
বরং অন্যপ্রকাশ, অন্যচিত্র!
বহুকালীন বা দীর্ঘকালীন সম্পর্ক গতানুগতিক।
>
ছেলেটির (৩২), মেয়েটির(২৩) পরস্পরের কাছে
এককালীন সম্পর্ক এবং স্বচ্ছতা অনেকটা সুন্দরের মতো!
.
.
দু’জনের মাঝে একটি মৃত্যু 
দুই বোনের দূরত্ব দুই বছর,
একটি পারিবারিক মৃত্যুর পর বড় মেয়ে বুঝলো- মৃত্যু কি!
ছোট মেয়ে বুঝলো না;
তার বুদ্ধিতে দানা বাঁধেনি মৃত্যুবোধ,
মৃত্যুর মর্ম তাকে স্পর্শ করেনি।
.
অগ্রজা বেদনা টের পেলো, কাঁদলো
ফুফিয়ে ফুফিয়ে, এস্কি তুলে তুলে কাঁদলো
অনুজা তাকিয়ে তাকিয়ে বোনের কান্না দেখলো
মায়ের বুকের দুধ চুষতে চুষতে
ঘুমিয়ে পড়লো।
.
মৃত্যু তাদের দু’জনের মাঝে নদীর মতো চলে গেলো।
.
একটি মৃত্যুর নাম রবীন্দ্রনাথ,
একটি মৃত্যুর নাম বুধবার,
একটি মৃত্যুর নাম ধর্ম অথবা ইউক্রেন,
আরেকটি মৃত্যু নাম কিছুতেই মনে পড়ছে না!
.
.
.
মায়ের মানিওর্ডার
চাঁদও মায়ের মতন আমাদের সাথে সাথে থাকে,
জোছনা এবং স্নেহাদর সমান্তরাল।
মন্ট্রিয়লে হোটেল ম্যারিয়টে
ভিসাকার্ড হারানোর সাথে সাথে পেয়ে যাই মায়ের গয়না বেচা মানিওর্ডার।
.
মা নিজেই একটা হাসপাতাল,
আমি তাঁর ভালোবাসার হাসপাতালে থাকি
আমি তাঁর খামারে বাস করি,
আমি তাঁর কুসুম অথবা কোমল কস্তুরি, কান্নার আনন্দ।
তিনি জাদুঘর; আমি তাঁর প্রত্নতত্ত্ব।
আমার সুগন্ধি মাকে আমি লুকিয়ে রাখি
আমার কবিতার ভেতর, শব্দের বন্ধনে-
পাতার গভীরে শাদা-শাদা শাদাফুল হৃদয়ের আড়ালে।
একাক্ষর শব্দটি অফুরন্ত সৌরভ!
শান্তি, ওঁম শান্তি! ওঁম শান্তি!
.
.
ওল্ড সি পোর্ট অফ মন্ট্রিয়ল
মন্ট্রিয়লে ফেলে এলাম সন্ধ্যা মালতির মতো একটি সন্ধ্যা,
কয়েকটি ছায়া এবং এক আকাশ বৃষ্টি।
সন্ধ্যা ধীরে ধীরে ভোর হবে,
ছায়া মিশে মিলিয়ে যাবে অন্ধকারে,
বৃষ্টিগুলো উড়ে যাবে রাজধানীর দিকে, পার্লামেন্ট হিলে।
ওল্ড সি পোর্টে দাঁড়িয়ে দেখি:
ইতিহাসের অন্ধকারে
সেন্ট লরেন্সে ডুবে আছে ১৯৭১
সপ্তম নৌবহরে অস্ত্র পাঠানোর বিপক্ষে প্রতিবাদী হাতগুলো
আমাকে দেখে জেগে উঠলো!
ঐতিহাসিক দৃশ্যে সেই সন্ধ্যা, কয়েকটি ছায়া
অলিম্পিকো কফিশপে কবিতা হয়ে উঠলো।
.
.
তিন কালের কাব্য
[অতীতটা অদ্ভূত শৈশব-সকাল,
যেখানে আম্মা থাকেন।]
.
{রর্তমান একটি চকচকে দুপুর,
এখানে স্ত্রীদের রৌদ্রোজ্জ্বল অপরাহ্ন।]
.
(কিন্তু ভবিষ্যৎ বিকেল বা সন্ধ্যে নয়,
সেখানে সন্তানদের অজস্র অনন্ত আনন্দ।)
.
¥ এবং বাবা, স্বামী, পুত্র
ত্রিভূজ একটি জেনেটিক কবিতা ¥
.
.
নিমগাছ 
‘নারীবাদী’র মতো ‘পুরুষবাদী’ শব্দটা ততো শ্রুতিসুন্দর নয়,
এবং ‘নারী ঘটিত কেলেংকারী’র মতো
‘পুরুষ ঘটিত কেলেংকারী’ও শ্রুতিমধুর নয়।
.
তবু নৈঋতা লিখবে নীল আত্মজীবনী,
যে জীবনের শেকড়ে, শাখা-প্রশাখায়, পুষ্পপল্লবে
জড়িয়ে আছে প্রিয়-অপ্রিয় পুরুষেরা,
তাদের বহুগামী বহুবিদ বিচরণ
মাছের আঁশটের মতো অথবা কামিনী ফুলের ঘ্রাণের মতো
তার আত্মজীবনী জুড়ে থাকবে
তাদের অপ্রকাশিত জীবন।
.
কে কে শুয়েছে,
কে কে কেঁদেছে
কে কাঁদিয়েছে এবং স্বপ্নের ভেতর উড়িয়েছে রঙিন ঘুড়ি।
কে ভেতরে ঘুমিয়ে পড়েছিলো
কে চুমু ছাড়াই সঙ্গম-সার্কাসে ষাঁড়ের অভিনয় করেছিলো
সাঁতার কাটছিলো পানীয় জলে; জানি পরপুরুষদের গণিত
এবং গুপ্তধন।
কে কতটা উত্তম, কে কতটা কুমার
কে শরীরকে বলেছিলো- শিল্পকলা।
আত্মজীবনীর পাতা খুললেই খুলে যাবে আলি বাবাদের মুখোশ
কাস্টরিতে ক্রীড়াবিদদের সিসিম ফাঁক!
.
বাবাতুল্য লোকটিও মেয়ে বানিয়ে আদর করতে করতে…
অসমাপ্ত এবং বঙ্গ রজনীর লোককাহিনীতে গেঁথে গেলো!
অথবা পুরুষ ঘটিত কেলেংকারীতে।
.
শুধু একটি নিম গাছ থাকবে আত্মজীবনীর বাইরে!
.
.
টাওয়াল 
শাওয়ারের পর খালি গায়ে শুধু টাওয়াল জড়ানো দৃশ্য
শুধু শর্টফিল্মেই থাকে।
ক্যামারার চোখে নয়; এবার নিজ চোখে দেখা-
সেই দৃশ্যচিত্র কাঁচা শব্জি, শশার মতন সজীব।
টাওয়াল জড়ানো দৃশ্যের সাথে যোগ করি ব্রা
বিয়োগ করি টাওয়াল।
গুণ মূলত যোগের সংক্ষিপ্ত রূপ, রূপান্তর
ভাগ মূলত বিয়োগের সংক্ষিপ্তাকার।
ভাগ করলে হ্রাস হয়, গুণ করলে বৃদ্ধি।
কিন্তু অর্ধ ভেজা টাওয়ালের কোনো গুণ বা ভাগ নেই।
.
.
হালাল হাসব্যান্ড, হালাল কবিতা 
ফিলিপিনো ঈআশমীণ (ইয়াসমিন) যষীম আমার সাথে কাজ করে, আমিও তার সাথে কাজ করি।
মাঝে মধ্যে সে বাংলা বলার চেষ্টা করে, মজা পাই।
এবং আমিও প্রশ্ন করি:
‘কাসাল কা না বা’?
বাতাসে যে ভাবে ফুল দুলে, সে ভাবে সে মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে হাসে!
.
>আমাদের আরেক নারী সহকর্মী হালাল হিজাব পরেন
হালাল ভাষায় হালাল কথা বলেন।
হালাল সাবান থেকে শুরু করে হালাল ঘুম, হালাল তার জীবন,
হালাল স্বামী, হালাল সঙ্গম-সন্তান!<
.
বাতাসে যে ভাবে ফুল দুলে, সে ভাবে মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে ঈআষমীণ অথবা ইয়াসমিন বলে:
তার মেয়েটি দ্রবীভূত; আংশিক সুইডিশ,
আংশিক খৃষ্টান,
বাকীটা মুসলিম।
এক স্বামী মৃত; দ্বিতীয় জনের সাথে দূরত্ব, ছাড়াছাড়ি
তৃতীয় জন হালাল হাসব্যান্ড নয়।
.
ফুল যে ভাবে বাতাসে বাতাসে দুলে, সে ভাবে সে
মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে হাসে। হাসতে হাসতে বলে:
‘তোমার কবিতাও হালাল কবিতা নয়!’
error: সর্বসত্ব সংরক্ষিত